![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
পবিত্র কুরআনে কাদিয়ানি কর্তৃক "উম্মতি নবী" এর দলিল ও তার খন্ডন -
(দ্বিপাক্ষিক কথোপকথন দ্বারা কথিত উম্মতিনবী'র ধারণা সম্পূর্ণ বাতিল কেন নিচের লেখাটির মাধ্যমে বুঝে নিন) -
- মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে নবী দাবী করতেন ঠিক, কিন্ত তদ্দ্বারা উম্মতী নবী বুঝানো উদ্দেশ্য ছিল। পবিত্র কুরআনে "উম্মতিনবী" হতে পারবে এইরূপ দলিল আছে! (বললেন জনৈক কাদিয়ানী মুরিদ)
- পবিত্র কুরআনের দলিলটি কেমন, পেশ করেন তো!
- দলিল হল, সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াত। সেখানে আল্লাহতালা ইরশাদ করেছেন, "আর কেহ আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য করিলে সে নবী, সত্যনিষ্ঠ, শহীদ ও সৎকর্মপরায়ণ যাহাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করিয়াছেন তাদের সঙ্গী হইবে এবং তাহারা কত উত্তম সঙ্গী।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মুদ্রিত কুরআনুল কারীম এর কপি হতে অনুবাদটি উল্লেখ করা হল)। এই আয়াতে আল্লাহ এবং তদীয় রাসূলের পূর্ণ আনুগত্যকারী এই উম্মতের মধ্যে সালেহ, সিদ্দিক এবং শহীদ যেমন হতে পারবে বলা হয়েছে তেমনি নবীও হতে পারবে, এদিকে ইংগিত রয়েছে। (বললেন কাদিয়ানী মুরিদ)
- কিন্তু আয়াতের অর্থের প্রতি ভালভাবে খেয়াল করলে তো এইসবের বিন্দুবিসর্গও বুঝিয়েছে বলে মনে হয়না!
- তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, এই আয়াতে উম্মতিনবী হবে এই রকম কোনো কথার প্রতি ইংগিত নেই?
- জ্বী, আমি অবশ্য একথাই বলতে চাচ্ছি এবং আমার বিশ্বাস এটাই যে, এই আয়াত দিয়ে উম্মতিনবী হতে পারে এমন ধারণা ভুল!
- আপনার এইরূপ মনে হল কেন? কেনইবা এই আয়াত হতে উম্মতিনবীর ধারণা নেয়া ভুল?
- হ্যাঁ এ আয়াত হতে এইরূপ ধারণা নেয়া ভুল হবার বেশকিছু কারণ এই যে, আয়াতে বলা হয়েছে "যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তারা আল্লাহ'র নেয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা তথা নবী, সিদ্দিক, শহীদ ও নেককারদের সঙ্গী হবেন। আয়াতে এর আরবি বাক্যটি হচ্ছে مع النبيين والصديقين و الشهداء و الصالحين আর তার পরেই রয়েছে و حسن أولئك رفيقا অর্থাৎ আর তারা কত-ই না উত্তম সঙ্গী! (নিসা : ৬৯)। সম্পূর্ণ আয়াতটির শেষের অংশটিতে درجة (দারজাত অর্থাৎ মর্যাদা) শব্দ উল্লেখ হয়নি, বরং পরিষ্কার শব্দে رفيقا (রাফীক্বা) শব্দ উল্লেখ হয়েছে। যার অর্থ হল, সাথী /সঙ্গী /বন্ধু/সহযোগী। আল-মু'জামুল ওয়াফী অভিধান দেখে নাও! কাজেই এখানে এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্যকারীরা যথাক্রমে নবী, সিদ্দিক, শহীদ আর নেককারদের মর্যাদা লাভ করতে পারবে এইরূপ মর্মার্থ নেয়া ভুল এবং সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাজ্য।
তাছাড়া মির্যা কাদিয়ানী তার কিতাবে লিখে গেছেন, "উম্মতিনবী" হিসেবে তাকেই নাকি খাস করা হয়েছে। (হাকিকাতুল ওহী ৩৯১) রূহানী খাযায়েন ২২/৪০৬ দেখে নাও। অর্থাৎ কেয়ামত পর্যন্ত উম্মতিনবী আর কেউ হবেনা। উল্লেখ্য, মির্যার ভাষ্যমতে তাঁর প্রাপ্ত নবুওত নাকি আপনা অর্জিত (كسبى)। মজার ব্যাপার হল, সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াতে উল্লিখিত "মা'আন্নাবিয়্যীন" এর ভেতর নবী শব্দের বহুবচন নাবিয়্যীন (নবীগণ) রয়েছে। ফলে তিনের অধিক উম্মতিনবী হওয়া বুঝাবে কিনা? তাহলে এবার সমীকরণ মিলান! আসলে যাদের কোনো চিন্তাশক্তি নেই তাদের এসব বলে কয়ে কোনো লাভ নেই। জ্ঞানীদের জন্য কথিত উম্মতিনবীর দলিলের অসারতা বুঝার জন্য মির্যা কাদিয়ানির এই উক্তিই যথেষ্ট।
- তো তাহলে এই আয়াত দ্বারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্যকারীরা নবী, সিদ্দিক, শহীদ এবং নেককারদের সঙ্গী হবে বলিয়া কী বুঝাতে চেয়েছেন?
- আয়াতটিতে مع النبيين و الصديقين الخ দ্বারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্যকারীরা "পরকালে" তাঁদের সঙ্গী হবেন একথা-ই বুঝাতে চেয়েছেন।
- আপনার এই কথার দলিল কী? এই আয়াতে তাঁদের সঙ্গী হবার ব্যাপারটি পরকালের সাথে সম্পর্কিত-এর পক্ষে যুক্তি কোথায়?
- দলিল হিসেবে আপনাকে প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, উক্ত আয়াতটির শেষেই و حسن أولئك رفيقا রয়েছে। এর দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, উক্ত সঙ্গী বা সান্নিধ্য লাভের ব্যাপারটি দুনিয়ার জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং পরকালীন জীবনের সাথে সম্পর্কিত।
আপনি এইরূপ শব্দচয়নে হাদীসেও দেখতে পাবেন যে, রাসূল (সা) সত্যনিষ্ঠ ও আমানতদার ব্যবসায়ীদের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন, التاجر الصدوق الأمين مع النبيين والصديقين و الشهداء অর্থাৎ সত্যনিষ্ঠ ও আমানতদার ব্যবসায়ী নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গী হবেন। দেখুন তিরমিযি শরীফ খন্ড ১ পৃষ্ঠা ২২৯। খেয়াল করে দেখুন, এই হাদীসেও সত্যনিষ্ঠ ও আমানতদার ব্যবসায়ী সম্পর্কেও مع النبيين হুবহু একই রকম বাক্য উল্লেখ রয়েছে। কাজেই উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্যকারীরা নবীদের সঙ্গী হবার মানে যদি "উম্মতিনবী" হয়, তাহলে তিরমিযি শরীফের এই হাদীস কী বুঝাবে? প্রত্যেক সত্যনিষ্ঠ ও আমানতদার ব্যবসায়ীও "উম্মতিনবী" হতে পারবে এইরূপ বুঝাবে কিনা? ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যে কোনো সুশিক্ষিত মানুষই সহজে বুঝতে পারে যে, সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াত দ্বারা আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় "উম্মতিনবী" হতে পারার যেই ধারণা নিয়ে থাকে তা সম্পূর্ণভাবে ভুল ও বানোয়াট এবং তাদের চিন্তাশক্তির অত্যধিক দুর্বলতার পরিচয়।
আহমদীবন্ধু! আয়াতটি নবীদের সঙ্গী হবার ব্যাপারটি পরকালীন জীবনের সাথে সম্পর্কিত কিনা তার প্রমাণ পাবেন যদি আয়াতের শানে নুযূল (নাযিল হবার প্রেক্ষাপট) দেখে নেন। আপনি তাফসীরে ইবনে কাসীরের সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াতের শানে নুযূল দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, এটি রাসূল (সা) এর সাহাবী ও ক্রীতদাস হযরত ছাওবান (রা) এর একটি আবেগজনিত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছিল। একদা হযরত ছাওবান (রা) রাসূল (সা)-কে বললেন..... আমি পরকালে আপনাকে দেখতে না পাওয়ার আশংকা করছি। কেননা আমি জানি যে, আপনি নিশ্চয় নবীদের সাথেই (কেয়ামতে) উত্থিত হবেন। আর আমি যদি জান্নাতি হইও, তো আপনা তুলনায় খুব নিম্নমানের জান্নাতি হয়ে (আপনার সান্নিধ্য থেকে দূরে) থাকব! আর যদি জান্নাতে প্রবেশ নাই করি, তাহলে তো পরকালীন জীবনে কখনোই আপনার সঙ্গ পাব না"- এই কথোপকথনের প্রেক্ষিতে সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াতটি নাযিল হয়। পবিত্র কুরআনের সবকয়টি তাফসীরের কিতাবে আয়াতটির আলোচ্য বিষয়টি "পরকালীন" জীবনের সাথে সম্পর্কিত বলেই লেখা আছে।
নবুওতের দাবিদার মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৮-১৯০৮ইং) সাহেব তাফসীরে তাবারীর লেখক ইমাম ইবনে জারীর আত তাবারী (রহ) সম্পর্কে লিখেছেন ...جو (ابن جریر طبری) نہایت معتبر اور ائمہ حدیث میں سے ہے অর্থাৎ যিনি (ইবনে জারীর তাবারী) অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং হাদীসের ইমামগণের অন্যতম একজন। দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ২৩ পৃষ্ঠা ২৬১। এখন মির্যা কাদিয়ানী কর্তৃক স্বীকৃত মুহাদ্দিস ও মুজাদ্দিদ ইমাম ইবনে জারীর (রহ) থেকেও উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা জেনে নেব। "তাফসীরে তাবারী" (আরবি : التفسير للطبري) কিতাবে সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াতাংশ مع النبيين এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি লিখেছেন - و في الآخرة إذا دخل الجنة অর্থাৎ পরকালে তাঁদের সঙ্গী হবে যখন সে (আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্যকারী) জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তাফসীরে তাবারী হতে উদ্দিষ্ট তাফসীরটুকু পেশ করা হল)।
- তাহলে কি আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন যে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্যকারী যারা, তারা সিদ্দিক, শহীদ এবং নেককারদের মর্যাদাও লাভ করতে পারবেনা? তাহলে সিদ্দিক, শহীদ ও সালেহীন যারা হলেন তারা কিভাবে হলেন? আলোচ্য আয়াতে চার প্রকার গুণের মধ্যে তিন প্রকারের পাওয়া গেলে আরেক প্রকার (নাবিয়্যীন অর্থাৎ নবীগণ) বাদ যাবে কেন?
- হ্যাঁ আনুগত্যের উপকারিতা নিশ্চয় আছে। আপনি পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াত ছাড়া বোধ হয় আর কোনো আয়াত পড়েননি! আপনাদের জন্য দুঃসংবাদ যে, আপনারা উক্ত আয়াতের অর্থের দিকেও ভালভাবে দৃষ্টি দেননি। যদি ভালভাবে দৃষ্টি দিতেন তাহলে একদম পরিষ্কার হয়ে যেতে পারতেন যে, সেখানে ইতা'আত (اطاعت) এর মাধ্যমে درجة (দারজাত অর্থাৎ মর্যাদা) নয়, বরং رفاقت (রিফাক্বাত অর্থাৎ সান্নিধ্য) লাভ করার কথাই উল্লেখ আছে। যেজন্য সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াত দ্বারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যকারীকে নবীর মর্যাদায় ভূষিত করা পবিত্র কুরআনের ভেতর তাহরীফ (বিকৃতি) করার শামিল। মোটকথা, আপনাদের দাবী ছিল এক রকম আর দলিল হচ্ছে আরেক রকম।
এবার আপনার প্রশ্নের জবাবে আসা যাক। আপনি সূরা হাদীদের ১৯ নং আয়াত পড়ে দেখুন। সেখানে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলে বিশ্বাসী যারা তাদের সম্পর্কে أولئك هم الصديقون و الشهداء عند ربهم অর্থাৎ এঁরা তাঁদের রবের নিকট সিদ্দিক এবং শহীদদের মর্যাদাপ্রাপ্ত-উল্লেখ রয়েছে। চোখ দুটো খোলে দেখুন, এখানে "নবীদের" নাম উল্লেখ নেই। এতে বুঝা গেল, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য দ্বারা উম্মতগণ বড়জোর সিদ্দিক, শহীদদের মর্যাদা পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে, কিন্তু নবী বা নবুওতের স্তরে পৌঁছতে পারবেনা। আপনাকে বলব, আয়াতটি ভালভাবে বুঝে নিন! তবে সব সংশয় দূর হয়ে যাবে।
তারপর আসুন, যুক্তির আলোকে দু'চারটি কথা জেনে নিই। যেসব আহমদীবন্ধুরা আপনা বিবেক বুদ্ধি নিজ হাতে হত্যা করেছেন তারাই কেবল مع النبيين আয়াতটির ভেতর চিন্তা করেনা। তাদের উদ্দেশ্যে বলব, সীরাতগ্রন্থ সমূহে উল্লেখ আছে রাসূল (সা)-কে মৃত্যুশয্যায় مع الرفيق الاعلي في الجنة مع الذين انعمت عليهم من النبيين و الصديقين و الشهدآء و الصالحين দোয়াটি বারংবার পাঠ করতে দেখা গেছে। অর্থাৎ "(হে আল্লাহ তুমি আমাকে) জান্নাতের মধ্যে রফীক্বে আ'লার সাথী বানিয়ে দিও। (রফীক্বে আ'লা তথা) নবী, সিদ্দিক, শহীদ আর নেককারদের মধ্য হতে যাঁদেরকে আপনি নেয়ামত দিয়েছেন তাদের সাথী বা সঙ্গী করে দিও।" সহীহ বুখারীর মধ্যে হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত এই হাদীসটি সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াতের নিচে উল্লেখ রয়েছে। এতে অকাট্যভাবে আবারো প্রমাণিত হয়েছে যে, সঙ্গী বা সাথী হবার ব্যাপারটি পরকালীন জীবনের সাথে সম্পর্কিত।
এখানে সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করার একটি বিষয় হল, পবিত্র কুরআনে مع النبيين দ্বারা "উম্মতিনবী" বুঝালে তখন মুহাম্মদে আরাবী (সা) এটি আপনা জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়তে গেলেন কেন? নাকি বলতে চাচ্ছেন যে, তিনি অন্তিম মুহুর্তে "উম্মতিনবী" হবার দোয়া করেছিলেন! হা হা হা!! নতুবা এখন বুঝে থাকলে বলুন, তিনি যাঁদের সঙ্গী হতে দোয়া করলেন তারা যদি আপনাদের ধারণানুসারে দুনিয়াতেই হতেন তাহলে তিনি রফীক্বে আ'লার সঙ্গী হতে চেয়ে দোয়া পড়ার কারণ কী? জ্ঞানীদের জন্য এই ব্যাপারটি ভাবিয়ে তুলবে কিনা?
উল্লেখ্য, রাসূল (সা) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাই প্রশ্ন আসবে যে, তবুও তিনি এইরূপ দোয়া কেন করলেন? তার প্রথম জবাব হল, এটা প্রমাণিত আছে যে, রাসূল (সা) আল্লাহ'র নিকট ইসতিগফারও করতেন। সুরা নাসর এর ৩ নং আয়াত দেখে নাও। অথচ তিনি ছিলেন নিষ্পাপ। এইজন্য মুফাসসিরগণ লিখেন, তাঁর ইসতিগফার করার উদ্দেশ্য ছিল, আপনা উম্মতের জন্য । তদ্রূপ মৃত্যুশয্যায় উম্মতের দরদী রাসূল (সা)-এর দোয়াটিও উম্মতের জন্যই ছিল বলা যায়।
আমি জানি দীর্ঘ প্রামাণ্য লেখাটি পড়ার পরেও কোনো কোনো কট্টরপন্থী কাদিয়ানী হয়ত এই অপ্রিয় সত্য মির্যা কাদিয়ানির মতবাদের বিরুদ্ধে গেল বলে মানতে চাইবেনা। যে লাউ সেই কদুই রয়ে যাবে। তাই তাদের উদ্দেশ্যে সর্বশেষ একটি প্রশ্ন রেখে লেখাটির ইতি টানতে চাই। মির্যা সাহেবের রচিত একটি কিতাবের নাম "হামামাতুল বুশরা" (আরবি) । তিনি সেখানে আহলে মক্কার জন্য দোয়া করে আল্লাহ'র দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন এই বলে যে, نسئله ان يدخلكم في ملوكته مع الأنبياء و الرسل و الصديقين و الشهداء و الصالحين অর্থাৎ "তাঁর নিকট ফরিয়াদ করছি তিনি যেন তোমাদেরকে নবী, রাসূল, সিদ্দিক, শহীদ এবং নেককারদের সান্নিধ্য নসিব করেন।" রূহানী খাযায়েন এর ৭ম খন্ডের ৩২৫ নং পৃষ্ঠা দেখে নাও।
আহমদীবন্ধুরা এখানে কী বলবেন? মির্যা সাহেব কি তাহলে আল্লাহ'র নিকট আহলে মক্কা বা মক্কার অধিবাসীদের জন্য "উম্মতিনবী" হবার দোয়া করেছিলেন? থামুন! এখানেই শেষ নয়। মির্যা সাহেব নিজের দোয়া সম্পর্কে লিখেছেন, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে নাকি বলেছেন - أجيب كل دعائك الا في شركائك অর্থাৎ "আমি তোমার সকল দোয়া কবুল করব, তবে তোমার অংশীদারদের দোয়া ব্যতীত।" (মাসীক রিভিউ অফ রিলিজন্স খন্ড ৩ এপ্রিল ১৯০৪ ইং 'ইসলামের বরকত' শীর্ষক শিরোনাম দ্রষ্টব্য)। সুতরাং দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, মির্যা সাহেবের উপরিউক্ত দোয়া আল্লাহতালার নিকট কবুল হয়ে থাকলে (তার দাবী মতে কবুল হওয়ারই কথা!) তো এখন আপনাদের দৃষ্টিতে আহলে মক্কার প্রত্যেকে উম্মতিনবী হয়ে গেলেন কিনা? জবাবের অপেক্ষায় আছি। সংক্ষেপে এই পর্যন্ত।
লেখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১০
NurunNabi বলেছেন: আমার Facebook একাউন্ট এখানে Click This Link