নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভন্ডনবী মির্যা কাদিয়ানী তার বইতে একই শব্দের স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ নেয়ার প্রমাণ

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

এই লেখাটি মির্যা কাদিয়ানীর অনুসারী অবুঝ কতিপয় ঝগড়াটে ছেলেপেলের একটা কুযুক্তির পোস্টমর্টেম। তাদের প্রশ্ন ছিল, 'ফা-লাম্মা তাওয়াফফাইতানী' (মায়েদাঃ ১১৭) এর ভেতর যেমন তাওয়াফফা শব্দ আছে ঠিক একই শব্দ তো রাসূল (সাঃ) এর জন্য হাদীসেও এসেছে। তাহলে কেন এই দুই স্থানে 'তাওয়াফফা' এর দুই রকম অর্থ নেয়া হয়? অর্থাৎ রাসূল (সা)-এর ক্ষেত্রে এর অর্থ নেন 'মৃত্যু' আর ঈসা (আ)-এর ক্ষেত্রে নেন 'মৃত্যুভিন্ন' অন্য অর্থ! জবাব চাই!

জবাবে আমরা লিখেছিলাম, তাওয়াফফা শব্দের আক্ষরিক অর্থ কোনো অভিধানে "মৃত্যু" লিখা নেই। সবখানে এর আক্ষরিক অর্থ এসেছে, পূর্ণকরা বা নিয়ে নেয়া। (দলিলঃ সূরা নিসা- ১৫)। তবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এটি ৩ ধরণের অর্থের জন্য হয়ে থাকে।

(১) মৃত্যুর মাধ্যমে নিয়ে নেয়া। দলিলঃ সূরা যুমার ৪২।
(২) নিদ্রার মাধ্যমে নিয়ে নেয়া। দলিলঃ সূরা আন'আম ৬০।
(৩) উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে সশরীরে নিয়ে নেয়া। দলিলঃ সূরা আলে ইমরান ৫৫; সূরা মায়েদা ১১৭।

(রেফারেন্সঃ ইমাম হাসান বসরী, ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা, ইমাম শাওক্বানী ও ইমাম ফখরুদ্দীন আর রাযীসহ সর্বসম্মত তাফসীরকারকবৃন্দের তাফসীর দ্রষ্টব্য)।

কিন্তু তারা (কাদিয়ানী সম্প্রদায়) মানতেই চায় না! তাদের ঘুরেফিরে প্রশ্ন আগের মতই। একই শব্দের অর্থ কেন দুই স্থানে দুই রকম? তাই চিন্তা করলাম, ওদের সহজ করে বুঝানো বড় মুশকিল। আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে। তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে তাদেরই উত্থাপিত প্রশ্নানুসারে জিজ্ঞেস করতে চাই,

ইন্নী মুতাওয়াফফীকা এর ভেতর "তাওয়াফফা" এর অর্থ মির্যা কাদিয়ানির বইতে ঈসা (আঃ)-এর ক্ষেত্রে যেই অর্থ তিনি নিলেন, নিজের ক্ষেত্রে সেই একই শব্দের ভিন্ন অর্থ নিয়ে কি তিনি ভুল করলেন?

মানে ঈসা (আঃ)-'র জন্য "মৃত্যু" অর্থ নিলেন (রূহানী খাযায়েন ১৭/১৬২) আর নিজের ক্ষেত্রে নিলেন "পুরো নেয়ামত" (রূহানী খাযায়েন ১/৬২০)! অথচ দুই জায়গাতেই শব্দ একই।(স্কিনশট দ্রষ্টব্য)।
(রূহানী খাযায়েন ১৭/১৬২)। তারপর (রূহানী খাযায়েন ১/৬২০)

জানি, আপনারা এবারও প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে তালসামলাতে চাইবেন! অথবা বুঝেও না বুঝার ভান ধরবেন!

আশাকরি মনপূঁজা বাদ দিয়ে আল্লাহর দিকে রুজু হবেন। আদিম ও সহজ সরল ইসলামে ফিরে আসবেন। ইজমায়ে উম্মতের নমুনায় উম্মতে মুহাম্মদিয়ার সারিতে শামিল হবেন। কেননা, আপনাদের কথিত মাসীহ মওঊদ মির্যা সাহেব নিজেও লিখে গেছেন "ইজমায়ী আকিদার অস্বীকার কারীর উপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সকল মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হোক।" দেখুন, রূহানী খাযায়েন ১১/১৪৪। ভেবে দেখবেন! ওয়াসসালাম।

লিখক, প্রিন্সিপাল নুরুন্নবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.