নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়া আখারীনা মিনহুম দ্বারা কাদিয়ানিদের চরম ভ্রান্তি ও তার নিরসন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

মুহাম্মদে আরাবী (সাঃ) এর পুনঃজন্ম হওয়ার দাবীতে কাদিয়ানিদের বইতে 'ওয়া আখারীনা মিনহুম' (সূরা জুমা : ৩) আয়াত দ্বারা দলিল প্রদান ও তার খন্ডন

প্রথমে জেনে নিই যে, কাদিয়ানীরা উক্ত আয়াতটির কিরূপ অনুবাদ করেন এবং তদ্দ্বারা কেমন অভিনব ব্যাখ্যার পিছু নেন!
কাদিয়ানিদের মনগড়া অনুবাদঃ পবিত্র কুরআনের বাণী : وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ . ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ অনুবাদ : আর তাদেরই মাঝ থেকে অন্যদের প্রতিও (তিনি তাকে আবির্ভূত করবেন), যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী (ও) পরম প্রজ্ঞাময়। এ হলো আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ। তিনি যাকে চান তা দান করেন। আর আল্লাহ্‌ মহা অনুগ্রহের অধিকারী। (সূরা জুমা ৩-৪ আয়াত)। উল্লেখ্য কাদিয়ানিরা ২ নং আয়াতটি বাদ দিয়েই উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৩ নং আয়াত প্রদর্শন করে। যাতে সহজে মতলব হাছিল করা যায়। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ।

এবার কাদিয়ানিদের অপব্যাখ্যাঃ কাদিয়ানিরা আয়াতটির মনগড়া ও বিকৃত অনুবাদ করার পর সেখান থেকে অভিনব একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করার চেষ্টা করে। যেমন তারা বলে, 'এই আয়াতে শেষ যুগে প্রতিশ্রুত মাসীহরূপে মহানবী (সা)-এর দ্বিতীয় আধ্যাত্মিক আবির্ভাব ঘটবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। মহানবী (সাঃ) স্বয়ং এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টির উপর একটি প্রসিদ্ধ হাদীস রয়েছে।' উল্লেখ্য তারা এই হাদীসের সঠিক মর্মার্থের ভেতরও ভীষন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে থাকে যা একজন ব্যাকরণ-জানা বিদ্যানকে খুবই পীড়া দেবে। আমি এ সম্পর্কে পরে আসছি।

এবার কাদিয়ানিদের উপরিউক্ত মতবাদের সমর্থনে(?) পেশকৃত নিচের হাদীসটি দেখুনঃ হযরত আবূ হোরায়রা (রা) বলেন, ‘একদা যখন আমরা রসূলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম, ঠিক সেই সময়ে সূরা জুমা অবতীর্ণ হলো। আমি রসূলে আকরম (সা) এর কাছে জানতে চাইলাম, এই সূরাতে উল্লিখিত ‘তাদেরই মাঝ থেকে অন্যদের প্রতিও (তিনি তাঁকে আবির্ভূত করবেন), যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ সেই অন্যরা কারা?

সালমান ফারসীও আমাদের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। আমি বার বার এই একই প্রশ্ন করায় রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সালমান ফারসীর উপর হাত রেখে বললেন, ‘ঈমান যদি সুরাইয়া নক্ষত্রেও উঠে যায় তথাপি এদের (পারস্য বংশীয়দের) এক ব্যক্তি নিশ্চয় তা ফিরিয়ে আনবে’ (বুখারীঃ কিতাবুত তফসীর)।

এবার কাদিয়ানীদের অনুমান-নির্ভর বক্তব্যঃ কাদিয়ানিরা আয়াতের বিকৃত অনুবাদ শেষে হাদীসটিকে আয়াতের সাথে জোড়া দিয়ে বলে বুঝাতে চায় যে, 'মহানবী (সা)-এর এই বর্ণনা থেকে বুঝা যায়, আয়াতটিতে যে ব্যক্তির আগমনের সংবাদ দেয়া হয়েছে তিনি পারস্য বংশীয় হবেন। (অথচ আয়াতে কারো আগমন করার বিন্দুমাত্র ইংগিতও নেই - লেখক)। আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিশ্রুত মাসীহ্ পারস্য বংশীয় ছিলেন। হযরত নবী করীম (সা)-এর অন্যান্য হাদীস থেকে জানা যায় যে প্রতিশ্রুত মসীহ্ তখনই আগমন করবেন যখন কুরআনের অক্ষর ছাড়া কিছুই বাকী থাকবে না এবং ইসলাম কেবল নামে মাত্র থাকবে অর্থাৎ ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের জীবন থেকে উঠে যাবে (সুনানে বায়হাকী)। অতএব দেখা যায়, কুরআন এবং হাদীস উভয়েই এই একই কথা ব্যক্ত করছে যে প্রতিশ্রুত মসীহের সত্তার মধ্যেই মহানবী (সা)-এর দ্বিতীয় আগমন ঘটবে।' নাউযুবিল্লাহ। (তাদের বক্তব্য শেষ হল)।

কাদিয়ানিদের বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার খন্ডনঃ কাদিয়ানিরা সূরাটির ২ নং আয়াত বাদ দিয়ে ৩নং আয়াতের খন্ডিত অংশে ও মনগড়া অর্থের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এখানে আমি 'ইসলামিক ফাউন্ডেশন' থেকে মুদ্রিত আল কুরআনুল করীম থেকে ২ এবং ৩ নং আয়াতটির অনুবাদ করে দেব। অনুবাদ ভালভাবে বুঝে নিন। তবেই আপনাদের সামনে মুহূর্তের মধ্যে তাদের উদ্দেশ্যমূলক ব্যাখ্যার চরম ভ্রান্তি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

"(আয়াত নং ২) তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠাইয়াছেন তাঁহাদের মধ্য হইতে, যে তাঁহাদের নিকট আবৃত্তি করে তাঁহার আয়াত সমূহ; তাহাদিগকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; ইতিপূর্বে তো ইহারা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।"

"(আয়াত নং ৩) এবং তাহাদের অন্যান্যের জন্যও যাহারা এখনও এদের সহিত মিলিত হয় নাই। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।"

এবার ৩ নং আয়াতটির শাব্দিক অনুবাদ দেখুন:- و এবং آخرين অন্যান্যের (জন্যও) منهم তাঁহাদের মধ্যকার لما يلحقوابهم যাঁহারা (এখনো) এদের সাথে মিলিত হয়নি।

আয়াত দুটির শিক্ষা ও ইংগিতঃ
আয়াত দুটির সরল অনুবাদ পরিস্কার বলছে যে, কাদিয়ানিরা 'ওয়া আখারীনা মিনহুম' হতে যেই অভিনব অর্থ নিয়ে থাকে সেটি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভুল অর্থ। তার কারণ, আয়াতে 'আখারীনা' শব্দটি 'উম্মিয়্যীন' শব্দের উপর মা'তূফ। ফলে আয়াতের সম্পূর্ণ মর্মার্থ দাঁড়াল আল্লাহতায়ালা উম্মীদের মধ্য হতে যেই রাসূল প্রেরণ করেছেন তিনি অন্যান্যদের জন্যও প্রেরিত যারা এখনো এদের (সাহাবীদের) সাথে মিলিত হয়নি।

দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, "আখারীনা" শব্দটিকে কাদিয়ানিরা بعث (বা'আছা) এর দ্বিতীয় মাফউল (Second Object) ধরেই বুঝাতে চায় যে, কেয়ামতের পূর্বে মুহাম্মদ (সা)-এর পুনঃজন্ম হবে, নাউযুবিল্লাহ। অথচ তাদের জানা থাকা জুরুরি ছিল যে, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, "আখারীনা" শব্দটিকে কাদিয়ানিরা بعث (বা'আছা) এর দ্বিতীয় মাফউল (Second Object) ধরেই বুঝাতে চায় যে, কেয়ামতের পূর্বে মুহাম্মদ (সা)-এর পুনঃজন্ম হবে, নাউযুবিল্লাহ। অথচ তাদের জানা থাকা জুরুরি ছিল যে, প্রথমত এখানে بعث (বা'আছা) একটি অতীতকালবাচক ক্রিয়াপদ। ফলে কাদিয়ানিরা আখারীনা'র অনুবাদের ক্ষেত্রে ব্রেকেট উল্লেখ করে 'তিনি তাঁকে আবির্ভূত করবেন' লিখতে চাওয়া ভুল এবং মারাত্মক ব্যকরণ-বিরুদ্ধ হওয়ায় পুরোপুরি বাতিল। কাদিয়ানিদের নিকট প্রশ্ন, আয়াতটিতে আপনাদের কৃত অতিরিক্ত অনুবাদ "তিনি তাঁকে আবির্ভূত করবেন" মর্মে ভবিষ্যৎবাচক ক্রিয়াপদের এই অর্থ কোথায় পেয়েছেন? এরকম মিথ্যা আর বানোয়াট অর্থকে পূঁজি করে যদি দাবী করতে চান যে, ভবিষ্যৎকালে মির্যা কাদিয়ানীর স্বরূপে মুহাম্মদে আরাবীর পুনঃজন্ম হবার দলিল এটাই, তখন আপনাদের জন্য আমাদের আফসোস করা ছাড়া আর কি বা করার থাকবে বলুন! আসলে কাদিয়ানিদের নিকট এই সূক্ষ্ম প্রশ্নগুলোর আদৌ কোনো জবাব নেই।
স্কিনশট দেখুন

দ্বিতীয়ত, "আখারীনা" এটি একে তো শব্দগত বহুবচন; দ্বিতীয়ত বাক্যের মধ্যে মা'তূফ [معطوف]। সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাকারক ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ রচিত "ফাতহুল বারী" কিতাবের 'কিতাবু তাফসীরিল কুরআন' অধ্যায় দেখুন, সেখানে 'আখারীনা' এর ইরাব সম্পর্কে লেখা আছে وأن يكون مجرورا عطفا على الأميين তথা 'আখারীনা' শব্দ জারের অবস্থায় হওয়া এটি উম্মিয়্যীন এর উপর মা'তূফ হয়েছে বলে।

কাদিয়ানিদের সত্য গোপন করে ভ্রান্তি ছড়ানোঃ কাদিয়ানিরা যেই ব্যাপারটা গোপন করে সেটি হচ্ছে, হাদীসে উল্লিখিত সুরাইয়া তারকা থেকে ইলম বা ঈমান ফিরিয়ে আনবে বলে যাদের ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে তাদের সংখ্যাটা গোপন রাখা! কাদিয়ানিরা হাদীসের এই বিশেষ পয়েন্টগুলো খোলাখুলি করেনা। যাতে ল্যাঠা চুকে না যায়। অথচ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। আমাদের জানা আছে যে, আয়াতের 'আখারীনা' শব্দটি 'আখারু' এর বহুবচন। সুতরাং বহুবচন শব্দের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে হলে হাদীসে যাদের সুরাইয়া তারকা থেকে ইলম বা ঈমান ফিরিয়ে আনার কথা এসেছে তাদের সংখ্যাটাও বহুবচন হবে এমনটাই স্বাভাবিক, তাই নয় কি?

এবার কাদিয়ানিদের কথায় ফিরে আসি। এমতাবস্থায় সেই 'আখারীনা' বলতে কতেক ব্যক্তি উদ্দেশ্য হলে তদ্দ্বারা মির্যা কাদিয়ানী সাহেব কিভাবে উদ্দেশ্য হতে পারেন? সমীকরণ তো মিলে না! কে জানি বলেছিল, আখারীনা বলে 'আসহাবে মাসীহ' উদ্দেশ্য! তখন আমি বললাম, আগে তো আপনার মাসীহ মওঊদকে আবিস্কার করে দেখাবেন! তারপর না হয় তথাকথিত 'আসহাবে মাসীহ' এর খোঁজে নামবেন, তাই নয় কি? আমার পালটা প্রশ্ন শুনে বেচারার রূপকথার বেলুন থেকে ফুস করে সব বাতাস বেরিয়ে গেল! আসলে বাস্তবতা পরিপন্থী মানুষ যত সুন্দর করেই রূপকের কাসুন্দি করেনা কেন তা সাময়িক যে কাউকে আকর্ষণ করলেও বেলা শেষে তার কোনোই মূল্য থাকেনা।

আপনি সহীহ বুখারীর হাদীসটি পড়ে দেখুন সেখানে সুরাইয়া তারকা থেকে ইলম বা ঈমান ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে এক বা ততোধিক ব্যক্তির কথা উল্লেখ আছে। যেমন হাদীসের মধ্যেই বর্ণনাকারী হযরত আবু হোরায়রা (রা) রাসূলকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেই অন্যান্যরা কারা? হাদীসের ভাষ্যঃ- ِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا جُلُوْسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُوْرَةُ الْجُمُعَةِ {وَاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ} قَالَ قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَلَمْ يُرَاجِعْهُ حَتَّى سَأَلَ ثَلَاثًا وَفِيْنَا سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ وَضَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى سَلْمَانَ ثُمَّ قَالَ لَوْ كَانَ الإِيْمَانُ عِنْدَ الثُّرَيَّا لَنَالَهُ رِجَالٌ أَوْ رَجُلٌ مِنْ هَؤُلَاءِ.

অর্থাৎ আবু হোরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে বসেছিলাম। এমন সময় তাঁর উপর অবতীর্ণ হলো সূরা জুমা, যার একটি আয়াত হলোঃ “এবং তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনও তাদের সঙ্গে মিলিত হয়নি।” তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারা কারা? তিনবার এ কথা জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালমান (রাঃ)-এর উপর হাতে রেখে বললেন, ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রের নিকট থাকলেও তাদের কতক লোক অথবা তাদের এক ব্যক্তি তা অবশ্যই নিয়ে আসবেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৮৯৭)।

লক্ষণীয় যে, হাদীসে শব্দটি রাজুল (رجل) তথা একব্যক্তি রিজাল (رجال) তথা একাধিক ব্যক্তি; কোনো কোনো বর্ণনায় আবনায়ুল ফারাস (أبناء الفرس) তথা পারস্যবংশীয় বহুসন্তান এভাবে নানা শব্দচয়নে উল্লেখ আছে। এতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, সেই সুরাইয়া তারকা থেকে ইলম বা ঈমান ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটি একক কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত নয়; এমনকি ওই পারস্যবংশীয় বহু সন্তানের সাথে بعث (বা'আছা) ক্রিয়াপদেরও কোনো সম্পর্ক থাকতে পারেনা। অবাক করার বিষয় যে, এই সহজ কথাটিও ওদের মগজে লোড নেয় না। তাই ওরা বেঁকিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সহজ ব্যাপারটিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।

পরিশেষে বলব, নবুওতের দাবিদার মির্যা কাদিয়ানীকে হযরত সালমান ফারসি (রা)-এর ঔরসজাত আখ্যা দিন কিবা যাইচ্ছে তাই করুন তাতে আমাদের কিছু যায় আসেনা। কিন্তু মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজেই যখন নিজের বংশ পরিচয় বিতর্কিত করে গেলেন তখন তো অন্ততপক্ষে এটুকু বলা যায় যে, নিশ্চিত করে মির্যার কোনো বংশ পরিচয় নেই। এই দেখুন, সে নিজেকে চায়নিজ বংশীয় বলে লিখে গেছেন। (রূহানী খাযায়েন ১৭/১২৭); মুঘল বংশীয় বলে লিখে গেছেন। (রূহানী খাযায়েন ১৩/১৬২); আবার এক জায়গায় লিখে গেছেন, ফাতেমী বংশীয় এবং বনী ইস্রাইলের বংশধরও লিখে গেছেন। (রূহানী খাযায়েন ১৮/২১৬); আবার আরেক জায়গায় লেখা আছে, তার পূর্বপুরুষ পারস্যবংশীয় (রূহানী খাযায়েন ১৩/১৬৩)।

ওহে আহমদীবন্ধুরা! এমন পাঁচমিশালি বংশীয় তথাকথিত মাসীহ ও মাহদী মির্যা কাদিয়ানীর প্রকৃত বংশ পরিচয় কী তা আগে ঠিক করুন। তারপর না হয় ইচ্ছেমত পবিত্র কুরআন আর হাদীসে অপব্যাখ্যার তুফান ঘটাতে আসুন! ওয়াসসালাম।

লেখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.