![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি'র এ কেমন একচোখা নীতি !!! একই শব্দ التوفی নিজের জন্য হলে তার অর্থ "মৃত্যু" নেন না, কিন্তু ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ)-এর জন্য হলে তখন তার অর্থ নেন "মৃত্যু"!!
পবিত্র কুরানের সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ৫৫ আর সূরা মায়েদা, আয়াত নং ১১৭-এর ভেতর ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) সম্পর্কে التوفى ক্রিয়ামূল হতে ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়ে যেন বুঝাতে চায় যে, আল্লাহতালা হযরত ঈসা (আ)-কে সশরীরে জীবিত আকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন। অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা এর পক্ষে দলিল দেয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - http://www.markajomar.com/?p=2672
কিন্তু ভণ্ডনবী মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৮-১৯০৮) আর তার অনুসারিরা উপরের আয়াত দুটোর মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে। আয়াত দুটোর বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিশ্রুত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ)-কে মৃত সাব্যস্ত করতে চেষ্টা চালায়।
অথচ সূরা যুখরুফ এর ৬১ নং আয়াতে 'ঈসা ইবনে মরিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, তিনি কেয়ামতের অন্যতম নিদর্শন। ইবনে আব্বাস (রা) সহ জামহূর সাহাবায়ে কেরাম এবং জামহূর মুফাসসীরে কেরামের এটাই সর্বসম্মত মত। এ ছাড়া সূরা নিসা'র ১৫৭-৫৯ পর্যন্ত আয়াত গুলো দ্বারাও ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) বর্তমানে জীবিত এবং কেয়ামত পূর্ব সময়ে তিনি দুনিয়াতে আকাশ থেকে নাযিল হবেন, প্রমাণিত। সহীহ বুখারির কিতাবুল আম্বিয়া'র হাদিস নং ৩২৬৪ এবং ৩২৬৫-ও দেখা যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - http://www.markajomar.com/?p=3448
আমি ইতিপূর্বে তাদের এসব শয়তানি অপব্যাখ্যার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছি। আজ ভিন্নভাবে তাদের সেই শয়তানি ব্যাখ্যার স্বরূপ উন্মোচন করব, ইনশাআল্লাহ।
মির্যা কাদিয়ানি সাহেব কত বড় স্ববিরোধী উক্তিকারী ও জবরদস্ত ভণ্ড তা তার লেখনী না পড়ে বুঝা বড় দায়। সংক্ষেপে আলোচনা করছি। সর্বশেষে মির্যায়িদের প্রতি প্রশ্ন থাকবে, তার জবাব যেন পাই এ প্রত্যাশা রাখি।
মির্যার নিজ হাতে ১৮৮৪ সালে লেখিত একটি পুস্তকের নাম "বারাহিনে আহমদিয়া"। উক্ত পুস্তকের ৪র্থ খণ্ডের ৫২০ নং পৃষ্ঠায় মির্যা সাহেব লিখেছেন : তার উপর নাকি একদা ওহী আসে যে, ইন্নি মুতাওয়াফফিকা ওয়া রাফিউকা ইলাইয়্যা। (পবিত্র কুরানের সূরা আলে ইমরানের অনুরূপ আয়াতটি মির্যার উপরও নাযিল হওয়ার দাবি হিসেবে বলল) : আরবী ভার্সন -
انی متوفیک ورافعک الیّٰ
আরবী'র অনুবাদ মির্যা সাহেব যেভাবে করেছেন সেভাবেই করতে চাই। যাতে সাধারণ আহমদি/কাদিয়ানী মতাবলম্বীরা মির্যার ধোকা সম্পর্কে অনুমান করতে পারে। মির্যা সাহেব তার কথিত ওহী হিসেবে উপরিউক্ত আয়াতটি তার উপর নাযিল হলে তখন সে নাকি খুব ঘাবড়ে যায়! আয়াতটিতে উল্লিখিত توفی শব্দ হতে "মৃত্যু" উদ্দেশ্য নেয়ার ক্ষেত্রে সে নাকি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে!! ফলে সে আয়াতের অর্থ যা করল তাতে "মৃত্যু" অর্থ করা থেকে বিরত থাকে। এবার তার লেখনীর ভাষায় ঊর্দূ অনুবাদ (বাংলা সহ) দেখুন-
انی متوفیک..... یعنی میں تجہکو پوری نعمت دوں گا اور اپنی طرف اٹهاؤں گا
অর্থাৎ انی متوفیک -(ইন্নি মুতাওয়াফফিকা) তথা... আমি তোমাকে পূর্ণ নে'আমত দেব এবং আমার নিকট উঠিয়ে নেব।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন : ১/৬২০-২৪)। নিচে মির্যা কাদিয়ানি সাহেব কর্তৃক লেখিত বইয়ের উদ্ধৃতি দেখতে 'রূহানী খাযায়েন' এর পৃষ্ঠাটি দেখানো হল।
এ তো গেল, নিজের বেলায় 'তাওয়াফফা' শব্দের পছন্দসই অর্থ নেয়া'র চেপে রাখা কাহিনী। এবার হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) সম্পর্কে পবিত্র কুরানে নাযিলকৃত আয়াতে (৩:৫৫) "তাওয়াফফা" শব্দের কেমন অর্থ হবে সে সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানি'র জবানিতে দেখুন! রূহানী খাযায়েন পুস্তকের ১৩তম খণ্ডে (মির্যার লেখিত 'আঞ্জামে আথহাম' : পৃষ্ঠা নং ১৩১ দ্রষ্টব্য) সুস্পষ্টভাবে আছে -
و ثبت ان التوفی ھو الاماتۃ والافناء لا الرفع والاستیفائ‘‘ یعنی ثابت ہوا کہ توفی کے معنی موت دینا اور فنا کرنا ہے نہ کہ رفع اور پورا پورا لینا یا دینا ۔
অর্থাৎ 'তাওয়াফফা' অর্থ মৃত্যু দেয়া এবং বিনাশ করা। কিন্তু উঠিয়ে নেয়া বা পুরোপুরি নিয়ে নেয়া/দিয়ে দেয়া নয়।
মন্তব্য : কাদিয়ানী /আহমদি দাদাভাইদের প্রতি আমার জিজ্ঞাসা যে, মির্যা সাহেবের এ কেমন ইনসাফ? একই ধরণের বাক্যে বিদ্যমান ক্রিয়াপদ "তাওয়াফফা" এর অর্থ হযরত ঈসা (আ)-এর ক্ষেত্রে করলেন "মৃত্যু"। অথচ নিজের ক্ষেত্রে "মৃত্যু" অর্থ করা থেকে বিরত থাকলেন!! এ থেকে কি বুঝা যাচ্ছেনা যে, মির্যা গোলাম সাহেব জেনেবুঝেই পবিত্র কুরানের আয়াত সমূহে ব্যাখ্যার নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন? ইসলামধর্মের লেভেলে 'আহমদিয়া মুসলিম জামাত' নামে নতুন একটি গোষ্ঠীর গোড়াপত্তন করতে উম্মাহার ভেতর বিভ্রান্তিকর মতবাদ চালু করে গেছেন? আজ এ পর্যন্ত। সুতরাং ভণ্ডনবী মির্যার এ বে-ইনসাফি ও সুবিধাজনক মর্মার্থ নেয়ার উদ্দেশ্য কী? কেন ই বা উম্মতের ইজমার পরিপন্থী ব্যাখ্যা দাঁড় করে ঈসা মাসীহকে মৃত সাব্যস্ত করা হবে? অথচ নিজের ক্ষেত্রে সে একই শব্দের অর্থ "মৃত্যু" ব্যতীত অন্য অর্থ নেয়া হয়েছে! দয়া করে উম্মতে মুহাম্মদির সামনে নবুওতের দাবিদার মির্যার এ দ্বৈত চরিত্রের কারণ পরিষ্কার করবেন!! ওয়াসসালাম।
মেইল : [email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫
NurunNabi বলেছেন: আরো দেখুন http://www.markajomar.com/?p=3788