নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশের রাজনীতিকীট

২৪ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৫২

আমাদের দেশে লাশ নিয়ে রাজীনীতি নতুন কিছু না।
নব্বই দশকের একটা ঘটনা বলি, তাহলে বুঝতে পারবেন।
আমার মামা একটা রাজনৈতিক দল করতেন। পার্টি অফিসের সামনে বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছে। ওদেরই এক বন্ধুর ইতালির ভিসা হয়ে গেছে। পকেটে পাসপোর্ট রেখে সে বন্ধুদের সাথে বিদায় নিতে এলো। রাতে ফ্লাইট।
আড্ডার মাঝে হঠাৎ বিপক্ষ দলের ক্যাডাররা গুলি চালালো।
মামার বন্ধু মামার পাশেই ছিল, গুলিটা ঠিক ওর বুকে এসে লাগলো। মামার বুকের থেকে ছয় ইঞ্চি পাশে। বন্ধু স্পট ডেড।
বিপক্ষ দলের ক্যাডাররাই লাশটার দখল নিল। মিছিল করলো। এবং ওদের দলীয় কর্মী পরিচয়ে জানাজা শেষে দাফনও করালো।
আপনার পরিবারে, আত্মীয় স্বজনের মধ্যে সমসাময়িক কালে এক্টিভ রাজনীতিবিদ যতজন ছিলেন, সবার সাথে কথা বলেন, বিএনপি হোক বা আওয়ামীলীগ, সবাই দেখবেন এমন ঘটনার সাক্ষী। লাশ দখল, সেটা নিয়ে মিছিল ইত্যাদি ছিল খুবই কমন প্র্যাক্টিস।
মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজনীতিও বহুপ্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।
হেফাজতের সমাবেশের কথাই ধরে নিন। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। সরকারি দাবি ছিল কেউ মরে নাই, ওদেরকে শুধু ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছিল। অন্যান্য সব দলের দাবি ছিল "গণহত্যা হয়েছে।" খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন, "হাজার হাজার লাশ নিয়ে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল।"
এ নিয়েও হাসি তামাশা। এত লাশ নদীতে ফেললে নিশ্চিতভাবেই কয়েকটা ভেসে উঠতই। কোথাও একটা লাশও উদ্ধার হয়নি।
পরে জানা গেছে ৪-৫জন হলেও মরেছিল।
এ নিয়েও সরকারি দলের হাসি তামাশা। যেন পুলিশের গুলিতে ৪-৫ জন মরা কোন বিষয়ই না। যেন ওরা ছিল মশা মাছিরও অধম। ওদের প্রাণের কোন মূল্যই নেই।
মাদ্রাসার গরিব ছাত্র ছিল, এবং ওদের উৎপটাং দাবিও ছিল বলে দেশবাসী গা করেনি। তবে উচিত ছিল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। কেন স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ গুলি করে মানুষ মারবে? সেটা না করায় ২৪ এর গণহত্যা ঘটেছে।
লীগ ভেবেছিল এখানেও একইভাবে পার পেয়ে যাবে।
লাইভ ক্যামেরায় গণহত্যার ঘটনা দেখার পরেও আওয়ামীলীগের দাবি কেউই মরে নাই। মুগ্ধ-স্নিগ্ধ ভাইদের নিয়েও নোংরামির চূড়ান্ত করেছে। মুগ্ধ নামের কেউ নাকি কখনই ছিল না, স্নিগ্ধই নিজের কাল্পনিক ভাইকে মৃত দেখিয়ে নিজে বিদেশে ঘুরে বেরিয়েছে। "কারোর আপন ভাই মারা গেলে কেউ কি বিদেশে যেতে পারে?" "হাসিমুখে ছবি তুলতে পারে?" ইত্যাদি ইত্যাদি সব ছোটলোকামি বুদ্ধিহীন লজিক। রাজনীতি আর ধর্ম মানুষকে কতটা মূর্খ, জাহিল, অন্ধ আর বেকুব বানাতে পারে সেটার উদাহরণ।
তো যাই হোক, এখন এই শিশুদের মৃত্যু ও সংখ্যা নিয়েও রাজনীতি চলছে।
একদল দাবি করছে লাশ লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। শয়ে শয়ে শিশু মারা গেছে, অথচ সরকার থেকে জানানো হচ্ছে অনেক কম। মিলিটারি লাশ সরিয়ে ফেলেছে। যারা বাধা দিতে গিয়েছিল, সবাইকে পিটিয়েছে। ওয়াকার-ইউনুস খুব খারাপ!
রাজনীতি বাদ দিয়ে লজিকের দিকে একটু যাই।
১. ঘটনা ঘটেছে দিনের আলোয়। প্রচন্ড ভিড়ে যেখানে উদ্ধারকর্মীরাই যেতে পারছিল না, সেখানে "লাশ লুকিয়ে ফেললে" পাবলিকের নজরে আসতই। আওয়ামীলীগ বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দলীয় লোকজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে নিজেদের দাবি করলে সেটা সঙ্গত কারণেই বাতিল।
২. এইটা স্কুলের ঘটনা। প্রতিটা বাচ্চার অন্তত দুইটা করে প্যারেন্টস আছে। ঘটনা এমন না যে কারোর বাচ্চাকে সরকার গুম করে ফেলবে আর এইসব বাপ মায়েরা, ওদের আত্মীয় স্বজনেরা চুপ করে বসে থাকবে। মিডিয়া তোলপাড় করে ফেলতো বাচ্চা না পেলে। এখন পর্যন্ত কয়জন বাবা মা এমন দাবি করেছেন?
৩. স্কুলের রেজিস্ট্রি খাতা আছে। সেটা পুড়ে না থাকলে সহজেই ট্র্যাক করা সম্ভব কয়টা বাচ্চা সেখানে উপস্থিত ছিল, কয়জন মিসিং।
৪. ওদের একজন টিচারের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলাম যেখানে তিনি লিখেছেন কেন সংখ্যা ১০০-২০০ হয়নি। উনারা হচ্ছেন টিচার, বাবা মায়ের পরে ওরাই এইসব বাচ্চাদের গুরুজন। উনারই দুই দুইজন সহকর্মী বাচ্চাদের উদ্ধার করতে গিয়েই মারা গেছেন। এক্ষেত্রে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি দেখাতে যাবেন না, প্লিজ।
লাশ নিয়ে যারা রাজনীতি করে, ওদের বুঝা উচিত এখানে বহু নিষ্পাপ শিশু জড়িত। গোটা দেশবাসীর আবেগ জড়িত। অন্তত এই ঘটনাকে ওদের ছাড় দেয়া উচিত। রাজনীতিকীট না হয়ে এই ঘটনায় অন্তত সবার একটু মানুষের মতন আচরণ করা উচিত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ গুলোতে সুন্দর রাজনীতি হয় না।
দরিদ্র দেশের রাজনীতি অতি কুৎসিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.