নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সবাই আলেম। উনারা সবাই নবীর চেয়ে বেশি জ্ঞানী, আল্লাহর চেয়ে বেশি জ্ঞানী।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:১৮

ভারতে গরুর মাংস খাবার অপরাধে নিয়মিতই মুসলমানদের হত্যা করা হয়। উগ্রপন্থীদের হাতে মরার জন্য গরুর মাংস যে খেতেই হয় এমনও না, ওরা যদি ছাগল মহিষ বা উটের মাংসকেও গরু সন্দেহ করে, তাহলেও একদল সন্ত্রাসী জোট বেঁধে জয় শ্রীরাম বলতে বলতে মানুষ হত্যা করে ফেলে। ওদের চোখে গোমাংস ভক্ষণ ওদের ধর্মের অবমাননা, কাজেই অপরাধীদের হত্যা করা তখন দোষের কিছু না। আমরা খবরে ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে প্রায়ই এমনটা দেখি।
ইজরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনে জায়নবাদী ইহুদিরা স্থানীয় মুসলিমদের বাড়ি যখন খুশি দখল করে সেখানে একজন ইহুদিকে থাকতে বলে দেয়। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না, "ফিলিস্তিনি মুসলিম" হবার অপরাধে আপনার বাড়ি থেকে আপনাকে বের করে দিবে, আপনি দিনের পর দিন ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় থাকবেন, এবং আপনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আপনার চৌদ্দপুরুষের ভিটায় বসবাস করবে অন্যজন। এই রকমই এক ইহুদির নিজস্ব স্বীকারোক্তি, "ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ দরকার হলে এই বাড়িতে বানর বা জিরাফ রাখবে, তবু তোমাকে (বাড়ির মালিক) ফেরত দেয়া হবেনা।"
এমন ভিকটিমের নিজ কণ্ঠ থেকে এইসব ঘটনা শুনেছি, এছাড়া মিডিয়ার কল্যানে ইউটিউবেও আছে এইসব ঘটনার বিবরণ।
তা আমরা বাংলাদেশিরা আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের জন্য খুব কান্নাকাটি করি। আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলি, "হে আল্লাহ! জালিমদের তুমি বিচার করো! ওদের ধ্বংস করে দাও!"
কথা এগোনোর আগে আমি আল্লাহর সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দেই। কারন, আমরা বেশিরভাগ মুসলিমরা জানিনা তিনি কে। আল্লাহর অসংখ্য পরিচয়ের অন্যতম পরিচয় হচ্ছে, তিনি "শ্রেষ্ঠ ও ন্যায় বিচারক।" তিনি সর্বশক্তিমান, সবকিছু তাঁর আওতাধীন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সবকিছু তিনি করার ক্ষমতা রাখলেও একটি কাজ তিনি কখনই করতে পারেন না, এবং তা হচ্ছে "অন্যায়।" আল্লাহর নিজেরই কোড অফ কন্ডাক্ট আছে যা তিনি মেনে চলেন, এবং তার একটি কোড হচ্ছে, তিনি কখনই কারোর প্রতি অন্যায়, অবিচার করবেন না। যে এই সত্য মানে না, সে মুসলিম না। আমি কি ভুল বলেছি?
এখন সেই ন্যায় বিচারক আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ন্যায়ের জন্য যদি সাক্ষ্য দিতে হয়, তবে নিজের বাবা মা পরিবার আত্মীয় বন্ধুবান্ধব এমনকি নিজের বিরুদ্ধে গেলেও যেন আমরা ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান করি। কারন, হয়তো অন্যায় সাক্ষ্য ও বিচার দিয়ে আমরা আমাদের আত্মীয়স্বজন পরিবারকে কাছে পাব, কিন্তু আল্লাহ আমাদের চাইতে দূরে সরে যাবেন। আর যদি ন্যায়ের পথে সবাই আমার বিরুদ্ধে যায়ও, আমার স্বস্তি এই যে মহাজগতের নিয়ন্ত্রক আমার পাশে থাকবেন। কুরআনে এইটাই তিনি বলেছেন এবং নিশ্চই তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।
মক্কা বিজয়ের দিনে আল্লাহ মুসলিমদের সাবধান করে নির্দেশ দেন যে তাঁদের আবেগ যেন তাঁদের ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব না ফেলে। যে কুরাইশরা দীর্ঘ দুই দশক ধরে অমানুষিক অত্যাচার করলো, শত্রুতা করলো, হত্যা করলো, লুটতরাজ করলো, বাড়ি থেকে বের করে দিল, আত্মীয়স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন করলো - তাদের হাতের মুঠোয় পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেক জমাট ক্ষোভ তলোয়ারের মাধ্যমে নেমে আসতে চাইবে। তাই আল্লাহ সাবধান করেছেন, কিছুতেই "অন্যায়" করা যাবেনা।
কাজেই, কুরআন, হাদিস ও রাসূলের জীবনী দ্বারা প্রমাণিত যে ন্যায়ের সাথে থাকা মানে আল্লাহর সাথে থাকা, এবং ন্যায় থেকে বিচ্যুত হওয়া মানে "কাফের" হয়ে যাওয়া। "কাফের" মানে শুধু আল্লাহ ও রাসূলে অবিশ্বাসীই নয়, কাফের মানে তাঁদের নির্দেশ অমান্যকারীও।
ঠিক বলেছি?
তা আমরা উপরে যে ভারতের, ফিলিস্তিনের ঘটনার বিবরণ দিলাম, এবং বাঙালির মোনাজাতের কথা বললাম, এখানে "ন্যায় বিচারক" আল্লাহ যিনি আমাদের "পরীক্ষকও" তিনি চমৎকার একটি খেলা খেলেন। তিনি তখন আমাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেখেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে ঠিক কেমন আচরণ করি। একটা ফকির অনায়াসেই বলতে পারে "জুয়া খেলা হারাম, মদ খাওয়া হারাম। অপব্যয় হারাম!" আসল পরীক্ষা তখন হবে যখন ওর ক্ষমতা থাকবে মদ কেনার, জুয়া খেলার এবং "অপব্যয়" করার, তখন সে তা করে নাকি করেনা সেটার উপরই ওর পাশ ফেল নির্ভর করে। ঠিক এই কারণেই আমি বলি, ক্ষমতাবানরা কি কি ভুল করে না করে সেটার দিকে আঙ্গুল তোলার আগে আমরা নিজেরা সেই একই ভুল করছি কিনা সেটা আগে শুধরানো দরকার। "হজরত ওমর (রাঃ) দাসকে উটে চরিয়ে নিজে রশি ধরে হাঁটতেন" পড়ে আমরা যারা শিহরিত হই, তাঁরা নিজের বাড়ির কাজের লোকের প্রতি কেমন আচরণ করি সেটা আগে মনিটর করা প্রয়োজন। অসুস্থ কাজের মেয়েটা একটা ভুল করে ফেললে পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলি, আর আমরা নিজেদের "মুসলিম" দাবি করি! বুঝেন অবস্থা।
তা আল্লাহ আমাদের যখন ক্ষমতা দিলেন, আমরা কি করলাম? কুমিল্লার ঘটনা সেটার প্রমান।
এখানে কিছু কথা ক্লিয়ার করি। ভাল করে পয়েন্টগুলো পড়ুন, বুঝুন। বেকুবের মতন যা বলা হয়নাই তা নিয়ে আজাইরা কমেন্ট করলে খুবই বিরক্ত হবো।
ঘটনা ভাংচুর করলে আমরা নিচের পয়েন্টগুলি পাই:

১. "মন্দিরের দেবতার মূর্তির পায়ের নিচে বা কোলে কুরআন পাওয়া গেছে," এই ঘটনা ভয়াবহ। এখানে আহ্লাদী কথা বলার কোনই অবকাশ নেই। কুরআন অবমাননা বা কারোর ধর্ম নিয়ে ফাজলামি করা গুরুতর অপরাধ এবং পরম বর্বরতা। আর যদি কেউ দাবি করে থাকেন কুরআন অবমাননা করলে কিই বা যায় আসে, তাঁদের "ঈমান" একটু চেক করা প্রয়োজন। সহজ ভাষায়, সে মুসলিম না। ঘটনাটিকে সহজভাবে বুঝতে অন্য উদাহরণ দেয়া যাক। ধরা যাক আমার বাড়িতে নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া গেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই পুলিশবাহিনী ঘটনাটিকে "অপরাধ" হিসেবেই দেখবে। "মাদক পাওয়া গেছেতো কি হয়েছে?" - জাতীয় কথা বলে ব্যাপারটিকে হালকা করার কিছু নেই। বরং আমি এই অপরাধে জড়িত নাকি এটি সাজানো ঘটনা, সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে। এবং এটাই আমাদের দ্বিতীয় পয়েন্ট।

২. মন্দিরে কুরআন পাওয়া গেছে মানেই কিন্তু এই না যে মন্দির কর্তৃপক্ষই এই কাজটা করেছে। ওরা আসলেই দায়ী হতে পারে, অন্য কেউ ওদের ফাঁসাতে ইচ্ছা করেও কাজটি করতে পারে, হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দিতে কাজটি কেউ করতে পারে, আবার কোন বড় ঘটনা ধামাচাপা দিতেও কাজটি করা হয়ে থাকতে পারে। মোট কথা, হাজারো সম্ভাবনা আছে। তাই কোন চিন্তাভাবনা না করেই মন্দির ও পূজা মন্ডপের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া কোন অবস্থাতেই ন্যায় না। আবার কিছু না জেনেই কোন সিদ্ধান্তে আসাটাও ন্যায় না। এর ফলে মূল অপরাধী পার পেয়ে যাবে। ন্যায় হচ্ছে মূল অপরাধীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা।

৩. যেই মন্দিরে ঘটনা ঘটেছে, যদি তদন্তে বেরিয়েও আসে এই মন্দিরেরই কেউ না কেউ কাজটি করেছে, তারপরেও, কোন অবস্থাতেই এর পাশের মন্দির বা দেশের অন্য প্রান্তের মন্দির ভাংচুরের কোন অধিকার কারোর নেই। টুইনটাওয়ারে হামলা করলো মুসলিমরা তাই গোটা বিশ্বের মুসলমানদের ধরে ধরে হত্যা করা/ওদের মসজিদ গুড়িয়ে দেয়া/ওদের সন্ত্রাসী ট্যাগ দেয়া যেমন হাস্যকর রকমের অপরাধ, এখানেও যুক্তি এক। একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ দেই। মোদির আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রামে চলমান আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালালে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় একশো কোটি টাকার সম্পদ ভাংচুর করা হয়। না ওরা পুলিশের লোক ছিল আর না ওরা বলেছে কাউকে গুলি চালাতে। এদের মাঝে অনেকেই হয়তো ছিলেন যারা নরেন্দ্র মোদির মতন সাম্প্রদায়িক নেতাকে অপছন্দ করেন। কিন্তু তাঁদেরই দোকানপাট ভাঙ্গা হলো। এ কেমন আহাম্মকিপনা? বর্বরতা? এর প্রতিবাদ করায় কয়েকজন বেকুব কমেন্ট করলেন "সাতজন মানুষ মারা গেল, আর আপনি সামান্য সম্পত্তি নষ্টের জন্য হাউকাউ করছেন?" বললাম, "ঠিক আছে, আপনি নিজের মোটরসাইকেল, নিজের বাড়ি ভাংচুর করে প্রতিবাদ করেন। আমার বা অন্যের সম্পত্তিতে হাত দেন কেন?" ভাইজান চুপ। এদের মাথায় ব্রেনের এতটাই অভাব।

৪. জ্বি, এই যে একের দোষে অন্যের ক্ষতি করা, সেটাকে ইসলামে জুলুম বলে। কুরআন খুলে শুধু পড়তে থাকুন, দেখবেন জুলুমকারীদের জন্য কেমন শাস্তির ব্যবস্থা আল্লাহ করেছেন। সে অমুসলিম হতে পারে, সে মুসলিমও হতে পারে। এতদিন পড়ে এসেছেন "নিশ্চই অন্যদের শাস্তি হবে। আমার কিছু হবেনা।" এইবার শুধু নিজেকে জুলুমকারী হিসেবে ধরে নিয়ে নিজের পরিণতির কথা চিন্তা করে আয়াতগুলো পড়ুন। ভবিষ্যতে কোন নির্দোষকে একটা ধমক দেয়ার আগেও কলিজা শুকিয়ে যাবে।

এইবার নবীজির (সঃ) জীবনী থেকে উদাহরণ দেই।
নবীজি (সঃ) তখন ইসলামী রাজ্যের সম্রাট। তাঁর এক হুকুমে সাহাবীরা নিজেদের জীবনের কথা চিন্তা না করে যেকোন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত। বদর, ওহুদ, খন্দক সহ বহু যুদ্ধে এর প্রমান পাওয়া হয়ে গেছে। তারপরেও আমরা দেখি নবীর (সঃ) সাহাবীকে কাবা ঘরের সামনে বেঁধে রেখে হত্যা করে কুরাইশরা। আমরা পাই নবীজিকে (সঃ) ধোঁকা দিয়ে সত্তরজন এবং অন্য আরেক ঘটনায় দশজন সাহাবীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে অমুসলিমরা। হুদাইবিয়ার সন্ধির আগে পর্যন্ত এইভাবে নিয়মিতই সাহাবী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই চরম বিশ্বাসঘাতকতা ও কাপুরুষতার প্রতিবাদে একবারও কি মুসলিমদের পাওয়া গেছে মদিনা ও এর আশেপাশের অমুসলিমদের বাড়িঘর উপাসনাস্থল ভাংচুর করতে? কেউ পারবে একটা উদাহরণ দেখাতে? বাঙালি মাতবর আমাকে শুনাতে আসে "সাতজন মানুষ মরে গেল আর আপনি....।" আমি নিশ্চিত ওরা এখনও মিনমিন করবে "কুরআনের অপমান হয়ে গেল, আর আপনি....।" অপমানের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেরই জালেম হয়ে যাওয়া যে আল্লাহর পরীক্ষায় চরমভাবে ফেইল করা, এইটা বুঝতে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পড়তে হবে। চরম অপমানের পরেও ধৈর্য্য সহকারে রাসূলের (সঃ) নির্দেশ মেনে ডিসিপ্লিন্ড ছিলেন সাহাবীরা। এইটাকে বলে "পরীক্ষায় পাশ।" যদি লোকে বুঝতো!

বিদায় হজ্বের সময়ে নবীর (সঃ) শেষ ভাষণ ছিল "পিতার অপরাধে পুত্র এবং পুত্রের অপরাধে পিতা অপরাধী নয়।" একের অপরাধে অন্যকে শাস্তি দেয়া যাবেনা।
আবু দাউদ শরীফের হাদিস, আমাদের নবী (সঃ) বলছেন, কেয়ামতের দিনে তিনি সেইসব মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবেন যারা অমুসলিমদের প্রতি জুলুম করবে। আপনার কি ধারণা? নবী (সঃ) যদি আমার আপনার বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করেন, আল্লাহ আমাদের প্রতি কি রায় দিবেন?
ইচ্ছা করলে এই বিষয়ের উপর একটা আস্ত বই লিখতে পারবো। কুরআন এবং হাদিস ভর্তি অসংখ্য, অগণিত উদাহরণ আছে। কিন্তু এইসব বলে লাভ নেই। বাংলাদেশের সবাই আলেম। উনারা সবাই নবীর চেয়ে বেশি জ্ঞানী, আল্লাহর চেয়ে বেশি জ্ঞানী। আল্লাহর কুরআনের অপমানের প্রতিবাদ করতে ওরা কুরআনের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রতিবাদ করে। এদের কি বুঝাবেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.