নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আবুবকর সিদ্দীক (রা)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আবু বকর :

আবু বকর (আরবি: أبو بكر‎) (৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দ – ২৩ আগস্ট ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন মুহাম্মদ (সা) এর একজন প্রধান সাহাবি, ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণের সম্মান তাকে দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর শ্বশুর ছিলেন। রাসুল মুহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলিমদের নেতৃত্ব দেন। মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য তাকে “সিদ্দিক” বা বিশ্বস্ত উপাধি প্রদান করা হয়েছে। তাই তাকে আবু বকর সিদ্দিক নামেও সম্বোধন করা হয়। তরুণ বয়সে আবু বকর(রাঃ)একজন বণিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। তিনি আরব ও প্রতিবেশী মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সম্পদশালী হয়ে উঠেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি তার গোত্রের একজন নেতা হয়ে উঠেছিলেন।

ইসলাম গ্রহণ :
ইয়েমেন থেকে বাণিজ্য শেষে ফেরার পর তিনি মুহাম্মদ (সা.) এর ইসলাম প্রচারের সংবাদ পান। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণ অন্য অনেকের ইসলাম গ্রহণের উৎসাহ যুগিয়েছে। আবু বকরের(রাঃ) মেয়ে আয়িশার সাথে মুহাম্মদ (সা.) এর বিয়ের ফলে তাদের দুজনের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়।

নবীজির উপদেষ্টা :
আবু বকর(রা.) একজন একনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ (সা.) এর সহযোগিতা করেছেন। তার জীবদ্দশায় আবু বকর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাবুকের যুদ্ধে তিনি তার সমস্ত সম্পদ দান করে দেন।

খেলাফত :
হুদায়বিয়ার সন্ধিতে আবু বকর অংশ নিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন এই চুক্তির অন্যতম সাক্ষী। হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর ইন্তেকাল হয়ে গেলে হযরত আবুবকর (রা) খলিফাতুল মুসলিমীন মনোনীত হন। আবু বকরের (রা.) খিলাফত দুই বছর তিন মাস দশ দিন স্থায়ী হয়েছিল। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার খিলাফতকাল দীর্ঘ না হলেও তিনি একজন সফল শাসক ছিলেন। তাঁর খেলাফতকালে ইসলামি সাম্রাজ্য প্রায় এগার লক্ষ বর্গমাইল ব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করেছিল।

নবী মুহাম্মদ সর্বশেষ নবী :
পবিত্র কুরানের সূরা আহযাব, আয়াত নং ৪০ এর ভেতর মহান আল্লাহ পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ولكن رسول الله و خاتم النبیین তথা ... তবে তিনি আল্লাহ'র রাসূল এবং শেষনবী।' তিরমিযি শরীফের একটি হাদিসে কুরানে উল্লিখিত خاتم النبیین -(খাতামুন্নাবিয়্যীন) বাক্যাংশটি খোদ নবীজি নিজেই উল্লেখ করে তার মর্মার্থ একদম পরিষ্কার করে দিলেন এভাবে : ﻻ ﻧﺒﻲ بعدى অর্থাৎ আমার পরে আর কোনো নবী নেই। (তিরমিযি ২/৪৫৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৭৩; হযরত সাওবান (রা) হতে বর্ণিত)। সহীহ বুখারীর كتاب الفضائل باب أسماء النبي শীর্ষক অধ্যায়ে একটি হাদিসে নবীজি (সা) এরশাদ করে গেছেন, و انا العاقب والعاقب الذي ليس بعده نبي তথা আমি আ'কিব (সবার শেষে আগমনকারী), আ'কিব তিনিই যার পরে আর কোনো নবী নেই। (সহীহ বুখারী ১/৫০০)। সিয়াহ সিত্তার অন্যতম 'ইবনে মাজাহ' শরীফের 'কিতাবুল ফিতান' অংশে একটি হাদিসে আরো উল্লেখ আছে নবীজি (সা) এরশাদ করেছেন : و أنا آخر الأنبياء و انتم آخر الأمم তথা আমি সর্বশেষ নবী এবং তোমরা সর্বশেষ উম্মত।'

ভণ্ডনবীর উত্থান ও প্রতিরোধ :
মুহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর নবী দাবি করা ব্যক্তিদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে সফলভাবে দমন করেছেন এবং তৎকালীন দুটি পরাশক্তি পারস্য ও বাইজেন্টাইনদের উপর সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানের ধারাবাহিকতায় কয়েক দশকে মুসলিম খিলাফত ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্যের একটিতে পরিণত হয়। তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা) ইসলামী সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে মনোনীত হন। (সংক্ষেপ)। সৌজন্যে : http://www.markajomar.com (একটি জনপ্রিয় ইসলামি ওয়েব পোর্টাল)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.