![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে আল্লাহ! তুমি আমায় হক রাস্তা দেখাও, হকের অনুসরণ করারও প্রতি মদদ কর, বাতিলকে বাতিলরুপে দেখাও এবং বাতিল হতে বেঁচে থাকার প্রতি সাহায্য কর। আর হকের হক রুপে দেখাও এবং তার অনুসরণ করার জন্য এমনভাবে মদদ কর যেন হক বা সত্য কথা আমার জন্য উহ্য না থাকে। হে আমার রব! তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল, ইসরাফিল-এর পরওয়ারদিগার, আসমান-যমীনের একমাত্র সৃজনকারী, তুমি প্রকাশ ও অপ্রকাশ সবকথা ও কাজ সম্পর্কে অবগত আছ, তোমার বান্দাহগণ আপোষে যে মতভেদ করে তার মধ্যে মূল সত্য ও আসল হকের ফায়সালা তুমিই করতে সক্ষম। তুমি আমায় ঐ সমস্ত মতভেদের মদ্যে যা খাঁটি সত্য, আসল হক তাই আমায় হিদায়াত করতে থাক। একমাত্র তুমিই তোমার বান্দাহকে সঠিক পথের হিদায়াত করতে পার। আমীন।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আলহামদুল্লিাহ, ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলা রাসূলিল্লাহ।
মহান আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নাযিলকৃত আসমানী কিতাবসমূহের উপর ঈমান আনা ঈমানের ছয়টি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম স্তম্ভ। পূর্ববর্তী আসামানী কিতাব সমূহের কয়েকটির নাম আল্লাহ তা’আলা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যেমন: মুসা আলাইহিস্সালামের উপর নাযিলকৃত তাওরাত, দাউদ আলাইহিস্সালামের উপর নাযিলকৃত যবুর, ঈসা আলাইহিস্সালামের উপর নাযিলকৃত ইনজিল, আদম আলাইহিস্সালামের উপর নাযিলকৃত সহিফা, ইব্রাহিম ও মুসা আলাইহিমুস্সালামের উপর নাযিলকৃত সহিফাসমূহ এবং সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিলকৃত কিতাব আল কুরআন। আল কুরআনের পর আর কোন আসমানী কিতাব আসবে না, এটিই কিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্যে শেষ আসমানী কিতাব।
সকল আসমানী কিতাব সমূহের মূল বক্তব্য এক আর তা হচ্ছে শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলাকে ইবাদত করার একমাত্র উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা অর্থাৎ ইবাদত পাওয়ার তিনিই একমাত্র অধিকারী।
জ্বিন ও মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি, তা হল একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা। যুগে যুগে নবী রাসূলগণ এই দাওয়াত নিয়েই পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছেন। যেমন: সামুদ জাতির নিকট ছালেহ আলাইহিস্সালাম, আদ জাতির নিকট হুদ আলাইহিস্সালাম, মাদইয়ান বাসীর নিকট শোয়াইব আলাইহিস্সালাম, নূহ আলাইহিস্সালাম তার জাতির নিকট একই দাওয়াত দিয়ে সর্বপ্রথম আহবান করেছেন।
يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ
অর্থ: হে আমার জাতি, তোমরা এক আল্লাহ তা‘আলার বন্দেগী কর, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। (সূরা আ’রাফ ৭: ৫৯,৬৫,৭৩; সূরা হুদ ১১: ৫০,৬১,৮৪; সূরা মোমেনূন ২৩: ২৩)
সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল কুরআনে পূর্ববর্তী কিতাবের মূলনীতি সমূহ উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
অর্থ: এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্ত যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্য পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ রহমত ও হিদায়াত। [সূরা ইফসুফ,আয়াত-১১১]
তিনি আরো বলেন:
অর্থ: তাকে কি জানানো হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে এবং ইব্রাহীমের কিতাবে যে,তার দায়িত্ব পালন করে ছিল ? কিতাবে আছে যে, কেউ কারও গোনাহ বহন করবে না, এবং মানুষ তাই পায় যা সে করে। আর তার কর্ম শীঘ্রই দেখানো হবে, অতঃপর তাকে পূর্ণ-প্রতিদান দেয়া হবে। [সূরা আন-নজম,আয়াত-৩৬-৪১]
মহান আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
অর্থ: বস্তত: তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববর্তী কিতাব সমূহে, ইব্রাহীম ও মূসার কিতাব সমূহে। [সূরা আল-আ‘লা,আয়াত-১৬-১৯]
পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহ আল্লাহর কালাম এই বিশ্বাস রাখা এবং সেই সাথে পূর্ববর্তী আসামানী কিতাবসমূহ মহান আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষিত হয়নি বলে বিকৃত হয়ে গেছে এই বিশ্বাস রাখা ঈমানের দাবী।
আল্লাহ তা’আলা বলেন:
অর্থঃ অথচ তাদের একটি দল ছিল যারা আল্লাহর বাণী শুনত অতঃপর তা বুঝে নেয়ার পর তা তারা বিকৃত করত জেনে বুঝে। (সূরা বাকারা: ৭৫)
আল্লাহ তা’আলা আরো উল্লেখ করেন:
অর্থ: সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস। (সূরা বাকারা: ৭৯)
কিয়ামত পর্যন্ত মহান আল্লাহ কর্তৃক সংরক্ষিত অহী হচ্ছে আল কুরআন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক দ্বীন ইসলামের ব্যাখ্যা সমূহ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন:
অর্থ: নিশ্চয় আমি যিকর নাযিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী। (সূরা হিজর: ০৯)
বর্তমান সময়ে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহের উল্লেখ করে এবং সেই সাথে কুরআনের কিছু আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে একটি গোষ্ঠি কুরআনকে নাজাতের কিতাব নয় বলে প্রচার করছে। একুশের বই মেলায় তারা ফ্রি বই বিলি করেছে। বইগুলোর নাম দিয়েছে এমনভাবে যাতে করে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয় উদাহরণ স্বরুপ: ‘আত্ তারিখুল জান্নাহ বিনুরিল কুরআন’ অর্থাৎ ‘কুরআনের আলোকে জান্নাতের পথ’ অথচ বইটির ভিতরে রয়েছে খ্রিস্টবাদের দাওয়াত। তারা প্রচার করছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহও সংরক্ষিত। সম্প্রতি ‘শান্তির নীড়’ নামে তারা একটি নাটিকা তৈরী করেছে এবং তাতে এত ধূর্ততার সাথে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে যে সাধারণ মানুষ যারা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে দূরে তারা বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারে। কাজেই মুসলিম মাত্রই নিজের দ্বীনকে রক্ষা করা এবং সেই সাথে অপর মুসলিম ভাইদের রক্ষা করার জন্যে প্রচেষ্টা চালানো আমাদের অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের পথভ্রষ্ট হওয়ার হাত থেকে হিফাজত করুন, আমীন।
নিম্নোক্ত লিংকগুলো থেকে এ বিষয়ে আরো জেনে নিন:
ShareIslam
The Gospels that are extant nowadays were written after the time of ‘Eesa (peace be upon him) and have been tampered with a great deal
What sura in the Quran is related or mentions about the curruption of the Torah and Gospel?
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
রাকি২০১১ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
খালিদ আলম বলেছেন: আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৩:৫৪
রকিবুল আলম বলেছেন: আল্লাহু আকবর , সমস্ত প্রসংসা আল্লাহ তা'লার।
ধন্যবাদ আপনাকে।