![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
কালিমার মধ্যে মুহাম্মদ শব্দের স্থলে "আহমদ" শব্দের প্রতিস্থাপন
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আহমাদু রাসূলুল্লাহ"
ফাইল ফটোঃ আহমদিয়া সেন্ট্রাল মসজিদ, আইজেবু ওদে (নাইজেরিয়া)।
উল্লেখ্য, আইজেবু ওদে (Ijebu ode) নাইজেরিয়ার ওগুন (Ogun) রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। শহরটি "লেগুস" শহর থেকে ১১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব অদূরে।
কাদিয়ানিদের দাবী খন্ডন
পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই এই মর্মে যে, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লোকজন ছবিতে প্রদর্শিত "আহমদ" শব্দের প্রতিস্থাপনকে প্রযুক্তির কারসাজি বা এডিট বলতে চাচ্ছেন! তার মানে তাদেরও বিশ্বাস যে, কালিমার "মুহাম্মাদ" বলতে তারা শুধুমাত্র মুহাম্মদে আরাবী (সাঃ)-কেই বুঝে থাকেন। এই শব্দের মর্মার্থে উনারা অন্য আর কাউকে শামিল করেন না!
আমি তাদের মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বলব, মির্যা পুত্র মির্যা বশির আহমদ এম.এ রচিত "কালিমাতুল ফছল" এর মধ্যে লিখা আছে, জনৈক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে তিনি লিখেছেন - "মাসীহে মওঊদের (মির্যা কাদিয়ানী) প্রেরিত হওয়ার পর 'মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলতে তার মর্মার্থে অতিরিক্ত আরেকজনকে রাসূল হিসেবে বৃদ্ধি করে দিতে হবে (তথা মির্যা কাদিয়ানীকে মুহাম্মদ ধরে নিতে হবে)।" [দেখুন - কালিমাতুল ফছল ১৪/১৫৮]। স্কিনশর্ট নিচে দেখুন। তো এবার কিভাবে মানতে পারি যে, আপনারা "মুহাম্মদ" এর মর্মার্থে মির্যা কাদিয়ানীকে শামিল করলেন না!?
ডকুমেন্ট দেখুন
কাজেই কাদিয়ানিদের ভেতরগত এই সূক্ষ্ম ঈমান-বিধ্বংসী কুফুরীগুলো যাদের জানা আছে তারা ভাল করেই জেনে থাকবে যে, কালিমার মধ্যে মুহাম্মদ শব্দের স্থলে "আহমদ" শব্দের প্রতিস্থাপন করার মত তাদের বইগুলোই যথেষ্ট পরিমাণে রসদ জোগায়। ফলে মির্যা কাদিয়ানীর অনুসারিদের পক্ষে এরূপ জঘন্যতম কর্মকাণ্ড খুবই সিম্পল। আর তাই প্রযুক্তির কারসাজি বলে কিবা ক্যালিগ্রাফিয়্যাল আর্টস আখ্যা দিয়ে প্রতিস্থাপনের মূল ঘটনাকে আড়াল করার কোনো সুযোগই নেই।
মজার ব্যাপার হল, কাদিয়ানিদের অনেককে বলতে শুনা যায়, মির্যা গোলাম আহমদ নাকি "আহমদ" এর গোলাম ছিল! অথচ কালিমাতুল ফছল বইতে সেই তাকে-ই স্বয়ং "আহমদ" দাবী করা হয়েছে!
সে যাইহোক, আমি ইতিমধ্যে এ ছবিটির প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে আরো বেশি মনোনিবেশ করতে চাই। ইনশাআল্লাহ অতি শিঘ্রই এর অন্তর্নিহিত রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হব।
তবে আমি এতটুকু তথ্য আবিস্কার করতে পারলাম যে, ছবিটি আজ থেকে আনুমানিক ৫২ বছর পূর্বের। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় কাদিয়ানীদের তৃতীয় পোপ (কথিত খলিফা) ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণকারী মির্যা নাসির আহমদের সময় এবং তারই সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নাইজেরিয়ার 'আহমদিয়া সেন্ট্রাল মসজিদ' এর কালিমা পরিবর্তনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। গোল চিহ্নিত অংশ দ্রষ্টব্য। যদিও পরবর্তীতে তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাওয়ার আশংকায় তাতে সংশোধনী আনেন এবং ক্যালিগ্রাফির রঙ চিটিয়ে আহমদ শব্দকে "মুহাম্মদ" শব্দের সাদৃশ্য দান করেন! অপ্রিয় হলেও সত্য, মির্যা নাসির আহমদ কাদিয়ানী আফ্রিকার সফর উপলক্ষে আফ্রিকার সফরকালে জারি করা চিত্রিত সাহিত্যিক বইটিতে কালিমার উক্ত বিকৃত ছবিটি এখনও উল্লেখ আছে।
এ সম্পর্কে নাইজেরিয়া বংশোদ্ভূত আবদুল হাফিজ বলেন, Ahmadi Muslims have changed the Kalimah by substituting the name of the Holy Prophet of Islam, Hadhrat Muhammadsa with that of Hadhrat Ahmadas, the Founder of the Ahmadiyya Muslim Community. Hence he alleges that, God forbid:'The kalimah of Qadianis is There is no God but Allah and Ahmad is His messenger অর্থাৎ আহমদী মুসলমানরা ইসলামের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হযরত "আহমদ" এর নামকরণ করে কালিমা পরিবর্তন করেছেন। (তিনি দাবী করে বলেন) 'কাদিয়ানীদের কালিমা, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই এবং আহমদ তাঁর রসূল।'
উল্লেখ্য, কাদিয়ানিরা ভারতের কাদিয়ান গ্রামের যেই লোকটিকে "ইমাম মাহদী" বিশ্বাস করে তার নাম ছিল গোলাম আহমদ। যিনি নিজেকে রাসূল দাবীও করতেন। [মির্যা গোলাম আহমদ রচিত' দাফেউল বালা' (বাংলা অনূদিত) পৃষ্ঠা ১২]
ডকুমেন্ট দেখুন
এই ডকুমেন্টটুকু দেখা যেতে পারে এখানে ক্লিক করুন
লিখক, প্রিন্সিপাল নুরুন্নবী।
তাং ০৮/০৩/২০১৯ইং
©somewhere in net ltd.