নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন, আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন

সাসুম

দূরত্ব বজায় রাখুন যদি আপনি আম্লীগ, বিম্পি, জামাত-শিবির, মারখোর ফাইক্কা, ভারত মাতার সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, মুক্তচিন্তার বিরোধী, ইব্রাহিমস্টাইনের ছাত্র, তারেক মনোয়ারের গুণগ্রাহী , আল্লামা সাঈদীর ঘেটুপুত্র, হাসান মাহমুদ এর জানপ্রান, জংগি তালেবান সিম্পাথাইজার, অপবিজ্ঞান ও কুযুক্তি ধারনা চর্চা কারী, বিবর্তন বিশ্বাস না করে আকাশ থিউরির মজিদীয় বানী বিশ্বাস করেন, ৪ বিয়া লাভার ও সেক্স ডিপ্রাইভড কাঠাল্পাতা খোর ছাগল অথবা প্যারাডগিস্টাইল মজিদ এর ভক্ত হয়ে থাকেন। আর যদি মানুষ হয়ে থাকেন- আপনাকে স্বাগতম।

সাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পর আসলেই কি ঘটে এই নশ্বর দেহের এবং তার পরিপ্রেক্ষিতঃ বিভিন্ন ধর্ম ও বিজ্ঞানের আলোকে

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৪



মৃত্যু শব্দটা আমাদের কাছে সেক্রেড বা ভয়ানক একটা ব্যাপার।

জীবন্ত একটা মানুষ হুট করে একটা নির্দিষ্ট বয়স-সীমা বা রোগে ভোগে যখন কোষ গুলো আর সেলফ রেপ্লিকেট করতে পারেনা বা মরে যাওয়া শুরু করে এবং হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত পরিমান রক্ত পাম্প করে রক্ত থেকে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড আলাদা করতে পারেনা এবং মস্তিষ্কে পাঠাতে পারেনা তখনই সায়েন্টিফিকালি ধরে নেয়া হয় মানব দেহের মৃত্যুর।

এ ডিসিজড হওয়া বা কোষের মৃত্যুই আসলে মানবের শেষ অবস্থা।

কিন্তু আসলে কি হয়? সামাজিক, বৈজ্ঞানিক এবং ধর্মীয় দিক থেকে একেক সমাজে এবং একেক ধর্মে মৃত্যু কে একেক ভাবে দেখানো হয়েছে।

খ্রিস্টান ধর্মেঃ ক্রিশ্চিনিয়াটি তে জেসাস এর ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু এবং এর ৩ দিন পর গড দ্বারা তুলে নেয়া তেই তাদের বিশ্বাস শুরু হয়। এটাকে ধরা হয়- তাদের উথান ও পুরুজ্জীবন এর মূল ধারনা।

তারা বিশ্বাস করে, মরনের পর একটা সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে জাজমেন্ট ডে এর জন্য এবং সেদিন সতকাজ ও পাপের বিচার হবে এবং তাদের আমল অনুযায়ী তাদের কে পুরস্কার করা হবে। এই জাজমেন্ট ডে নিয়ে কিছুটা মতভেদ আছে। কেউ কেউ মনে করে মরনের পর পর এটা হবে আবার কেউ করে মনে করে দুনিয়ার সবাই মরার পরেই এই জাজমেন্ট ডে হবে। কেউ কেউ আবার বিলিভ করে- দুই রকম জাজমেন্ট ডে হবে। মরার পর একবার আবার চূড়ান্ত একবার। পাপ ও পূন্য অনুযায়ী তাদেরকে হিভেন বা হেল এ পাঠানো হবে।
রোমান ক্যাথলিক দের মতে, মরার পর পর একটা অবস্থায় তাদের কে রাখা হবে , এর নাম পারগাটরি স্টেজ। এখানে পবিত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরিশুদ্ধ করে, এর পর হেভেন এ দেয়া হবে সবাইকে।

এটা জাস্ট বেসিক ভার্শান, অনেক ক্রিশিয়ান ভিন্ন ভিন্ন আফটার লাইফের ঘটনা বিলিব করে।

ইস্লাম ধর্মেঃ ইসলামে মৃত্যু এবং এর পরের জীবন নিয়ে বিশাল এবং বিস্তারিত বলা হয়েছে। ইসলামের বিশ্বাস টাই পুরাটা মরনের পরের জীবন এবং সেটার উপর নির্ভর করে তাই এই ধর্মে এটা নিয়ে আলোচনা ও বেশি।
এই ধর্মে বিশ্বাসী রা মনে করেন- মৃত্যু মানে শুধু বডির হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া নয় বরং আজ্রাইল নামক ফেরেশ্তা এসে আত্মা বা সৌল নিয়ে যাওয়াই আসল মরন। মরনের পর, ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী কবর দিতে হয়।
এরপর মুঙ্কার নাকীর নামে দুই ফেরেশ্তা এসে তাদের বিশ্বাস এর টেস্ট নেন এবং যারা এই টেস্ট এ পাশ করেন তাদের জন্য কবর কে শান্তির ও সুখের বানিয়ে দেয়া হয় এবং যারা ফেল্ করে তাদের কে কবর কে আযাব বানিয়ে দেয়া হয় জাজমেন্ট ডে পর্যন্ত।
মৃত্যুর পর থেকে জাজমেন্ট ডে পর্যন্ত টাইম এ অবস্থা করাকে বলা হয় বারজাক!

ইসলাম অনুযায়ী সুইসাইড, মেডিসিন দ্বারা কারো প্ররোচনায় মৃত্যু ( ডাক্তারির ভাষায় ইথানাইজেশান ) এবং ধর্মীয় কারন ব্যাতিত মানব খুন ধর্ম বিরোধী কাজ এবং এর সাজা জাহান্নাম।
মুসলিম দের বিশ্বাস এর অন্যতম বিশ্বাস হল আফটার লাইফ বা পরকালে বিলিভ করা। কবর মাত্র একটা অস্থায়ী অবস্থা, আসল জীবন শুরু হবে কেয়ামতের পর জাজমেন্ট ডে তে পুনুরুত্থান এর পর। এখানেও পাপ ও পুণ্যের উপর নির্ভর করে সাজা ও পুরষ্কার দেয়া হবে। পাপীরা অনন্ত আগুণে জ্বলবে এবং ইমান দার রা অনন্ত বেহেশ্তে।


ইহুদি ধর্মেঃ অন্য আব্রাহামিক ধর্মের মতই ইহুদি ধর্ম ও সেইম পুনরজ্জীবনে বিলিভ করে। হিব্রু বাইবেল অনুযায়ী, মরার পর সবাইকে শিউল নামক যায়গায় রাখা হবে এবং সেখান থেকে পাপ পুণ্যের অনুযায়ী সাজা ও পুরস্কার দেয়া হবে।

ইহুদি দের আফটার লাইফ বিলিভ কিছু টা কমপ্লিকেটেড অন্য আব্রাহামিক দের তুলনায়। এক এক ধর্ম নেতা এক এক রকমের আদেশ ও নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তবে বেসিক রুলস গুলা অনেক্টা বাকি আব্রাহামিক ধর্ম গুলার সাথে মিলে যায়।

হিন্দু ধর্মেঃ দুনিয়ার সব চেয়ে পুরাতন ধর্ম বিশ্বাস সণাতন বা হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী আফটার লাইফ মানে রি ইঙ্কারেশান বা পুনজন্ম। ভগবান কৃষ্ণের বানী অনুযায়ী- মানুষ যেমন পুরান কাপড় ফেলে নতুন কাপড় পড়ে তেমনি, মানুষের মরনের পর চিতায় পুড়ানোর পর মানুষের নতুন জন্ম ঘটে এবং মানুষ অন্য রুপে আবার এই দুনিয়াতে ফেরত আসে।
মোসলমান দের আজ্রাইল এর মতই হিন্দুদের দেবতা ঈয়ামা তার প্রতিনিধি পাঠান মৃতের আত্মা কালেকশান করে নিয়ে আসার জন্য , এরপর চিত্রগুপ্ত সেই আত্মার হিসাব রাখেন এবং লেজারে লিখে রাখেন তার কাজ ও পাপ পুণ্যের বা কার্মার হিসাব।
এরপর সেই আত্মা আবার ফিরে যায় দুনিয়ায় কার্মা অনুযায়ী , যদি খারাপ কাজ করে তাহলে নিন্ম শ্রেণীর প্রাণি রূপে আর যদি ভাল কাজ করে তাহলে উচ্চ শ্রেণীর ও বর্নের মানুষ হিসেবে দামী ও ধনী ফ্যামিলিতে। এভাবে সাইকেল চলতেই থাকে, তবে এক সময় সাইকেল শেষ হলে আত্মার মুক্তি ঘটে এবং পূন্য আত্মা গুলো সুপ্রিম গড এর সাথে মকশা বা স্যাল্ভেশান স্টেজে চিরতরে শান্তিতে অবস্থান করে। ( এই সাইকেল শেষ হওয়া নিয়ে তেমন বিস্তারিত পাওয়া যায় না যদিও )

তবে হিন্দু ধর্মের আসল কথা- হল কার্মা। সৎকর্ম করলে পরের জীবনে সুখী ও ধনী হিসেবে দামী ফ্যামিলি ও কাস্টে জন্ম নিবে আর যদি পাপী হয় তাহলে কুকুর সাপ পোকা মাকড় রূপে জন্ম নিবে।

বৌদ্ধ ধর্মেঃ বুদ্ধের মতে রিবার্থ ঘটে নিজের সত্তা অপরিবর্তিত রেখেই। অনেকটা হিন্দু ধর্মের সাথে মিল- যদি পাপ করে থাকো তাহলে নিন্ম স্তরের প্রাণী রুপে আসবে ফিরে আর যদি পূন্য করো তাহলে উচ্চ শ্রেণির মানুষ হয়ে ফিরবে অথবা ৩১ টা হিভেনলি রেল্ম ( Relm) এর যে কোন একটা তে আজীবন এর জন্য।

তিব্বতীয়ান বৌদ্ধ রা বিলিভ করে , মরার পর পর একটা বোধি স্টেজ থাকে যেখান থেকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে এই সাইকেল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভগবান বুদ্ধ এই জ্ঞানের আলোর কথা বলে গিয়েছেন অনেক বার।

যদিও বৌদ্ধ ধর্মে ডিটেইলস পাওয়া যায় না কিভাবে কার্মার উপর বেইজড করে পুনরজ্জীবন ঘটবে বা কিভাবে এই সাইকেল কন্টিনিউ করবে।

এই হল, মোটামুটি সংক্ষেপে বর্তমান প্রচলিত ধর্ম গুলোর মৃত্যুর পরের বিশ্বাস। এ ছাড়াও এই সব ধর্মের বিভিন্ন কাস্টে বিভিন্ন মতব্বাদ প্রচলিত আছে আফটার লাইফ বা পরের জীবন সম্পর্কে।

তবে সব ধর্মেই একটা কমন জিনিষ পাওয়া যায়- সেটা হল ধর্ম বিশ্বাসী ও আস্তিক দের জন্য আফটার লাইফে সুখ আর সুখ এবং অবিশ্বাসী দের জন্য শাস্তি। মোটামুটি সকল ধর্মের কমন ফিচার এটাই।

মৃত্যু একটা আন সারটেইন টেরিটরি এবং এটা নিয়ে মানবকূল চিন্তিত ছিল সেই চিন্তা শুরু করার সময় থেকেই।

ফলে, ধর্ম প্রচারক রা এটাকেই তাদের অন্যতম মাধ্যম ধরে নিয়েছে ধর্ম প্রচারের জন্য এবং আফটার লাইফ কেই আসল করে তাদের ধর্ম প্রচার করেছে কারন এই জিনিষ প্রমান করাও সম্ভব না আবার ভূল প্রমান করাও সীমিত জ্ঞানে সম্ভব না।

সো, মানুষ কে ধর্মের পদাবনত করতে আফটার লাইফের গল্প সব ধর্মের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার ছিল, আছে এবং যতদিন না মানুষ ডেথ কে একদম ডাইসেক্ট করে পরিপূর্ন বুঝে উঠতে পারবেনা ততদিন থাকবে।

যাই হোক- এবার ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজ্ঞানের দিকে আলো ফেলা যাক।

বিজ্ঞান কি বলে?

হৃদপিণ্ড যখন সক্ত সঞ্চালন বন্ধ করে দেয় তখন দেশের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট মস্তিষ্কে আর রক্ত পৌছায় না ফলে আর ডেটা ও ক্যামিকেল প্রসেস করতে পারেনা মানব দেহ এবং বডিলি ফ্লুইড এর ভাংগন ধরে- এটাকেই ডেথ বলা যায়।

বিজ্ঞান যেহেতু এখনো আফটার লাইফ বা সুপার স্টিসিসাস লেভেলে পৌছাতে পারে নাই, এখানে আমরা আলোচনা করব শুধুমাত্র বায়োলজিকাল দিক থেকে।

হার্ট বন্ধ হবার পরে, বায়োলজিকাল বডীর ডিকম্পোজিশান শুরু হয় কয়েক মিনিট পরেই। এটাকে আমরা বলতে পারি- অটোলাইসিস বা সেলফ ডাইজেশান।

হার্ট অফ হবার পর কোষ গুলা অক্সিজেন এর অভাবে হাস্ফাস করতে থাকে ফলে তাদের এসিডিটি বৃদ্ধি পায়। ফলে কোষের ভেতরের এঞ্জাইম গুলো কোষের মধ্যকার মেমব্রেন বা ফাইবার কে ভেংগে ফেলে একটা ক্যামিকেল রিয়েকশান এর মধ্য দিয়ে। এভাবে কোষ থেকে এনজাইম বের হয়ে যায় । এটা শুরু হয় লিভার এবং ব্রেণ সেলে সবার আগে; যেটা পানি ও এঞ্জাইমে পরিপূর্ন । এভাবে আস্তে আস্তে সকল অর্গান , টিসু ভেংগে যায়। ডেমেজ হওয়া রক্তনালিকা গুলো রক্ত যেখানে সেখানে বের করে দেয় এবং গ্রাভিটির কারনে কৈশিক নালিকা এবং ছোট ছোট শিরায় জমা হয় এবং পুরা শরীর পেইল বা সাদা বর্ন ( রক্ত হীন )ধারন করে।

শরীরের তাপমাত্রা কমা শুরু করে যতক্ষন না এটা পরিবেশ এর টেম্পারেচার এর সমান না হয়। এরপর, দেখা দেয় মেডিকেল এর সবচেয়ে জনপ্রিয় টার্ম- রাইগর মর্টিস। চোখের পাতা, চোয়াল এবং গলায় মাসল ঝুলে যায় । জীবন্ত থাকা অবস্থায়, এক্টিন ও মায়োসিন প্রোটিন আমাদের মাসল গুলোকে লুব্রিকেন্ট ও রিলাক্স রাখত, রাইগর মর্টিস স্টেজে এসে প্রোটিন ফিলামেন্ট এক যায়গায় আটকে যায় ফলে হাত পা বা অন্যন্য জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং যেটা যেভাবে আছে সেটা সেভাবে লক হয়ে থাকে।

এই স্টেজে, দেহের ইকো সিস্টেমে অবস্থান করা ব্যাকটেরিয়া মূলত সব একশান চালায়। আমাদের দেহ ব্যাকটেরিয়ার এক মারাত্মক আধার যেখানে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ব্যাক্টেরিয়া টিকে থাকে । পরিপাক তন্ত্র এদের বাস এবং এই গাট ব্যাকটেরিয়া আমাদের মরনের পরে একটা বিশাল ভূমিকা পালন করে। এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে, সময়ের সাথে ইন ফিউচারে আমরা আশা করি এদের সম্পর্কে আরো জানতে পারব।

আমাদের ইমিউন সিস্টেম এর জটিল প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা। আমাদের অর্গান গুলো মাইক্রব এ ভরে যায় মারা যাওয়ার সাথে সাথেই এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেম কাজ করা অফ করে দেয় মরার সাথে সাথে। আমাদের গাট ব্যক্টেরিয়া যোগ দেয় এই যুদ্ধে এবং তারা খাওয়া শুরু করে পরিপাক তন্ত্র থেকে, এর পর পাশের পেশী এবং এভাবে আস্তে আস্তে যদি দেহ ফেলে রাখা হয় তাহলে এঞ্জাইম ভেংগে ক্যামিকেল কে সোর্চ হিসেবে ইউজ করে পুরা ভেতর থেকে সকল কোষ এবং পেশী কে খেয়ে ফেলে।

এরপর এই গাট ব্যাক্টেরিয়া আমাদের কৌশিক নালিকা, ব্রেণের লিম্প নোড হয়ে লিভার হার্ট এবং স্প্লিন খেয়ে শেষ করে। এটা লিভারে আক্রমনে যেতে ২০ ঘন্টা এবং ৬০ ঘন্টার মধ্যে পুরা বডিতে ছড়িয়ে পড়তে সমইয় নেয়।
এই মাইক্রোবায়োম এটাকের উপর নির্ভর করে ময়না তদন্ত স্পেশালিস্ট রা বের করতে পারেন- কবে নাগাদ দেহের পচন শুরু হয়েছিল এবং কবে নাগাদ মৃত্যু হয়েছিল স্পেসিফিক বডির।

তবে সব কাজ একই রকমের ব্যাক্টেরিয়া করেনা, ভিন্ন ভিন্ন ডি কম্পজিশান স্টেজে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া কাজ করে।

যখন ই সেলফ ডাইজেশান শুরু হয় এবং গাট বাক্টেরিয়া পরিপাক তন্ত্র ছেড়ে ভ্রমনে বের হয় তখন ই একটা মানব দেহের মলিকুলার ডেথ শুরু হয়। সফট টিসু ভেংগে গ্যাস, লিকুইড আর লবনে পরিণত হয়। এটা আরো আগে আস্তে আস্তে শুরু হয় বাট এনরোবিক ব্যাকটেরিয়া এটাকে আরো কুইক করে।

এনারবিক ব্যাক্টেরিয়া গুলো এরোবিক এর চেয়ে আলাদা। এরোবিক এর গ্রো এর জন্য অক্সিজেন দরকার অন্যদিকে এনারোবিক এর লাগে না, ফলে দেহের টিসু ও ফারমেন্টিং এর মাধ্যমে সুগার তৈরি করে, এবং এই মাধ্যমে গ্যসীয় বাই প্রডাক্ট মিথেন, হাইড্রোজেন সালফাইড ও এমোনিয়া বের হয়। এটা শুরু হয় এবডোমেন ও পরিপাক তন্ত্র থেকেই ইউজালি। ভেসেলে আটকে থাকা হিমোগ্লোবিন গুলোকে এনারোবিক ব্যাক্টেরিয়া সালফাহিমোগ্লোবিনে রুপ দেয় ফলে বডি আরো গ্রিনিশ ও মার্বেল ব্লাক কালারে পরিনত হয়।

এদিকে গ্যাস এর উতপাদন এর ফলে স্কিন এর ব্লিস্টার ফুলতে থাকে এবং পুরা শরীরের ত্বকে ছড়িয়ে যায়। আস্তে আস্তে এই ব্লিস্টার লিক করে ত্বক কে লুজ করে ফেলে এবং নামে মাত্র ঝুলে থাকে নীচের হাড় এবং পচন শীল পেশির সাথে। একসময় শরীরের এনাস ও অন্যন্য লিক দিয়ে এই গ্যাস চূড়ান্ত ভাবে বের হয়ে যায়, মাঝে মাঝে এর বেশি গ্যাস জমা হয় ব্লটিং এর ফলে, পুরা পেট বার্স্ট হয়।
ব্লট স্টেজ এর শুরু এবং শেষে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া কাজ করে এখানে । কিছু নেক্রোফাগাস ব্যাক্টেরিয়া সারা জীবন আমাদের দেহে থাকে এবং মরার পরে তাদের আসল কাজ শুরু করে।

একটা মৃতদেহ হল, মাইক্রোব এবং ইন্সেক্ট দের জন্য আদর্শ জিনিষ তাদের লাইফ সাইকেল এর।

ব্লো ফ্লাইস এবং ফ্লেশ ফ্লাই নামক দুই ধরনের মাছি শেষ স্টেজে এসে ডিকম্পোজিশান এ অংশ নেয়। পচন ধরা দেহের তীব্র দুর্গন্ধে এরা আসে এবং ডিম পাড়ে এবং কলোনী গড়ে তোলে। এই ম্যাগট রা পচা ফ্লেশ এবং মাসল খেয়ে বড় হয় এবং আস্তে আস্তে বড় এডাল্ট মাছিতে রূপ নেয়। এভাবে ডীম থেকে এডাল্ট সাইকেল চলতেই থাকে ( ডিম, লার্ভা, এডাল্ট, ডিম, লার্ভা...........................) যতক্ষন না এই এলাকায় আর কোন খাদ্য না থাকে, অর্থাৎ, হিউমান ক্যাভেডার এ আর কোন কিছু খাওয়ার মত অবশিষ্ট না থাকে।

এভাবে একসময় এই সকল মাছি গুলো মাটিতে মিশে যায় মরার পরে এবং মাটিকে উর্বর করে তোলে মৃত দেহের ইকোসিস্টেমে বড় হয়ে। এছাড়াও এই সকল মাছি ক্যাভাডার বা পচন শীল দেহ থেকে নাট্রিয়েন্ট বা ব্যাক্টেরিয়া মাটিতে নিয়ে ফেলে ফলে যে এলাকায় এই মাছি গুলা ভ্রমন করে, সেই এলাকার সয়েল এর আলাদা নাট্রিয়েন্ট সিস্টেম গড়ে উঠে।

এর ফলে এই মাটি আরো উর্বর হয় এবং প্লান্ট ডাইভারসেশানে ভূমিকা রাখে।

ফলে , এক সময়ের তরতাজা হিউমান বডি মাটির সাথে মিশে প্লান্টের উর্বরতায় কাজ করে এবং আবার ফিরে আসে আমাদের কাছে।

দিজ ইজ এ লাইফ সাইকেল অফ এ হিউমান।


মায়ের ভ্রুণ থেকে যাত্রা শুরু করে গাছ পালা হয়ে আবার প্রকৃতিতে ফিরে আসে শত বছর পরে।


বিজ্ঞান এখনো কোন আফটার লাইফ বা জাজমেন্ট ডে এর সন্ধান পায় নায়, সো আপাতত ভার্ডিক্ট হিসেবে বলা যায়- মরার পর মানব দেহ মাটিতেই ফিরে যায় বা ফিরে আসে আমাদের মাঝে ।।

[link|https://ychef.files.bbci.co.uk/160

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

সাজিদ! বলেছেন: যেকোন একদিকে ফোকাস করেন। র‍্যান্ডমলি নানা বিষয়ে না লিখে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

সাসুম বলেছেন: আমি অনেক বছর থেকেই ধর্ম আর বিজ্ঞানের রিলেশান, ধর্মের অসারতা এসব নিয়ে লিখালিখি করি! আমার ইন্টারেস্ট ও এই বিষয়ে। টূক্টাক কাজের ফাকে সময় পেলে পড়ালেখা ও করি এই জিনিষ গুলা নিয়েই।

লিখালিখি করে, সমাজ দেশ ও সভ্যতা পরিবর্তনের ইচ্ছা বা আখাংকা কোন টাই নেই। জাস্ট লিখার জন্যই লিখা। নিজের চিন্তা গুলো লিখে রাখা।

র‍্যান্ডম কই পাইলেন ভ্রাতা?

আর পোস্ট এর বিষয় বস্তু ভাল বা খারাপ কিংবা পোস্ট মানহীন কিংবা বাজে হল কিনা সেটা ও বলতে পারেন।
কিংবা কোন ভুল আছে কিনা লিখায় তাও বলতে পারেন প্লিজ, সুধরে নেব।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌ইসলাম কেনো ইস্লাম?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩

সাসুম বলেছেন: আরবিতে ইস-লাম এর উচ্চারন, আমাদের বাংলায় " স " এর নীচে " হসন্ত " দিয়ে লিখা হয়। আমাদের পুরাতন বাংলা সাহিত্য গুলো তে এভাবে লিখা আছে। অন্যদিকে, বাংলায় স এর পর হসন্ত এবং ল থাকলে দুইটাকে এক করে যুক্ত করে " স্ল " লিখা যায়।

ফলে- ইসলাম কে ইস্লাম লিখলে অশুদ্ধ হয়না। আমি দুভাবেই লিখি। যখন যেভাবে টাইপ হয় আর ঠিক করিনা।

বিঃদ্রঃ দুইটাই শুদ্ধ। আমি বাংলা ভাষায় লিখালিখি করেন এমন বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে ক্লারিফিকেশান নিয়েছি।

বিঃদ্রঃ ২ঃ এটা নিয়ে কি কোন ইসু আছে? এর আগেও একদিন এক ব্লগার এটা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তখন উনাকেও এক্সপ্লেনেশান দিয়েছিলাম!

যুক্ত বর্ন দিয়ে লিখলে কি কোন না কোন ভাবে ধর্ম অবমাননা হয় ? আমার জানা নেই কিন্তু!

তবে যদি সত্যিই হয়ে থাকে- তাহলে আমার জন্য ও ধর্মের জন্য - দু পক্ষের জন্যই চিন্তার বিষয়।

আমার জন্য চিন্তাঃ নেক্সট থেকে ঠিক করে লিখতে হবে নাইলে কল্লা যাবে।
ধর্মের জন্যঃ এত অল্পতে অবমাননা !!! এতো কচুপাতার পানির চেয়ে ভয়াবহ দুর্বল! এক সিম্পল ( ভিন্ন ভাষার ) সঠিক বানানে যদি দুর্বলতা ও অবমাননা প্রকাশ পায় তাহলে ভয়ের বিষয়!

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার প্রতি উত্তর এবং ব্যাখ্যার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ দুইটাই শুদ্ধ। আমি বাংলা ভাষায় লিখালিখি করেন এমন বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে ক্লারিফিকেশান নিয়েছি।
বর্তমানে গোরু জবেহ করে আমরা কোরবানীর ইদ পালন করি, কোনো সমস্যা হয় না।

বিঃদ্রঃ ২ঃ এটা নিয়ে কি কোন ইসু আছে?
কোনো ইসু নেই বস। অনেকে দেখি ফেসবুকে ফ্রেন্ডস কে ফ্রেন্স লেখে তেমনই কিছু ভেবে ছিলাম। এখন পরিষ্কার হয়েছে।

যুক্ত বর্ন দিয়ে লিখলে কি কোন না কোন ভাবে ধর্ম অবমাননা হয় ?
এইসব নিয়ে যারা ভাবার তারা ভাবুক। আমার কিছু যায় আসে না।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

সাসুম বলেছেন: দেখবেন, এরপরেও কিছু বস্তির পোলাপাইন আইসা না জেনে, না বুঝে নিজেদের পরিচয় রেখে যাবে লেদিয়ে লেদিয়ে পোস্টে। কারন, যারা কম জানে ও কম বুঝে তাদের জন্য নিজের গর্তের বাইরে বাকি সব ভুয়া মনে করে।

আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহুদী ধর্ম মতে, "মানুষ অনন্ত জীবন বেহেশতে থাকবে না"।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৫৯

সাসুম বলেছেন: ইহুদি দের এক এক নেতার এক এক মত। এক এক র‍্যাবাই এক এক ধারায় উত্তর দেয়। দিন শেষে কিন্তু সবাই আবার এক ইহুদি ধর্মের জন্য প্রান দিয়ে কাজ করে। এবং সেটা ধর্মান্ধ ভিত্তিক নয় বরং জ্ঞান বিজ্ঞান আর যুক্তি ভিত্তিক। এই কারনেই- অল্প মানুষের ইস্রায়েল আজ দুনিয়ার টপ পাওয়ারফুল কান্ট্রি

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

কুশন বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের সাথে যাব। ধর্মের কথা অযোক্তিক।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০০

সাসুম বলেছেন: অবশ্যই যৌক্তিক মানুষ রা যুক্তির সাথে যাবে, অযৌক্তিক রা কুযুক্তির সাথে।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: দোজখ বেহেশতের মাঝামাঝি একটা জায়গা আছে যেখানেও মানুষকে রাখা হবে, সেই জায়গা হবে পৃথিবীর মতো, কস্ট করে খেটে খেতে হবে। এটা আপনি জানেন??!!

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০২

সাসুম বলেছেন: না! আজকে জানলাম! আমার সেখানে যাওয়ার তেমন পসিবিলিটি নাই কারন আমার যায়গা ডাইরেক্ট জাহান্নামে সো এটা নিয়ে চিন্তাও নাই।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: @ রানার ব্লগ,সেখানে কারা যাবে?
ধর্মীয় অনেক বক্তব্য বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০৩

সাসুম বলেছেন: ধর্ম গড়ে উঠেছে অন্ধ বিশ্বাস আর অলৌকিক মিথ দিয়ে।

তা যুক্তি তথা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক হবেই! হতেই হবে! নাইলে যে দুনিয়ার ভারসাম্য বজায় থাকেনা!

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০

বিটপি বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ। এটাকে মানুষের লাইফ সাইকেল না বলে ইকো সিস্টেমের লাইফ সাইকেল বলা চলে। পদার্থের রূপান্তর আছে, ধ্বংস নেই - এই সিস্টেমের সফল বাস্তবায়ন বলা যেতে পারে।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল লেখা- বেশ ভাল লাগল ভ্রাতা!

হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইহুদী( যদিও সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন আপনি বলেছেন) ধর্মের ব্যাখ্যাটা পুরোপুরি আসেনি!
কবর বা কফিনের মধ্যে ওই মাছিগুলো কোত্থেকে আসে-ধারনা আছে?

কাউকে কোন বকা-ঝকা না করে- ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে আরো অনেক বিশ্লেষনধর্মী লেখা লিখুন! যেহেতু এই ব্যাপারে আপনার বেশ ন্যাক আছে- আমরাও কিছু জানি।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৩২

সাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।

ইসলাম বা বাকি আব্রাহামিক ধর্ম গুলো কিন্তু একটা সিস্টেমে অনেক দিন ধরে চলে আসছে, এবং ধর্ম প্রণেতা ও প্রচারক রা লিখিত স্টেটমেন্ট রেখেছে প্রচুর, ফলে খুব সহজেই আপনি ইনফরমেশান পাবেন।

বাট, ধরেন সণাতন ধর্ম- এটা পুরাটা অতি প্রাচীন যখন থেকে কোন ধরনের লিখার সিস্টেম ছিল না বা ছিল না কোন ইউনিফর্ম স্টেটমেন্ট, ফলে এক এক সময় ছাড়া ছাড়া ভাবে, এক এক রকম আফটার লাইফের কথা উঠে এসেছে, তবে মোটামুটি আমরা বুঝি- আত্মার কোন মৃত্যু নেই তাদের, ধর্মে, বরং এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় যায় কার্মা এর উপর নির্ভর করে। এবং স্যাল্ভেশান স্টেজে কেউ পৌছাতে পারলে সে বাকি জীবন ভগবান এর সাথে কাটাবে শান্তিতে।

বৌদ্ধ ধর্মঃ এটা অনেক টা জীবন দর্শন ভিত্তিক ধর্ম। এটা হাইলি ইনফ্লুয়েন্সড বাই সণাতন ধর্ম। ফলে, দেখতে পাবেন, তারাও আফটার লাইফে এক স্টেট থেকে আরেক স্টেট এ যাওয়া বিলিভ করে। এবং হিন্দু দের স্যাল্ভেশান স্টেজ এর মত, তারাও বোধি লাভ করলে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌচ্ছায়।

ইহুদিঃ এটা আসলেই কমপ্লিকেটেড। একেক জন একেক কথা বলে। এটার আফটার লাইফ নিয়ে পড়ালেখা করে কুল কিনারা পাইনাই। হাহাহ। তবে আব্রাহামিক ধর্মের মত জাজমেন্ট আর আফটার লাইফে বিলিভ আছে।

তবে ক্রিশ্চিয়ান আর মুসলিম দের মত এত ক্লিয়ার ইনফো কোথাও নেই বাকি দের নিয়ে।


কবর বা কফিনে মাছি আসে ন্যাচারাল নিয়মেই। খাবার এর সন্ধান পেয়ে গেলে ঝাকে ঝাকে চলে আসে। এই ফ্লেশ ফ্লাই এবং ব্লো ফ্লাই গুলা মূলত পচা গলা মৃত দেহ খেয়েই বেচে থাকে এবং এভাবেই তাদের জীবন অতিবাহিত করে। এখানেই তাদের লাইফ সাইকেল চলে লার্ভা থেকে এডাল্ট হয়ে মরে যাওয়া পর্যন্ত।

আমি কাউকে বকা ঝকার চেয়ে মূলত বক ধার্মিক এর ধর্মান্ধ দের কথার জবাব দেই, তবে মাঝে মাঝে হয়ত মেজাজ বেশি খারাপ হলে কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায় আর কি। ইলজিকাল কিছু দেখলে তখন আর কার মেজাজ ঠিক থাকে বলেন দাদা।

আমি আসলে জাস্ট নিজের জন্য লিখি, ভাল লাগে তাই। এমন না লেখালিখি আমার পেশা বা লেখালিখি করে দুনিয়া চেঞ্জ করে ফেল্ব। বেশির ভাগ সময়ে, হয়ত কোন বই পড়ছি, সেটার ইনফ্লুএয়ন্সড হয়ে কিছু একটা লিখি।

আপনি ভাল থাকবেন, স্টে সেফ।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৯

জুন বলেছেন: আচ্ছা কবরের ভেতরেও কি মাছি আসতে পারে সাসুম !!
মরেও শান্তি নাই দেক্তেছি :(

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০০

সাসুম বলেছেন: ন্যাক্রোটাইজিং ফ্যাসজাইটিস- বা এন এফ ব্যাক্টেইরিয়া আমরা জীবিত থাক্তেও আমাদের আক্রমন করতে পারে।

তবে কিছু এন এফ প্রজাতি শুধুমাত্র মাটির উপরে এবং জলাশয়ে পাওয়া যাওয়া মৃতদেহ খেয়ে বেচে থাকে, কিছু প্রজাতি মাটির নীচে কবর থেকেও খুজে বের করে খেতে পারে ( আসলে বিবর্তন এর ধারায় মাছি রাও পরিবর্তন হয়ে গেছে )

মোট কথা, যেহেতু পৃথিবীতে মোট এন্ট্রপি চেঞ্জ হবেনা, সো, মানুষ মারা যাওয়ার পরেও কোণ না কোন ভাবে ফিরে আসবে আবার প্রকৃতিতে। হোক বায়োমাস হয়ে কিংবা প্লান্ট এর নাট্রিয়েন্ট হয়ে মাছির খাবার হবার মাধ্যমে কিংবা মিলওর্ম এর খাবার হবার মাধ্যমে।

বিঃদ্রঃ ভয় পাবেন না একদম। মরে যাওয়ার পর, একদম টের পাওয়া যাবেনা কে কিভাবে খাবে :)

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: কামাল১৮ @ সেখানে তারাই যাবে যাদের পাপ পূন্য সমান সমান !!

** ইহার কোন ধর্মীয় ব্যাখ্যা আছে কি না আমার জানা নাই, বেশ কিছুদিন আগে একজন মওলানার বক্তব্যে জেনেছি এই কাহিনী।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

সাসুম বলেছেন: এটা নিয়ে একেক আলেম একেক ধরনের ব্যাখ্যা দেন।

যেমন ইমাম গাজ্জালির মতে ( সুফিজম ) - বারজাক হল সেই যায়গা যেখানে না জান্নাত না জাহান্নাম। যাদের পাপ আর পূন্য সমান তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। তারা জান্নাতের সুখ দেখতে পাবে এবং ভাব বে এক সময় আমরা এখানে যেতে পারতাম, অন্য দিকে তারা জাহান্নামের কস্ট দেখে ভাব্বে আমরা আসলেই আরামে আছি।

আবার সুন্নি মতে- বারজাক হল, কবর দেয়ার পর থেকে কেয়ামতের আগে পুনরজ্জীবন পর্যন্ত মধ্যবর্তী অবস্থা।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুর পর মুনকার আর নকির সাহেব তিনটা প্রশ্ন করবেন।
প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে বাইড়াইয়া হাড্ডি ছুটাবে। সেই চিন্তায় আমি অস্থির।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

সাসুম বলেছেন: মাইর এম্নেই খাইবেন ওম্নেও খাইবেন, চিন্তা করে লাভ কি? এর চেয়ে সৎ জীবন যাপন করেন, নিজের কাছে সৎ থাকুন এবং ভাল কাজ করে মরে যান।

এটাই আসল জীবনের ধর্ম ও লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.