![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
আহলুল হাদীস বা হাদীসবেত্তা টাইটেল চেয়েও উচ্চাঙ্গ সম্মাননা টাইটেল হচ্ছে "আহলুর রায়"!
উম্মতে মুহাম্মদীয়ার মধ্যে প্রথম "আহলুর রায়" ছিলেন ইয়েমেন শাসনকর্তা ও প্রিয় নবীর বিশিষ্ট সাহাবী হযরত মু'আয বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। যেমন দীর্ঘ একটি হাদীসের খণ্ডিতাংশের ভাষ্যমতে ((أَجْتَهِدُ رَأْيِي وَلاَ آلُو)) “মু'আয বিন জাবাল (রা.) রাসূল (সা.)-এর প্রশ্নের তৃতীয়বারের উত্তরে বললেন, “তাহলে আমি আমার 'রায়' দ্বারা ইজতিহাদ করবো এবং অলসতা করবো না।” (সুনানু আবী দাউদ, হাদীস নং ৩৫৯২, হাদীসের মান- সহীহ, ইবনু হিব্বান, ইবনু আদী, ইবনু আব্দিল বার, ইবনু তাইমিয়াহ, ইবনু কাইয়ুম প্রমুখ)।
'আহলুর রায়' (اهل الراى) বলতে বুঝানো হয় এমন বিদ্যাসাগর মনীষীকে যিনি শর'ঈ সমাধানের জন্য কুরআন সুন্নাহ এর পর তৃতীয় দলীল হিসেবে "কিয়াস" (জ্ঞানগর্ভ সালিশ/বিবেকগ্রাহ্য সলিউশন) এর নীতি গ্রহণ করে থাকেন। সম্ভবতঃ এ কারণেই ইমাম যাহাবী (রহ.) ইমাম আবুহানীফা (রহ.)-কে تذكرة الحفاظ কিতাবে "হাফিযুল হাদীস" বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং অসংখ্য মুহাদ্দিস 'ইমামে আ'যম'-ও টাইটেল দিয়ে গেছেন।
শেষকথা হল, 'আহলুল হাদীস' স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরবর্তী ধাপই হচ্ছে - আহলুর রায়। যিনি 'আহলুর রায়' নন তিনি মুজতাহিদ-ও নন। প্রত্যেক মুজতাহিদকেই সমাধানে পৌছার জন্য তৃতীয় ধাপ তথা "রায়" বা গবেষণার দিকে যেতেই হবে। বলাবাহুল্য, SSC ছাড়া যেমন HSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায়না, তেমনি আহলুল হাদীস বা "হাদীস বিশেষজ্ঞ" না হয়ে কেউই পরবর্তী ধাপ তথা "আহলুর রায়" (ফকীহ/প্রাজ্ঞ) মর্যাদা লাভ করতে পারেনা।
ফোকায়ে কেরামের গত ১৩শ বছরের ইতিহাসে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এর মত মহান মুহাদ্দিসের কোনো 'মানাকীব' গ্রন্থ রচনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই, কিন্তু ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)-ই একমাত্র শ্রেষ্ঠ ফকীহ ও হাফিযুল হাদীস, যাঁর প্রশংসায় কিতাব রচনা হয়েছে ডজনের অধিক। অবাক করার বিষয় হল, অধিকাংশ কিতাবই শাফেয়ী, মালেকী এবং হাম্বলী মাযহাবের প্রধান প্রধান ইমামগণ রচনা করেছেন।
আল্লাহু আকবর।
কিন্তু বিদ্বেষীদের এগুলো বুঝানোর সাধ্য আছে কার?
লিখক, মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম এ
©somewhere in net ltd.