নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
নারী ফুটবল দলের বাসযাত্রার ছবি দেখলাম। সবচেয়ে ভাল লেগেছে মানুষজনের ভিড় দেখে। তাঁদের চ্যাম্পিয়নদের দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে মানুষজন অপেক্ষা করেছে, এই সম্মান তাঁদের প্রাপ্য।
জিন্দেগীতে বহুত খোলা বাসে চ্যাম্পিয়নদের শোভাযাত্রা দেখেছি, কোথাও দেখিনাই রাষ্ট্রপ্রধান ও স্বাধীনতার স্থপতির ছবি যোগ করে তেলবাজি করতে। এই জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবদানটা কি কেউ একটু বুঝিয়ে বলতে পারবেন? না ওদের উন্নতমানের প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ ছিল, না তাঁদের উচ্চবেতন ছিল; যাতায়াতের জন্য একটা এসি বাসও ছিল না; তাঁদের যা অর্জন এর পুরোটাই কোচ এবং খেলোয়াড়দের। এটাকে আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রচারণার অংশ বানিয়ে ফেলা এবং একই সাথে চরম তেলবাজির পরিচয় দেয়া ঠিক হজম হচ্ছেনা।
তা ইউরোপ আমেরিকায় এমন তেলবাজি সংস্কৃতি নেই, ওখানে বাইডেন/ট্রাম্প/ওবামা ও জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি থাকেনা বলে বাংলাদেশে থাকতে পারবেনা এমন কোন শর্ত নেই। যেটা একেবারেই সহ্য হলো না তা হচ্ছে বাফুফের সংবাদ সম্মেলনে এই সাফল্যের মূল কারিগর দলীয় অধিনায়ক ও কোচকে সামনে না বসিয়ে ভিড়ে দাঁড় করিয়ে তেলতেলা চেহারা ও নাদুস নুদুস শরীরের কর্মকর্তারদের সব আলো কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করাটা। উপস্থিত সাংবাদিকদের উচিৎ ছিল চিকন জালি বেত দিয়ে পিটিয়ে ফাজিলগুলির পাছার ছাল লাল করে দেয়া। যেহেতু ভদ্রসমাজে সম্ভব না, কাজেই ভবিষ্যতে যেন সাংবাদিকরা সরাসরিই বলেন “আমরা উনাদের বক্তব্য শুনতে চাই, আপনারা সরেন।” এদের জুতাপেটা করে বেইজ্জত না করা পর্যন্ত লজ্জা আসবে না।
এগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। এখন যেটা বলবো সেটা খুবই সিরিয়াস, ভাল করে মন দিয়ে পড়ুন, বুঝুন এবং পারলে মানুন।
মেয়েদের এই বিজয়কে এক শ্রেণীর মানুষ এমনভাবে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যেন এটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে ওদের বিজয়। না কোন ফুটবলার এমন মন্তব্য করেছে, না ওদের কোচ বা পরিবার, উল্টো ছবি এসেছে বিজয় শেষে ওরা সবাই সিজদায় নত হয়ে তাঁদের রবকে ধন্যবাদ দিচ্ছে - মাঝে দিয়ে এই প্রোপাগান্ডার কি মানে আমার মাথায় ঢুকছে না। কোন আলেম কি বলেছেন, এই নিয়ে দেশের “বুদ্ধিজীবী" বাণী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। একটা ডাক্তার যেমন কখনই বলবে না “সিগারেট মদ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, খান, সমস্যা নাই" তেমনই একজন আলেমও বলবেন না যে “হাফপ্যান্ট পরে খেলা জায়েজ, খেলে যাও!” কমন সেন্সের ব্যাপার। এ নিয়ে এত হৈচৈ করার কি হলো সেটা বুঝলাম না। বুদ্ধিজীবীর মাথায় এই সামান্য বুদ্ধিও নেই?
এমনভাবে প্রচারণা চলছে যেন মুসলিমরাই মেয়েদের ঘরে বন্দি করে রাখে। তাহলে ভারতের নারী ক্রিকেট/ফুটবল দলের এই অবস্থা কেন? ওরাতো মুসলিম দেশ না। এর মানে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, রক্ষণশীল সমাজটাই দায়ী - ধর্ম কেবলই একটি উপাদান। এখন যেসমস্ত বুদ্ধিজীবী নিজের ভিউ ও লাইক বাড়াবার জন্য মেয়েগুলিকে একেকজন তসলিমা নাসরিন বানিয়ে প্রচার করলেন, ওদের এবং ওদের পরিবারের যে সমস্ত অসুবিধায় পড়তে হবে, সেটার দায় কয়জন নিবেন? বাংলাদেশে ইন্টারনেট সস্তা বানানো উচিত হয়নাই। একদমই উচিৎ হয়নাই।
হ্যা, যদি কেউ ফতোয়া দিয়ে বেড়াতেন এইসমস্ত মেয়েরা কাফের মুরতাদ হয়ে গেছে, ওদের বেত্রাঘাত করা হোক, পাথর মারা হোক, ওদের পরিবারকে বয়কট করা হোক, ইত্যাদি, তখন সবার উচিত ঐ তথা কথিত “আলেমকে” বয়কট করা।
অনেক ফেসবুকীয় ইসলামী পন্ডিত বলছেন, “হাফপ্যান্ট পরে খেলে, ওরা কিসের মুসলিম?“
ইসলামের ব্যাপারে এদের জ্ঞান শূন্য বলেই এমন মন্তব্য করে। একটা টুপিমাথার দাড়িওয়ালা ঘুষখোরের ছবিও খুব ভাইরাল হয়েছে। এই লোকটাই সবার জন্য উদাহরণ যে, কার ঈমান আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন। হাদিসেই এসেছে, এক বেশ্যাকে আল্লাহ মাফ করে দিয়েছিলেন কারন সে একটা কুকুরকে পানি খাইয়েছিল। বাংলাদেশের জনতা নিজের বেহেস্ত নিয়ে নিশ্চিত, অন্যের জাহান্নাম নিয়েও নিশ্চিত। বাস্তবতা হচ্ছে, ঐ যে মেয়েগুলি সিজদাহ দিল, যদি আসলেই তাঁরা ১০০% কৃতজ্ঞতার সাথে তা করে থাকে তবে সেটা আমার আপনার ১০০০ বা এরও বেশি রাকাত “দায়িত্ব পালনের” নামাজ থেকেও উত্তম। আমরা দায়ে পড়ে বাধ্য হয়ে সিজদাহ দিচ্ছি, ওরা আল্লাহর রহমত স্বীকার করতেই এটা করেছে। বাকিটা নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে বুঝুন।
আল্লাহর ওয়াস্তে, ফেসবুকে কিছু লেখার আগে সেটার ইম্প্যাক্ট চিন্তা করে লিখুন। আপনার বলা একটা বাক্য অনেকের জীবনে অনেক বড় দাগ কাটতে যথেষ্ট।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
এ আর ১৫ বলেছেন: মেয়েদের এই বিজয়কে এক শ্রেণীর মানুষ এমনভাবে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যেন এটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে ওদের বিজয়
ভাই আপনি মিথ্যাচার করছেন কেন ? ইসলামের বিরুদ্ধে বিজয়--- এটা কি কাটমোল্লার মত মিথ্যাচার নহে । বলা হচ্ছে কাটমোল্লাদের বিরুদ্ধে বিজয় ।
এটা বলার যুক্তি সংগত কারন আছে কারন মেয়েদের ফুটবল খেলার বিরুদ্ধে কাটমোল্লাদের অবস্থান । আপনি কাটমোল্লাদের বিরুদ্ধে বিজয়কে ইসলামের বিরুদ্ধে বলে প্রচার করে নিজেকে কাটমোল্লা শ্রেণি ভুক্ত করে ফেলেছেন ।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খেলা ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় কাজ না। এখানে ধর্মকে টেনে না আনাই সংগত।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: অসুস্থ্য মস্তিষ্কের মোল্লা = ইসলাম ??? আপনার কাছে যদি তাই হয় তাহলে অবশ্যই ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ ।
এই সব ঘৃণিত অসুস্থ মোল্লারা দিনের পর দিন এই খেলোয়াড়দের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মানুষিক অত্যাচার করেছে। তখন আপনার ন্যায়বোধ কোথায় ছিলো । তো স্বাভাবিক ভাবেই যারা সুজুগ পেয়েছে তারা তো বলবেই ।
যেখানে বাংলাদেশের সবাই বলছে এই বিজয় নারীর বিজয় ও অন্ধকারের বিরুদ্ধে অসততা ও অসুস্থ্য মস্তিষ্কের মোল্লাদের বিরুদ্ধে বিজয় । আপনি মনে হয় গায়ে পরে ইহা ইসলামের বিরুদ্ধে বিজয় বলে একটা প্রপাগন্ডা চালাতে চাচ্ছেন।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ এটা ধর্মান্ধ অসুস্থ মানসিকতার মৌলবাদী যারা নারীদের ফুটবল, ক্রিকেট সহ সকল খেলা থেকে বিরত রাখতে চায় তাদের বিরুদ্ধে একটি বিজয়।
জয় বাংলা। হ্যাঁ এটা ধর্মান্ধ অসুস্থ মানসিকতার মৌলবাদী যারা নারীদের ফুটবল, ক্রিকেট সহ সকল খেলা থেকে বিরত রাখতে চায় তাদের বিরুদ্ধে একটি বিজয়।
জয় বাংলা।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এই প্রথম আপনার পোস্ট থেকেই জানলাম - মেয়েদের এই বিজয়কে এক শ্রেণীর মানুষ এমনভাবে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যেন এটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে ওদের বিজয়। সারাদেশ আনন্দবন্যায় ভাসছে মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের, বিশেষ করে মেয়েদের সাফল্য তেমন নেই। তাই এই বিজয় এত উচ্ছ্বাসের। তবে, কিছু লোক সব দেশে সব ধর্মেই থাকবে, যারা মেয়েদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়। সেটা ইগনোর করাই ভালো।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
তানভির জুমার বলেছেন: তথা কথিত প্রগতিীলদের নাস্তিকদের সমস্যা হচ্ছে এরা নিজেরা কিছু করতে পারে না। অন্যের সাফাল্যে ভাগ বসায়, যেটা তাদের পক্ষে যায়।
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০
তানভির জুমার বলেছেন: খবরে দেখলাম সাফ জয়ী মেয়েদের লাগিজের তালা ভেঙ্গে টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। চোরের খনি দেশের এয়ারপোর্টগুলো..
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৬
কামাল৮০ বলেছেন: @জুমার,চোরেরা ছিল সব নাস্তিক।
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: বাসের গায়ে যাদের ছবি দেখছেন- তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই আজ আমাদের এই অর্জন- কথাটা মনে রাইখেন।
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যে যার মত ফায়দা নিতে চাচ্ছে। অথচ নাস্তিকতা বা ধর্মের সাথে খেলাধুলার কোন সম্পর্ক নেই। তবে এটা ঠিক কট্টরপন্থিরা সবসময়ই নারীদের খেলাধুলার বিপক্ষে ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: খেলাধুলা আসলে পুরুষতান্ত্রিক বিষয়, মেসকিউলিন গেমস। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা যেভাবে কাপ নিয়ে আসছে সেটা আসলে অনেক অবাক করার বিষয় এবং অনেক গৌরবের।
সত্যি কথা বলতে কি, গোড়া ইসলাম, হিন্দু, খ্রীষ্টান এরা সবাই নারীদের খেলাধূলার বিষয়ে নেতিবাচক ধারনা পোষন করে, কারন সার্ভাইভাল এর জন্যে নারী পুরষ দুই জনেরই দায়িত্ব ভাগ করা থাকে, নারীদের দায়িত্ব পরের প্রজন্ম ধারন করা এবং তাকে লালন পালন করা, পুরষদের দায়িত্ব রোজগার কিংবা আহার পানাহার এর ব্যাবস্থা করা।
আমিও চাই এই সমাজ এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসুক, নারীদের কেও সবখানে অংশগ্রহন এর সুযোগ দিয়ে হবে, বাংলাদেশের মেয়েরা যে কোনো অংশে কম না সেটা বোঝা গেলো। টাইগার রা কিছু করতে না পারলেও এই মেয়ে গুলা ইতিহাস রচনা করেছে, আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। আপনি পিনাকি ভট্টাযার্যের এই ভিডিও টি দেখতে পারেন,
The Untold