![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ট্র্যাজেডিতে যৌক্তিক আলোচনা কি কি হওয়া উচিত সেটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক করতে পারি। আমার মতে নিচের পয়েন্টগুলো যৌক্তিক। আপনাদের কি মনে হয়?
১. আওয়ামীলীগ আমলেই এই পুরানো ভাঙ্গা লক্কর ঝক্কর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাতিল মাল কেনা হয়েছে। কাজেই এতে সংশ্লিষ্ট সবার ব্যাপারেই সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
২. আওয়ামীলীগ চলে যাওয়ার পরে এই লক্কর ঝক্কর নিয়ে কেন ট্রেনিং হলো, এই দায় বর্তমান সরকারেরও। যেমন, যদি উদাহরণ দেই, আমাকে কেউ যদি ১৯৮০ সালের বাতিল মাল একটা গাড়ি ধরিয়ে দিয়ে বলে এইটা নিয়ে প্রতিদিন অফিসে যেতে, তাহলে এইটা আমার দায়িত্ব রাস্তায় নামার আগে নিশ্চিত হওয়া যে এই গাড়ির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা সেটা দেখা। ব্রেক চাপলে কাজ করে কিনা, ইঞ্জিন যখন তখন বন্ধ হয় কিনা, গিয়ার টিয়ার ইত্যাদি ঠিক মতন কাজ করছে কিনা, এমনকি টায়ার পর্যন্ত চেক করা যা যখন তখন ফেটে যাবে না। যদি ফিট না থাকে, তাহলে আমি রাস্তাতেই নামাবো না। শুধু আমারই না, রাস্তার প্রতিটা মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্ন এটি। ঠিক তেমনই এখানে প্লেনের ব্যাপারটাও তাই। "আগের সরকার বাতিল মাল কিনেছে, আমার কিই বা করার আছে?" - বলার কোন উপায়ই নাই।
৩. কেন প্রতিবছরই বিমান বাহিনীর কোন না কোন বিমান ধ্বসে পড়ছে? ঘটনা কি? আমার বাপ শুধুমাত্র এই কারণেই আমাকে এয়ারফোর্স এপ্লাইই করতে দেননি, সেটা ২০০৩ সালের ঘটনা। তাহলে বুঝেন ঘটনা মোটেই নতুন না। তাহলে কি মেইন্টেনেন্সের অভাব? যন্ত্রতো হঠাৎ করেই বিগড়ে যায়না। বছরের পর বছর ক্ষয় হতে হতে তারপরে একদিন কাজ করা বন্ধ করে। নিয়মিত চেকাপ করলে বহু আগেই এইসব মেরামত করা সম্ভব। তাহলে এই দায়িত্বে কে ছিল? ওর কি দায়িত্বে অবহেলা ছিল? ওর বক্তব্য কি? কেন ও ধরতে পারলো না যে এই বিমান আকাশে ভাসবে না?
৪. বাকিগুলো পুরানো হয়ে গেছে, তবু আলোচনায় আসা উচিত। যেমন ক্যান্টনমেন্ট, নৌ-বিমান ইত্যাদি সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরের কাছে কেন এত ঘন বসতির অনুমতি দেয়া হয়? কেন সিভিলিয়ান অঞ্চলে প্রশিক্ষণ বিমান ওড়াওড়ি করবে? সবকিছু ঢাকাতেই কেন? বাকি জেলা শহরগুলো কি সৎ মায়ের সন্তান? ওসব শহরে বিভিন্ন দপ্তর সদর দপ্তর সরিয়ে নিলে ঢাকা শহরের উপর থেকে চাপ কিছুটা কমতো - সেটা আমরা সবাই জানি। কবে শুরু হবে এই কার্যক্রম?
কার সাথে আলোচনা হবে? কে শুনবে? কে সত্যিকার অর্থেই আমাদের, মানে আমাদের জনগনের প্রতিনিধি?
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এগুলি কেউ জানতে চায়নি কারন এগুলি বুদ্ধিহীন, বেহুদা আর খুবই ফালতু প্রশ্ন।
স্কুল ছুটি শেষে কোচিং হবে, কোচিংয়ে বাচ্চারা এক্সট্রা কিছু সময় পড়াশোনা করবে - এতে সমস্যার কিছু নাই। বিদেশের বহু স্কুলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চারা থাকে। পড়াশোনা ও খেলাধুলার পাশাপাশি সেখানেই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ক্ষেত্র বিশেষে ডিনার।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭
ক্লোন রাফা বলেছেন: তার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, পাইলট কি দুর্ঘটনার কারনে মৃত্যুবরণ করেছেন! নাকি তাকে হত্যা করেছে। আমার ধারনা হত্যা করে বীর উপাধি দিয়ে পুরো ঘটনা কবর দেয়া হলো ‼️
অথচ যে শিক্ষিকা বাচ্চাদের বাঁচিয়ে জীবন দিয়েছে। তাকে কি যথাযোগ্য সন্মান প্রদর্শন করা উচিত ছিলো না ⁉️ আমি মনে করি উনি হলেন প্রকৃত বীর।
ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: যৌক্তিক পয়েন্টগুলো সরকার কখনও আলোচনা করবে না।
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৩২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: স্কুল ছুটি হয় কখন? ঐ সময় পর্যন্ত বাচ্চা গুলি স্কুলে ছিলো কেন? স্কুল কি জোর করে কোচিং করায়?
এগুলি কেউ জানতে চায়নি!