নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) ও হায়াতে মাসীহ ঈসা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস (রা)-এর নামে মির্যা কাদিয়ানীর মিথ্যাচারের জবাব :
________
মির্যা কাদিয়ানি তার বইতে লিখেছেন, چنانچہ معالم کی صفحہ 162 میں زیر آیت یعیسی انی متوفيك و رافعك إلي لکھا ہے کہ علی ابن ابی طالب ابن عباس سے روایت کرتے ہیں کہ اس آیت کے یہ معنی ہیں کہ انی ممیتک یعنی میں تجہکو مارنے والا ہوں.

অনুবাদ : মু'আলিম কিতাবের ১৬২ নং পৃষ্ঠাতে নিচের یعیسی انی متوفيك و رافعك -এ আয়াতটি সম্পর্কে লেখা আছে যে, হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা) তিনি ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন "এ আয়াতের অর্থ হল - ইন্নি মুমিতুকা তথা নিশ্চয় আমি তাকে মৃত্যুদান করব।" (রূহানী খাযায়েন ৩/২২৪)।

সম্পর্কিত তথ্য : মির্যা লিখেছে, হযরত আলী বিন আবু তালেব তিনি নাকি হযরত ইবনে আব্বাস থেকে এটি বর্ণনা করেছেন। এবার আসুন মির্যা কাদিয়ানির মিথ্যাটা কেমন তা মোটাদাগে জেনে নিই!

প্রথমত, উক্ত বর্ণনার সাথে হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা)-এর কোনো সম্পর্কই নেই। বরং সনদের ভেতর যে "আলী" রয়েছেন তিনি হলেন আলী ইবনে আবু তালহা। যার পিতার নাম 'আবু তালহা'। যিনি সাহাবী নন। জীবনে কোনো দিন হযরত ইবনে আব্বাস (রা)-এর সাথেও তার দেখা হয়নি, কথা শুনা তো দূরের কথা। এতে প্রমাণিত হল যে, ইবনে আব্বাস (রা) থেকে উক্ত বর্ণনাটির সনদ (বর্ণনাসূত্র) বিচ্ছিন্ন হওয়াতে সেটি আইনি /আকিদাগত বিষয়ে দলিল হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। আরো সামনে চলুন!

আলী ইবনে আবু তালহা সম্পর্কে: ইমাম আবু ইয়ালা আল খলিলী রহঃ (মৃত : ৪৪৬ হিজরী)'র "আল-ইরশাদ" (আরবি :الإرشاد في معرفة علماء الحديث للخليلى) কিতাবের ১ম খন্ডের ৩৯৪ নং পৃষ্ঠায় পরিষ্কার লেখা আছে - واجتمع الحفاظ على أن ابن طلحة لم يسمعه من ابن عباس رضي الله عنه. অর্থাৎ "সকল হাফিজুল হাদিসের সর্বসম্মত রায় হল, নিশ্চয় ইবনে আবু তালহা তিনি ইবনে আব্বাস (রা) থেকে শুনেনি।" এতে প্রমাণিত হল যে, বর্ণনাটি সন্দেহযুক্ত। এটি ইবনে আব্বাস (রা) হতে প্রমাণিত নয়।

হযরত আলী ইবনে আবু তালহা এর মৃত্যু : বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) তিনি হিজরতের ৩ বছর পূর্বে জন্মলাভ করেন এবং ৬৪ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। অপর দিকে আলী ইবনে আবু তালহা তিনি ইন্তেকাল করেন ১৪৩ হিজরীতে। তার মানে ইবনে আব্বাস তিনি ইবনে আবু তালহার মৃত্যুর ৭৯ বছর আগে ইন্তেকাল করেন। কাজেই ঊসূলে হাদিসের পরিভাষায় এরকম বিচ্ছিন্ন সূত্রে বর্ণিত হাদিসকে "মুনকাতি" বলা হয়। যার উপর নির্ভর করা নিরাপদ নয়।

কিন্তু ধূর্ত মির্যা কাদিয়ানী তা ঠিকই টের পেয়েছিল। তাই সে সনদের ভেতর আলী ইবনে আবু তালহা নামীয় ব্যক্তিকে "আলী ইবনে আবু তালেব" বানিয়ে চালিয়ে দিয়ে ধোকা দিতে চেয়েছিল। যাতে তার "মাসীহ" দাবির বদনাম ঘোচানো যায়। যাইহোক, আমার কথা হল, তথাকথিত মাসীহ এবং মাহদী দাবিদার ও ইলহামের দাবিদার মির্যা সাহেব কিভাবে মানুষকে প্রতারিত করতে পারল? কিজন্য সনদের ভেতর রাবীর নাম বদলে দিয়ে নিজের প্রতি নিজে অনাস্থা সৃষ্টি করে গেল? এতো পুরোই পক্ষপাতদুষ্ট আর অসভ্য মানুষের চরিত্র। যা আর যাইহোক তথাকথিত মাহাদি দাবিদারের জন্য সাজে কি?

ইবনে আব্বাস (রা)'র বক্তব্যে "ওফাত" শব্দের সঠিক মর্মার্থ বুঝিয়ে দিলেন তাঁরই শিষ্যের শিষ্য হযরত রবী ইবনে আনাস রহঃ (মৃত ১৩৯ হিজরী) :

প্রথমে হযরত রবী ইবনে আনাস রহঃ সম্পর্কে ধারণা দেব। ইমাম যাহাবী রহঃ "সিয়ারু আলামিন নুবালা" কিতাবে লিখেছেন : রবী ইবনে আনাস রহঃ এর শায়খদের মধ্যে হযরত আনাস বিন মালেক, ইবনে আব্বাস (রা)'র ছাত্র হযরত আবু আলিয়া আল-রিয়াহী, রাসূল (সা) এর স্ত্রী হযরত উম্মে সালমা এবং বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রহঃ প্রমুখ অন্যতম। (আরো দেখুন, তাহযিবুল কামাল, তাহযিবুত তাহযিব ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ)

আর তাঁর শিষ্যদের ভেতর রয়েছেন, হযরত সুলায়মান আত তায়মী, আল-আ'মশ, হুসাইন ইবনে ওয়াক্বিদ, আবু জা'ফর আল-রাযী, আব্দুল আযীয ইবনে মুসলিম এবং ইমাম বুখারীর ওস্তাদ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক প্রমুখ অন্যতম।

হযরত রবী ইবনে আনাস ছিলেন একজন বিশিষ্ট তাবেয়ী। ইমামে আজম হযরত আবু হানিফা রহঃ এর সমসাময়িক একজন। তাঁর পুরো নাম : রবী ইবনে আনাস আল বিকরি আল হানাফি। তিনি খলিফা আবু জাফর আল মানছূরের আমলে ১৩৯ বা ১৪০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন। এবার বুঝে থাকলে বলুন যে, ইবনে আব্বাস (রা)-এর শিষ্য আবু আলিয়া রহঃ এর অন্যতম ছাত্র হযরত রবী ইবনে আনাস রহঃ এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কতখানি গুরুত্ব রাখবে! এবার তাঁর জ্ঞানগর্ভ ব্যাখ্যাটি জেনে নিন!

হযরত রবী ইবনে আনাস (আরবি : ربيع ابن أنس) উক্ত বর্ণনার ব্যাখ্যায় লিখেছেন, و هي وفاة النوم رفعه الله في منامه অর্থাৎ সেখানে ওফাত দ্বারা 'ওফাতুন নাওম' (নিদ্রাজনিত ওফাত) বুঝানো উদ্দেশ্য। (তার মর্মার্থ হচ্ছে) নিশ্চয় আল্লাহতালা তাঁকে নিদ্রারত অবস্থায় উঠিয়ে নিলেন।" (দেখুন, তাফসীরে ইবনে আশূর ابن عاشور; আলে ইমরান : ৫৫)।

হযরত রবী ইবনে আনাস (রহঃ) আরো লিখেছেন : و هي وفاة النوم؛ قال الله تعالى : و هو الذي يتوفاكم بالليل اى ينيمكم لأن النوم اخو الموت. القرطبي অর্থাৎ সেখানে "ওফাত" দ্বারা ওফাতুন নাওম বা নিদ্রাজনিত ওফাত বুঝানো হয়েছে। কারণ পবিত্র কুরানে (সুরা আন'আম আয়াত : ৬৫) রয়েছে - "তিনি [আল্লাহ] তোমাদেরকে রাত্রিকালে ওফাত দেন" তথা তোমাদেরকে নিদ্রা দেন। যেহেতু নিদ্রা মৃত্যুর (ছোট) ভাই।" (তাফসিরে কুরতুবী, সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৫৫; দারে কুতনীর হাদিসের সূত্রে)।

এবার আসুন আমরা "ঈসা (আ)-এর জীবন" সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস (রা) এর প্রকৃত আকিদা একদম স্বচ্ছ ও সহীহ সূত্রে জেনে নেব। সূরা যুখরুফ এর ৬১ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা) কী বলেছেন তা তাঁরই একদম ঘনিষ্ঠ ছাত্র হযরত মুজাহিদ রহঃ এর কাছ থেকে জেনে নিন। তাফসীরে ইবনে কাসিরের ৪র্থ খণ্ডের ১৩৩ নং পৃষ্ঠায় দেখুন। পরিষ্কার লেখা আছে, قال مجاهد: و أنه لعلم للساعة اى آية للساعة خروج عيسى بن مريم عليه السلام قبل يوم القيامة و هكذا روي عن أبي هريرة و ابن عباس و أبى العاليه و أبي مالك و عكرمة والحسن و قتادة و الضحاك وغيرهم.

অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রা)-এর ছাত্র হযরত মুজাহিদ রহঃ বলেন, "নিশ্চয় তিনি (ঈসা) কেয়ামতের আলামত (সূরা যুখরুফ ৬১)" এর মর্মার্থ হল, কেয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে কেয়ামতের আগ মুহূর্তে হযরত ঈসা ইবনে মরিয়মের আত্মপ্রকাশ। এমনটাই হযরত আবু হোরায়রা, ইবনে আব্বাস, আবু আলিয়াহ, আবু মালেক, ইকরামা, হাসান, কাতাদাহ এবং জাহহাক প্রমুখ থেকে বর্ণিত আছে।" (ইবনে কাসির ৪/১৩৩)।

মজার ব্যাপার হল, ইবনে আব্বাস (রা) থেকে একদম পরিষ্কার ভাবে ও সহীহ সনদে যে উক্তি প্রমাণিত আছে তার আশেপাশেও ঘেষতে চাননি মির্যায়ীদের মিথ্যাবাদী কথিত মাহদী গোলাম কাদিয়ানী সাহেব। হযরত রবী ইবনে আনাস রহঃ এর মত এত বড় একজন হাদিসের ইমাম এবং তাবেঈনদের অন্যতম ব্যক্তির বক্তব্যকেও তিনি চেপে গেছেন। যা বড়ই আশ্চর্যের কথা! সব চেয়ে বড় অবাক হলাম, হাদিসের সনদে রাবীর নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে পালটে দেয়া নিয়ে। যাতে মিথ্যাবাদী প্রতারক মির্যা'র "হায়াতে মাসীহ" এর বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম অপব্যাখ্যা আর মিথ্যামূলক দাবির ষোলকলা-ই পূর্ণ হয়ে যায়!

মাসিহ ঈসা (আ) সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস (রা)-এর সুস্পষ্ট বর্ণনা :-

(১) হযরত ইবনে আব্বাস (রা) পরিষ্কার ভাষায় বলে গেছেন :- كان بين موسى بن عمران و عيسى بن مريم الف سنة و تسعة مائة سنة ... و ان عيسى عليه السلام حين رفع كان ابن اثنين و ثلاثين سنة و ستة أشهر و كانت نبوته ثلاثون شهراً و أن الله رفعه بجسده وأنه حي الآن و سيرجع الي الدنيا فيها ملكاً ثم يموت كما يموت الناس. الطبقات الكبرى لابن سعد : 1/45

অনুবাদ :- মূসা ইবনে ইমরান আর ঈসা ইবনে মরিয়ম তাঁদের দু'জনের মাঝে ঊনিশশত বছরের ব্যবধান ছিল।.... এবং নিশ্চয় ঈসা (আ)-কে যখন উঠিয়ে নেয়া হয় তখন তিনি ছিলেন বত্রিশ বছর ছয় মাসের যুবক। তাঁর নবুওতি কার্যক্রম চলেছিল ত্রিশ মাস অব্ধি। নিশ্চয় আল্লাহতালা তাঁকে সশরীরে উঠিয়ে নেন এবং তিনি এখনো জীবিত। অতিসত্বর তিনি পৃথিবীতে পুনরায় ফিরে আসবেন। তখন তিনি পৃথিবীতে একজন বাদশাহ (শাসক) হবেন। তারপর তিনি অন্যান্য মানুষের ন্যায় মৃত্যুবরণ করবেন।" (দেখুন, আত তবকাতুল কোবরা লি-ইবনে সা'আদ : ১/৪৫; প্রকাশনা - বৈরুত। ذكر القرون والسنين اللتي بين آدم و محمد صلى الله عليه وسلم শীর্ষক অধ্যায়)।

(২) হযরত ইবনে আব্বাস (রা) তিনি আল্লাহতালা'র বাণী তথা قوله تعالى يا عيسى إني متوفيك و رافعك إلي -'র তাফসীর হিসেবে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন : قال إني رافعك ثم متوفيك في آخر الزمان الخ بحوالہ در منثور للسيوطي رحمة الله عليه 2/36

অর্থাৎ (তিনি বলেন) "নিশ্চয় আমি তোমাকে উঠিয়ে নেব অত:পর তোমাকে শেষ যামানায় ওফাত (মৃত্যু) দেব।" (দেখুন ইমাম সুয়ূতি রহঃ সংকলিত 'দুররে মানছূর' ২য় খন্ড পৃষ্ঠা নং ৩৬)।

(৩) ইবনে আব্বাস (রা) হতে আরো বর্ণিত আছে, يقول إني رافعك إلي ثم متوفيك اى قابضك بعد النزول অর্থাৎ তিনি বলেন "নিশ্চয় আমি তোমাকে নিজের দিকে উঠিয়ে নেব অত:পর তোমাকে অবতরণ করার পরে তোমার প্রাণ কবজ করব।" (দেখুন - তাফসীরে তানভীরুল মিকয়াস, দুররে মানছূরের টীকা ১/১৭৭-৭৮)।

"হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) এখনো জীবিত। তিনি কেয়ামতের আগে পৃথিবীতে পুনরায় আগমন করবেন"- এটি ইবনে আব্বাসের সকল শিষ্যেরও আকিদা। নিচে তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হল। যেমন -

১- হযরত আবুল আলিয়া রহঃ। (দেখুন তাফসিরে ইবনে কাসির ৪/১৩৩)

২- হযরত আবু মালেক রহঃ। (দেখুন প্রাগুক্ত)।

৩- হযরত ইকরামা রাদ্বি:। (দেখুন প্রাগুক্ত)।

৪- হযরত মুজাহিদ রহঃ। (দেখুন প্রাগুক্ত)।

৫- হযরত কাতাদা রহঃ। (দেখুন প্রাগুক্ত; আল ইতকান ২/৩২)।

৬- হযরত জাহহাক রহঃ। (দেখুন প্রাগুক্ত; তাফসীরে মা'আলিমুত তানজীল ১/১৯১-৯৩)। যাইহোক এবার ইবনে আব্বাস (রা) এর নিম্নোক্ত বর্ণনাটির প্রতি চোখ রাখুন!

(৪) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে একদম পরিষ্কার হাদিস বর্ণিত হয়েছে যেখানে লেখা আছে, রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেন - --- فعند ذلك ينزل اخى عيسي ابن مريم من السماء على جبل افيق إماماً هاديا و حكماً عدلاً عليه برنس له مربوع الخلق.

অর্থাৎ ---তখন আমার ভ্রাতা ঈসা ইবনে মরিয়ম তিনি (সিরিয়ার পূর্বদিকে সাদা মিনারার নিকটে) 'আফিক' নামক পাহাড়ের উপর একজন সুপথপ্রাপ্ত ইমাম এবং ন্যায়পরায়ণ শাসক রূপে আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। তিনি মধ্যম আকৃতির হবেন এবং সাথে থাকবে লৌহবর্ম।" (দেখুন, ইমাম আলী ইবনে হুসাম আল-মুত্তাকী (রহঃ) রচিত 'কাঞ্জুল উম্মাল' খন্ড নং ১৪, পৃষ্ঠা নং ৬১৯; হাদিস নং ৩৯৭২৬)

পরিশেষ :- ওই সব দ্ব্যর্থহীন অর্থবোধক সহীহ হাদিস মির্যা কাদিয়ানীর চোখে কেন যে পড়েনি!! অথচ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে আলী ইবনে আবু তালহা নামক একজন বর্ণনাকারীর সূত্রে "মুনকাতি" (বিচ্ছিন্ন সূত্রমতে পাওয়া গেছে এমন) রেওয়ায়েত তার চোখকে ঠিকই ফাঁকি দিতে পারেনি! অথচ আজ থেকে ৯৮৬ বছর আগে লেখিত 'আল ইরশাদ' কিতাবে পরিষ্কার লেখা আছে "হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে আলী ইবনে আবু তালহা কোনো হাদিস/তাফসির শোনেনি।" কেননা হযরত ইবনে আব্বাস (রা) ৬৪ হিজরীতে আর ইবনে আবু তালহা তিনি ১৪৩ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। কেউ কারো নাগাল পাননি।

বিজ্ঞ পাঠক! মির্যায়ীদের তথাকথিত ইমাম মাহদি কিজন্য এমন ভয়ংকর মিথ্যা আর কারচুপির আশ্রয় নিয়ে জাতির সাথে গাদ্দারি করে গেল তার বিচারের ভার আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম। ওয়াসসালাম।

লেখক, মুহাম্মদ নূরুন্নবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.