নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মুসনাদে আহমদ\' কিতাবে বর্ণিত একটি হাদীসের খণ্ডিত অংশ \'ইমামান মাহদিয়্যান\' এর সঠিক অর্থ ও কাদিয়ানীদের ভ্রান্তি নিরসন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২



'ইমামান মাহদিয়্যান' (মুসনাদে আহমদ, হা/৯১১৭) সম্পর্কিত হাদীসের খণ্ডাংশটির সঠিক অর্থ ও একটি ভুল ব্যাখ্যার খণ্ডন

আহমদী তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় এর ভুল ও বিকৃত ব্যাখ্যার মাধ্যমে 'ইমাম মাহদী' এবং 'ঈসা' দুইজনকে অভিন্ন সত্তা সাব্যস্ত করার চেষ্টা করে থাকেন। যা নানা কারণে সুস্পষ্ট ভুল ও বাতিল। নিচে দ্বি-পাক্ষিক ডায়ালগটির মাধ্যমে হাদীসের খণ্ডাংশটির সঠিক অর্থ কেমন হবে তা বুঝে নেবেন!

প্রশ্নকারীঃ ঈসা (আঃ) কেয়ামতের আগে একজন ইমাম মাহদী হয়ে আগমন করবেন, এই কথা মানেন?

উত্তরদাতাঃ মাশা আল্লাহ, আপনি তাহলে হযরত ঈসা (আঃ) এখনো জীবিত আছেন তা স্বীকার করলেন!

প্রশ্নকর্তাঃ আরে ভাই এ কি বলছেন! না না, এরকম না।

উত্তরদাতাঃ তাহলে কী রকম?

প্রশ্নকর্তাঃ আমি বুঝাতে চাচ্ছি, ঈসা (আঃ) আসবেন তবে ঈমাম মাহদী হয়ে আসবেন। তার মানে হল, আসল ঈসার রূপক একজন ইমাম মাহদী আসবেন। ফলে বুঝা গেল, ঈসা আর ইমাম মাহদী দুজনই মূলত একজন।

উত্তরদাতাঃ আচ্ছা জনাব, দুইজন-ই কি একজন নাকি দুইজন ভিন্ন ভিন্ন - সেই আলোচনায় আরেকটু পরে যাব। তার আগে বলুন, মুসনাদে আহমদ কিতাবে যার আগমন সম্পর্কে বর্ণনা এল সেখানে "রূপক ঈসা" শব্দের আরবীটা কী?

প্রশ্নকর্তাঃ হুম। তা তো আমি বলতে পারব না।

উত্তরদাতাঃ তাহলে এটা বলুন যে, হযরত ঈসা (আঃ) একজন ইমাম মাহদী হয়ে আসবেন একথা কোথায় এবং কী শব্দে লেখা আছে?

প্রশ্নকর্তাঃ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) সংকলিত 'মুসনাদে আহমদ' কিতাবে লেখা আছে। যেমন, ইমামান মাহদিয়্যা অর্থাৎ তিনি একজন ইমাম মাহদী হয়ে আসবেন।

উত্তরদাতাঃ আপনি বললেন, তিনি 'একজন ইমাম মাহদী' হয়ে আসবে। অথচ হাদীসের বাক্যটা হল (إماماً مهديا) "ইমামান মাহদিয়্যা"! আপনার বক্তব্যের সাথে হাদীসের বর্ণনাভঙ্গি তো মিলেনা! আপনি কি কখনো চিন্তা করে দেখেছেন যে, হাদীস শরীফে শব্দটি কীরূপে চয়িত হয়েছে?

প্রশ্নকর্তাঃ তার মানে কি হাদীসে উল্লিখিত "ইমামান মাহদিয়্যান" বাক্য হতে 'ইমাম মাহদী' এইভাবে অর্থ নেয়া ভুল?

উত্তরদাতাঃ জ্বী হ্যাঁ। শুধু ভুল নয়, নিকৃষ্ট পর্যায়ের ভুল, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না! সেই আলোচনায় আরেকটু পরে যাব। তার আগে আপনাকে জানাতে চাই, মুসনাদে আহমদ কিতাবসহ হাদীসের অন্যান্য কিতাবে হযরত ঈসা (আঃ) এর পুনরায় আগমন সম্পর্কিত আলোচ্য শব্দমালা সামান্য পরিবর্তনসহ নিম্নরূপ। যেমন -

(১) "ইমামান মাহদিয়্যান ওয়া হাকামান আদালা" (إماماً مهديا و حكماً عدلاً) (মুসনাদে আহমদ হা/৯১১৭)।

(২) "ইমামান মুকছিতান" (إماماً مقسطا) ( মুসনাদে আহমদঃ হা/৭৬২২, ৭৬৯০) তারিখে দামেস্ক, হা/৫১৩৫৫)।

(৩) "ইমামান আদিলান" (إماماً عادلاً) (তারিখে দামেস্ক, ইবনে আসাকির রহঃ [মৃত ৫৭১হিজরী] সংকলিত হা/৫১৩৬৬)।

(৪) "ইমামান আদিলান" (إماماً عادلاً) (ইমাম ইবনে আবী শাইবাহ [মৃত ২৩৫ হিজরী] সংকলিত 'মুছান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ, হা/৩৮৪৯১, ৩৬৮০৪)।

(৫) "ইমামান আদিলান ওয়া ক্বাজিয়ান" (اماما عادلاً و قاضياً) (ইমাম আবু বকর আশ-শাফেয়ী [মৃত ৩৫৪ হিজরী] রচিত, আল ফাওয়ায়িদুশ শাহীর বিল গাইলানিয়াত' হা/৭৯৩, ৮২৪)।

(৬) "ইমামুন হাদয়ুন ওয়া ক্বাজিয়ুন আদলুন" (امام هدى و قاضي عدل) (ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর আল হুমাইদী [মৃত ২১৯ হিজরী] সংকলিত 'মুসনাদে হুমাইদী' হা/১০৪৯, ১১২৯)। আপাতত এই কয়েকটা দেখালাম। এখন আপনিই বলুন, প্রথমোক্ত বর্ণনায় "ইমামান মাহদিয়্যা" এর অর্থ 'ইমাম মাহদী' করা ঠিক হলে পরবর্তী বর্ণনাগুলোর অর্থ কেমন হবে?

প্রশ্নকর্তাঃ হুম। তাহলে আপনি-ই বলুন, "ইমামান মাহদিয়্যান" এর কেমন অর্থ হবে?

উত্তরদাতাঃ ওই বাক্যটির অর্থ কেমন হলে সঠিক হবে তা বুঝার জন্য অন্ততপক্ষে 'মওসূফ- ছিফাত' সম্পর্কিত (আরবী বাক্যপ্রকরণ) শাস্ত্রে অবিজ্ঞ হতে হবে। কাজেই যাদের এই মওসূফ ছিফাত শাস্ত্রে মোটামোটি পড়াশুনা আছে তারা নিশ্চয়ই জানবেন যে, আরবীতে ছিফাত (বিশেষণপদ)'র অর্থ আগে হবে আর মওসূফ (বিশেষিতপদ)'র অর্থ পরে হবে। উদাহরণ স্বরূপ,

(১) ফাদ্বলান কাবীরা ( فضلاً كبيراً ) অর্থাৎ মহা অনুগ্রহ। (সূরা আহযাবঃ ৪৭) এখানে প্রথমে 'কাবীরা' এর অর্থ নেয়া হয়। কেননা এটি ছিফাত (বিশেষণপদ)। তারপর 'ফাদ্বলা' এর অর্থ নেয়া হয়। একই নিয়মে নিম্নরূপ।

(২) আজরান আযীমা ( اجرا كريماً ) অর্থাৎ উত্তম প্রতিদান। (আহযাবঃ ৪৪)।

(৩) আযাবান মুহীনা (عذابا مهينا) অর্থাৎ লাঞ্চনাদায়ক শাস্তি। (আহযাবঃ ৫৭)।

(৪) ফাওজান আযীমা (فوزاً عظيماً) অর্থাৎ মহা সাফল্য। (আহযাবঃ ৭১)।

(৫) সিরাজাম মুনীরা (سراجا منيرا) অর্থাৎ উজ্জ্বল প্রদীপ। (সূরা আহযাবঃ ৪৬)।

(৬) মাক্কাতাম মুকাররমাহ (مكة مكرمة) অর্থাৎ সম্মানিত মক্কা।

(৭) হাদীসে চার খলিফার আনুগত্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উল্লেখ আছে, "ওয়া সুন্নাতাল খোলাফায়ির রাশিদীনাল মাহদিয়্যীন" (و سنة الخلفاء الراشدين المهديين) অর্থাৎ "তোমাদের জন্য সুপথপ্রাপ্ত আর সত্যনিষ্ঠ খলিফাগণের আনুগত্য আবশ্যক।" উপরের উদাহরণগুলো বুঝে থাকলে বলুন তো সেখানে মওসূফ ছিফাতগুলোর অনুবাদ কিভাবে আছে?

খেয়াল করুন, সবখানেই কিন্তু প্রথমে ছিফাত তারপর মওসূফের অর্থ হয়েছে। তাহলে "মুসনাদে আহমদ" কিতাবের হাদীসটিতে উল্লিখিত "ইমামান মাহদিয়্যান" এর অর্থ কিজন্য মওসূফ ছিফাত এর উক্ত সুপ্রতিষ্ঠিত নীতির বিপরীত করা হবে? কবি এখানে নিরব। কারণ সেভাবে অর্থ না করলে মির্যা কাদিয়ানির 'ঈসা আর মাহদী দুইজন একই'- বানোয়াট মতবাদ কখনো হালে পানি পাবেনা। এবার জেনে নিন সঠিক অনুবাদটা কিরকম হবে?

সঠিক অনুবাদঃ এখানে "ইমামান" একটি মওসূফ (বিশেষিতপদ) আর "মাহদিয়্যা" একটি ছিফাত (বিশেষণপদ) । যেজন্য এখানে প্রথমে "মাহদিয়্যান" এর অর্থ করতে হবে তারপর "ইমামান" এর অর্থ করতে হবে। যার ফলে "ইমামান মাহদিয়্যান" এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে - একজন সুপথপ্রাপ্ত ইমাম। উল্লেখ্য, খন্ডিত বাক্যটির পূর্বেই 'ঈসা ইবনে মরিয়ম' শব্দ উল্লেখ আছে। যেটি বাক্যে "যুলহাল" (যার অবস্থা বুঝানো হয় এমন)। যাইহোক "মাহদিয়্যান" শীর্ষক একটি রেওয়ায়েত সহীহ বুখারীতেও আছে।

হযরত কায়েছ ইবনে আবী হাযেম থেকে বর্ণিত, হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ اللَّهُمَّ , ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি তাঁকে অটুট রাখুন এবং একজন সুপথপ্রাপ্ত হিদায়াতকারী বানিয়ে দিন। (বুখারী হা/২৮৫৯, তিরমিযী হা/৩৮৪২)।

হযরত আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ) সম্পর্কেও বর্ণিত আছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ ﺗﺠﺪﻭﮦ ﮬﺎﺩﯾﺎ ﻣﮭﺪﯾﺎ অর্থাৎ তোমরা তাঁকে একজন সুপথপ্রাপ্ত হিদায়াতকারী হিসেবে (দেখতে) পাবে। (মুসনাদে আহমদ)।

রাসূল (সাঃ) হযরত মু'আবিয়া (রাঃ) সম্পর্কেও বলেছেনঃ ﺍﻟﻠﮭﻢ ﺍﺟﻌﻠﻪ ﮬﺎﺩﯾﺎ ﻣﮭﺪﯾﺎ ﻭﺍﮬﺪ ﺑﻪ অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি তাঁকে একজন সুপথপ্রাপ্ত হিদায়াতকারী বানিয়ে দিন আর তার মাধ্যমে (মানুষকে) হিদায়াত দান করুন। (তিরমিযী, আবুদাউদ শরীফ)।

খেয়াল করুন, এই হাদীসগুলোতে রাসূল (সাঃ) যথাক্রমে জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ নামক এক সাহাবীসহ আলী এবং আমীরে মু'আবিয়া প্রমুখ সবাইকে "মাহদিয়্যান" শব্দে দোয়া করে গেছেন। যদি আরবী ব্যাকরণ (মওসূফ-ছিফাত) না মানেন তাহলে এসকল সাহাবীকেও "ইমাম মাহদী" মানতে হবে! তখন মির্যা সাহেবের 'মাসীহ আর মাহদী' দুটো চরিত্রে এক সঙ্গে অভিনয়ও আর রসদ যোগাতে পারবেনা।

সুতরাং দীর্ঘ আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল যে, হাদীসটির এই খন্ডিত অংশের মতলবসিদ্ধ যেই অনুবাদ দিয়ে কাদিয়ানিরা "ঈসা আর ইমাম মাহদী" দুইজনকে একই ব্যক্তি প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছিল তা তাদের ব্যাকরণ বিরুদ্ধ অনুবাদ আর ইসলামী শিক্ষায় পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকার কারণেই।

পরিশেষে রাসূল (সাঃ) থেকে নিচের হাদীসটি দ্বারা বুঝে নিন যে, প্রতিশ্রুত ঈসা আর প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী দুইজন ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের। হাদিসের বিখ্যাত সংকলন ‘কানযুল উম্মাল‘ (১৪/৩২৪; হাদিস নং ৩৮৬৭১) কিতাবে আছে রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন – لن تهلك أمة أنا في أولها وعيسى ابن مريم في آخرها و المهدي فى أوسطها অর্থাৎ 'উম্মতে মুহাম্মদিয়া কখনো ধ্বংস হবেনা। যেহেতু তাদের প্রথম দিকে আমি রয়েছি এবং শেষের দিকে ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) থাকবেন আর মধ্যখানে থাকবেন ইমাম মাহদী।’ (হাদিসটি ইমাম হাকেম ‘তারিখে নিশাপুর’ গ্রন্থে এবং ইমাম ইবনে আসাকীর তিনি ‘তারিখে দামেস্ক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন)। এখন নিজেই চিন্তা করুন, ঈসা আর ইমাম মাহদী দুইজন যদি একই হন তাহলে রাসূল (সাঃ) এর হাদীসে "ফী আখিরিহা" এবং "ফী আওছাতিহা" এসবের কী মানে?

আরেকটি কথা হল, তিরমিযী শরীফের 'মানাকিব অধ্যায়' ৩৬১৭ নং হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) হতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে, ﻣﻜﺘﻮﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﻮﺭﺍﺓ ﺻﻔﺔ ﻣﺤﻤﺪ ﻭﺻﻔﺔ ﻋﻴﺴﻰ ﺍﺑﻦ ﻣﺮﻳﻢ ﻳﺪﻓﻦ ﻣﻌﻪ অর্থাৎ "তাওরাত কিতাবে মুহাম্মদ (সাঃ) এবং হযরত ঈসা (আঃ) দুইজনের গুণকীর্তন বর্ণনাতে লেখা আছে ঈসা (আঃ) তিনি মুহাম্মাদ (সাঃ)'র সাথে (রাওজা শরীফে) দাফন হবেন।"

শুনে অবাক হবে, মির্যা কাদিয়ানী কর্তৃক স্বীকৃত মুজাদ্দিদ ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ "ফাতহুল বারী" কিতাবের ৭ম খন্ডের ৮২ নং পৃষ্ঠায় ঈসা (আঃ) এর কবর রাসূল (সাঃ)-এর রাওজাতে হওয়া সম্পর্কে হযরত সাঈদ ইবনে মুছাইয়্যিব (রহঃ)'র উদ্ধৃতিতে লিখে গেছেনঃ- ﺇﻥ ﻗﺒﻮﺭ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ ﻓﻲ ﺻﻔﺔ ﺑﻴﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ، ﻭﻫﻨﺎﻙ ﻣﻮﺿﻊ ﻗﺒﺮ ﻳُﺪﻓﻦ ﻓﻴﻪ ﻋﻴﺴﻰ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ অর্থঃ- "হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরের শামিয়ানায় (তথা রাসূলের রাওজাতে) তিনটি কবর বিদ্যমান আছে। সেখানে আরেকটি কবরের স্থান (অবশিষ্ট) আছে যেখানে ঈসা (আঃ) দাফন হবেন।" ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ)-এর ঐতিহাসিক তথ্যটিকে 'আল-মু'জামুল কাবীর' (১৩/১৫৯)'র একখানা হাদীসের খন্ডাংশ জোরালোভাবে সমর্থন করে। কারণ সেখানে লেখা আছে ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُ ﻗَﺒْﺮُﻩُ ﺭَﺍﺑِﻌَﺎً অর্থাৎ 'রাওজাতে ঈসা'র কবরটি চতুর্থতম হবে।'

আহমদীবন্ধুদের প্রতি প্রশ্নঃ

এখন আহমদীবন্ধুদের নিকট আমার প্রশ্ন, তর্কের খাতিরে মির্যা কাদিয়ানী (মৃতঃ ১৯০৮ইং)-কে সেই প্রতিশ্রুত মাসীহ মওঊদ যদি মেনেও নিই তারপরেও তো সমীকরণ মিলেনা। কেননা তিনি ভারতের গুরুদাসপুর জেলার "কাদিয়ান" নামক গ্রামে দাফন হন। অথচ যিনি সত্যিকারের মাসীহে মওঊদ হবেন তিনি এই হাদীস অনুসারে রাসূল (সাঃ)-এর রাওজাতে দাফন হওয়াই বাঞ্চনীয়! এখন এ হিসেব কিভাবে কষবেন? নিশ্চয়ই জ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলবে! আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক আরেকটি লেখার লিংক দিলাম। "ওয়া লা-আল মাহদী ইল্লা ঈসা ইবনে মরিয়ম" - এটি মুহাদ্দিসগণের সর্বসম্মতিক্রমে দুর্বল একটি বর্ণনা। (রেফারেন্সঃ- বিখ্যাত হাদীস বিশারদ মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ লেখিত মেরকাত শরহে মেশকাত - ১০/১০১; দারুল কুতুবিল আলামিয়্যাহ, বৈরুত লেবানন হতে প্রকাশিত।)। ক্লিক করুন

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.