![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
জনৈক কাদিয়ানী কাল্ট-এর হাস্যকর কিছু কন্টেন্ট ও আমার পালটা কিছু প্রশ্ন,
▪️মাহদী অনেক কিন্তু ‘ইমাম আল মাহদী’ একজনই।
#আমার প্রশ্ন, এখন সেই ইমাম মাহদীটা যদি মির্যা কাদিয়ানী হয় তাহলে সহীহ ও মারফূ সূত্রে বর্ণিত মাহদী সংক্রান্ত হাদীসগুলো দিয়ে মির্যাকে ইমাম মাহদী প্রমাণ করতে পারেন না কেন?
▪️দুইজন ফেরেস্তার দুই ডানায় ঈসা (আ.) তাঁর দুই বাহু রেখে দামেস্কে নাযিল হবেন অর্থাৎ উনার সাথে স্বর্গীয় সাহায্য থাকবে।
#আমার প্রশ্ন, এইরকম (অপ)ব্যাখ্যা কোনো একজন বরেণ্য হাদীস বিশারদ আর যুগ ইমাম থেকেও কিজন্য প্রমাণ করতে পারেন না? যাইহোক, তাহলে দামেস্ক-এর কী রূপক ব্যাখ্যা দেবেন? যেহেতু ঈসা (আ.) নাযিল হবেন দামেস্কের (সিরিয়ায়) শ্বেত মিনারার সন্নিকটে। শ্বেত মিনারার-ও বা কী ব্যাখ্যা দেবেন? নাকি হাদীসটির অন্য সবকিছু রূপক, শুধুই শ্বেত মিনারাটাই বাস্তব? এগুলা যে সম্পূর্ণ ফাজলামি ব্যাখ্যা তা বুঝার আর কী বাকি!
উল্লেখ্য, হযরত কাতাদাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, الشام أرض المحشر و المنشر و بها يجتمع الناس رأسا واحدا و بها ينزل عيسى ابن مريم و بها يهلك الله المسيح الدجال অর্থাৎ শাম পুনরুত্থিত ও একত্রিত হবার ভূমি। মানুষ সেখানে (কেয়ামত দিবসে) সারিবদ্ধ হয়ে একত্রিত হবে এবং সেই ভূমিতেই ঈসা ইবনে মরিয়ম নাযিল হবেন এবং সেখানেই আল্লাহতালা (তাঁর মাধ্যমে) মসীহ দাজ্জালকে ধ্বংস করবেন। (তারিখে দামেস্ক, ইমাম ইবনে আসাকির খ-১/ পৃ-১৭০)।
বলে রাখা জরুরি, মুসলিম শরীফের হাদীসে شرقى دمشق দ্বারা দামেস্কের পূর্বপ্রান্তে বলে দামেস্ক ভিন্ন অন্য কোনো ভূখণ্ড উদ্দেশ্য নয়, বরং দামেস্কেরই প্রাচীনতম ভৌগোলিক পরিসীমার অন্তর্গত একই ভূমির পূর্বপ্রান্তে শ্বেত মিনারার সন্নিকটে ঈসা (আ.) অবতীর্ণ হবেন বলে বুঝানো হয়েছে, যা তারিখে দামেস্কের উল্লিখিত বর্ণনা (و بها ينزل عيسى ابن مريم) দ্বারাও পরিষ্কার ইংগিতবিশিষ্ট। সুতরাং কাদিয়ানীদের ব্যাখ্যামতে 'দামেস্কের পূর্বপ্রান্তে মানে দামেস্কের পূর্ব দিকের হিন্দুস্তান রাষ্ট্র উদ্দেশ্য নেয়া'- ইসলামী শিক্ষায় সুস্পষ্ট তাহরিফ বৈ কিছুই না।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত উমাইয়া মসজিদ বা দামেস্ক গ্র্যান্ড মসজিদ বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। উমাইয়া খলীফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিকের শাসনামলে ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। দীর্ঘ নয় বছরের পরিশ্রম শেষে ৭১৪ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে, সহীহ মুসলিমসহ অন্যান্য হাদিসগ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী কেয়ামতের আগে এখান থেকেই নবী হযরত ঈসা (আ.) পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। মসজিদটির দক্ষিন-পূর্ব, দক্ষিন-পশ্চিম কোণ এবং উত্তর দিকে মোট তিনটি মিনার রয়েছে। এরমধ্যে বাম দিকের মিনারটি منارة المسيح বা ‘যিশু মিনার’ (minarat of jesus) নামেও পরিচিত।
▪️আগমনকারী ইমাম মাহদী (আ.) দাদীর দিক থেকে ফাতেমা (রাঃ) বংশেরও।
#আমার প্রশ্ন, মির্যা কাদিয়ানী তাহলে তার আরেক রচনায় নিজেকে ফাতেমি হওয়া কিজন্য অস্বীকার করল? দেখুন, রূহানী খাযায়েন ২১/৩৫৬। আর আপনাদের 'আহমদ চরিত' বইতে তার বংশ মোগল বরলাস (তৈমুর লং-এর বংশধর) উল্লেখ আছে। (আরও দেখুন, হায়াতে তাইয়েবাহ পৃষ্ঠা নং ২)। এখন কোনটা সঠিক?
▪️মরিয়ম সিদ্দীকা ছিলেন, মরিয়ম থেকে নবীর জন্ম হয়েছে সেইভাবে মির্যা গোলাম আহমদ আ. দুই বছর সিদ্দিক থাকার পর নবী হয়েছেন।
#আমার প্রশ্ন, মির্যা কাদিয়ানী 'রূপক ঈসা' দাবী করেছেন। এমনকি রূপকভাবে প্রেগন্যান্ট হওয়ার দাবীদারও তিনি। এখন তার আরেক ভাষ্যমতে, আগামীতে আরও দশহাজারের চেয়েও অধিক মসীহ্ দুনিয়ায় আগমন করলে, তখন তারাও কি সবাই প্রেগন্যান্ট হবেন? (দেখুন, রূহানী খাযায়েন খণ্ড ৩ পৃষ্ঠা ২৫১)। খোদার সাথে কাশফি হালতে তাদেরও কি ইন্টারকোর্স হবে? (নাউযুবিল্লাহ); তারাও কি উম্মতিনবী হবেন? কবি বরাবরের মত এখানেও নিরব!
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
©somewhere in net ltd.