নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মার্কেটার রাশেদ

মার্কেটার রাশেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন

১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৪

অনেকেই আছেন মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কিছু কাজ শেখা সম্ভব। কিন্তু মনে রাখবেন পিসি দিয়ে কাজ শিখার সাথে কখনো তুলনা হবেনা। কারণ অনেক কাজ আছে যা মোবাইল দিয়ে শিক্ষা গেলেও করা যায়না। কাজ শিখার সাথে সাথে কাজ অনুশীলন করতে পারলে তা একটা ভালো দিক ওই কাজে পারদর্শি হবার জন্য। তাই মোবাইলে কাজ শিখা গেলেও অনুশীলন করা যায়না।

তবে একটা কথা হচ্ছে বাস্তবতার কাছে আমরা অনেকেই পরাজিত যে কারণে পিসি কিনার সামর্থ হয়ে উঠেনা অনেকের। কিন্তু তারপরেও হার মানলে চলবেনা নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস থাকলে পিসি ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব। শুধু তাই নয় এমন কিছু কিছু প্রফেশনাল কাজ রয়েছে যা মোবাইল দিয়েই করা যায়। এই বিষয়টি নিয়ে একটু পরে বলছি তার আগে বলে নেই কিভাবে মোবাইল দিয়ে কাজ শিখবেন সে ব্যাপারে।

বিষয়টি একদম সহজ আপনি আগে ভাবুন আপনি কি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। মানে আপনার কোন ধরণের কাজ করতে ভালো লাগবে বা ইচ্ছে করে সেটা খুঁজে বের করুন। তারপরে সেই বিষয়টা নিয়ে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন ভিডিও দেখুন পাশাপাশি গুগল করে আর্টিকেল পড়ুন বেশি বেশি। এই ভাবে কয়েকটা মাস যেকোনো একটা টপিকের উপরে আপনার শিক্ষা চালিয়ে যান। আশা করছি আপনি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ!

এই শিক্ষাটা আপনি সম্পূর্ণ মোবাইল দিয়েই শিখতে পারবেন। বর্তমানে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্সডিজাইন, কোডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ প্রায় সকল ধরনের কাজেই শিখা সম্ভব। শুধু আপনার শিক্ষার প্রতি সদ-ইচ্ছে থাকতে হবে আর পরিশ্রমে করতে হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং পরিপূর্ন ভাবে শিখা কাজ করা একটি বড়ো চেলেন্স। আর আপনাকে সেই চেলেন্স টি কে নিতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ! কিছু টাকা হলে তখন ইচ্ছেমতো পিসি বিল্ড করে নিবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়?
সাবধান: অমুক এপপ্স দিয়ে আয় করুন তমুক সাইটে ক্লিক করে ভিডিও দেখেই আয় করুন এমন কোনো কিছুই বলবনা আমি কারণ এগুলো সম্পূর্ণ স্প্যাম। আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং এর এমন কিছু কিছু প্রফেশনাল কাজ রয়েছে যা মোবাইল দিয়েই করা যায়।

আমি কোরার মাধ্যমে একটা বিষয় লক্ষ করছিলাম এবং প্রশ্নটি পেয়েছি, “আমি কি শুধু আমার স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারি? কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?” এবং কিছু অন্যান্য অনুরূপ প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরগুলি ঠিক সহায়ক ছিল না, বেশিরভাগ লোকেরা তাদের প্রতারণামূলক স্কিমগুলি বিক্রি করার চেষ্টা করে এবং কেউ কেউ দাবি করে যে এটি অসম্ভব।

যে ব্যক্তি একটি স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে বেশ সৌভাগ্য অর্জন করেছেন, আমি মনে করি এটি কীভাবে করা যায় তা লোকেদের জানানোর জন্য যথেষ্ট হবে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের অনলাই ক্যারিয়ারের প্রথম সফলতাটা অর্জন করেছেন মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করে।

প্রথমত, আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে একটি পিসির মালিকানা নিঃসন্দেহে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার সেরা উপায়। কিন্তু আপনি যদি এখনও একটি পিসি বিল্ড না করতে পারেন তাহলে কি হবে?

চিন্তা করবেন না। আপনার দক্ষতা দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন এমন অনেক উপায় রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারেন। এমন কিছু কাজ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজ:
এটি ব্যবহারিকভাবে সবচেয়ে সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ যা আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে আপনার কাজ হল লোকেদের (ব্যক্তি এবং সংস্থা) তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পৃষ্ঠাগুলি পরিচালনা করতে, আরও ভাল সামগ্রী তৈরি করতে এবং তাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করা৷

আপনাকে শুধু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বুদ্ধিমান হতে হবে এবং জানতে হবে কিভাবে ফলোয়ার বাড়াতে, নাগাল বাড়াতে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যস্ততা বাড়াতে সাহায্য করতে হয়।

লেখক বা আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ:
আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে ক্লায়েন্টদের জন্য নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু, ইবুক ইত্যাদি লিখতে পারেন। আপনার যা দরকার তা হল একজন মহান গল্পকার, দ্রুত টাইপিস্ট এবং লিখতে কয়েকটি অ্যাপ।

সবচেয়ে ভালো দিক হল এই অ্যাপগুলির বেশিরভাগই বিনামূল্যে এবং Google Playstore এবং Apple Store থেকে ফ্রিতে পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্স লেখক হিসাবে আপনার যাত্রা শুরু করার জন্য এখানে কিছু দুর্দান্ত লেখার অ্যাপ রয়েছে: Google ডক্স, WPS অফিস, মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড।



ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট/সহকারীর কাজ:
ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে, আপনার কাজ হল প্রফেশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, প্রযুক্তিগত বা সৃজনশীল (সামাজিক) সহায়তা প্রদান করা। এর মধ্যে ফোন কলের উত্তর দেওয়া এবং ফোন করা, ইমেল পাঠানো, সামাজিক মিডিয়া ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি পরিচালনা করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

মূলত এই সমস্ত কাজ একটি মোবাইল ফোন দিয়ে অনায়াসেই করা যায়। সুতরাং, আপনি আপনিও করতে পারবেন শুধু লেগে থাকুন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার/ইলাস্ট্রেটর এর কাজ:
মোবাইলে ডিজাইন করার আশ্চর্যজনক বিষয় হল যে আপনাকে কোরেল ড্র এবং অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটরের মতো ডেস্কটপ অ্যাপগুলি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানতে হবে না। আপনি ক্যানভা, একটি ওয়েব ভিত্তিক এবং মোবাইল ডিজাইন অ্যাপ্লিকেশন। এই ক্যানভা অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে সুন্দর ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।

এই পোস্টে ব্যবহার করা সকল ডিজাইনগুলি আমি ক্যানভা ব্যবহার করে তৈরি করেছি। গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ইলাস্ট্রেটর হিসাবে আপনার মোবাইল ফোনে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু মোবাইল অ্যাপ এখানে রয়েছে। এগুলো গুগল প্লে স্টোরে অথবা অ্যাপল স্টোরে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

ক্যানভা
অ্যাডোব স্পার্ক
অ্যাডোবি ফটোশপ
অটোডেস্ক স্কেচবুক প্রো
অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর ড্র
ব্যক্তিগতভাবে, আমি আমার স্মার্টফোনে ডিজাইন করতে Autodesk Sketchbook Pro এবং Canva ব্যবহার করি। এই 2টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমি অতীতে অনেক ডিজাইন তৈরি করেছি এবং বর্তমানেও করছি। আপনিও শুরু করতে পারেন।

ক্যানভা নিয়ে দারুন-সব গ্রাফিক্সডিজাইন এর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে আমার ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে আসতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে “Marketer Rashed” লিখে সার্চ করুন।

অনলাইন টিউটর এর কাজ:

আপনি আপনার মোবাইল ফোনে অনলাইনে লোকেদের টিউটর করতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রটি জানুন, তারপর আপনার যে জ্ঞানটি রয়েছে সেই জ্ঞানের প্রয়োজন এমন লোকেদের খুঁজে বের করুন।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কোথায় স্টুডেন্টসদের খুঁজে পাবেন? টেনশন করার একদমি কোনো কারণ নেই কেননা প্রায় প্রতিটা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেই অনলাইন টিউটরদের জন্য আলাদা করে একটি ডেডিকেটেড ক্যাটাগরি রয়েছে। একটু ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন আশা করছি।

আপনার স্মার্টফোন দিয়ে, আপনি ভিডিও বা অডিওপাঠ এমনকি নিবন্ধ লিখতে এবং আপনার ছাত্রদের পাঠাতে পারেন। মেসেঞ্জার গ্রুপ, গুগল মীট, স্ক্যাপি, জুম, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করে ক্লাস নিতে পারেন।

ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করুন:
আপনি যদি ই-কমার্সে আগ্রহী হন তবে শিপিং কিন্তু স্টোর পরিচালনার চাপের মধ্য দিয়ে যেতে চান না, তবে এটি একটি ভালো বিকল্প আপনার জন্য। আপনি Etsy, Shopify, Shutterstock বা Squarespace-এ একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারেন। যেখানে আপনি শুধুমাত্র ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন এমন কিছু ডিজিটাল পণ্যর মধ্যে রয়েছে:

কাস্টম চিত্র: ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সার এবং অন্যান্য ডিজাইনারদের দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে এমন চিত্র বা ডিজাইন তৈরি করুন তারপর সেগুলি Shutterstock বা Adobe Stock এ বিক্রি করুন৷

ছবি: আপনার আশেপাশের, বস্তু বা এমনকি নিজের থেকে উচ্চমানের ছবি তুলুন এবং সেগুলি Shutterstock বা Adobe Stock এ বিক্রি করুন৷

ফর্ম: আপনি কি বিক্রি করবেন সে সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলে, আপনি Formplus-এ ফর্ম তৈরি করতে পারেন, ডাউনলোড করতে পারেন এবং Etsy-তে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লোকেদের অনলাইন সমীক্ষা তৈরি করতে, ডেটা সংগ্রহ করতে এবং ফর্মপ্লাসে তাদের বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করতে পারেন।

ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করা:
বর্তমানে ইউটিউবিং খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যেন পান্তাভাতে ঘি হয়ে গেছে। তবে এই কাজটা মোটেও কোনো সহজ বিষয় নয়। এর জন্য আপনাকে অনেক সময় এবং পরিশ্রম দিতে হবে। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরী করতে পারেন এবং তা নিয়মিত আপলোড করার মাধ্যমে আপনার ইউটিবিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। এটি একটি প্রোফেশনাল কাজ তাই ইউটিউবে এই বিষয় নিয়ে প্রচুর ভিডিও দেখে আপনাকে কাজটাকে ভালোভাবে শিখে নিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.