![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামে নারী ও পুরুষের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভূমিকায় বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। যারা নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবি করবে, তাদের উপর ইসলামের মৌলিক নিয়মগুলো আবশ্যিকভাবে বর্তাবে। ইসলামের কোন মৌলিক আইন বাতিল হয় না, ক্ষেত্রে বিশেষে উহ্য থাকতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসকেরা আইনের ক্ষেত্রে নবী (সা.) এর বিধান অনুসরণ করতেন। দ্বীন যারা, আইন তার। আর এ কারণে হিন্দুদের সতীদাহ প্রথা কোন মুসলিম শাসক বাতিল করেননি, বাতিল করেছে ব্রিটিশরা।
রাষ্ট্রের মধ্যে শরীয়াহ কার্যকরের বিভিন্ন দিক ও প্রতিক্রিয়া আছে। রাষ্ট্র খিলাফা কাঠামোর বাইরে থাকলে জনগণের মৌলিক বিধানগুলো রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে থাকা আবশ্যক, এই আবশ্যকতা স্বাধীন ভারতও অস্বীকার করতে পারেনি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তো দূরের বিষয়।
বাংলাদেশে হিন্দু আইনে পিতার জমির ভাগ কন্যারা পান না, মুসলিম কন্যারা পান পুত্রের অর্ধেক। আবার স্বামী সম্পত্তিতে নারীর নির্দিষ্ট ভাগ রয়েছে। এই আইন আকাশ থেকে আসেনি, এসেছে কুরআন থেকে। শরীয়াহ এর আইনে কোন নারীকে কখনও একা রাখা হয়নি। বিয়ের আগে পিতা, বিয়ের পর স্বামী হলো নারী জিম্মাদার। যে নারীর স্বামী কিংবা পিতা নেই, তার বড় পুত্র অথবা বড় ভাইয়ের উপরে জিম্মাদারি চলে যাবে। আবার যার কেউ নেই, তার ভার রাষ্ট্রের বহন করতে হবে।
পৃথিবীতে নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মানার্থে এর বিপরীতে আজ পর্যন্ত কোন আইন তৈরি হয়নি। বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে যতটুকু ইসলামী আইন কার্যকর আছে, কোন শাসক সেখানে আজ পর্যন্ত হাত দেওয়ার সাহস করেনি।
বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের কেউ যৌনকর্মী হওয়াকে লেজিটিমেট পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, নিরুৎসাহিত করে।
অমুসলিম, নাস্তিক হলে তাদের বিষয় ভিন্ন, কিন্তু যে বা যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করবে, তাদের মৌলিক ইসলামের বিপরীতে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোন অমুসলিম কিংবা নাস্তিক ধর্মীয় মৌলিক আইনের পরিবর্তন করতে আসলে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া আবশ্যক। যেহেতু আমরা বিশৃঙ্খলা পছন্দ করি না, আল্লাহ বিশৃঙ্খলা পছন্দ করেন না, তাই এই তথাকথিত নারীবাদীদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা মামলা করা বা পদক্ষেপ নেওয়া ফরজে কিফায়া।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৩:৪৪
মারুফ তারেক বলেছেন: সংবিধান আবার পইড়েন, বিসমিল্লাহ্ বাদ দেওয়া নিয়া তো কম আন্দোলন করলেন না।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৩:৫২
মারুফ তারেক বলেছেন: নীচের এসব সুপারিশ কেবল তারাই করতে পারে যাদের ঈমান নেই, যারা বেঈমান, যারা মুশরিক, যারা মুরতাদ। এদের চিহ্নিত করে রাখুন।
নীচের এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের চিন্তা কেবল তারাই করতে পারে যাদের ঈমান নেই, যারা বেঈমান, যারা মুশরিক, যারা মুরতাদ। যারা এটা করতে চাইবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
————
নারী কমিশনের কয়েকটি ইসলাম বিরোধী সুপারিশ
ক) মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করে নারীপুরুষকে সমান সম্পদ প্রদান। (পৃষ্ঠা, ২৫)
খ) সকল ধর্ম-মতের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন। (পৃষ্ঠা, ৯) অর্থাৎ, হিন্দু-মুসলিম-খৃস্টান সবাইকে পারিবারিক বিষয়ে ‘আইনগতভাবে ধর্মত্যাগ’ করতে উৎসাহিত করা হবে, পরবর্তীতে একে বাধ্যতামূলক বানানো হবে।
গ) বিবাহ-শাদীসহ পারিবারিক বিষয়ে জাতিসংঘ প্রণীত আইন বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এটি মূলত CEDAW সনদ হিসেবে পরিচিত। ( পৃষ্ঠা, ৯) অর্থ্যাৎ, আইনি দিক দিয়ে ‘ইসলাম ত্যাগ‘ করে পশ্চিমা নীতি মানার কথা বলা হয়েছে।
ঘ) পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীপুরুষকে অভিন্নভাবে দেখতে বলা হয়েছে। (পৃষ্ঠা, ৯)
-শায়েখ আবু বকর মুহম্মদ জাকারিয়া
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:২০
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (যামিনী সুধা) পাঁদগাজী, উহার পাঁদড়ামি আবার আরম্ভ হইয়াছে।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: ঈমান আবার কি জিনিস? কোনকামে লাগে ঈমান।ইহজাগতিক কোন কাজে লাগে কি।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: এই নেড়িবাদিদের আসল উদ্দেশ্য কি? কুরআনকে চ্যালেঞ্জ করা?
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৬
Sulaiman hossain বলেছেন: কথিত নারীবাদীরা নারীদের মর্যাদা কে বিনষ্ট করেছে।ধর্ষন, অবৈধ প্রেম বাড়িয়েছে,আসলে তারা নারীজাতির মহাশত্রু।অচিরেই কবরের মধ্যে গিয়ে টের পাবে,কোনটা ভালো এবং কোনটা মন্দ ছিল।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
Sulaiman hossain বলেছেন: নারীবাদীরা হল শয়তানের সঙ্গি।শয়তানের সঙ্গে তাদের আন্তরিক বন্ধুত্ব রয়েছে
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর অনেক মুসলিম প্রধান ইসলামি দেশ থাকলেও কোন দেশেই এজাবৎ পরিপুর্নভাবে সার্বজনিন সরিয়া আইন চালু করা সম্ভব হয় নি।১৪৫০ বছর গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ইসলাম দেশ গঠিত হয় নি যাকে স্ট্যান্ডার্ড ইসলামি ধরা যায়।
আর কোরানে কোন ভুল নেই বলা হলেও সুরা নিসার সম্পত্তি বন্টন আয়াতটিতে অঙ্গকে গুরুতর ভুল দেখা যায়।
কোরানের সুরা নিসার উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন অঙ্কে মারাত্বক ভুল (কুরআন ৪:১১-১২)
সুরা নিসার উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন
স্ত্রীঃ ১/৮=৩/২৪ ;
কন্যাঃ ২/৩ = ১৬/২৪ ;
পিতাঃ ১/৬ = ৪/২৪;
মাতাঃ ১/৬ = ৪/২৪
মোট=২৭/২৪ = ১.১২৫ (যা ১ হওয়ার কথা)
এত ভুলভাল থাকলে ইসলামি বন্টন আইন কিভাবে বলবৎ হবে?
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬
মারুফ তারেক বলেছেন: গত শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত খিলাফা নামক রাষ্ট্র ছিল, সেই রাষ্ট্র শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আবারও ইমারাহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অথচ ওরা ভেবেছিল ইসলাম মৃত!
চৌদ্দশো বছর পার হলেও কালবৈশাখীর ঘুম হারাম করে দিচ্ছে ইসলাম।
যারা কুরআন ও ইসলামের সাথে বোঝাপড়া করতে জানে না, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। অথচ আল্লাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না। যদিও দুনিয়াতে যারা ইসলাম কায়েম করেছে তাদের জবাব কালবৈশাখীর পছন্দ হয়নি, কিন্তু যারা পছন্দ করেছে তাদের জন্য এই বিধান।
https://islamicauthors.com/article/388
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩০
করুণাধারা বলেছেন: নারীবাদীতার নাম ইসলামোফোবিয়া, চমৎকার শিরোনাম। ২০০% সহমত।
এদেশের নারীবাদীদের একমাত্র কাজ হচ্ছে ইসলামের দোষ খুঁজে বের করা। এদের কথা শুনলে মনে হয় এদেশের নারীদের সমস্ত দুর্ভোগের কারণ ইসলাম ধর্ম। নারী বিষয়ক সংস্কার হতে পারতো নারী শিক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব, এদেশের নারী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা (সমস্ত শ্রমিক, গার্মেন্টস, মধ্যপ্রাচ্যের নারী শ্রমিক যারা কেবলমাত্র নারী হবার কারণে কর্মক্ষেত্রে নানারকম হয়রানির মুখোমুখি হন)। ধর্ষণের দ্রুততম সময়ে বিচার সর্বোচ্চ শাস্তি দেবার পথরেখা নির্ণয় করা। এদেশে অনেক কর্মক্ষেত্রে নারী একই পদের পুরুষের চাইতে কম উপার্জন করেন, এই অন্যায়ের প্রতিকারের বিধান চাওয়া। এরকম আরো অনেক বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে কাজ করতে পারতেন এই সংস্কারকরা।
এতগুলো মাস ধরে জনগণের করের অর্থ নষ্ট করে তাঁরা সংস্কারের নামে কেবলই অকাজ করে গেছেন। তারা শুধু জানেন ইসলাম ধর্মে পিতার সম্পত্তিতে কন্যার অংশ পুত্রের অংশের অর্ধেক, ইসলাম ধর্মের এইটুকু বিধান জেনেই তারা একে সংশোধন করতে লেগে গেছেন!! তারা জানেন না মুসলিম আইনে বিয়ের সময় দেনমোহর পরিশোধ করা ফরজ, যা অধিকাংশ সময়ে পরিশোধ করা হয় না। আর অধিকাংশ নারী পিতার সম্পত্তির অংশ থেকে বঞ্চিত হন এদেশে। এইসব প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করলে দেশের নারীদের উন্নয়ন হতো। তা না করে ইসলামোফোবিকেরা সুযোগ পেয়ে আল্লাহর বিধান সংশোধন করতে লেগেছে!!
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
লুধুয়া বলেছেন: আমি @সামু অ্যাডমিন কে জানতে চাই কে এই @কুকরা ।সবজায়গাই ব্যক্তিগত আক্রমন করেও কীভাবে রুলের মধ্যে আসছেনা। আমি এখনও পর্যন্ত একটাও গঠনমূলক কমেন্ট দেখলাম না । সবজায়গাই কমেন্টে এট্যাক্ট করে জাসছে। সামু টিম কি ঘুমে আসে।
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:৪৭
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (লুধুয়া) পাঁদগাজী সিমপ্যাথাইজার
১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৩:৩৯
যামিনী সুধা বলেছেন:
বাংলাদেশের সকল নাগরিকের নাগরিক অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে; সংবিধানে কোন ধর্মীয় অধিকার বা আইনের কথা নেই।