![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
কাদিয়ানী এবং হাদীস অস্বীকারকারীরা সূরা আল জাশিয়ার ৬ নং আয়াতের কীরকম বিকৃত অর্থ দাঁড় করে ও অপব্যাখ্যার মাধ্যমে হাদীসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলার স্পর্ধা দেখায়, তা দেখুন! একদম ছোট্ট পরিসরে যুক্তিক এবং দালিলিকভাবে আমি তাদের সেই পুকুরচুরি কিভাবে ধরিয়ে দিলাম তাও দেখুন!
ওয়েবসাইট থেকে Click https://markajomar.org/?p=1964
....আমরা আয়াতটির শানে নুযূল দ্বারা বুঝতে পারলাম যে, আয়াতটির ঐ কথাগুলো বিশেষ করে মক্কার মুশরিকদের উদ্দেশ্যেই ছিল। তাদেরকেই বলা হয়েছিল যে,
“আল্লাহর নাযিল করা এই কুরআন, যাতে রয়েছে তাঁর একত্ববাদের বহু প্রমাণাদি, যদি তারা এর উপরও ঈমান না আনে, তবে আল্লাহর কথাকে বাদ দিয়ে কার কথার উপর এবং তাঁর নিদর্শনাবলীকে ছেড়ে আর কোন্ এমন নিদর্শন আছে যার উপর তারা ঈমান আনবে?” (তাফসীর দ্রষ্টব্য)।
মজার ব্যাপার হল, কাদিয়ানীদের বাংলা অনূদিত কুরআনেও আয়াতটির (জাশিয়া-৬) অনুবাদ করা হয়েছে এই রকম, “এইগুলি আল্লাহ’র নিদর্শন যাহা আমরা তোমার প্রতি যথাযথভাবে বর্ণনা করিতেছি। অতএব তাহারা আল্লাহ ও তাহার নিদর্শনাবলীর (অস্বীকার করার) পর কোন কথার উপর ঈমান আনিবে।”
লক্ষণীয়, আয়াতটির উক্ত অনুবাদ তাদের মৌখিক দাবীরই পুরোপুরি বিরোধী, তা বলাইবাহুল্য।
এখন প্রশ্ন হল,
কাফের আর মুশরিকরা যে জায়গায় কুরআনের বাণীই অমান্য করে যাচ্ছে, অবাধে আল্লাহর সাথে কুফুরি আর শিরকে লিপ্ত রয়েছে সেখানে তাদেরকে হাদীস শরীফের গুরুত্ব দেখানোর যুক্তিকতা কিসের? আর এমতাবস্থায় আল্লাহ’র বাণী فَبِاَیِّ حَدِیۡثٍۭ بَعۡدَ اللّٰہِ وَ اٰیٰتِہٖ یُؤۡمِنُوۡنَ এর মধ্যে…… (বাতিলপন্থীদের অর্থ অনুসারে) তারা কোন হাদীসের উপর বিশ্বাস করবে, একথার মানেটা-ও বা কী? এতে কি কাদিয়ানী আর হাদীস অস্বীকারকারীদের কথা অনুসারে একথা বোধগম্য হচ্ছেনা যে, মনে হয় কাফের আর মুশরিকদের নিকট তখন আয়াতে কুরআনী অপেক্ষা হাদীসের প্রতি টানটা বেশি ছিল! যার দরুন তাদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করে বলতে হল যে, “আল্লাহ’র আয়াতকে বাদ দিয়ে তারা কোন হাদীসকে বিশ্বাস করবে!! খুবই হাস্যকর!!
কথা এখানেই সমাপ্ত করছি। সত্যের অনুসন্ধানীদের জন্য প্রকৃত বিষয়টি এতটুকুতেই যথেষ্ট হবে বলেই আমার বিশ্বাস। ওয়াসসালাম।
লিখক,
শিক্ষাবিদ ও গবেষক
©somewhere in net ltd.