নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

টি২০ বিশ্বকাপ

১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪০

আজকে ইন্ডিয়া বিদায় হলো। তাও কী গ্র্যান্ড স্টাইলে! আহা! ইন্ডিয়ার মিডিয়ার মুখ বরাবর ইংলিশ সিংহরা এক পা উঁচু করে হিসু করে দিয়েছে।
সিরিয়াসলি, কেউ কি ওদের মিডিয়ার অসভ্যতা লক্ষ্য করেছেন? তোমাদের দলকে নিয়ে তোমরা গর্বিত, শিহরিত, আহ্লাদিত ইত্যাদি সবই ঠিক আছে, তাই বলে অন্যান্য দলকে নিচু প্রমান করার এ কেমন হীন মানসিকতা? সেমিফাইনালের আগেই যেন ওরা কাপ পেয়ে গেছে এমন ভাব নিয়ে প্রোগ্রাম বানাতো। একে উড়িয়ে দিয়েছি, ওকে উড়িয়ে দিব ইত্যাদি! এখন যখন বাটলার আর হেইলস প্রমান করেছে যে "বাপ বাপ হোতা হ্যায়" - তখন কান্নাকাটি শুরু হয়েছে, "এ কেমন দল নিয়ে বিশ্বকাপে যায়? রোহিত শর্মা, কেএল রাহুলরা কি করতে দলে থাকে? রাহুল দ্রাভিড কি **লের কোচিং করায়?"
গত এক দশক ধরে কোন বড় টুর্নামেন্টে সফলতা নাই, অথচ আস্ফালন দেখলে মনে হয় যেন সত্তুরের ওয়েস্টইন্ডিজ এবং দুই হাজারের অস্ট্রেলিয়া দল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রোগ্রামগুলি দেখেন, ইন্ডিয়ানরা অন্য দলগুলিকে যেমন ছোট করে, শালারা নিজেদের দলকেই সেটা করে। কারা ওরা? এমন সব প্লেয়ার যারা ইন্টারন্যাশনাল দলে চান্সই পেত না। তানভীর আহমেদ না কি যেন একটা নাম, কথাবার্তায় মনে হবে যেন নিজের সময়ে উনি গ্যারি সোবার্স ছিলেন। সেলিম মালিক, ভাইসাব ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন। মোহাম্মদ আমির, আরেক ফিক্সার। ওদের কথাবার্তা শুনে মনে হবে ওদেরকে দল বানাতে দিলে শুধু ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপই না, ফুটবল ওয়ার্ল্ডকাপও ওরা জিতে আসতো।
পাকিস্তান বরাবরই ব্যাটিং সমস্যায় ভোগা একটি দল। ওদের জন্য সবচেয়ে বড় সমাধান বাবর এবং রিজওয়ান জুটি। গত কিছুদিন ধরে খারাপ ফর্ম যাচ্ছে। এতেই একেকজন পন্ডিত এমন কথাবার্তা শুরু করলো যেন ওদের চেয়ে জঘন্য ব্যাটসম্যান আর দুনিয়াতেই নাই। অমুক খেলে ক্যাপ্টেনের স্বেচ্ছাচারিতায়, তমুক চান্স পায় না ক্যাপ্টেনের কারনে। এই মোহাম্মদ হারিসকে নিয়েই কত কথা! যখন সে লাগাতার তিনটা ম্যাচে ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস খেলে ফেলল, এখন উল্টা গীত গাইছে।
বাবরের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে সমালোচনা করছেন একেকজন। অথচ এই ছেলে নিজের দলকে গত টিটোয়েন্টির সেমিফাইনালে তুলেছে, এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলেছে, বিশ্বকাপের আগেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে - এখন ফাইনালও খেলছে - সমালোচনা যারা করছেন, উনাদের সময়ে পাক দল কেমন অশ্বডিম্ব প্রসব করতো সেটা উনারা নিজেরা ছাড়া সবাই জানে।
কোহলির ফর্মহীনতার সময়ে বাবর টুইট করেছিল "দিস টু শ্যাল পাস্।"
ক্রিকেটীয় সৌহার্দ্যের দুর্দান্ত উদাহরণ! একটা ভিডিওতে আমরা দেখলাম বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে আগে কোহলি পাকিস্তানী নেটে প্র্যাকটিস করছে। ফাস্ট বাউন্সারে ওর সমস্যা হচ্ছিল, প্রতিপক্ষের শিবিরে চার পাঁচটা জেনুইন ফাস্ট বোলার আছে, কেননা সেটারই ফায়দা তোলা যাক।
এদিকে পাক বোলারদেরও সুযোগ হলো সর্বকালের সেরাদের একজনের সাথে প্র্যাকটিস করার। উইন উইন!
মোহাম্মদ শামিকে দেখে শাহীন এগিয়ে এসে বলল, "যখন দেখে আপনাকে দেখেছি, তখন থেকে আপনাকেই ফলো করি!" শামিও টিপস দিল।
আমাদের লিটনকে দুর্দান্ত খেলতে দেখে বাবর-রিজওয়ান কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিল।
এইতো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য! তুমি যেই দলেরই হও, পন্ডিত কাউকে দেখলেই এগিয়ে যাও। শিখতে থাকো। শোয়েব আখতার যেমন একবার বলেছিল, "ওয়াসিম-ওয়াকার ভাই দলে থাকতে আমি প্রতিটা বল তাঁদের জিজ্ঞেস করে করতাম। নিজের বুদ্ধির ইস্তেমালই করতাম না। দরকারই ছিল না এর। যখন তাঁরা রিটায়ার করলেন, তখন নিজের বুদ্ধি খাটাতে শুরু করলাম।"
ঠিক এই কারনে আমি পক্ষে যে আমাদের বোর্ডের উচিৎ আমাদের উঠতি ক্রিকেটারদের কাউন্টি ক্রিকেট সহ বিশ্বের সব লীগে খেলতে পাঠানো। তারকাদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করুক, প্র্যাকটিস করুক, শিখুক। মিরপুরে হালুম হালুম করলে বাইরে গিয়ে মেউ মেউই করতে থাকবে।
কোহলি এখন আগেররূপে ফিরে এসেছে, বাবর ফর্মহীন হয়েছে। অথচ ইন্ডিয়ার সস্তা শোর সস্তা এংকর এই বাক্য নিয়েই মস্করা শুরু করে দিয়েছে। "বাবর ভাই, ডোন্ট ওয়ারী, দিস টু শ্যাল পাস্! হিহিহি।"
মানুষ কতটা ছোটলোক হতে পারে! নিজেদের রোহিত এবং রাহুলও যে ফর্মে নাই, সেই হুঁশ উনাদের আজকে এসেছে।
একমাত্র জাতের প্রোগ্রাম একটাই হয় উপমহাদেশে, সেটা ওয়াসিম-ওয়াকার-মিসবাহ-শোয়েব মালিকরা করেন। গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা। একেকটা পর্বেই এত কিছু শিখবেন যে ঋদ্ধ হয়ে যাবেন। ইন্ডিয়াতেও এমন একটা প্রোগ্রাম হওয়া উচিত যেখানে থাকবে টেন্ডুলকার, গাঙ্গুলি, দ্রাভিড এবং ধোনি। যারা জানে ক্রিকেট কি, অভিজ্ঞতা আছে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচের, এবং সবচেয়ে বড় কথা, বড় মাপের মানুষ। অসভ্য ইতরের চটকদার প্রোগ্রামগুলি দলের ইমেজকে নষ্ট করে দেয়।
বাংলাদেশের ব্যাপারে বলতে গেলে আপনাদের প্রশ্ন করি, ভাইয়েরা ও বোনেরা, বুকে হাত দিয়ে বলেন, এই দল কি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্য ছিল? অস্ট্রেলিয়া নিজের দেশে বাদ গেল, সাউথআফ্রিকা চোক করে বাদ গেল, আর আমরা আশা করে ছিলাম আমরা টুটাফুটা ভাঙ্গাচোরা একটা দল নিয়ে সেমিফাইনাল খেলে ফেলবো? খেললে কি অশ্বডিম্ব প্রসব করতাম? ভাল লাগতো এইভাবে গোহারা হারলে? পনেরো জনের স্কোয়াডে আমাকে কেবল তিনজন খেলোয়াড়ের নাম দেখান যারা সেমিফাইনাল খেলা ডিজার্ভ করতো। লিটন এবং তাসকিন ছাড়া সবাই ফ্লপ। মোস্তাফিজ মোটামুটি করেছে। শান্ত রান তুলে গালিও খেয়েছে। ভাইয়েরা, ও যদি ঐ স্লো পেসে রান না তুলতো, তাহলে অবস্থা আরও খারাপ হতো। ও নাকি টেকনিক্যালি আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। ব্যাট এবং পায়ের মাঝে যে ফাঁক থাকে, তা দিয়ে আস্ত বরযাত্রী ডান্স করতে করতে চলে যেতে পারবে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের ইম্প্যাক্টফুল কোন প্লেয়ারই নাই। আমাদের পাইপলাইন পুরাই ফাঁকা। ঘরোয়া ক্রিকেট ঢেলে না সাজালে আমাদের কপালে শনি আছে।
ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বৃষ্টি এসে আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যে টার্গেট দেয়া হয়েছিল, দশের মধ্যে নয়টা দলই জিততো। যে দলটা হারতো, সেটা বাংলাদেশ। এবং হেরেছেও। লিটনের রান আউট দুর্ভাগ্যজনক ছিল। অতদূর থেকে থ্রো করে ডিরেক্ট হিট হবার কথা না। হয়ে গেছে। আগেরবারই পিছলা খাবার পরে ওর এবং ওর পার্টনারের মাথায় রাখা উচিৎ ছিল আবারও পিছলা খেতে পারে। ঐ রিস্ক নেয়ার প্রয়োজন ছিল না। এবং সবচেয়ে বড় কথা, শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচ গড়ানো প্রমান করে শুধুমাত্র একজন ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত থাকলে ম্যাচটা আমাদের হয়ে যেত। ভেজা মাঠে ভেজা বলে সুইং, সিম সব হারিয়ে যায়। যদিও প্রাথমিক টাইমিং একটু সমস্যা হয়, কিন্তু একটু এডজাস্ট করে নিলেই যা খুশি তাই করা যায়। শেষের দিকে তাসকিন, সোহানের ছক্কা সেটাই প্রমান করলো। সাকিবের অন্তত এংকর করা উচিৎ ছিল। কোহলির ফেক ফিল্ডিং, আম্পায়ারদের ভেজা মাঠেই খেলতে নামার জেদ ইত্যাদি সবই সত্য, কিন্তু দিন শেষে আমাদেরই দায় নিতে হবে। কেবল একটু বুঝে শুনে খেললেই জিতে যেতাম।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাকিবের বিস্ময়কর আউট নিয়েও সবাই হতাশ। কোকেন সেবন করেও কোন আম্পায়ার এমন ডিসিশন দেয় না। কিন্তু "সাকিব থাকলেই জিতে যেতাম" ধরনের আল্লাদি কথাবার্তাও হাস্যকর। গোটা টুর্নামেন্টে এবং বহুদিন ধরেই ব্যাটার সাকিব আন্ডা পেড়ে যাচ্ছে, কাজেই ঐ ম্যাচেও সে কোন স্পেশাল কিছু করে দেখাতো না। হয়তো দশ রান বেশি পেতাম। পাকিস্তানের হাতে হয়তো একটা উইকেট কমে হারতাম। বরং শাহীনকে অন্ধের মতন তেড়েফুঁড়ে মারতে যাওয়াটাই আমাদের কাল হয়েছে। বিপক্ষ ক্যাপ্টেন ওদের সেরা বোলারকে এনেছে উইকেট নিতে। সিঙ্গেল, ডবল খেল। সুযোগ পেলে বাউন্ডারি মারবি। তা না। আমাদের সবাই একেকজন এবিডিভিলিয়ার্স। দেখাদেখির টাইম নাই। তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে আউট, এবং শাহীনকে ফর্মে ফিরিয়ে আনা!
সাউথ আফ্রিকার ভক্ত হিসেবেই বলছি, কেউ যদি অলৌকিকতায় অবিশ্বাসী হয়ে থাকেন, তবে একবার ওদের দিকে ফিরে দেখুন, আপনি "বিলিভার" হয়ে যাবেন। দুনিয়ার একমাত্র দল যারা ফিজিক্সের সূত্রকে ভুল প্রমান করে, লজিক ওদের সামনে এসে নিজেই ইললজিক হয়ে যায়। কিছু একটা আছে ওদের সাথে যে কারনে উপরওয়ালা পার্সোনালি ওদের সাথে এমন করে থাকেন। মাথায় ঢুকে না কি, কিন্তু ওদের ভাগ্যের দিকে তাকালে চরম নাস্তিকও ভাগ্যে বিশ্বাসী হয়ে যাবে।
ভাগ্য নিয়ে কথা বলছি যখন তখন এইটাও বলি, কোহলির ফর্মে ফেরার জন্য ফাখার জামানকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারে। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ও শূন্য রানে থাকতে নাসিমের বলে স্লিপে একটা কঠিন ক্যাচ দিয়েছিল। ফাখার সেটা ছারে। এরপর সে তিরিশ পঁয়ত্রিশ রান করে। ফর্মে ফিরতে অমন একটা সময় পিচে কাটানো প্রয়োজন ছিল যা সে পেয়ে যায়। এরপর কি হয়েছে সেটা সবাই জানে।
যদি সেদিন সে শূন্যতে ফিরত, তাহলে কি হতো? মানসিক ডিপ্রেশন তাঁকে খেয়ে ফেলতো। হয়তো পরের ইনিংসগুলিও বাজে খেলতো এবং কে জানে, হয়তো এই বিশ্বকাপ তাঁর খেলা হতো কিনা।
মাঝে মাঝে ফর্মে ফিরতে ভাগ্যের প্রয়োজন হয়। কনওয়ে যেমন বাবরের ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে ওকেও ফর্মে ফিরিয়ে এনেছে।
দুৰ্ভাগ্যের দিক দিয়ে নিউজিল্যান্ডেরও অবস্থাও সাউথ আফ্রিকার কাছাকাছি। গোটা টুর্নামেন্ট ভাল খেলে নকআউটে উঠবে, তারপরে হেরে যাবে। এইটাই ওদের ইতিহাস। নার্ভাস হয়ে যায়? এত বছরেও ওদের নার্ভ ঠিক হয় না? সমস্যা কোথায়?
আর রইলো বাকি ইংল্যান্ড। বাঙ্গু, পাক ও আন্ডু ক্রিকেট বোদ্ধারা কেমন ক্রিকেট বুঝে জানিনা, কিন্তু বেকুবগুলি কখনই ইংল্যান্ডকে গোনায় ধরে না। ইন্ডিয়ানরা সেমিফাইনালের জন্য যখন দৌড়াচ্ছিল তখন একেকজন পন্ডিত কি সব "এক্সপার্ট" ওপিনিয়ন দিচ্ছিল যে "আমরা সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চাই না, ওদের সাথে আমাদের ইতিহাস খারাপ। ওদের দেখলে আমাদের কি হয় জানিনা, হয়তো হোমলেদের মতন চেহারা দেখে আমাদের ক্রিকেটারদের দয়া হয়, আমরা হেরে বসি।" (সিরিয়াসলিই দুই মটকু "হোমলেসের মতন" বলেছে। শালারা নিজেরাতো একেকজন উত্তম কুমার!) ওরা জানেই না যে ইংল্যাণ্ড ওদের বাপ। জস বাটলার, আলেক্স হেইল্স, সল্ট, স্টোকস, ব্রুক, আলী, লিভিংস্টোন, রশিদ, কুরান, ওকস, উড, জর্ডান - প্রিয় ভাইয়েরা, আমাকে একটা নাম দেখান যে ম্যাচ উইনার না। ওদের এগারো নম্বরে নামে আদিল রশিদ, যার ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে দশটা সেঞ্চুরি আছে। তোমরা কিনা ঘোষণা দিয়ে বেড়াচ্ছ, এই দলকে হারায়ে মেলবোর্নে ফাইনাল খেলে ফেলবা? ফাইজলামি করো? আজকে এমন বেইজ্জত করেছে যেটা আমাদের দেশে ছিনতাইকারী ধরলে পাবলিক ব্যাটাকে মাথা কামিয়ে, জামা কাপড় খুলে, মুখে চুনকালি মেখে এলাকায় চক্কর যেভাবে দেয়ায়, ঠিক সেভাবে করেছে। এখন আশা করি জিম্বাবুয়ে এবং নেদারল্যান্ডের সাথে জেতা দলের (পাকিস্তানের সাথে ভিরাট কোহলির অতিমানবীয় ইনিংস এবং বাংলাদেশের সাথে বৃষ্টি জিতিয়েছে) সমর্থকদের আক্কেল ঠিকানায় আসবে। অহংকার কিছুটা কমবে।
ওদের সিনেমায় যখন স্পোর্টস নিয়ে সিনেমা বানায়, তখন দেখায় বিদেশী মিডিয়া কুব খ্রাপ! ওদের নিচু করে দেখায়। অথচ বাস্তবে ঠিক এর উল্টা।
এখন ওদের মিডিয়ায় এইসব প্রোগ্রাম দেখে কিছুটা মজা পাওয়া যাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় যদি কখনও যান তো দেখবেন ওদের পত্রিকায় বিদেশের কোন খবরই থাকে না। খুবই আত্নকেন্দ্রিক ওরা। টিভি চ্যানেলগুলিতেও তাই। অবশ্য ভারতের মিডিয়ার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে ওরা ইউটিউবে খুব দেখে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সিরিয়াল ও নাটকগুলো যেগুলো আমরা দেখার সময় পাই না।

তবে একটা কথা ঠিক যে ওরা আমাদের তুলনায় খুবই সুশৃংখল, নিয়ম মেনে চলে। আমাদের মত উড়াধুড়া চলাচল নেই ওদের মধ্যে, কোন গাড়ীতে বাম্পার লাগানো থাকে না। ক্রিকেটকে ধর্মের মত দেখে। ভারত যদি কোন টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যায় এবং বাংলাদেশ তখনও যদি টিকে থাকে, তবে ওদের সমস্থ সমর্থন বাংলাদেশের উপর চলে আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.