![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
কাদিয়ানীরা কাফের! এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা তারা নিজেদের মতলব হাসিল করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক যুগে কুরআন এবং হাদীস থেকে এমন সব মর্মার্থ নিয়েছে যা ইসলামের গত ১৪'শ বছরের ইতিহাসে আর কেউই নেয়নি। কাদিয়ানী কনসেপ্ট শতভাগ উদ্দেশ্যমূলক ও ইজমায়ে উম্মাহার শিক্ষার পরিপন্থী। এই যেমন ইমাম মাহদী, ঈসা (আ.), খতমে নবুওয়ত ও ইজরায়ে নবুওয়ত ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে তাদের আর মুসলিম উম্মাহার মূলধারার মধ্যকার সম্পূর্ণ বৈপরীত্য বিদ্যমান। অন্য জায়গায় এ নিয়ে বিস্তর আলোচিত হয়েছে। এখানে আজকে আলোচনা করা হবে, ইমাম মাহদী আর ঈসা মসীহ দুইজনই কি একই ব্যক্তি হবেন নাকি আলাদা আলাদা দুইজন তারা!? এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করছি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
'তখন ঈসা ইবনে মরিয়ম-ই মাহদী' (و لا المهدى الا عيسى ابن مريم) : বিশ্লেষণ ও ভ্রান্তি নিরসন:
(আলোচ্য হাদীস দুটির খণ্ডাংশ- يوشك من عاش منكم ان يلقى عيسى بن مريم إماما مهديا وحكما عدلا / و لا المهدى الا عيسى ابن مريم ইবনে মাজাহ'র হাদীসটির মান, জঈফ ও মুনকার [মীযানুল ই’তিদাল ৩/৫৩৫; ইমাম যাহাবী])
বিশ্লেষণ ও ভ্রান্তি নিরসন : আভিধানিক অর্থে যে কোনো সুপথপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেও সাধারণভাবে 'মাহদী' বলা যেতে পারে। এর দ্বারা ব্যক্তিটি হাদীসে বর্ণিত প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী হয়ে যাবেনা। যেমন, কেউ বলল; যায়েদ বাঘেররূপে আবির্ভূত হয়েছে! এইজন্য কিন্তু যায়েদ আর বাঘ একই সত্তা হয়ে যায়নি! মির্যা গোলাম আহমদ তার বইয়ের এক জায়গায় লিখেছেন, সে দুই বছর পর্যন্ত মরিয়মিরূপে লালিতপালিত হয়েছিল। (হাকীকাতুল ওহী, বাংলা অনূদিত কপি পৃ-২৮৪ দেখুন)। এখন বিবি মরিয়ম আর মির্যা কাদিয়ানী কি একই সত্তা? অবশ্যই না। জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই জানা আছে যে, আক্ষরিক অর্থে ইসলামের প্রথম চারো খলীফাও خلفاء الراشدين المهديين ‘আল মাহদিয়্যীন’ [সুপথপ্রাপ্ত]। (তিরমিযী শরীফ, কিতাবুল ইলম হা/২৬৭৬)। একইভাবে নবীগণ সবাই ‘মাহদী’, এমনকি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-ও ‘মাহদী’। হয়ত মনে করতে পারেন যে, এগুলো আমার বানানো! না বন্ধু না, এগুলো মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজেই লিখে গেছেন (দেখুন, রূহানী খাযায়েন ১৪/৩৯৪)। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, ঈসা (আ.)-কে গুণগতভাবে ‘মাহদী’ সম্বোধন করা হলেও সমস্যা নেই। তাতে এ ধরনের গুণগত মাহদী আর হাদীসে বর্ণিত প্রতীক্ষিত ইমাম আল-মাহদী দুইজনকে একই ব্যক্তি বুঝাবেনা।
কাদিয়ানীবন্ধুদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, সহীহ মুসলিম শরীফের কিতাবুল ফিতান অংশে আছে, ঈসা (আ.) দুইজন ফেরেশতার দুই পাখার উপর হাত রেখে দামেস্কে অবতরণ করবেন (واضعا كفيه على اجنحة ملكين)। তারপর 'আবুদাউদ কিতাবুল মাহদী' অংশে আছে, ইমাম মাহদী রাসূল (সা.)-এর বংশে বিবি ফাতেমার সন্তানদের মধ্য থেকে হবেন (المهدي من عترتي من ولد فاطمة)। স্পষ্টত বুঝা যায় যে, দুইজন ভিন্ন ভিন্ন দুই ব্যক্তি। এরপরেও ولا المهدى الا عيسى ابن مريم আর ان يلقى عيسى بن مريم إماما مهديا দুটো খণ্ডাংশ হতে আপনারা কিভাবে এমন মর্মার্থ নিতে পারেন যা অগণিত সহীহ হাদীস ও ইজমায়ে উম্মাহা'র সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষার বিরুদ্ধে যায়।
সম্পূর্ণ লিখাটি আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন- Click
সহীহ হাদীসের আলোকে হযরত ইমাম মাহদীর পরিচয় Click
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
©somewhere in net ltd.