নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

না দেখা শঙ্খচীল

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

গতকাল সন্ধ্যায় গ্রাম দেখতে গিয়েছিলাম বহুদুর ।আধীবাসী জীবন এখনো নাকে-মুখে লেগে আছে সেই-সব ঘ্রার্ণ । মাটির পথদিয়ে শেষ বিকেলের পড়ন্তবেলা-চলে গিয়েছিল কোন অনিদ্রিষ্ট সময়ের বাকে।আমি হাটঁলাম নির্জনতায় থেমে থেমে –হালচাষ করা ভেজা মাটির ঘ্রার্ণ নিলাম,কিছুদুরে কুয়াশার মত শাদা ধুয়া , আর সন্ধ্যার অন্ধকারে বহুদুর থেকে জলের শব্দ কচ কচ করে-এক বালক ভেজা মাটিতে মাছ ধরতেছিল । সমস্ত সন্ধ্যাটা নিস্তব্ধ ছিল-কোন হাওয়া ছিল না,গাছের পাতারা মৌনতার সাক্ষী –অথচ শরীর শীতল হয়ে গেল সন্ধ্যার ভালোবাসা।
পাশের বাসায় গৃহবধু উলু ধ্বনি দিল আর দুর থেকে ভেসে এলো মুয়াজ্জিনের আযান –কিছুটা সময় নির্জনতা ভাঙ্গলো । আমি হাটঁছিলাম-হেটেঁ হেটেঁ রাস্তার পাশে পুকুর পাড়ে এক তেতুল তলায় কিছুক্ষন দাড়ালাম তখন গাঢ় অন্ধকার ,বহুদিন আগের একটা ঘটনা তখন মনে হলো- এমনি এক সন্ধ্যায় আমাদের পাড়ার মৌলিদি তেতুল গাছে ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তখন ভয়ে আমরা কেউ সেই ততুল তলায় যায়নি বহুদিন- ভয় ছিল মৌলদির ভূত যদি আমাকেও মেরে ফেলে !মৌলদির কথা সবা্ই ভুলে গেছে ,তেতুল গাছ দেখেই মনে হলো ওটা । আমাদের জীবনে প্রতিটা ফল,গাছ,আগাছার গল্প আছে-ওগুলো দেখলেই মনে হয় সেসব। নির্জনতার একটা বড় ক্ষমতা হলো –একদম একা করে ফেলে ।এরপর ওখান থেকে বিদায় নিলাম,-রাস্তার পাশে এতে ঝোপ ,গাছ যে -আকাশ দেখার উপায় নেই । মনে হবে অন্ধকারের ভেতর দিয়ে কোন অচলে যেন চলে যাচ্ছি কোন ইলেক্ট্রিসিটির আলো নেই, কিছুক্ষন হাটাঁর পর রাস্তা হারিয়ে ফেলছি –সামনে তিনটা রাস্তা কোন পথ দিয়ে গন্তব্য পাব। পাশে একটি বাড়িছিল-ও বাড়িতেই গেলাম জানার জন্য, ও বাড়ির গৃহবধু গ্রামীন লাকড়ির চুলোতে গরম ভাত চড়াচ্ছিলো –অপরিচিত কন্ঠশুনে চমকে উঠলো সে আগেই বলেদিল -তার স্বামী বাসায় নেই হাটেঁ গেছে ,হাটঁ থেকে ফিরুক পরে আসবেন। প্রশ্ন করার আগেই উত্তর! আমি কিছুটা দুঃখ বোধ নিয়েই শহরে ভাষায় বললাম-‘actually আপু আমি রাস্তাটা হারিয়ে ফেলেছি-এদিগি আসছিলাম বেড়াতে ,সামনে যেয়ে দেখি তিনটা পথ! কোন পথে গেলে ঢাকার রাস্তা পাব?’
গ্রামীন নারীটি হিহিহি করে বললো- ভাই আপনাকে কানা ওয়ালায় ধরেছে?হিইহহিহি ।
আমি বললাম: ওটা আবার কি?
গ্রামীন নারী: ওটা ধরলে মানুষ দিগ হারিয়ে ফেলে।
আমি বললাম: আসলে আমি এ পথে নুতন তো ।
গ্রামীন নারী: কাদের বাসায় আসছিলেন বেড়াতে?
আমি: না, এমনি একা্ই । গ্রাম দেখতে আসছিলাম।
গ্রামনীন নারী বললো- গ্রাম দেখার কি হলো ভাই ? ক্ষেত –খামার কেউ কি দেখতে আসে? যাইহোক সামনে ডানের রাস্তা দিয়েই আপনি ঢাকার রাস্তা পাবেন। এরপর নারীকে ধন্যবাদ দিলাম। নারী হেসে বললো-আপনাদের শহরে মানুষরা কেমন যেন-কথায় কথায় ধন্যবাদ দেন! অনেক মায়া লেগে যায় আপনাদের কথায় । আমি হেসেঁ বললাম-আমার কথায় মায়া লেগেছে বুঝি?।নারীটি-হুম। নারীটা কিছুক্ষন থ হয়ে থেমে গেল, আমিও কেন জানি ওখানে দাড়িয়ে রইলেম। নারীই বললো- আপনাকে পিড়ি দিচ্ছি বসে জিরিয়ে জান না, কিছু জল খাবার সেজে দিই ।
আমি তারাহুরো করে বললাম-না ওটা আরকদিন যদি কোনদিন আসি । নারীটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো- আরেকদিন আসবেন না জানি। জানেন আমার কোনদিন শহর দেখা হয়নি । খুব ইচ্ছে ।
আমি হেসে বললাম-আসুন না একদিন এরপর আমার পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে দিয়ে তাকে বললাম-ভাইয়াকে নিয়ে আইসেন।
নারী হেসে বললো: আচ্ছা ভাই আসবো একদিন। আমি হেসে বললাম-লাকড়ির চুলার ভাত খাবার ইচ্ছে অনেকদিন থেকে একদিন এসে খাব আপনার এখানে ।
এরপর চলে আসলাম। সঞ্চয় বলতে কিছু স্মৃর্তি,ভালোবাসা,প্রাকৃতিক মায়া ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.