![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অকাট্য সত্য : জন্মিলে মানুষের মরণ হবে, জীবনের ওপারে যেতে হবে। সাদা কাফনে জড়াতে হবে। মিথ্যে এ পৃথিবীটা ছাড়তে হবে। জীবন খেলা যবে সাঙ্গ হবে। পবিত্র কুরানের ভাষায় : কুল্লু নাফসিন যায়িকাতুল মওত। অর্থাৎ সকল প্রাণী মরণশীল।
মৃত স্ত্রীকে স্বামী গোসল দেয়া :
আমাদের কোনো কোনো গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় একটি কথা প্রচলন আছে। তা হল, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাকে তার স্বামী দেখা নাজায়েজ। অথচ এটি সঠিক নয়। স্বামী তার স্ত্রীকে দেখতে পারবে। এতে কোনো গুনাহ হবেনা। যেমন লেখা আছে - و يمنع زوجها من غسلها و مسها ﻻ من النظر إليها على الأصح -। স্বামী স্ত্রীকে স্পর্শ করলেও দোষ হবেনা। তবে শর্ত হচ্ছে, স্ত্রীর কাপড়ের উপর কিংবা স্বামী নিজ হাতে কাপড় প্যাঁচে করবে। তার সূক্ষ্ম কিছু কারণ অবশ্যই রয়েছে। এখানে সংক্ষেপ করতে সেদিকে আপাদত যাচ্ছিনা (রেফারেন্স : রদ্দুল মুহতার : ৩/৯০-৯১; আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২১৫)
স্ত্রীকে গোসল :
স্ত্রীকে গোসল দেয়ার মত যোগ্য কোনো মহিলা পাওয়া না গেলে তখন খোদ স্বামী তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে বিদায়ি গোসল দিতে পারবে। তবে শর্ত হচ্ছে, স্বামী নিজ হাতে কাপড় প্যাঁচে গোসল দেবে। স্ত্রীকে কাফন পরানো থেকে শুরু করে কবরে নামানো পর্যন্ত সব কাজই স্বামী করতে পারবে।
স্বামীকে গোসল :
স্বামীর ক্ষেত্রে যেভাবে কিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম মানা জুরুরি তা স্ত্রীর ক্ষেত্রে জুরুরি নয়। স্ত্রী নিজ স্বামীকে সর্বাবস্থায় গোসল সহ অন্যান্য সব কাজ সমাধা করতে পারবে। ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা)-কে নিজ প্রিয়তমা স্ত্রী উম্মে রুম্মাল (রা) গোসল দিয়েছিলেন। তাই খুঁটিনাটি মাসয়ালা গুলো যথাসময় স্মরণ রেখে সঠিকভাবে দ্বীন পালনকরার চেষ্টা করতে হবে।
সৌজন্যে : মাসাইলে মাইয়িত : সংকলক - মুফতি হাফীজুদ্দীন। জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা ১২১৭
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
NurunNabi বলেছেন: সকল প্রিয় লেখক ভাই ও বোনদের প্রতি, আপনারা অনুগ্রহ করে আমার লেখাগুলো পড়বেন। পরামর্শ দেবেন। ভুল হলে শোধরে দেবেন। এ প্রত্যাশায়.....।