নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূন্যতা আর এক শালিকের গল্প!

অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই

কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি

হাজার মেঘলা দিনেও কোনদিন একফোঁটা, এক কণা বৃষ্টি ছোঁয়না যাদের-আমি তাদের দলে তবুও, কেউ দেয় না মুঠোর ভিতর রোদের রুমাল।

কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সহজ থাকতে আর ভালো লাগে না (ফিরে দেখা)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৮

কেনো জানি কিছু ভালো লাগে না মাঝে মাঝে। লেখাপড়া, কাজ, বাসা, গান শোনা.....লাইফটা কেমন জানি বোরিং লাগে। ছোটবেলার সুন্দর ঝিলমিল সময়গুলোর কথা মনে পড়ে। :( ব্লগে লেখালেখি হয়না অনেকদিন। তাই কিছু আবোল তাবোল লিখে ফেললাম।

আমার বেরঙীন এই জীবন

আমার চার দেয়ালের জীবন

আমার রাত দুপুরে ঘুম ভাঙার সময়টা

আমার চিত্ত উদাস করে, তোর কথা মনে পড়ে

আমার উদাস, উদাস সাদামাটা জীবনটা

ওরে মন, ও উদাস পাগল মন

ওরে আমার কথা শোন-

চল জটিল হয়ে যাই।

এই নির্ঝন্ঝাট জীবন সুখে থাক

তোর রাত দিন ভোর আপোস সুখে থাক

যত আবোল তাবোল দুঃখ সুখে থাক

এই পাগল করা গান সুখে থাক

ও পাগল করা মন

আবোল তাবোল জীবন

ওরে বিশ্বাস কর কিছুই ভালো লাগে না

আমি নিজের মত চলি

খালি তোর সাথে ছল খেলি

এই সহজ থাকতে আর ভালো লাগে না

চল জটিল হয়ে যাই।


Click This Link



ছোটবেলার কিছু টুকরো টুকরো ঘটনা বলি-



**সিলেট থেকে জীবনের প্রথম ঢাকা গেলাম আমি খালামনির বাসায় বেড়াতে। তখন এই এতটুকুন ছিলাম। সারা রাত বাসে ছিলাম, খুব ভোর বেলা ঢাকা গিয়ে পৌছলাম আমরা। আমি আর আমার খুশি ধরে রাখতে পারছিলাম না। খালামনির বাসায় যাওয়ার পর, আম্মু আমাকে গোসল করিয়ে দিলো, তারপর আমি এক দৌড় দিয়ে চলে আসলাম বারান্দায়। খালাদের বাসাটা ছিলো জসিমউদ্দীন হলের "মধুর কেন্টিনের" পিছনে। আমি খুশির চোটে বারান্দার রেলিং-এ ঝুলে পড়লাম, আর শুরু করলাম গাওয়া-"ঢাকার শহল (শহর) আইচা (আইসা) আমার আচা(আশা) পুরাইচে(ফুরাইছে)"

আমার খুশির রঙ দেখার জন্য বাসার সবাই এদিক ওদিক থেকে উকিঁ-ঝুকিঁ মারছিলো। আমি পরোয়া করছিলাম না কারন সংগীত সাধনা করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। B-)

ঠিক সেই মুহুর্তে, সুমন ভাইয়া(খালার বড় ছেলে) এসে বললো-"কিরে টুনটুনি, কি করিস?!"

ধুর ছাই! গেলো তো সংগীত সাধনায় ব্যাঘাত হয়ে! X( কিন্তু সমস্যা হলো, জনগনের সামনে আমি গান গাইতে পারি না। একটু লজ্জা পেয়ে দৌড় দিয়ে খালার রোমের খাটের নিচে ঢুকে গেলাম। :P



**আমার খালু হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকের প্রফেসর। ক্লাসের সবাই নাকি খালুকে ভীষন ভয় পায়! এই কথা মনে হলে খুবই টাশকিত হই। যাই হোক, প্রতি শুক্রবার খালু আর সোহেল ভাইয়া (উনার ছোট ছেলে-আহারে বেচারা) সকালে সপ্তাহের বাজার করতে বের হতেন। সেইদিন আমার মাথায় কোন বান্দর এসে ভড় করলো কে যানে! কিচেনে গিয়ে দেখি ছোট মাছ আর বড় মাছ কিনে এনেছে ওরা। পিচ্চি ছিলাম বলে বড় মাছ খুবই ভয় পেতাম। তাই সাহস করে ছোট একটা মাছ হাত নিয়ে খালুকে খোঁজতে গেলাম। ড্রয়িং রোমে বসে আছে খালু। এরপরের ঘটনা বড়ই করুন। খালুকে পুরা বাড়ি দৌড় খাওয়ালাম। খালু চিল্লাতে চিল্লাতে বলে-"মাছ ফেলো হাত থেকে।" আর আমি পিছন পিছন হাতে মাছ নিয়ে-"মাছ লাগিয়ে দিবো, মাছ লাগিয়ে দিবো।":D



**তখন সিলেটের সুনামগণ্জে থাকতাম আমরা। আমাদের বাসাটা ছিলো নিচ তালায়। উপরের তালায় থাকতো রেদওয়ানরা। আগেই বলে রাখি, তখন আমি "র" বলতে পারতাম না। রেদওয়ানকে আমি লেদু ডাকতাম। (ওর বাবা মা ওকে আদর করে রেদু ডাকতো)

প্রায় বিকেল বেলায় আমি সহ আরো ডজন খানিক পিচকি পাচকা মিলে ওদের বাসার সিঁড়িতে পিছলা খেতাম। (পিছলা খেতে বিরাট মজা :P)

যাইহোক, এক বিকেলে যথারিতী সিড়ির উপর উঠে পিছলা খেয়ে নিচে নামছিলাম, হঠাৎ কোথা থেকে যেনো সে এসে আমার নাকে খামছি দিয়ে দৌড় দিলো। পাশে কোন পিচকি যেনো বলে উঠলো -"দেমি আপুল নাকে লক্ত" রক্ত!!! রক্ত শব্দটা শুনার পরই যেনো আমি ব্যাথা অনুভব করলাম। তলপি তলপা গুটিয়ে গেলাম ওদের বাসায় ওর আব্বু-আম্মুর কাছে নালিশ করতে। লেদুর কপাল ভালো যে তখন ওর আব্বু বাসায় ছিলো না, থাকলে ওর একটা মাইরও মাটিতে পড়তো না। X(

যাই হোক, ওর আম্মুর কাছে নালিশ করতে লাগলাম "লেদু আমাকে কামছি দিয়েছে :("

ওর আম্মু তখন আমাকে কোলে নিয়ে দুই হাত ভরে বিস্কিট দিয়ে দিলো। আর ওমনি আমার কান্না থেমে গেলো!!! :-* মুখে বিজয়ের হাসি নিয়ে আমি বিস্কিট খেতে খেতে বের হলাম!

(আমার সেইদিন ন্যায় বিচার হয় নি, ২০ বছর পরও সেই বিচার পাই নি আমি।) লেদুকে পেলে আমি সেই খামছির প্রতিশোধ আমি নেবোই নেবো।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: মজা পাইছি...মাছ লাগায় দিমু কইলাম:P

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

অরণ্য আনাম বলেছেন: ছবিটি কোথা থেকে নেয়া?

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫১

সাইফুর বলেছেন: অনেক মজা করছো

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪৭

রেজওয়ান শুভ বলেছেন:
ব্লগে এখন "ঊঁ" ছাড়া কোনো কমেন্টই সেফ না

ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ ঊঁ

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০২

আরিয়ানা বলেছেন: ভাল লাগল!!

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:২২

চানাচুর বলেছেন: মজা পেয়েছি অনেক:D

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:১২

রাতমজুর বলেছেন: "ঢাকার শহল (শহর) আইচা (আইসা) আমার আচা(আশা) পুরাইচে(ফুরাইছে)" =p~=p~=p~

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৭

সন্ধি বলেছেন: এক এক করে আপনার লেখা গুলো পড়লাম....

চমৎকার সব লেখা আপনার....

শুভেচ্ছা রইল...
ভাল থাকুন শুভ কামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.