নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহীহ হাদিসে প্রতিশ্রুত মাসীহ ঈসা\'র দুনিয়াতে পুনরায় আগমন করার ভবিষৎবাণী

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

মাসীহ ঈসা (আ) সম্পর্কে সহীহ হাদিস দ্বারা ভবিষৎবাণী -


১- শপথ সেই সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, অতিসত্বর ইবনে মরিয়ম একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে তোমাদের মাঝে (আকাশ থেকে) নাযিল হবেন। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া, হাদিস নং ৩২৬৪)।

২- কেমন হবে তখন যখন ইবনে মরিয়ম তোমাদের মাঝে নাযিল হবেন এবং তোমাদের ইমাম (মাহদী) তোমাদের মধ্য থেকে হবেন? (সহীহ বুখারী কিতাবুল আম্বিয়া, হা/৩২৬৫)।

৩- রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেন : 'কেমন হবে তখন যখন ইবনে মরিয়ম "আকাশ থেকে" তোমাদের মাঝে অবতরণ করবেন এবং তোমাদের ইমাম (মাহাদী) তোমাদের মধ্য থেকেই হবেন (তথা ইমাম মাহাদী তোমাদের মধ্য থেকে জন্ম নেবেন)।' (রেফারেন্স : ইমাম বায়হাক্বী রহঃ কর্তৃক সংকলিত 'কিতাবুল আসমা ওয়াস সিফাত' قول الله عز وجل اني متوفيك و رافعك إلي শীর্ষক অধ্যায়, পৃষ্ঠা নং ৪২৪; বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা রাদ্বি: হতে বর্ণিত)। উল্লেখ্য, এ হাদিসে "আকাশ থেকে" (আরবি : من السماء-) নাযিল হওয়া শব্দ পরিষ্কার এসেছে। একই হাদিস হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকেও উক্ত শব্দচয়নে এসেছে। দেখুন, কাঞ্জুল উম্মাল ১৪/৬১৯; তারিখে ইবনে আসাকীর কিতাবের খন্ড নং ৪৭ এবং পৃষ্ঠা নং ৫০৪-৫০৫ সেখানেও একই শব্দচয়নে হাদিসটি পাওয়া যায়।)

৪- হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত তিনি (পবিত্র কুরানের সুরা যুখরুফ আয়াত নং ৬১ : و أنه لعلم للساعة-এর তাফসীরে) বলেন, هو خروج عيسى بن مريم عليه السلام قبل يوم القيامة অর্থাৎ "নিশ্চয় তিনি কেয়ামতের অন্যতম একটি নিদর্শন" এর মানে হল, কেয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে হযরত ঈসা ইবনে মরিয়মের আত্মপ্রকাশ। (তাফসীরে ইবনে কাছীর খন্ড ৪ পৃষ্ঠা নং ১৩৬)।

৫- ঈসা ইবনু মরিয়ম (আ) তিনি ফজরের সালাতের সময় নাযিল হবেন। (ইমাম হাকিম সংকলিত 'মুসতাদরিক আলা সহিহাঈন' ৪/৪৭৮)।

৬ - কেয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মত হকের জন্য বীরদর্পে কিতাল (লড়াই) চালিয়ে যাবে। অত:পর ঈসা ইবনে মরিয়ম নাযিল হবেন। তাদের (মুসলমানদের) আমীর (তখন ফজরের সালাত পড়িয়ে দিতে ঈসাকে) ডেকে বলবেন, এগিয়ে আসুন! আমাদের সালাত পড়িয়ে দিন।... (সহীহ মুসলিম ২২৫, হযরত জাবের থেকে)।

৭- ঈসা ইবনু মরিয়ম অবতরণ করবেন। অতঃপর তাদের আমীর ইমাম মাহদী তাঁকে বলবেন, আসুন আমাদের সালাত পড়িয়ে দিন। তখন তিনি বলবেন, না। কারণ তোমরা একে অন্যের আমীর। আল্লাহ এ উম্মতকে সম্মানিত করেছেন। (ইমাম ইবনে কাইয়ুম সংকলিত 'আল মানারুল মুনীফ' ১৪৭-৪৮; হাদিসের সনদ : জায়্যিদ/ভাল)।

৮- মধ্যখান দ্বারা শেষযুগের পূর্ব মুহূর্ত উদ্দেশ্য। কেননা ঈসার অবতরণ ঘটবে মাসীহ দাজ্জাল হত্যার জন্য। তিনি ইমাম মাহদীর যুগে হবেন এবং ঈসা তাঁর পেছনে সালাত পড়বেন। (কাঞ্জুল উম্মাল খন্ড নং ৫ পৃষ্ঠা নং ৩৮৩; হা/৭৩৮৪)।

৯- হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, উম্মত কখনো ধ্বংস হবেনা। (যেহেতু) আমি তাদের প্রথমে রয়েছি, মধ্যখানে ইমাম মাহাদি থাকবেন আর শেষাংশে থাকবেন ঈসা ইবনে মরিয়ম। (কাঞ্জুল উম্মাল- ১৪/২৬৬; হাদিস নং ৩৭৬৭১; সংকলক ইমাম আলাউদ্দিন আলী আল মুত্তাকী (মৃত ৪৯৯ হিজরী); আবু নাইম রহঃ সংকলিত হাদিসের কিতাব 'আখবারে মাহাদি';)

১০- আমি ঈসা ইবনে মরিয়মের নিকটতম সর্বপ্রথম ব্যক্তি। কেননা তাঁর আর আমার মধ্যখানে আর কোনো নবী নেই। নিশ্চয় তিনি নাযিল হবেন। তোমরা যখন তাঁকে দেখবে তখন চিনতে পারবে এভাবে যে, তিনি হবেন মধ্যম আকৃতির। তাঁর দেহের রঙ হবে লালচে - সাদা মিশ্রিত (যেমন নাকি বাদামি রংঙ্গের)।.... (আবু দাউদ : অধ্যায় যুদ্ধ বিগ্রহ, হা/৪২৭৩)।

১১- তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে পেলবেন। শুয়োর হত্যা করবেন এবং জিজিয়া রহিত করবেন। আল্লাহতালা তাঁর যামানাতেই ইসলাম ব্যতীত বাকি সব দ্বীন ও মতবাদ ধ্বংস করে দেবেন। (আবুদাউদ, যুদ্ধ বিগ্রহ অধ্যায়, হা/৪২৭৩)।

১২- আল্লাহতালা তাঁর যামানাতেই মাসীহ দাজ্জালকে ধ্বংস করবেন। (আবুদাউদ, হা/৪২৭৩)।

১৩- ঈসা ইবনে মরিয়ম তিনি পৃথিবীতে (নাযিল হবার পর থেকে) ৪০ বছর অবস্থান করবেন। (আবু দাউদ, যুদ্ধ বিগ্রহ অধ্যায়; হযরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া)।

১৪- নিশ্চয় ঈসা ইবনে মরিয়ম যখন পৃথিবীতে এসে বিয়ে করবেন তখন থেকে (আরো) ঊনিশ বছর তিনি জীবনযাপন করবেন। (ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত)।

১৫- তিনি তথা ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) আল্লাহ যতদিন চাবেন ততদিন পৃথিবীতে থাকবেন। তারপর তিনি ইন্তেকাল করবেন এবং মুসলমান গণ তাঁর জানাজা পড়বেন। (আবুদাউদ, হাদিস নং ৪৬৭৫)।

১৬- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) সংকলিত 'মুসনাদে আহমদ' কিতাবে হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবীকরীম (সা) বলেছেন ”মাসীহ (আ) [আকাশ হতে] অবতরণ করবেন এবং (পৃথিবীতে) জীবন-যাপন করবেন।” (হাদিসের মান হাসান)।

১৭- রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেন- "নিশ্চয় আমি আশাবাদী যে, যদি আমার জীবনকাল দীর্ঘ হত তাহলে আমি ঈসা ইবনে মারিয়ম (আ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করতাম। তবে আমার মৃত্যু ঘনিয়ে গেছে। তাই (তোমাদের মধ্য থেকে) যেই তাঁর সাক্ষাৎ পাও সে যেন আমার পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম জানায়।” (হাদিসটি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল দুটো সনদে রেওয়ায়েত করেছেন। সনদ দুটো সহীহ বুখারি এবং মুসলিমের সনদের মত সহীহ। হযরত আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত)।

১৮- রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেন : ‘ইয়ানযিলু ইন্দাল মানারাতিল বায়দ্বায়ি শারকিয়্যি দিমাস্কা, লাবিছা ছাওবাইনি জামিলাঈনি, ওয়াদ্বিহান কাপ্পাঈহি আ’লা আজনিহাতি মালাকাঈনি…। অর্থ : তিনি (ঈসা মাসীহ) দামেস্কের পূর্বে সাদা মিনারায় নাযিল হবেন, দুটো সুন্দর কাপড় পরিধান করে দুজন ফেরেশতার দু’ পাখার উপর তাঁর দু’হাত রেখে (আকাশ থেকে অবতরণ করবেন)।’ (সহীহ মুসলিম : হাদিস নং ৫০১; হযরত আনাস (রা) হতে)

১৯- অবশ্যই ইবনে মারিয়ম অবতরণ করবেন। তিনি ন্যায়পরায়ণ বিচারক এবং ন্যায়বান ইমাম হবেন। তিনি অতিসত্বর (নাযিল হবার পরে) হজ্ব এবং উমরাহ করবেন। তিনি নিশ্চয় আমার রাওজাতে আসবেন এবং আমাকে সালাম দেবেন। আর আমি অবশ্যই তার সালামের উত্তর দেব। (সূত্র : ইমাম হাকেম এটি বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ সাব্যস্ত করেছেন। মুসতাদরিকে হাকিম ৩/৪৯; হাদিস নং ৪২১৮)।

২০- বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রা) হতে বর্ণিত আছে, রাসুল বলেছেন : "তাওরাত কিতাবে মুহাম্মদ (সা) আর ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) উনাদের গুণাবলী লিপিবদ্ধ আছে। তাতে এও উল্লেখ আছে যে, ঈসা (শেষ যুগে ইন্তেকালের পর) মহাম্মদ (সা)'র সাথেই দাফন হবেন।” (হাদিসটি ইমাম বুখারি স্বীয় 'তারীখে কাবীর লিল-বুখারি' কিতাবের ৬নং খন্ডের ২২৯ নং পৃষ্ঠাতে এনেছেন। সুনানে তিরমিযি হা/৩৬১৭; তাবারানী ফী মু'আজামে কাবীর ১১১ দ্রষ্টব্য)

বিস্তারিত দেখুন http://www.markajomar.com/?p=3448

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

NurunNabi বলেছেন: কাদিয়ানী বিশ্বাসের সাথে ইসলামি বিশ্বাসের পার্থক্যগুলো জানুন! Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.