![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাপাকীর বিবরণ
নাজাস (নাপাক) দুই প্রকারঃ-
১. নাজাসাতে গলিজা এবং
২. নাজাসাতে খফিফা।
নাজাসাতে গলিজা (বেশী নাপাক):
যে সকল বস্তু মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে গেলে অজু নষ্ট হয় অথবা
গোসল ফরজ হয়, ঐ সকল বস্তু নাজাসাতে গলিজা। যেমন- পায়খানা, প্রস্রাব,
মনি, মজি, পূঁজ এবং মুখভর্তি বমি। হায়েজ, নেফাস এবং এস্তেহাযার রক্তও
নাজাসাতে গলিজা। শিশু, বালক-বালিকা যে বয়সেরই হোক তাদের প্রস্রাবও
নাজাসাতে গলিজার মধ্যে গণ্য।
শরাব, প্রবাহিত রক্ত, মৃতজন্তু, যে সকল জন্তুর গোশ্ত হালাল নয়- তাদের
প্রস্রাব, লাদ, গোবর, কুকুরের মল, হাঁস মোরগের পায়খানাও নাজাসাতে গলিজার
অন্তর্ভুক্ত। হিংস্র জানোয়ার, বিড়াল এবং ইঁদুরের পায়খানাও তাই।
নাজাসাতে খফিফা (কম নাপাক)ঃ
ঘোড়ার প্রস্র্রাব এবং যে সকল পশুর গোশত্ হালাল যেমন- গরু, ছাগল, উট
ইত্যাদির প্রস্রাব নাজাসাতে খফিফা। যে সকল পাখির গোশত্ হারাম যেমন-
বাজ, চিল ইত্যাদির মলও নাজাসাতে খফিফা।
নাজাসাতে গলিজা এক দেরহাম পরিমাণ অপেক্ষা বেশী লাগলে শরীর অথবা
কাপড় নাপাক হয়ে যায়। হাতের তালু সোজা করে পানি নিলে যতটুকু পানি
তালুতে আটকে যায়- পানির ততটুকু আয়তনকে এক দেরহাম ধরা হয়। নাপাকি
জমাট হলে দেরহামের ওজন এবং তরল হলে দেরহামের আয়তন ধর্তব্য।
নাজাসাতে খফিফা কাপড়ের চার ভাগের একভাগ অর্থাৎ একভাগের অধিক
জায়গা জুড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয়ে যায়। শরীরের কোনো অঙ্গের চারভাগের
একভাগ বা একভাগের বেশী জায়গায় লাগলে শরীরও নাপাক হয়ে যায়।
পাক নাপাক সম্পর্কে আরো কিছু নিয়ম-কানুন জেনে রাখা প্রয়োজন।
যেমনঃ-
১. পানির সঙ্গে কোনো নাপাক বস্তু মিশে যদি পানির রং,গন্ধ এবং স্বাদ এই
তিনটি গুণই নষ্ট হয়ে যায়- তবে সেই পানি ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এরকম
পানি গৃহপালিত পশুকে পান করানো এবং মাটি অথবা চুন শুরকিতে মিশিয়ে গৃহ
নির্মাণের কাজ করানো দুরস্ত (ঠিক) নয়। আর যদি পানির যে কোনো একটি বা
দুইটি গুণ নষ্ট হয়ে যায়, তবে সেই পানি পশুকে পান করানো এবং গৃহ নির্মাণের
কাজে ব্যবহার করা জায়েজ (বৈধ)। কিন্তু এরকম পানি মিশ্রিত মাটি বা কাদার
দ্বারা মসজিদ নির্মাণ বা লেপন দুরস্ত নয়।
২. বৃষ্টির সময় রাস্তাঘাটে বা বাজারে চলতে গেলে যে পানি বা কাদার ছিটা
শরীরে ও কাপড়ে লাগে তাকে নাপাক ধরা হয় না। যদি সেই পানি বা কাদার
ছিটার মধ্যে কোনো নাপাকি স্পষ্ট দৃষ্টিগোচর হয়, তবে তো শরীর বা কাপড়
নাপাক হবেই।
৩. সব নাপাকই হারাম। কিন্তু সব পাক বস্তু হালাল নয় বা সকল হারামও পাক নয়।
৪. যে সকল পাখির গোশত্ হালাল, তাদের মল পাক। যেমন- কবুতর, চড়াই ইত্যাদি।
৫. মশা, মাছি এবং ছারপোকার রক্ত পাক। যদিও তা পরিমাণে অনেক হয়।
৬. যদি নাপাক তেল এক দেরহামের কম পরিমাণ কাপড়ে পড়ে এবং পরে
তা এক দেরহামের বেশী স্থান জুড়ে বিস্তৃত হয়ে পড়ে, তখন আর ঐ কাপড় পরে
নামাজ হয় না।
৭. ভেজা নাপাক কাপড়ের সঙ্গে শুকনা পাক কাপড় জড়িয়ে রাখলে পাক
কাপড়টি যতক্ষণ না এরকম ভিজে যায় যাতে নিংড়ালে পানির ফোটা পড়ে না, এরকম অবস্থায় পাক কাপড়টি পাকই থাকবে। এর বেশী হলে নাপাক হয়ে যাবে।
৮. যদি শুকনা পা ভেজা নাপাক কাপড়ের উপরে রাখলে পা ভিজে যায় তবে,
পা নাপাক হয়ে যাবে।
৯. দুর্গন্ধ বাতাস ভেজা পাক কাপড়ে লাগলে, কাপড় থেকে যদি নাপাকির
গন্ধ বের হতে থাকে, তবে ঐ কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
১০. নাজাসাত থেকে যে বাষ্প ওঠে তা পাক। ফলের মধ্যে যে পোকা জন্মে
তা নাপাক নয়। কিন্তু ফলের সঙ্গে ঐ সকল পোকা খাওয়া জায়েজ নয়।
১১. ঘুমের সময় মানুষের মুখ থেকে যে লালা নির্গত হয়, তা নাপাক নয়।
১২. খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেলেও তা নাপাক হয় না।
১৩. যে পানি দ্বারা নাপাক জিনিস ধোয়া হয়, সে পানি নাপাক।
১৪. যে পানিতে মৃত মানুষকে গোসল করানো হয় তা নাপাক।
১৫. মৃত ব্যক্তির মুখের লালা নাপাক।
১৬. যে পানি অজুর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, সেই পানি পান করা, খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা, কিংবা অজু গোসল করা দুরস্ত নয়। তবে ঐ পানি দিয়ে কোনো নাপাক জিনিস ধোয়া যায়।
১৭. নাপাক তেল বা চর্বি দ্বারা তৈরী সাবান পাক।
১৮. শরীরে, কাপড়ে, চুলে বা দাড়িতে যদি নাপাক রং লাগে, তবে তা ধুয়ে
ফেলতে হবে। যখন রংহীন সাদা পানি বের হবে, তখন শরীর, কাপড়, চুল, দাড়ি
পাক হয়ে যাবে, যদিও রংয়ের চিহ্ন দূর না হয়।
১৯. নাপাক তেল, চর্বি বা ঘি যদি কোনো বস্তুতে লাগে এবং তা ধুয়ে ফেলার
পর যখন পরিষ্কার পানি বের হতে থাকে, তখন তাকে পাক ধরতে হবে যদিও
তাতে তৈলাক্ত ভাব অবশিষ্ট থাকে।
২০. মুরগী বা হালাল কোনো জীব জবেহ্ করে পেট সাফ করার আগেই যদি
গরম পানিতে সিদ্ধ করা হয়, তবে তা নাপাক ও হারাম হয়ে যায়। তা পাক করার
আর কোনো উপায়ই তখন অবশিষ্ট থাকে না।
২১. পানিতে নাজাসাত পড়লে সে পানিও নাপাক হয়ে যায়। নাজাসাত বেশী
হোক বা কম হোক। যদি স্রোতের পানি হয় এবং সে পানিতে নাজাসাত পড়ার
কারণে যদি পানির বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ পরিবর্তিত না হয় তবে পানি নাপাক হয় না।
আর বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে গেলে সে পানির দ্বারা অজু গোসল দুরস্ত হয় না।
যে পানি প্রবাহ ঘাস-লতা-পাতা ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাকে স্রোতের পানি
বলে।
২২. কমপক্ষে ১০০ বর্গহাত আয়তন বিশিষ্ট কোনো হাউজ বা পুকুরের
গভীরতা যদি এরকম হয় যে, তা থেকে আঁজলা ভরে পানি তুলতে গেলে পানির
নীচের মাটি দৃষ্টিগোচর হয় না- সে হাউজ বা পুকুরও স্রোতের পানি হিসাবে গণ্য।
এরকম হাউজ বা পুকুরের পানির বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ নাপাকি পড়ার কারণে নষ্ট হয়ে
গেলে সে পানিতেও অজু গোসল দুরস্ত হয় না।
২৩. উপরোক্ত আয়তন বিশিষ্ট অথবা তদপেক্ষা বড় হাউজ বা পুকুরের
পানিতে অজুর ব্যবহৃত পানি পড়লেও পানি নাপাক হিসাবে গণ্য হয় না।
২৪. মশা, মাছি, বোলতা, ভীমরুল ইত্যাদি যে সকল প্রাণীর মধ্যে প্রবহমান
রক্ত নাই, সে সকল প্রাণী পানিতে মরে পড়ে থাকলে অথবা বাহিরে মরে পানিতে
এসে পড়লে পানি নাপাক হয় না।
২৫. পানিতেই যে সকল প্রাণীর জন্ম, সে সকল প্রাণী পানিতে মরে পড়ে
থাকলে পানি নাপাক হয় না। যেমন- মাছ, ব্যাঙ, কচ্ছপ, কাঁকড়া ইত্যাদি।
২৬. ব্যাঙ বা কচ্ছপ পানিতে মরে যদি পঁচে গলে পানির সাথে মিশেও যায়,
তবুও পানি নাপাক হয় না। তবে এরকম পানি পান করা দুরস্ত নয়। কিন্তু অজু
গোসল করাতে কোনো দোষ নেই।
২৭. শুকরের চামড়া কোনো অবস্থাতেই পাক নয়। অন্যান্য জন্তুর চামড়া
পাকা করলে পাক হিসাবে গণ্য হয়।
২৮. শুকর ছাড়া অন্যান্য মৃত জন্তুর শিং, হাড় ও দাঁত পাক। মানুষের হাড় ও
চুল পাক।
২৯. বেদ্বীন হোক, ঋতুবতী, নেফাসওয়ালী বা যে কোনো নাপাক মানুষ
হোক সব রকম মানুষের ঝুটা পাক। তাদের ঘামও পাক। তবে মুখে বা শরীরে
যদি অন্য কোনো নাপাকি লেগে থাকে তবে তাদের ঝুটা নাপাক হয়ে যায়।
৩০. যে সকল জন্তুর ঝুটা নাপাক, তাদের ঘামও নাপাক। যাদের ঝুটা পাক,
তাদের ঘামও পাক। যাদের ঝুটা মাকরূহ, তাদের ঘামও মাকরূহ।
৩১. কুকুরের ঝুটা নাপাক। কুকুর কোনো পাত্রে মুখ দিলে তা নাপাক হয়ে
যায়। ঐ পাত্র তিনবার ধুয়ে নিলে পাক হয়ে যায়। কিন্তু সাতবার ধোয়া ভালো।
একবার মাটি দিয়ে মেজে ফেলা আরো বেশী ভালো।
৩২. শুকরের ঝুটা নাপাক। বাঘ, চিতাবাঘ, বানর, শৃগাল ইত্যাদি হিংস্র জন্তুর
ঝুটা নাপাক।
৩৩. বিড়ালের ঝুটা পাক। কিন্তু মাকরূহ।
৩৪. যে মুরগীকে বেঁধে রাখা হয়, তার ঝুটা পাক। যে মুরগী এদিক ওদিক ঘুরে এটা ওটা খেয়ে বেড়ায়, তার ঝুটা মাকরূহ।
৩৫. হালাল পশু, যেমন- ভেড়া, বকরী, গরু, মহিষ, হরিণ ইত্যাদি এবং
হালাল পাখি যেমন- ময়না, তোতা, ঘুঘু, চড়–ই ইত্যাদি প্রাণীর ঝুটা পাক। ঘোড়ার
ঝুটাও পাক।
৩৬. সাপ, বিচ্ছু, ইঁদুর, টিকটিকি এসবের ঝুটা মাকরূহ।
৩৭. ইঁদুর রুটির কিছু অংশ খেয়ে ফেললে সেইদিক থেকে কিছু অংশ ছিঁড়ে
ফেলে দিয়ে অবশিষ্ট অংশ খাওয়া যায়।
৩৮. মেয়েদের জন্য নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের ঝুটা খাদ্য
অথবা পানি খাওয়া মাকরূহ। একইভাবে পুরুষের জন্য নিজ স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো
স্ত্রীলোকের ঝুটা খাওয়া মাকরূহ। না জেনে খেলে মাকরূহ নয়।
৩৯. বিছানার এক অংশ নাপাক থাকলে অপর অংশের উপর নামাজ পড়া যায়।
৪০. শুধুমাত্র সন্দেহের কারণে পাক জিনিস নাপাক হয় না।
৪১. সূচের অগ্রভাগের পরিমাণ প্রস্রাবের ছিটা নাপাক নয়।
আল্লাহ আমাদের নাপাকী থেকে বাচিয়ে রাখুন।
আমিন।
২| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
সত্যান্বেষী বলেছেন: বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখন পিছে,
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজি হাদিস ফেকাহ্ চষে।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
}নবজাতক{ বলেছেন: অনেক ডিটেইলস্ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সবার কাজে লাগে। তবে কয়েকটি পয়েন্টকে অন্যরকম বা পক্ষপাতিত্ত্ব করা হয়েছে বলে মনে করছি।
#৪ যতদূর জানি প্রত্যেক প্রকার মল নোংরা। মল পাক হয় কেমন করে?
#৫ আরব দেরহাম বাদ দিয়ে আধুনিক কোন একক করা উচিত। আন্তর্জাতিক বা বাংলাভাষীদের সুবিধা অনুযায়ী যে কোন।
#১২ দূর্গন্ধযুক্ত খাবার কি স্বাস্থসম্মত? এটা কি আরবদেশের কড়া আবহাওয়ার না বাংলাদেশের স্যাঁতসেতে আবহাওয়ার জন্য প্রযোজ্য?
#২৭ শূয়োর কি আল্লাহর তৈরী প্রাণী না?
#৩৫ বাংলাদেশ ঘোড়ার চেয়ে হাতীর জন্য প্রসিদ্ধ। কৈ হাতীর ব্যাপারে কিছু বলা নেই কেন? নাকি আইনকারকেরা হাতীর ব্যাপারে অজ্ঞ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৫৮
নকীবুল বারী বলেছেন: দুইন্নাই নাপাক ................
৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
কলুর বলদ বলেছেন: ইয়াল্লা ! এত নিয়ম মাইনা পাক থাকতে গেলেতো বিছানার উপর পা গুটাইয়া বইসা থাকা ছাড়া উপায় নাই!!
৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৩৫
েক আিম বলেছেন: @ সত্যান্বেষী: জানতে পারি কি এই লেখাটার সাথে পিছিয়ে পড়ার সম্পর্ক টা কি??
আর বিবি তালাকে আদালতে যেতে পারলে কোরআন আর হাদিসে দোষ টা কই?? আপনি তো লেখার প্রখম দু লাইন দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন এটা আপনার লাইনের রা: তা হলে ঢুকলেন কেন?? বেশী আধূনিক প্রমানের জন্য??
@লেখক ধন্যবাদ পূর্নাঙ্গ বিবরন দেয়াতে।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:১০
ইতর পোলা বলেছেন: কে আমি ভাই এর সাথে আমি ও এক মত
@লেখক ধন্যবাদ পূর্নাঙ্গ বিবরন দেয়াতে।
লেখক সব কিছু বলেল ই তো । । ।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:২১
মোনাবেস্ট বলেছেন: আমি ও একমত কে আমি ভাই এর সাথে আর লেখক কে ধন্যবাদ
৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:৩৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: @লেখক, এ ধরনের পোস্ট প্রথম পাতায় আপত্তিকর। "সত্যেন্বেষী"র মত সুযোগ সন্ধানী ছদ্মবেশী অমুসলিম ব্লগারদের হাসি-তামাশা-বিরক্তির কারণ যোগানোর মানে হয়না। ভুল বশত আমরা হয়ত তাদের নাস্তিক বলে গালি দিই, অথচ তিনি পরধর্মের লোক হতে পারেন সেটা ভাবনায় আনিনা। কারণ ধরে নিই নিকের আড়ালের লোকটি সংখ্যাগুরুদের কেউ একজন, স্বধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, ন্যায্য অধিকার নিয়ে ।অথচ প্রায়শই এটা পরমতসহিষ্ণুতার অভাব।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:৫৫
অলস ছেলে বলেছেন: লেখক কে ধন্যবাদ।
সাঈফ শেরিফ: ভাই, এখন ইসলাম নিয়ে কথা বলতে হলেও লজ্জা পেতে হবে নাকি? রাসুল সা: যখন মক্কায় ইসলাম প্রচার শুরু করেছিলেন তখন বছরের পর বছর অনেক ঠাট্টা তামাশা বিদ্রুপের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাস্তাঘাটে পেছনে পেছনে ছেলে ছোকরার দল হাটতো আর হৈ হুল্লোড় করতো, তাঁর আপন চাচা আবু জেহেল হজ্বের দিনগুলোতে তাঁর পেছনে হাটতো আর চিৎকার করে বলতো, আমার ভাতিজা একটা পাগল। তাতে রাসুল সা: এর মর্যাদা বিন্দুমাত্র কমেছে?
একজন ভালো মুসলিমের কাজ, ইসলামের কথা বলে যাওয়া, যেটুকু যোগ্যতা আছে তা নিয়েই। এবং আরো যেন মানসম্পন্ন হয় তার চেষ্টাও নিরন্তর করে যাওয়া।
হাসানুল বান্না কফিশপে গিয়ে বক্তব্য দিতেন, এবং তাই তিনি হাসানুল বান্না ছিলেন। এটা ঠিক, হতে পারে বাংলা ভাষায় আমাদের ইসলাম উপস্থাপনা হাস্যকর, অনাধুনিক; কিন্তু ইসলাম নিজেই কখনো হাস্যকর না। সামহোয়ার গালাগালির খোঁয়ার হোক, বা মিলাদ মাহফিল হোক, ইসলাম সবসময়ই প্রজ্ঞার সাথে প্রাসঙ্গিক। দরকার হলে, ইসলামকে বুঝানোর জন্য, মানুষের হাতে মানুষের দাসত্বের প্রতিকার করার জন্য পতিতালয়ে গিয়েও ইসলামের কথা বলতে হবে।
-----------------------------------------
লেখককে বলবো, এখানে গালি বা ঠাট্টার ভয়, ব্যস্ততা অথবা অন্য অনেক বাস্তব কারণেই ইসলাম নিয়ে কথা বলার লোক অপ্রতুল। তাতে কি? আপনি যে প্রসঙ্গে লিখেছেন, নজরুল সে প্রসঙ্গে সত্যান্বেষী'র কোট করা কবিতা নিশ্চয়ই বলেননি।
এইধরণের নিম্নমানসিকতার লোক সবসময় সবখানে ছিল, থাকবে। বরং এ প্রসঙ্গে সাঈদ শেরিফ যা বলেছেন, সামহোয়ারে অনেকসময় তা সত্যই ছিল।
কি পবিত্র আর কি অপবিত্র তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমদের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ থাকবে। হালাল হারাম বাছাই করে চলা যেমনিভাবে প্রাত্যাহিক জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, নাজাসাত/অপবিত্রতার সমস্ত প্রকার জানাটাও ইবাদত এবং ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতার জন্য দরকারী। এর প্রাথমিক বোধটুকু থাকলেও সাধারণ মানুষ পরের কথা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররাও চেইন খুলে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে যেতনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:০৮
অলস ছেলে বলেছেন: আর একটা কথা, কিছু মানুষ কেন, যদি একশজন ব্লগারও আপনাকে এখানে এসে গালাগালি করে যায়, ছাগু ডাকে, কঠিন হিউমারাস কমেন্ট দিয়ে আপনাকে হেয় করে; তাতে আপনার কি এসে যায়?
বরং পূর্ণবিশ্বাসী মুসলিম হলে, এটা জেনে রাখেন, মনখারাপ করার উপলক্ষ হতে পারা এই সব মন্তব্য আপনার জন্য সত্যিকার অর্থে সওয়াবের উপলক্ষ। শেষপর্যন্ত প্রতিদান দেবেন আল্লাহ।
আমাদের খুব বেশি করে উচিত, ইসলামকে এখন আরো বেশি বেশি জানা, মধ্যপন্থী ইসলামের সঠিক রুপ বুঝা। সবাই এখন মনে করে ইসলাম হলো জেএমবি।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:১২
ঘনাদা বলেছেন: এইধরনের নাপাক পোস্ট পড়ে গা ঘিন ঘিন করছে!!
থাবড় সহযোগে মাইনাস!
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:২০
মনজুরুল হক বলেছেন:
সত্যান্বেষী মোটেই খারাপ কিছু বলেন নি। @সাঈফ শেরিফ।
আপনি বলেছেন:" @লেখক, এ ধরনের পোস্ট প্রথম পাতায় আপত্তিকর। "সত্যেন্বেষী"র মত সুযোগ সন্ধানী ছদ্মবেশী অমুসলিম ব্লগারদের হাসি-তামাশা-বিরক্তির কারণ যোগানোর মানে হয়না। ভুল বশত আমরা হয়ত তাদের নাস্তিক বলে গালি দিই, অথচ তিনি পরধর্মের লোক হতে পারেন সেটা ভাবনায় আনিনা।"
এই যে একজন মানুষকে আপনি " সুযোগ সন্ধানী ছদ্মবেশী অমুসলিম ব্লগার" বললেন, এর পেছনে আপনার তদন্ত প্রতিবেদন আছে কি? যদি তিনি অমুসলিম ব্লগার হনও তাতে সমস্যা কোথায়? ব্লগের কোথায় লেখা আছে যে অমুসলিমরা মুসলিমদের পোস্টে আসা মানে "সুযোসন্ধানকারী" হয়ে যাবেন?
যদি বলি এই ধরণের পোস্টই দেওয়া উচিৎ না, কেননা এটা ব্লগ, কোন মক্তব নয়, তাহলে?
সাঈফ শেরিফ।আপনার প্রফাইলের লেখাটা কিন্তু চিন্তাগ্রহী। কিন্তু যা বললেন তা সত্যান্বেষীর কথাকেই সাপোর্ট করল।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:২৪
অলস ছেলে বলেছেন: ঘনাদা, আপনারে মমি করে রাখতে চাই। আপনার স্বাভাবিক মৃত্যুর পর। যুগযুগান্তরের মানুষ দেখবে, মানুষের সুরতে আযাযিল মানুষের মাঝে আসে, তার একটা নমুনা।
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৭:৫৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: @ মন্জুরুল, ধর্মগত নীতিমালা আমি জনসম্মুখে এভাবে প্রচারের বিপক্ষে বিধায় লেখকের কাছে আপত্তি জানালাম। তাই বলে আমার ব্যক্তি জীবনে আমি হালাল-হারাম সন্ধান বন্ধ করে দিব দু চার জনের কবিতার লাইন ধরে, সেটা তো ব্যক্তি স্বাধীনতা পরিপন্থী, তাই না? কারণ এসবই বিশ্বাসীদের জীবনাচারের অনুষঙ্গ, এসব পালনে বিশ্বাসীরা শত যুগ পিছিয়ে পড়বে, এমন ধারনাটাও অমূলক। প্রগতিশীল হবার পূর্ব শর্ত হিসেবে যদি ব্যক্তি বিশ্বাস-জীবনাচার রাস্তায় ফেলে আসতে হয়, আমি অ-প্রগতিশীল থেকেই দেশ মানুষের সেবা করতে পারব আশা রাখি।
"যদি তিনি অমুসলিম ব্লগার হনও তাতে সমস্যা কোথায়?"
কোনও সমস্যা নেই ভাই। পরধর্মের বিশ্বাস আচার, দেব দেবী, পুথি-পুরান নিয়ে কটাক্ষ করাটা আমি অনধিকার চর্চা মনে করি। ছদ্ম নিকধারীরা যখন অযাচিত ভাবে নবীর চরিত্রকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে তখন একটা জোর সাম্প্রদায়িক প্রচেষ্টার গন্ধ পাই। লেখকের এ ধরনের পোস্ট তাতে কিছুটা উষ্কানি হয়ত দেয়, এবং বিরুদ্ধবাদীরাও সুযোগ সন্ধানে থাকে। যদি পরমত (নিরাপরাধ) সহিষ্ণুতা অভাব থাকে, মাইনাস দিয়ে, ব্লগে প্রবেশ করে পোস্ট পড়লে খারাপ কিছু হবেনা। কিন্তু উৎটকো মন্তব্য করে বসাটা অবশ্যই সমীচীন নয়।
১৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
েক আিম বলেছেন: বাহ বাহ বাহ: কি সুন্দর: ধর্মের কথা বলা যাবে না কেন?? কি প্রবলেম??
সাঈফ: এখানে তো সংখ্যাগুরু বা লঘুর প্রশ্ন নয়: আমি একজন ব্লগার হিসেবে এখানে ধর্ম আলোচনাও তো আশা করতে পারি: জানতে পারি আমার এই অধিকার ঠিক কোন নিয়মে নিষিদ্ধ করা হবে??
এই পোষ্ট তো কোন ধর্মানুভব বা কারো সামাজিক অনুভবে আঘাত করে নি।
আরিফ এর কথা বাদ: সে যে ফ্যানাটিক আর লুনেটিক তাতে কারো সন্দেহ নাই: সে কখনোই নাস্তিক না: নাস্তিক হতে হলে অনেক যুক্তি (ভুর বা ঠিক সেটা অন্য বিষয়) সম্পন্ন হতে হয়: সমাজ, পরিবার আর মানবের অভ্যাস এর বাইরে যাওয়া এতো সহজ কাজ না। ওর গু লাগাইয়া চলতে আনন্দ হয়: যেমন সত্যান্বেষীর গু লাগাইয়া হাটা রে আগাইয়া যাওয়া মনে হয়।
এই ব্লগ সব ধর্মীয় আর অধার্মীক ফ্যাটিক আর লুনেটিক দের থাবড়ার উপর রাখা দরকার।
১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৩০
ভালো-মানুষ বলেছেন:
৪১. সূচের অগ্রভাগের পরিমাণ প্রস্রাবের ছিটা নাপাক নয়।
মাশা আল্লাহ! এই পুস্টে মাইনাস সহকারে সেই পরিমান পাক-জিনিস রাইখা গেলাম
১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৪৬
নাজনীন১ বলেছেন: @ লেখক, ভাই আপনি সোর্স উল্লেখ করে দিলে ভাল হয়। তাহলে কারো যদি কোন পয়েন্টে খটকা লাগে, তিনি সেটা দেখে নিতে পারবেন।
আপনার আগের পোস্টগুলোও পড়েছি। এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।
আল্লাহ আপনার ভাল করুন। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩
আসল-ট্র্যাপ বলেছেন: পিলাস