নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন, আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন

সাসুম

দূরত্ব বজায় রাখুন যদি আপনি আম্লীগ, বিম্পি, জামাত-শিবির, মারখোর ফাইক্কা, ভারত মাতার সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, মুক্তচিন্তার বিরোধী, ইব্রাহিমস্টাইনের ছাত্র, তারেক মনোয়ারের গুণগ্রাহী , আল্লামা সাঈদীর ঘেটুপুত্র, হাসান মাহমুদ এর জানপ্রান, জংগি তালেবান সিম্পাথাইজার, অপবিজ্ঞান ও কুযুক্তি ধারনা চর্চা কারী, বিবর্তন বিশ্বাস না করে আকাশ থিউরির মজিদীয় বানী বিশ্বাস করেন, ৪ বিয়া লাভার ও সেক্স ডিপ্রাইভড কাঠাল্পাতা খোর ছাগল অথবা প্যারাডগিস্টাইল মজিদ এর ভক্ত হয়ে থাকেন। আর যদি মানুষ হয়ে থাকেন- আপনাকে স্বাগতম।

সাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই পৃথিবী এবং মানব জাতি কি আসলেই কোন এক সুপ্রিম স্রষ্টার গড়া একটা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বা বুদ্ধিমান সত্তা??

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৫৩



ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনঃ
ফিলিপ জনসন ৩০ বছর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্ক্লি তে আইন পড়িয়েছেন। আইনের ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে যুক্তি তর্কে তিনি ছিলেন পারদর্শী।

১৯৮০ সালের দিকে একটি মতবাদ বাজারে আসে সায়েন্টিস্ট ও বিশ্বাসী দের কাছে- সেটা হল ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন। জনসন এই থিউরি টাকে গ্রহন করেন এবং এটাকে ডেভেলপ করেন নিজের মত করে।
এরপর, ডারউইন এর মতবাদের উইক পয়েন্ট এবং দুর্বল দিক গুলোকে আক্রমন করে, তার নিজের ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন থিউরি কে প্রচলন করেন তার বই- ডারউইন ইন ট্রায়াল। তার মতে, ডারউইন এর ইভালুশান এর থিউরি দুর্বল এবং বলতে গেলে নন এক্সিস্টেন্ট।

বলে রাখা ভালঃ ফিলিপ জন্সন কোন বিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাস্ট একজন আইনের শিক্ষক। বিজ্ঞানের লজিক আর আইনের লজিক এক রাস্তায় চলে না। আইন যুক্তি দিয়ে দিন কে রাত করতে পারলেও বিজ্ঞানের পক্ষে সেটা পসিবল না কোন ভাবেই।

যাই হোক-
ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন কি ? ফিলিপ এর মতে- আমাদের এই মহাবিশ্ব ও মানব সভ্যতা কোন এক সুপ্রিম ক্রিয়েশনিস্ট এর সুনিপুণ হাতে গড়া। এবং আমরা হোমো সেপিয়েন্স ইউনিভার্সের সবচেয়ে ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন করা প্রাণী। আমাদের আপাতত ডারুইনীয় থিউরি হচ্ছে আমরা কোন এক বুদ্ধিহীন, কারনবিহীন এবং ন্যাচারাল প্রসেসে এসেছি এবং আমরা সেখান থেকে আজকের এই উন্নত মানব সভ্যতা। যেহেতু আমরা এই থিউরির কোন সরাসরি প্রমান দেখাতে পারছিনা, সো ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন ই হচ্ছে একমাত্র হাইপোথিসিস ।

তার মতে ম্যাটেরিয়ালিজম ই হচ্ছে একমাত্র ফিলোসফিকাল এক্সপ্লেনেশান যার মাধ্যমে আমরা এক্সপ্লেইন করতে পারি কিভাবে এই পৃথিবী এবং হিউমান এক্সিস্ট করে।
তিনি ন্যাচারাল সিলেকশান থিউরি এবং ন্যাচারালিজম কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। তার ন্যাচারিজম কে উড়িয়ে দেয়ার সাথে উড়ে যায়- কসমস এর জনক কার্ল স্যাগান ও। স্যাগান এর মতে, আমরা কখনই সেরা বা বুদ্ধিমান প্রাণ বা সেরা গ্রহ ছিলাম না বরং এই যে মহাবিশ্ব বা এর চারপাশে ধু ধু প্রান্তর এসব ছিলো, আছে এবং থাকবে। আমরা জাস্ট বিবর্তনের ধারায় এই মুহুর্তে আছি, ফিউচারে হয়ত অন্য কোন এক সভ্যতা আসবে।

আর স্যাগান বা কস্মলজ্জিস্ট রা যেহেতু এখনো প্রমান করতে পারছে না তাদের ক্লেইম- সো তার মানে কেউ একজন আমাদের কে ইন্টিজিলেন্ট হিসেবে তৈরি করেছে।

খেয়াল করে দেখবেন- উনার যুক্তি গুলো আইনের যুক্তি। বিজ্ঞানের লজিক এর চেয়ে আইনের লজিক দেখা যায় বেশি।

১. ডারউইন এর মতবাদ খন্ডানোর সময়ঃ যেহেতু ইভালুশনিস্ট রা আমাদের সামনে কোন ডাইরেক্ট প্রমান রাখতে সক্ষম নয় , সো তাদের মতবাদ বাদ। বরং আমাদের মতবাদ টাই সঠিক- যে আমরা ক্রিয়েশন হয়েছি কোন এক ইন্টেলিজেন্ট ভাবে।

২. কার্ল স্যাগান এর ন্যাচারালিজম এর মতবাদ খন্ডানোর সময়ঃ যেহেতু কস্মোলজিস্ট রা কোন ডাইরেক্ট প্রমান রাখতে সক্ষম নয় আমাদের সামনে যে কসমস গুলা এভাবেই আছে, এভাবেই থাকবে সো আমাদের মতবাদ ই সঠিক- আমাদের কে কোন এক বুদ্ধিমান গড বুদ্ধিমান ক্রিয়েশন হিসেবে ক্রিয়েট করেছেন।

সো তাহলে এই যে আমাদের চিম্পাঞ্জি ও বেবুন দের কমন এনচেস্টর এটাকে কিভাবে দেখা হয় আই ডি ( ঈন্টিলিজেন্ট ডিজাইন) থিউরিতে?
এটাকে পসিবিলিটি বলা যায় কোন একটা বাট হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। উনার মতে, যদি চিম্পাঞ্জির সাথে আমাদের ৯৯% জিনের মিল থাকে তাহলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে বা ইন্টারব্রিডীং করে মানুষ আর চিম্পাঞ্জির মাঝের কোন একটা ব্রিড জন্ম দেয় না কেন বিজ্ঞানীরা? কিংবা কলার সাথে আমাদের ২৫% জিনের মিল আছে, তো কলা আর মানুষের সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে কোন একটা মধ্যসত্তা কেউ জন্ম দেয় না কেন? যেহেতু দিতে পারেনা- সো এই ইভালুশান থিউরি মিথ্যা বা সঠিক নয়।

তাদের মতে, ফাইনাল আন্সার - একজন গড বা ক্রিয়েটর অবশ্যই আছেন এবং উনি আমাদের কে বুদ্ধিমান ভাবেই সৃষ্টি করেছেন। এখন এই ক্রিয়েটর বা গড হতে পারে ক্রিশ্চিয়ান গড বা মুসলিম আল্লাহ বা হিন্দু ভগবান বা দেব দেবীর দল। তবে কেউ একজন আছেন সিউর। আমি জানিনা কে উনি, আমি জানিনা কত দিনে এই দুনিয়া ক্রিয়েট করেছেন, কিভাবে করেছেন বাট যেহেতু ইভালুশনিস্ট রা তাদের গডলেস ন্যাচারাল সিলেকশান প্রমান করতে পারেনি সো আমার মতবাদ ই সঠিক বলে আমি মনে করি।

বায়োকেমিস্ট মাইকেল বেহে তার ডারউইনস ব্লাক বক্সে আই ডি নিয়ে প্রচুর আলোচনা দেখিয়েছেন। সাথে পেয়েছেন ইন্টিলিজেন্ট থিউরিস্ট স্টিফেন ডি মায়ার কে।
উনার মতে- প্রকৃতিতে যে যায়গায় আমরা হাই ইনফরমেশান কন্টেন্ট দেখব সেটাই ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন এর প্রমান। এটা মৌমাছির হেক্সাগোনাল বি হাইভ থেকে হোক কিংবা প্রকৃতিতে পাওয়া সানফ্লাওয়ার বা পাইন কোনে ফিবোনচ্চি সিকোয়েন্স কিংবা সামুকের ইন্টারনাল খোলস কিংবা সমুদ্রের ঢেউয়ে খুজে পাওয়া দা গোল্ডেন রেশিও ( এটা নিয়ে ফিউচারে একটা লিখা লিখব )

যখনি আমরা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন নিয়ে লিখব তখন চলে আসে একটা ভিন্ন বিষয়- ওয়েজ স্ট্রাটেজি (wedge strategy)

আই ডি'র মত এটার জনক ও বলা হয় জনসন কে, এটা নিয়ে লিখেছেন এক বিশাল বই- নামঃ The Wedge of Truth

সো, আসলে এটা কি? এটা হল- আই ডি থিউরির প্রবক্তাদের প্রতিষ্ঠান ডিস্কোভারি ইন্সটিটিউট এর একটা ইন্টারনাল মেমোরান্ডাম লিকড হওয়া সিক্রেট মেমোরান্ডাম যেটা এক্সিডেন্টালি লিক হয়ে যায় বাইরে। যদিও আইডি মুভমেন্ট এর লোকজন প্রচার করে তাদের সাথে ধার্মিক এর যোগসাজস নেই, অয়েজ ডকুমেন্ট প্রমান করে তারা এ নিয়ে মিথ্যা বলছে। তাদের মেন্টর, ফান্ডিং এবং মূল সাপোর্টার ধার্মিক এবং ক্রিয়েশনিস্ট রা। এই ডকুমেন্ট থেকেই বের হয়ে আসে- ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন এর আসল উদ্দেশ্য বর্তমান এক্সিস্টিং সায়েন্টিফিক থিউরি কে ছুড়ে ফেলা এবং সেখানে ধর্মীয় এবং ক্রিয়েনশনিস্ট এর মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা। তাদের এই লিক হওয়া ডকুমেন্টস ই তাদের আসল ধর্মীয় উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দেয়।

সো, আজকের এই আই ডি আলোচনা শেষ করার আগে ফাইনাল ভারডিক্টঃ

১. Intelligent design (ID) বা আইডি কি ? এটা একটা সিউডোসায়েন্টিফিক আলোচনা বা বিশ্বাস যে আমরা ইভালুশান এর মাধ্যমে আজকের এই অবস্থায় আসিনি বরং কোন এক ক্রিয়েটর আমাদের কে বুদ্ধিমান হিসেবে পাঠিয়েছেন।
২. Intelligent design (ID) কি সায়েন্টিফিক থিউরি? না। কোন থিউরি কে সায়েন্টিফিক হতে হলে এটাকে টেস্টেবল হতে হবে এবং অভসারভেবল এভিডেন্স থাকতে হবে। আইডির এমন কোন টেস্ট করা পসিবল হয় নি বরং ডারউইন এর উইক পয়েন্ট গুলো বের করে যেগুলা প্রমান করা যায়নি সেজন্য আলাদা একটা হাইপোথিসিস হিসেবে দাড় করানো হয়েছে আই ডি কে।

৩. Intelligent design (ID) কেন এত জনপ্রিয়তা হুট করে? কারন ১৯৮৭ সালে ইউ এস এ তে ক্রিয়েশনিস্ট মতবাদ কে কোন স্কুল কলেজ ইউনিতে পাঠদান নিষিদ্ধ করা হয়। সো ধার্মিক দের দরকার ছিল নতুন কোন এক থিউরি এবং সেই স্থান করে নিয়েছে আইডি এবং এটাকেই তারা স্কুল কলেজে পড়ানোর জন্য লবিং করে আসছে এবং প্রতিষ্ঠা করার চেস্টা করছে। ২০০৫ সালে Kitzmiller v. Dover Area School District ইন্টেলিজেন্ট মতবাদ কে বাদ করে দেয়া বিখ্যত রায়এর মামলায় জাজ রায় দেন অবৈজ্ঞানিক কোন থিউরি বা মতবাদ স্কুলে পাঠদান করা যাবেনা ক্রিয়েশনিস্ট থিউরির মত এবং এতেই আইডি আন্দোলন স্কুল কলেজ ইউনিতে পড়ানো রাস্তা ও বন্ধ হয়।


৪. Intelligent design (ID) এর পিছনে কারা? আইডির জনক আইনবিদ ফিলিপ জনসন তো আছেন সাথে আছে বৈজ্ঞানিক এক্টিভিস্ট ও ইন্সটিটিউট Discovery Institute's Center for Science and Culture (formerly Center for the Renewal of Science and Culture) in Seattle, WA. এছাড়াও, ক্রিশ্চিয়ান অর্থোডক্স রাও ফান্ডিং করছেন কারন তাদের ক্রিয়েশনিস্ট মতবাদ কে আদালত ১৯৮৭ তেই বাদ করে দিয়েছেন চিরতরে স্কুল কলেজ এডুকেশান থেকে।

৫. ওয়েজ স্ট্রাটেজি কি? এটা প্রচলিত বিজ্ঞান শিক্ষা কে বাদ দিয়ে নতুন ক্রিয়েশনিস্ট মতবাদ ও Intelligent design (ID) কে সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ঢুকানোর একটা সিক্রেট মেমোরান্ডাম যা এক্সিডেন্টালি ফাস হয়ে যায়।

৬. কেন আমরা Intelligent design (ID) মেনে নিচ্ছিনা বা স্কুলে পড়াচ্ছিনা? আসলে ইভালুশান বা বিবর্তন একটা সায়েন্টিফিক থিউরি যার মাধ্যমে আমরা এক্সপ্লেইন করার চেস্টা করি কিভাবে এই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব থেকে আজকের এই হোমো সেপিয়েন্স। কিন্তু Intelligent design (ID) জাস্ট একটা হাইপোথিসিস বা আইডিওলজি যা প্রচলিত সায়েন্স কে আক্রমন করে । ইভালিউশান ও Intelligent design (ID) দুইতা ডিফারেন্ট টপিক, যারা আলোচনা এবং প্রয়োগ করা হয় ডিফারেন্ট মেথডে এবং অবশ্যই এদের কে জাজ করতে হবে ডিফারেন্ট মাত্রায়।

৭. সায়েন্টিফিক থিউরি ওফ ইভালুশান কি Intelligent design (ID) কে বা গড কে অস্বীকার করে ডাইরেক্টলি? না। যেহেতু Intelligent design (ID) বা গড বিজ্ঞানের বাইরের বিষয় সো, বিজ্ঞান সমাজ সাধারণত এটা নিয়ে কথা বলেনা। ডারউইন নিজেও একজন বুদ্ধিমান সুপ্রিম ডিজাইনার এর এক্সিস্টেন্স নিয়ে চিন্তা করেছিলেন কিন্তু তিনি কখনো সেটা তার কাজ বা ইভালুশান এর সাথে কনফ্লিক্ট করেন নাই। কারন-ধর্ম বিশ্বাস আর প্রমানিত বিজ্ঞান আলাদা জিনিষ।

৮. ইভুলিউশান কে মিথ্যা বা ভুল বললে বা জাস্ট একটা থিউরি বললে সমস্যা টা কই?

ইভালিউশান কে জাস্ট থিউরি বললে এটা একটা মিস লিডিং জিনিষ হয় এবং পুরা দুনিয়ায় থিউরি মানে একটা আইডিয়া বা হাঞ্চ এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।

সায়েন্টিফিক থিউরি অফ ইভালিউশান বিজ্ঞানের একটা মোস্ট প্রমিনেন্ট এবং রোবাস্ট থিউরি। শত শত হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক আলাদা আলাদা ভাবে অবসার্ভ করে ন্যাচারাল ফেনোমেনা প্রেডিক্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। গত ১৫০ বছরে এমন কোন মতবাদ স্ট্রংলি আসেনাই যাতে করে আমরা থিউরি অফ ইভালিউশান কে বাদ দিতে পারি।

Theodosius Dobzhansky, বিংশ শতাব্দীর মোস্ট প্রমিনেন্ট জেনেটিসিস্ট এর মতে, "Nothing in biology makes sense except in the light of evolution."

৯. ইভালিউশান থিউরি নিয়ে কি কন্ট্রোভার্সি নেই? আছে, এবং বৈজ্ঞানিক দের মধ্যেই প্রচুর। বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হল, যদি ভিন্ন কোন যুক্তি লজিকাল এক্সপ্লেনেশান দেখাতে পারে কেউ প্রমান সহ, তাহলে যে কোন এক্সিস্টিং মতবাদ কে বাতিল করা যায় । যেহেতু, গত ১৫০ বছরে কোন ভিন্ন প্রমানিত মতবাদ আসে নি সো এখনো পর্যন্ত ইভালিউশান মতবাদ ই সঠিক। যেদিন প্রমান সহ, ভিন্ন মতবাদ আসবে এবং সবাই সেটা গ্রহন করবে সেদিন আজকের এক্সিস্টিং মতবাদ বাদ করে দেয়া হবে।

ইভালুশান শুরু হয় বায়োলজিকাল অর্গানিজমে মিউটেশান এর মাধ্যমে রিপ্রোডাকশান এর সময়। এভাবে বার বার সারভাইভাল এবং রিপ্রোডাকশান এর সময় এডভান্টেজ গুলো ফিউচার জেনারেশানে চলে যায় আর ডিজেডভান্টেজ গুলা আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। এটাই হল- প্রসেস অফ ন্যাচারাল সিলেকশান যেটা চলে আসছে- বিলিয়ন বছর ধরে।

ভেরি স্পেসিকালি বললে ৩.৫ বিলিয়ন বছর ধরে। এভাবেই একের পর এক কমপ্লেক্স মিউটেশান , সাইরভাইবাল ও রিপ্রোডাকশান এর ফলে আমরা পেয়েছি চূড়ান্ত সব কমপ্লেক্স লাইফ ফর্ম যারা এই মারাত্মক পরিবেশে সারভাইব করতে পেরেছে এবং খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এদের এই চূড়ান্ত কমপ্লেক্স ফর্ম দেখে আমরা এদেরকে বুদ্ধিমান সত্তা বা কোন এক ক্রিয়েটর এর নিপুন হাতে গড়া বলে ভুল করি বা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বলে ভুল করি।

আইডি এক্টিভিস্ট দের সবচেয়ে স্ট্রং যুক্তি মতে, সেলুলার লেভেলে ইরিডসিউভ্লি কমপ্লেক্স অর্গানিজম পাওয়া যায় ( ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলাম উদাহরন) যাতে করে বুঝা যায় কেউ একজন ডিজাইন করেছে এই জিনিষ। কারন- এর আগের স্টেজ ছিল নন ফাংশানাল এবং সেখান থেকে হুট করে এই ফাংশানাল কমপ্লেক্স অর্গানিজমে আসা ইম্পসিবল।

ওকে, ইভালুশান কোন পরিপূর্ন ও কমপ্লিট মতবাদ নয় কারন এখনো গবেষনা চলমান্ যেটা জ্ঞানের একটা পার্ট। সো, একটা ফ্লাজেলাম এর কারন ব্যাখ্যা না করতে পারা দিয়ে লক্ষ কোটি এক্সপ্লেনেশান করতে পারা কে বাদ করে দেয়া একমাত্র কন্সপিরিসি প্রবক্তাদের শোভা পায়, বিজ্ঞানীদের নয়।


সো দিনশেষে আমরা ইভালিউশান এর বিপক্ষে ধার্মিক ও ক্রিয়েশনিস্ট দের হাজারো যুক্তি, মতবাদ পাব যা দিয়ে তারা প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে তাদের অবৈজ্ঞানিক মতবাদ। এর সাথে কিছু বিশ্বাসী বৈজ্ঞানিক রা যোগ দিবে হয়ত- কিন্তু তাদের ল্যাক অফ নলেজ ও ক্রেডিবিলিটি এবং অবৈজ্ঞানিক মতবাদ বৈজ্ঞানিক ওয়েতে প্রমান করতে না পারার কারনেই তাদের মতবাদ কে বিজ্ঞান মেনে নিবেনা। কারন, বিজ্ঞান বিশ্বাস করে লজিকে, বিজ্ঞান বিশ্বাস করে প্রমানে, বিজ্ঞান বিশ্বাস করে অভজারেবল এক্সপ্লেনেশান এ।

এই যে উপরোক্ত বিজ্ঞানীদের মত, আমাদের দেশেও বিজ্ঞান ভার্সাস ধার্মিক, ইভালুশান থিউরি বনাম আকাশ থেকে ৯০ হাত লম্বা মানুষ পড়ার থিউরি পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের ভিন্ন মতবাদের সিউডোসায়েন্টিস রা সাধারন পাব্লিক দের তাদের মত প্যারা মজিদ বানিয়ে রাখতে চাইবে, জ্ঞান বিজ্ঞানের আলো থেকে দূরে রাখতে চাইবে। এই কারনে- আমাদের দেশে যতটা না ডারউইন এর বই বিক্রি হয় তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় তার মতবাদ কে খন্ডন করে লিখা অবৈজ্ঞানিক বই প্যারা মজিদ বিজ্ঞান বই এর নামে। এই কারনে- আরজ আলীর বই যতটা বিক্রি হয় তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় , তার মতবাদ খন্ডন করে লিখা আরজ আলী সমীপে। কারন- আমাদের ইগ্নোরেন্ট এবং অশিক্ষিত ধার্মিক সমাজ সত্য মেনে নেয়ার চেয়ে অলৌকিকতার পেছনে দৌরায় বেশি।

ইউএস এ আইন করে ক্রিয়েশনিস্ট বা অবৈজ্ঞানিক বই স্কুল কলেজে পড়ানো বা এ ধরনের মতবাদ প্রচার ও প্রসার এর বিপক্ষে আদালতে রায় দিয়েছে, আমাদের দেশের আদালত ও নেই, আইন ও নেই, বিচার ও নেই যে এই ধরনের আইন করবে বা রায় দিবে।

যার কারনেই- জ্ঞান বিজ্ঞান মেধা আর শিক্ষার মানের তালিকার পুরা দুনিয়ার সবার তলায় আমাদের অবস্থান আজকে। দুনিয়ার নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের কে প্রমান করে চলেছি সব দিক থেকে।

যতদিন না আমরা সত্য পথে পা না বাড়াব, জ্ঞানের দরজার কড়া না নাড়ব, আলোর পথে পা না বাড়াব- ততদিন আমাদের কে এভাবে সবার নীচে অবস্থান করতে হবে। উন্নতির জন্য- জ্ঞানের রাস্তায় আসা আবশ্যিক।

রেফারেন্স, উদ্ধৃতি, আইডিয়া, লিখা ও সব ধরনের ক্রিটিকাল আর্গুমেন্ট নীচের বই ও লিঙ্ক গুলোতে পাওয়া যাবে।

বইঃ
The Wedge of Truth- ফিলিপ জনসন
Darwin on Trial- ফিলিপ জনসন
An Easy-to-Understand Guide for Defeating Darwinism by Opening Minds- ফিলিপ জনসন
The God Dellusion- রিচার্ড ডকিন্স
Darwin's nemesis: Phillip Johnson and the intelligent design movement- ডেম্বেস্কি
Darwin's Black Box- মাইকেল বেহে

অনলাইন লিঙ্কঃ
বিজ্ঞান কি গড কে বাতিল করতে পারে ?

ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন এর ফ্ল বা ভূল সমূহ

ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন ও প্রশ্ন উত্তর- ১

ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন ও প্রশ্ন উত্তর- ২
ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন এর এডভোকেট ইন্সটিটিউট

ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন এর জনক ফিলিপ জনসনের সাক্ষাতকার
ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন থিউরির অন্যতম পুরোধা- বায়োকেমিস্ট স্টিফেন সি মায়ার এর লিখা সমূহ

ছবিঃ ডিসকভারি.ওআরজি ওয়েবসাইট

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৪

আল-ইকরাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। পড়লাম ও অনেক বিষয় জানলাম। নিরাপদে থাকুন।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

সাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান সময় নিয়ে পড়ার জন্য। আপ্নিও নিরাপদে থাকুন

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: পড়তে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলাম( বেশ জ্ঞানগর্ভমুলক পোষ্ট)

দুর্ভাগ্য, আর দু-চার দশ প্রজন্ম পরে জন্ম হলে এই মহা প্যাচালিক বিষয়টার সম্ভবত একটা উত্তর পেতাম! :)

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০০

সাসুম বলেছেন: হাহহা, এই কারনে বড় পোস্ট দেই না ভাইজান। আমার নিজেরো বিরক্তি লাগে, পাঠক দের কথা আর কি বল্ব।

আসলে আপনার ঠিক দূর্ভাগ্য না। এই প্রজন্মেই এই ক্যাচাল এর সমাপ্তি হয়ে গেছে। বিজ্ঞানের এখন আর এই ক্যাচাল করার টাইম নাই, কারন এক চাকা ২ বার আবিস্কার করার কিছু নেই।

ক্যাচাল লাগে, ধার্মিক এর মনে। কারন- একেতো বিজ্ঞানের অবদান কে না করতে পারেনা চোখের সামনে দেখে, অন্য দিকে ধর্ম তাকে বলে আকাশ থেকে পড়েছে মানব।

এদিকে- এই ক্যাচাল এর সমাধান এর জন্য তারা বিজ্ঞান এর দিকে না তাকিয়ে নজর দেয় সিউডোসায়েন্স এর দিকে। সমাজের ও যুগের জ্ঞানী গুনী দের কথা আমলে না নিয়ে তারা পিছে পড়ে থাকে প্যারাসিটেমল মজিদ দের। সমস্যা ধার্মিক দের মনে দাদা, সমস্যা বিজ্ঞানে বা থিউরিতে না।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: মানুষ এখনো বিবর্তনবাদ থেকেও এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে ;বিজ্ঞানের ভার অনেক বেশি কিন্তু বইছে গুটিকয়েক মানুষ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৩

সাসুম বলেছেন: ভাইজান- সকল মানুষ না। শুধু মাত্র সাব কন্টিনেন্ট এর মানুষ আর কিছু আরব কান্ট্রির মানুষ দের এ মেন্টালিটী।

বিজ্ঞানের ভার অনেক বেশি তা ঠিক, কিন্তু জ্ঞানী গুণী মেধাবীরা উন্নত দেশের হয়ে সে সকল ভার বয়ে চলেছে সমান তালে। যার কারনে তারা ও এগিয়ে যাচ্ছে তড়তড় করে।

এদিকে, আমরা প্যারা মজিদ এর দল- এখনো কোরান হাদিস চষে কাকে কাফের ফতোয়া দেব আর কার কল্লা ফেলা জায়েজ করব সে তরিকা খুজি।

সমস্যা জ্ঞানের না, সমস্যা অজ্ঞান মানুষের।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: কিছু মানুষের বুদ্ধি আর চিন্তা-ভাবনার পরিধি দেখলে আমার মনে হয় এরা সঠিকভাবে বিবর্তিত হয় নাই। এদের মগজটা বানর-শিম্পাঞ্জি পর্যায়ে রয়ে গেছে। B-))

ভালো লিখেছেন। বুঝতে পারলাম, খালি আমরাই অভাগা জাতি না, যাদের দেশে বিজ্ঞান না পড়েই মানুষ বিজ্ঞানী হয়ে যায় :D

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

সাসুম বলেছেন: মজিদ দের ব্রেইন সব সময় ওই যে তলাতেই থাকে, তাই নজর ও তলাতে।

যাই হোক- যদিও ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন এর জনক একজন আইনবিদ বাট এটার সাথে অনেক রিলিজিয়াস মাইন্ডেড বিজ্ঞানী ও কিন্তু সায় দেন। কিন্তু, সায় দিলেই বা এটা নিয়ে কথা বল্লেই তো আর হবেনা।

বিজ্ঞান লজিকাল ওয়েতে এক্সপ্লেনেশান ছাড়া কোন কিছু বিলিভ করেনা। সো- যে কেউ যে কোন প্যারা মজিদ ময় দাবি তুলতেই পারে, তবে তার সপক্ষে যতক্ষন যৌক্তিক প্রমান না আসছে- ততক্ষন সেটা আইডিয়া মাত্র।

বিঃদ্রঃ আমাদের প্যারা মজিদ রা ক্রিয়েশনিস্ট আর ইন্টেনলিজেন্ট ডিজাইন মতবাদের খুব ভক্ত আবার :P

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩২

সাসুম বলেছেন: জ্ঞান আহরন করতে টাকা পয়সা লাগেনা, বাংগালির জ্ঞান আহরন করতেই যত অনীহা।

আপনাকে ধন্যবাদ সোনালি কাবিন! সোনার মানুষ হয়ে বাচুন।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম।

ভালো থাকুন।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২২

সাসুম বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ রাজিব ভাই পড়ার জন্য। আপ্নিও ভাল থাকুন।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিজ্ঞান যা বলে।

শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে ভুমিতে বৃষ্টি .. বজ্রপাত এমাইনো এসিড+পানি
তারপর অনেক পর্বের পর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব/উদ্ভিদ
এরপর এমিবা
তারপর বিবর্তনে বহুকোষি স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর একসময় গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ইদুরের সাইজ থেকে বিবর্তনে একপর্যায়ে বৃহৎ ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।

কোটি কোটি বছর বিবর্তিত হয়ে মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। লাখ খানেক বছর আগে একসময় হোমস্যাপিয়েন্স হয়ে সভ্য হতে সুরু করে,
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে।
বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়।এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে ভুমিতে বৃষ্টি .. বজ্রপাত এমাইনো এসিড+পানি
তারপর অনেক পর্বের পর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব/উদ্ভিদ
এরপর এমিবা
তারপর বিবর্তনে বহুকোষি স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর একসময় গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ইদুরের সাইজ থেকে বিবর্তনে একপর্যায়ে বৃহৎ ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।

কোটি কোটি বছর বিবর্তিত হয়ে মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে।
গত লাখ খানেক বছর আগে একসময় হোমস্যাপিয়েন্স হয়ে সভ্য হতে সুরু করে,
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে।
বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৭

সাসুম বলেছেন: মনিরুজ্জামান সাহেব এর পোস্টের কমেন্ট টাই তুলে দিলেন। যদিও এই পোস্টের সাথেও অনেক দিক থেকেই রিলেটেড। যাই হোক- আজকের আলোচনা ছিল-

হোমো সেপিয়েন্স কি কোন স্পেশাল কেউ নাকি বিবর্তন এর ফসল তা নিয়ে।

আমাদের সকল ধর্ম গ্রন্থ গুলো দাবি করে- হোমো সেপিয়েন্স বা মানুষ কে ক্রিয়েটর আলাদা ভাবে সুপিরিয়র বানিয়ে পাঠিয়েছে আর বিজ্ঞান বলে সারভাইব্বাল অফ দা ফিটেস্ট এই তত্ত্বের ফসল আজকের সফল হোমো সেপিয়েন্স। এটা আবার আমাদের ধার্মিক রা মানবে না ।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

নতুন বলেছেন: মানুষ অবশ্যই ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন না। প্রানী জগতে তাকালেই বোঝা যায় সারভাইবেল অব দা ফিটেস্টই আজকের দুনিয়ায় প্রানী যগতে আছে।

কয়েক দিন আগে একটা বই পড়লাম তাকে বেশ কিছু যুক্তি আছে যে মানুষ আসলে ভীন গ্রহ থেকে এসেছে।

সেটা নিয়ে একটা লেখা দেবার চেস্টা করবো। যুক্তি গুলি ভালো।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০২

সাসুম বলেছেন: নতুন ভাই, প্যারা মজিদ এর বইয়ে দেখানো যুক্তি গুলো মাঝে মাঝে মেইক সেন্স করে। হাহাহাহাহহ । খালি দেখতে হবে কোন সেন্স থেকে দেখি আমরা।

যাই হোক- আপনার পোস্ট দেন মানুষ ভিন গ্রহের প্রাণী। মজিদ রা এসে প্রমান করে যাবে তাদের ভাষা সত্য, আমি না হয় এসে তর্ক করব মানুষ এলিয়েন না।

অপেক্ষায় রইলাম

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৮

অধীতি বলেছেন: বাপরে এত্তবড় পোস্ট। ভালো লিখেছেন। বড় বড় করেই লিখেন। প্রযুক্তির যুগে বড় কিছু পড়ার অভ্যাস থেকে সরে যাচ্ছি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:২৮

সাসুম বলেছেন: আপনার ধন্যবাদ পড়ার জন্য অধীতি।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০

কামাল১৮ বলেছেন: মোবাইলে সিমকার্ড বসানোর ডিজাইন যে করেছে তার থেকেও খারাপ হয়েছে স্রষ্টার ডিজাইন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০৬

সাসুম বলেছেন: সিম কার্ড ঢুকানোর জন্য মোবাইলে ট্রে হলেও দিছে, মানুষের ডিজাইনে এই বেসিক জিনিষ টা ও নাই।

ধরেন- হাগা মুতার মত জিনিষ আরো বেটার ভাবে ডিজাইন করা যেত।

সব চেয়ে বড় কথা, সেক্স বা প্লেজার এর জন্য সিস্টেম মুত্র বিসর্জন এর যায়গায়। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ডিজাইন সেন্ট্রিক চিন্তায় এর চেয়ে বাজে ডিজাইন আর হতেই পারেনা। মেকানিকাল ভাবে ঠিক আছে, শরীরের ভার কেন্দ্রে রাখা হয়েছে যাতে পুরা শরীরের ভর ও মোমেন্টাম নিয়ন্ত্রন করা যায় সেক্স এর সময় বাট সেটা মূত্র বিসর্জন অংগের সাথে একই এলাকায় রাখা এবং শরীরের দূষিত বস্তু বের হওয়া অঞ্চলের কাছাকাছি রাখা একটা ভয়াবহ দুর্বল ডিজাইন এর পরিচয়। কোন- বুদ্ধিমান সত্তা ডিজাইন করলে এটা হতেই পারেনা।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৭

বিটপি বলেছেন: বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্ত বিজ্ঞানী ও যুক্তিবিদেরা চেষ্টা করলেও কোনদিন কোন থিওরী দিয়ে মহা স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারবেনা। এই নিয়ে যত প্রচেষ্টা হবে, সবই হাস্যকর উপসংহারে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। আসলে স্রষ্টার অস্তিত্ব কোন বিজ্ঞানের বিষয়ই নয় - এটা সম্পূর্ণই বিশ্বাসের বিষয়। স্রষ্টার সম্পূর্ণ অস্তিত্ত্ব সৃষ্টির মননে ও বিশ্বাসে। কেউ বিজ্ঞান দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করলে সে একটা জোকার ছাড়া আর কিছুই নয়। ধর্ম, বিজ্ঞান, আইন - জ্ঞানের আলাদা আলাদা শাখা। একটার মাপকাঠি দিয়ে আরেকটার সঠিকতা প্রমাণ করার চেষ্টা বড় ধরণের নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০৯

সাসুম বলেছেন: যে জিনিষের অস্তিত্ব নাই, সেটা নিয়ে জ্ঞানী, বিজ্ঞানী আর যুক্তিবিদেরা কোন দুঃখে চেস্টা করবে প্রমান করার??? যেটার প্রমান নাই- সেটা প্রমান করার দায় ও নাই।

এখন এই অবাস্তব জিনিষ মানে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমান করার দায় এক্মাত্র প্যারা মজিদের উপর। কারন- সে বিলিভ করে এই অবাস্তব জিনিষের অস্তিত্ব আছে।

জ্ঞান, বিজ্ঞান আর বুদ্ধিমত্তার দায় নাই অবাস্তব জিনিষ প্রমান করতে।

এই বিশাল ধরনের নির্বুদ্ধিতা- একমাত্র ধার্মিক এর উর্বর মস্তিস্কে ধরবে। অন্য কোন সুস্থ ব্রেণে আসবেনা।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩১

বারবোসা বলেছেন:
সাসুম ভাই
আপনি আমাদের সাথে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি এই পোস্টের একটি বিষয় নিয়ে আমার মতামত প্রকাশ করতে চাই,আপনি বলেছেনঃআমাদের অশিক্ষিত ধার্মিক সমাজ সত্য মেনে নেয়ার চাইতে অলৌকিকতা পেছনে দৌড়ায় বেশি।
সাসুম ভাই আপনি কি তাহলে বিজ্ঞানকে সত্য হিসেবে মেনে নেন?বিজ্ঞানের কোনো প্রমাণিত থিওরিকেও চূড়ান্তভাবে মেনে নেয়া চরম বোকামির পরিচয়।কারণ দুইদিন পরে যে ঐ থিওরির বিপক্ষে কোনো প্রমাণ প্রকৃতিতে পাওয়া যাবে না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।এটা স্যার নাসিম তালিবের ব্ল্যাক সোয়ান থিওরির মূলকথা।বিজ্ঞান সবসময় পরিবর্তশীল।বৈজ্ঞানিক গবেষণার কোনো চূড়ান্ত গন্তব্য নেই।যেই বিষয়টি সর্বদা পরিবর্তনের মাঝে থাকে,তাকে বিশ্বাসের চাইতে কি নিরেট অপরিবর্তনশীল ধর্মীয় বিশ্বাসকে মেনে নেয়া কি অধিক যুক্তিযুক্ত নয়?
বাঘের খাচায় যে বাঘ আছে,সেটা আপনি জানার কারণে খাচায় না ঢুকলে যেমন বাচতে পারবেন।তেমনি না জানার পরও যদি খাচায় না ঢোকেন তাহলেও বেচে যাবেন।অশিক্ষিত ধার্মিকরা অই না জানাদের দলে।তারা বেচে যাবে ইনশাআল্লাহ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১৯

সাসুম বলেছেন: একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিজ্ঞান কে আমার বিশ্বাস করতেই হয়। কারন- আমি জানি, আমি যা বিশ্বাস করি তা মিথ্যে নয়।

বিজ্ঞান এর থিউরি কিভাবে কাজ করে বা বিজ্ঞান কিভাবে প্রমান আর সত্য উদ্ঘাটন করে এটা বেসিক ক্লাস ৫ এর বিষয়। এসব নিয়ে আমাদের এই লেভেলে কথা বলা আর কোন প্রমান দেয়া শোভা পায়না। আমরা সাব এটমিক লেভেলে গবেষনা করার যুগে এসে যদি পদার্থ কি দিয়ে বানাইছে এটা নিয়ে তর্ক করি, তাহলে আসলেই এটা বাজে ব্যাপার।

যাই হোক- বিজ্ঞান কোন থিউরিকে চূড়ান্ত ভাবে বিশ্বাস করেনা, বরং এর চেয়ে বেটার থিউরি আসার আগ পর্যন্ত বর্তমান থিউরি সঠিক এটা বলে মেনে নেয়।

আপনার ব্লাক সোয়ান থিউরি আমি জানি, ও বিস্তারিত পড়েচ্ছি। দুনিয়ার এত এত থিউরি থাকতে নাসিম এর থিউরি নিয়ে বার বার উঠে লাগ্লেন কেন ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এটা। যাই হোক- নাসিম সাহেব একজন স্টাটিস্টিক্স ও স্টক এক্সপার্ট। প্রবাবিলিটি নিয়ে এই মুহুর্তে উনার চেয়ে বেটার ভাবে কেউ এক্সপ্লেইন করতে পারেনা জীবিত বিজ্ঞানীর দের মধ্যে।

যাই হোক, আলোচনার ফিরি। জ্ঞান ও বিজ্ঞান চূড়ান্ত ফ্লুইড মানে পরিবর্তন শীল। যতক্ষন আপনি বেটার প্রমান সামনে আনতে পারবেন না ততক্ষন আমার সামনে আসা প্রমান কেই বিশ্বাস করব।

আপনি যেদিন আমার সামনে তথা বিজ্ঞানের সামনে প্রমান নিয়ে আসবেন- টেস্টেবল এবং অব্জারবেবল- যে আপনার স্রষ্টা থিউরি সঠিক- সেদিন আমি তথা সমস্ত বিজ্ঞান আপনার যুক্তি মেনে নিবে। আপ্ননি আরো প্রমান যখন আনবেন- দুনিয়ায় ৪৩০০ ধর্মের মধ্যে আপনার ধর্ম সেরা এবং আপনার স্রস্টা সেরা, তখন সব বাদ দিয়ে আপনার ধর্ম আর স্রষ্টার উপর ঈমান আনব।

সো, যতদিন আপনার অলৌকিক মিথ বা গল্পের প্রমান না আসছে- ততদিন আপাতত জ্ঞান বিজ্ঞান কে নিয়েই না হয় পরে থাকি।

আপনাকে ধন্যবাদ

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম বলে মানুষ পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত না। স্পেশাল, স্বর্গে তৈরি।
ঈশ্বর নিজ হাতে স্বর্গের মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন। স্বর্গেই রাখার কথা ছিল, হঠাৎ একটা দুর্ঘটনায় রেগে গিয়ে পৃথিবীতে পাঠান।

আর বিজ্ঞান বলে মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে আসা পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত একটি প্রানী মাত্র।
মানব হার্ট লাং খাদ্য পরিপাক, প্রজনন প্রকৃয়া জীবন চক্র মানুষ ইদুর বিড়াল কুত্তা গরু প্রায় সেইম। কোষের গঠন পৃথিবীর উদ্ভিদ বা জীবানুর কোষের সংগেও অনেক মিল। অন্য প্রানির অংগ বা সেরাম মানুষের দেহে দেয়া যায়, মানব ইনসুলিন তৈরি হয় গরুর দেহে।
মানব টিকা কাজ করে কি না সেটা প্রথমে দেখা হয় ইদুরের দেহে।

সুতরাং মানুষ মোটেই স্পেশাল, স্বর্গে তৈরি নহে। নিশ্চিত থাকেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:২৭

সাসুম বলেছেন: আমি আমার যায়গায় নিশ্চিত আছি। হাহাহাহ।

মানুষ স্বর্গে তৈরি হলে- সবার আগে আমার কোশ্চেন, সেই স্বর্গ কে তৈরি করছে। তারপর প্রশ্ন আসবে- যে সব তৈরি করছে তাকে কে তৈরি করছে আর কেন তৈরি করছে।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৫৮

বারবোসা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই বলেছেন,
মানব হার্ট লাং খাদ্য পরিপাক, প্রজনন প্রকৃয়া জীবন চক্র মানুষ ইদুর বিড়াল কুত্তা গরু প্রায় সেইম। কোষের গঠন পৃথিবীর উদ্ভিদ বা জীবানুর কোষের সংগেও অনেক মিল। অন্য প্রানির অংগ বা সেরাম মানুষের দেহে দেয়া যায়, মানব ইনসুলিন তৈরি হয় গরুর দেহে।
এতো এতো মিল এটাই প্রমাণ করে যে,সব সৃষ্টবস্তু একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:২৫

সাসুম বলেছেন: মানুষ গরু খায়, গরু ঘাস খায়। সো মানুষ ঘাস খায়। সুন্দর যুক্তি।

মানব অংগের কোষের সাথে ব্যানানা বা কলার ২৫% জিনের মিল আছে। সো, কলা কেও মানুষ হিসেবে ধরা যায় আপনার যুক্তিতে।

ব্যাপার টা এমন- আমার গায়ের রঙ কালো, আপনার গায়ের রঙ ও কালো। আমার মাথায় চুল, আপ্মনার থায় ও চুল। আমার চোখ ২ টা, আপ্নার চোখ ২ টা।

সো, এত্ত এত্ত মিল প্রমান করে, আমার আর আপনার বাপ একই।

ভাইজান, আপনার এই সব যুক্তি- প্যারাটক্সিকাল মজিদ এর জন্য খাটে। লজিকাল সায়ন্সে এসব খাটেনা ।

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: সিয়োডোসাইন্স নিয়ে কথা বলাই টাইম নস্ট....আমি সবসময়ই বলি পৃথিবী থেকে বসে যখন মংগল গ্রহে গাড়ী চালানো হচ্ছে, তখন আমাদের জাতীয় সমস্যা হল কে লুংগি গিরার উপরে পড়ল কে কে গিরার নীচে পড়ল- এই নিয়ে তর্ক যুদ্ধ

আপনার ডিএনএর ছবিটা ভুল...নরমাল ডিএনএ সবসময়ই রাইট হেন্ডেড..ছবির ডিএনএ লেফ্ট হেন্ডেড।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৪১

সাসুম বলেছেন: কাজী নজরুল আরো ৭০ বছর আগে বলে গিয়েছিলেন- বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে/ বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে।

আমাদের জ্ঞান এখনো এখানেই ভাইজান।

ডিন এন এ এর ছবিটা- সিউডোসায়েন্স ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন এর অথোরিটি ডিস্কোভারির সাইট থেকেই নেয়া হয়েছে। হয়ত তারা যেড ডি এন এ মীন করেই লেফট হ্যান্ড করেছে অথবা মিরর ইমেজ হিসেবে ইউজ করে বসেছে গ্রাফিক ডিজাইন করার সময়।

আমিও আর চেঞ্জ করিনি ।

সুন্দর জিনিষ খেয়াল করেছেন তো! ধন্যবাদ ভাইজান।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

বারবোসা বলেছেন: সাসুম ভাই,
আপনি বলেছেন,
একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিজ্ঞান কে আমার বিশ্বাস করতেই হয়। কারন- আমি জানি, আমি যা বিশ্বাস করি তা মিথ্যে নয়
হাস্যকর কথা ভাই।আপনি ঘুরে ফিরে বটতলাতেই যাচ্ছেন আর যাই হোক।আইন্সাটাইনের মতে আপনি হাজার হাজার গাছ দেখেছেন দাবি করেন,কিন্তু আপনি কোনোদিন বনেই যাননি।বিজ্ঞান মিথ্যে নয় এই কথার যুক্তিকতা তুলে ধরবেন আশা করি বিজ্ঞানের আলোকে।
আপনি আরো বলেছেন,আপনি যেদিন আমার সামনে তথা বিজ্ঞানের সামনে প্রমান নিয়ে আসবেন- টেস্টেবল এবং অব্জারবেবল- যে আপনার স্রষ্টা থিউরি সঠিক- সেদিন আমি তথা সমস্ত বিজ্ঞান আপনার যুক্তি মেনে নিবে। আপ্ননি আরো প্রমান যখন আনবেন- দুনিয়ায় ৪৩০০ ধর্মের মধ্যে আপনার ধর্ম সেরা এবং আপনার স্রস্টা সেরা, তখন সব বাদ দিয়ে আপনার ধর্ম আর স্রষ্টার উপর ঈমান আনব।

দুঃখিত ভাই, বিজ্ঞান অনুসারে এটাকে তখনো চূড়ান্ত সত্য হিসেবে মেনে নেয়া হবে না।কারণ প্রকৃতিতে পরে আরো একটা কন্ট্রোভার্শিয়াল প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে।আর সবচেয়ে বড় কথা বিজ্ঞান যেহেতু বস্তুবাদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,তাই সব ঘটনার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান বাস্তব প্রকৃতি থেকে দিবে,সেটা যত অদ্ভুত আর অযৌক্তিকই হোক না কেন।
আর সবচেয়ে বড় ভুলটা আপনি খেয়াল করে দেখুন ভাই,
সৃষ্টিকর্তাকে কিভাবে ডিফাইণ্ড করা হবে এটা সৃষ্টবস্ত হিসেবে আমরাই নির্ধারণ করে দিচ্ছি।কিন্তু এই উপায়েই যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ত্ব প্রমাণ করা যাবে,তা তো নাও হতে পারে।বিজ্ঞান হয়তোবা কোনো একদিন তার পদ্ধতিটা চেঞ্জও করতে পারে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

সাসুম বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন পুরা দুনিয়ার তাবত বিজ্ঞানীরা ভুল, আর আপনার আকাশ থেকে ৯০ হাত লম্বা মানুষ পড়া থিউরি সত্য?

অকে, মেনে নিলাম।

আপনি যা বলবেন- সব সত্য।

বিঃদ্রঃ বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে, এটা নিয়ে মে বি আমার হাল্কা জানাশোনা আছে। খুব বেশি না যদিও, অল্প স্বল্প। তো, এই অল্প জ্ঞানে, আপনার সাথে তর্ক করা শোভা পায় না।

আপ্নি আমার কথাকে ধরে ধরে টুইস্ট করতে পারবেন আপনার নিজের মত করে, সমস্যা নাই। আমি বলতে চেয়েছি- যেহেতু আপনি টেস্টেবল এবং অব্জারবেবল প্রমান আনতে পারেন নাই আপনার সত্য ধর্মের সো আমি এটা বিলিভ করছি না, আপনি যখন প্রমান আনতে পারবেন তখন করব।

এই স্টেটমেন্ট এর মানে এই না, আপনার সব যুক্তি মেনে নিলাম মানে ইন ফিউচারে আবার কেউ প্রমান নিয়ে আসলে সেটা বাতিল করে দেব অটোমেটীকালি। বিজ্ঞান কাজ করে এভাবেই, আপাত সত্য এটা, ইন ফিউচারে আবার এর চেয়ে বেটার কিছু প্রমানিত হোক , তখন মেনে নেব। পরে আরো বেটার প্রমান আসুক- আগের সব বাদ, এভাবে সাইকেল চলতে থাকবে, এভাবেই বিজ্ঞান কাজ করে।

এই জন্য, আমি আপনাকে আগেই জিজ্ঞেস করে নিছিলাম- আপনি আকাশ থিউরি তে বিলিভ করলে আপনার সাথে আমি নাই ক্যচালে ভাই।

কারন- আকাশ থিউরি আমার পক্ষে হজম করা পসিবল না। এদের সাথে তর্কে জিতাও পসিবল না, কারন আকাশ থিউরি বিলিব কারীদের সম্বল তো ওই তর্ক ! আর তো কিছু নেই! বিজ্ঞান- তর্কের চেয়ে যুক্তি বেশি পছন্দ করে, আর পছন্দ করে প্রমান।

আপাতত আকাশ থিউরির প্রমান নেই, তবে ম্যাক্রো বলেন আর মাইক্রো লেবেলে বলেন- ইভুলিউশান এর হাজার হাজার লাখো কোটী প্রমান সামনে ঘুর ঘুর করে। চাইলেই দেখতে পাবেন, তবে আকাশ থিউরি বিলিবার হলে, চোখ আর মন বন্ধ থাকায় সেসবে বিলিব আসার কথা না।

আমি কিভাবে ডিফাইন করব, সেটা আমাকেই ঠিক করতে হবে তাই না? অলৌকিক কেউ এসে ঠিক করে দিবে আর আমি মেনে নেব- ব্যাপার টা কেমন যেন!

যাই হোক- যতদিন প্রমান হচ্ছেনা আপনার আকাশ থিউরি, ততদিন এটা মিথ বা গল্প। আপাতত কথা এত টুকুই। প্রমান করতে পারলে আমি সহ দুনিয়ার সব জ্ঞানী গুণী বিজ্ঞানী যুক্তিবিদ ডারুইনের ফালতু থিউরি আর তাদের সব বিজ্ঞান আগুনে ছুড়ে ফেলে আকাশ থিউরির ছায়াতলে চলে আসবে।

১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বুঝলাম বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মানুষের আবির্ভাব কিন্তু আদম পাহাড়ে অত্ত বড় পায়ের ছাপ খানা কিসের? আর মানুষের সাইজ কি আসলেই ৯০ হাত ছিলো পুর্ব যুগে? ফসিল যা পাওয়া যায় তার সবই তো দেখছি স্বাভাবিক উচ্চতার।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

সাসুম বলেছেন: শ্রী লংকার এডামস পিক এ, যে পায়ের ছাপের কথা বলা হচ্ছে- তা কিসের সেটা জিজ্ঞেস করলে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাওয়া যায়-

১. হিন্দু দের কাছে- দেবতা শিবের
২. বৌদ্ধ দের কাছে- মহাজ্ঞানী বুদ্ধের
৩. পর্তুগিজ দের কাছে- সেইন্ট থমাস এর
৪. খ্রিস্টান দের কাছে- এডাম এর
৫. মুস্লিম দের কাছে- আদম ( আ) এর

এখন এই ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার পায়ের ছাপ আসলেই কিসের সেটার দায়ভার দর্শকের উপর। পাঠক বা দর্শক যেভাবে দেখেন।

আর ৯০ ফুট বা ৬০ কিউবিটস এর ধারনা টা এসেছে- আবু হুরায়রা থেকে বর্নিত বেহেশ্তের একটা বিবরন থেকে।

সেখানে মানুষ কেমন হবে, এটা বর্ননা কর‍তে নবীজি বলেছিলেন। "The first group of people who will enter Paradise, will be glittering like the full moon and those who will follow them, will glitter like the most brilliant star in the sky. They will not urinate, relieve nature, spit, or have any nasal secretions. Their combs will be of gold, and their sweat will smell like musk. The aloes-wood will be used in their centers. Their wives will be houris. All of them will look alike and will resemble their father Adam (in stature), sixty cubits tall." (Sahih Al Bukhari narrated by ABu Huraira)

এখন,এখানে আদম এর যে বর্ননা সেটা উনি যখন বেহেস্তে ছিলেন তখন কি সাইজ ছিলেন সেটার একটা এনালজি, বাট উনি কি আসলেই এই সাইজেরি ছিলেন কিনা পৃথিবীতে সেটা বলা নেই ক্লিয়ারলি কোথাও।

আর ফসিল বা বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত যেসব প্রমান মিলেছে তাতে ইসলামের কিছু আসে যায় না, কারন ইসলামের মতে- আদম এডেন থেকে হুট করে শ্রী লংকায় ল্যান্ড করেন অপরাধের শাস্তি হিসেবে।

সো, বিজ্ঞানের পক্ষে সম্ভব না এই জিনিষ নিয়ে গবেষণা বা প্রমান বের করা। কারন- বিজ্ঞানের আরো অনেক কাজ আছে অবাস্তব জিনিষের পিছে ছুটার চেয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.