![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
আমার কিছু নিজেস্ব বুঝ! আমার বুঝের সাথে একমত হতেই হবে, এমন নয়। চলুন, ভুমিকা ছাড়াই লিখে ফেলি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
১ আল্লাহ সর্বত্র হাজির, তবে তা ইলম বা জ্ঞানের মাধ্যমে। কুরআন বলছে, তার কুরসি (ইলম-ইবনে আব্বাস/তাফসীরে বাগাভী) আসমান ও জমিনকে বেষ্টন করে আছে।
২ আল্লাহই একমাত্র গায়েব জান্তা। আল্লাহ ছাড়া যারাই গায়েবী বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছেন তারা হয়ত ওহীর মাধ্যমে, ইলহাম কিংবা কেরামতের মাধ্যমে। যেজন্য আক্ষরিক অর্থে তাকে 'গায়েব' বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে সেটিকে 'পারিভাষিক' অর্থে 'গায়েব' বলা হয় না।
৩ রাসূল (সা.) আল্লাহর 'নূর'। তিনি নূরে মুজাসসাম তথা সমগ্র শরীর মোবারক হিদায়াতের আলোয় আলোকিত। তিনি সেই অর্থেই 'নূর' বা হিদায়াতের মশাল, যে অর্থে পূর্বেকার সমস্ত নবী রাসূলকেও নূর বলা হয়। রাসূল (সা.)-কে আল্লাহ'র 'নূর' হিসেবে 'নূরুল্লাহ' বলে আমি সেই অর্থেই বিশ্বাস করি যে অর্থে আল্লাহ হযরত ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ'র "রূহ" বা রূহুল্লাহ বলেছেন। আর আল্লাহর সাথে নূর বা রূহ শব্দগুলোর নিসবত (সম্পর্ক) শুধুই শারাফাত বা সম্মানসূচক মাত্র। যদিও নির্বোধ বোকার দল 'নূর' আর 'নূরের সৃষ্টি' - দুটোকে গুলিয়ে ফেলে। অথচ 'নূরের সৃষ্টি' কথাটি সম্পূর্ণ আবেগ নির্ভর, এর সাথে দলীল এবং যুক্তির লেশমাত্র সম্পর্ক নেই। তাদের হয়ত জানা নেই যে, হেরা পর্বতকে 'জাবালে নূর'-ও বলা হয়। যার অর্থ 'নূরের পাহাড়'! এবার আপনি হয়ত হেরা পর্বতকেও 'নূরের সৃষ্টি' বলবেন! বলুন না!! দলীল আর যুক্তির বাহিরে আপনি যতই আবেগ দেখান, মনে রাখবেন এর কানাকড়িও মূল্য নেই। কেননা দ্বীন আবেগে চলেনা, চলে দলীলে।
৪ মীলাদুন্নবী নিয়েও বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। পারলে বুঝিয়ে দিন, না পারলে চুপ থাকুন। আমি প্রচলিত মীলাদুন্নবী পালনকে মুসলিম সংস্কৃতির অংশ হিসেবেই মুবাহ মনে করি, নাজায়েজ বা গুণাহ মনে করিনা। তবে হ্যাঁ, যাদের কনসেপ্ট আমা হতে ভিন্ন তাদের দায়িত্ব আমি নেব না। আমার সুস্পষ্ট অবস্থান, প্রচলিত মীলাদুন্নবী মুসলিম সংস্কৃতির অংশ হিসেবে 'বিদয়াত' বলে কখনো গণ্য হবেনা। কেননা 'বিদয়াত' এর সংজ্ঞা যাদের জানা তারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, আমার বক্তবে فوائد قيود তথা কন্ডিশনটা কী? আমি কিন্তু প্রচলিত 'খতমে বুখারী'-কেও ঐ একই দাঁড়িপাল্লায় রাখি আর একই কন্ডিশনে সেটিকেও 'বিদয়াত' বলিনা। তবে হ্যাঁ, প্রচলিত মীলাদুন্নবীকে আন-কন্ডিশনালি 'বিদয়াত' বলতে চাইলে তবে তো 'খতমে বুখারী' অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত কারোরই রক্ষা নেই, আমার আব্বা-হুজুর হলেও একই কথা!
৫ 'কদমবুসি' উস্তাদ, পিতামাতা, মুরুব্বী বা কোনো বুযূর্গের ক্ষেত্রে অবশ্যই জায়েজ (একদা ইহুদীদের একটি প্রতিনিধিদল রাসূল সা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন, তারা ঐ সাক্ষাতে ইসলাম কবুলও করেন। তারা রাসূল সা.-এর প্রতি ভক্তি প্রদর্শন স্বরূপ হাত এবং পা চুম্বন করেন ((فَقَبَّلُوا يَدَهُ وَرِجْلَهُ))-তিরমিজি-২৭৩৩/হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, ইমাম ইবনু মুলাক্কিন, ইমাম নববী)। তবে মাথা নোয়ানো যাবেনা। হাত দ্বারা কদম স্পর্শ করার পর সেই হাতে চুম্বন খাবে। এটি বড় ও বিশিষ্টজনদের প্রতি ভক্তি ও মুহাব্বত প্রদর্শনের জন্যই। আরব দেশে মুসাফিরকে বরণ করে কোপালে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ এখনো প্রচলিত। কিন্তু কথা হল, নিয়ম বহির্ভূত এর কোনোটাই শুদ্ধ নয়।
আমি আমার দীর্ঘ পড়াশোনা আর গবেষণার সারাংশ হতে লিখলাম। আল্লাহু আ'লাম। আমার ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরে দেবেন।
লিখক মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ
০১৬২৯৯৪১৭৭৩
#মিলাদ
©somewhere in net ltd.