নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন, আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন

সাসুম

দূরত্ব বজায় রাখুন যদি আপনি আম্লীগ, বিম্পি, জামাত-শিবির, মারখোর ফাইক্কা, ভারত মাতার সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, মুক্তচিন্তার বিরোধী, ইব্রাহিমস্টাইনের ছাত্র, তারেক মনোয়ারের গুণগ্রাহী , আল্লামা সাঈদীর ঘেটুপুত্র, হাসান মাহমুদ এর জানপ্রান, জংগি তালেবান সিম্পাথাইজার, অপবিজ্ঞান ও কুযুক্তি ধারনা চর্চা কারী, বিবর্তন বিশ্বাস না করে আকাশ থিউরির মজিদীয় বানী বিশ্বাস করেন, ৪ বিয়া লাভার ও সেক্স ডিপ্রাইভড কাঠাল্পাতা খোর ছাগল অথবা প্যারাডগিস্টাইল মজিদ এর ভক্ত হয়ে থাকেন। আর যদি মানুষ হয়ে থাকেন- আপনাকে স্বাগতম।

সাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের বিবর্তন, বর্তমানের ধর্মের মডারেশান এবং আগামি দিনের ধর্ম

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৬



মোহাম্মাদ, জেসাস এবং বুদ্ধ আমাদের সমসাময়িক ধর্ম নেতা। তবে মাত্র ৩৫০০ বছর আগে যদি আমরা নজর দেই- তাহলে দেখতে পাই ব্রোঞ্জ যুগে পারস্যে ( আজকের ইরানে ) সাম্রাজ্য কায়েম করেছিলেন- জরোস্টার ( Zarathustra ) নামক এক ধর্ম প্রণেতা।

একজন সুপ্রিম গড এর ধারনা নিয়ে শুরু করা ধর্ম ও তার ব্যাপ্তি ১০০০ বছর পরে পুরা পারস্য ছাড়িয়ে আরব পেনিনসুলা দখল করে নিলো। আর মাত্র আরো কয়েক হাজার পর সেই বিশাল ব্যাবিলনের ধর্মীয় সাম্রাজ্য পতন হল- আর বিচারে যারা দোষী সাব্যাস্ত হল তারা পেল ডেথ সেন্টেন্স আর বাকিরা কনভার্ট হলো ইসলামে শেষে চলে গেল কেউ কেউ আহমাদিয়া আর বাহাই সম্প্রদায়ে।

আর আজকের এই দুনিয়ায়- Zoroastrianism টিকে আছে নিভূ নিভূ করে মাত্র কয়েকজন পূজারী নিয়ে।

আমরা এটা ভেবে নেই- ধর্ম নাজিল হয় এবং টিকে থাকে। তবে আমাদের এক্সিস্টিং ধর্ম গুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাই- আব্রাহামিক ধর্ম গুলার স্পেশালিটি হচ্ছে ফিউচার কোন ধর্মে এডাপ্টেড হওয়া। বিবর্তনের ধারায় ধর্মের ও ইভুলিউশান ঘটে এবং আবির্ভাব ঘটে নতুন ধর্মের।

আমাদের চিন্তার সীমাবদ্ধতা ও সাইকোলজিকাল কারনে আমরা নতুন ধর্ম কে বেছে নেই না। যখন কেউ নতুন কোন ধর্ম শুরু করে- আমরা তাকে কাল্ট বা পাগল হিসেবে আখ্যায়িত করি। অন্যদিকে যখন কোন ধর্ম বিলীন হয়ে যায়- তখন সেই ধর্মের নিয়ম কানুন আর গ্রন্থ ও পবিত্র রুলস গুলো আমাদের কাছে হয়ে যায়- জাস্ট মিথ। আজকের দুনিয়ায় মিশরীয় ( ব্যবিলনীয় জরোস্টার ), গ্রীক অথবা নর্স - একসময়ের প্রবল প্রতাপশালী ধর্ম গুলো আমাদের কাছে লিজেন্ড ও মিথ মাত্র।

এবং আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মের দিকে তাকালেও দেখতে পাই- খিস্টান ধর্ম বিবর্তিত হয়েছে বিভিন্ন ধারায়, শত শত শাখা উপশাখা তবে মেইন দুইটা দিক- ইস্টার্ন অর্থোডক্স ও ক্যাথলিক চার্চ গ্রুপে।

ইসলাম এর দিকে তাকাই- ক্লিয়ারলি দেখতে পাই- চারটি মূল ধারায় বিভক্ত- সুন্নী, শিয়া, সুফি ও আহমাদিয়া গোস্টি। তবে- মূল ধারা দুইটি- সুন্নী ( প্রায় ৮১% মোট মুসলিম এর ) এবং শিয়া ( ১৫% )

আরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অল্প কিছু আলাদা আলাদা গোস্টী।

যদি আপনি বিলিভ করেন- আপনার ধর্ম চূড়ান্ত সত্যের পথ এবং এর বাইরে আর কিছু নেই তবে আপনার সাথে তর্ক চলে না। যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চান এবং ধর্মের ক্রমধারার দিকে নজর দেন তাহলে দেখতে পাবেন- যত স্ট্রং হোক না কেন আমাদের বিলিভ, আমাদের পরের জেনারেশনে যেতে যেতে এটা ফেড হয়ে যাবেই এবং আস্তে আস্তে বিবর্তিত হবেই।

এটাই নিয়ম! এটাই হয়ে আছে ন্যাচারালি এবং এটাই ফিউচারে হবে।

সো যদি আগেও চেঞ্জ হয় তাহলে বর্তমান এর পর কেমন হতে পারে ফিউচার ধর্মের ধরন বা আমাদের পূজার ধরন কি রকম হবে?

কিংবা কোন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট যদি নিজের মধ্যে সৌল খুজে পায় কি হতে পারে?

যাই হোক, এ আলোচনায় যাওয়ার আগে আমাদের যাওয়া দরকার শুরুতে কেন এলো ধর্ম। ফ্রেঞ্চ পলিমার ভল্টায়ার এর একটা কথা ধার্মিক দের খুব পছন্দ। সেটা হল, যদি খোদা বলে কেউ নাও থাকত, তবুও বিবর্তনের ধারায় তাকে আবিস্কার করতেই হত।

ব্রড সেন্সে বলা যায়- একটা শেয়ার্ড কমন বিশ্বাস এর দরকার ছিল আমাদের সভ্যতা বিনির্মানে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অতিপাকৃতিক ব্যাখায় ধর্মের প্রভাব প্রচুর। একটা বিশাল পিরামিড তৈরি করতে যেখানে জীবন হারানো টা অনেক টা নিশ্চিত সেখানে কাজ করতে ধর্ম ছাড়া একটা বিশাল মিশরীয় জনগুষ্টিকে একত্র করা যেত না।

এই সব বিশ্বাস একটা লং টাইম কমপ্লেক্স কালচারাল, মিলিটারি প্রসেস, সিলেকশন এবং ইভুলিউশান এর মধ্যে দিয়ে আজকের এই ধর্ম। আমরা হয়ত বুঝতে পারি না, বাট প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কোন না কোন ধর্ম আবিস্কার হচ্ছে এবং ৯৯.৯৯% হারিয়ে যাচ্ছে মাস পিপল জানার আগেই।

যে কোন ধর্ম টিকে থাকতে হলে মাস পিপলের কাছে, তাহলে কিছু টেঞ্জিবল বেনিফিট দিতেই হবে। না হলে বাপ দাদার ধর্ম ছেড়ে কেন আসব নতুন ধর্মে? যেটা হতে পারে অর্থ , সেটা হতে পারে দাসত্ব থেকে মুক্তি সেটা হতে পারে স্বাধীনতা পুরা জাতির।

রোমান এম্পায়ার এর সময় ক্রিশ্চিনিয়াটির উদ্ভব এর কারন ছিলঃ দুস্থ ও অসহায় দের সেবা করার চিন্তা ।


ইসলাম- শুরুর দিকে তলোয়ার এর ডগায় না বরং সম্মান, মুক্তি ও হিউমিলিটি দিয়ে এর ফলোয়ার দের এট্রাক্ট করেছিল।


ইভেন এই বংগ ভূমে, ইস্লাম প্রসার এর কারন- সাধারন প্রজারা বাংলা হিন্দু জমিদার দের অত্যাচারে তারা ইসলামের তলে এসে কিছুটা শান্তি পেয়েছিল।

সো, মোদ্দা কথা, আপনাকে বেটার কিছু একটা দিতেই হবে। যার কারনে, ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম প্রসারিত হয় কারন এক এক যায়গায় এক এক ধরনের চাহিদা ছিল এবং ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম নিপীড়িত জনগনের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে মিটিয়ে ছিল।

প্রি এগ্রিকালচারাল এইজে আমাদের হান্টার গেদারার রা ভাবত ন্যাচার এর যে কোন কিছুতেই সুপ্রিম গড কে পাওয়া যাবে । অন্যদিকে, আমাদের সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে আমরা আস্তে আস্তে এক গড এ বিলিভ করা শুরু করলাম- যেমন ইয়াইয়া, জেসাস, আল্লাহ প্রভৃতি।

আজকের সভ্যতায়, দেখতে পাই- একই সমাজে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের লোক সহ অবস্থান করছে উন্নত ও সভ্য সমাজে এবং সেখানে কেউ কাউকে জোর করছে না বা কোন ধর্মে বিশ্বাস করেনা এমন লোকেরাও বাস করছে নিরাপদে। এই সেকুলারিজম এর বিকাশ উঠতির দিকে এবং বিজ্ঞান ও জ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে আমরা আমাদের কে বুঝতে ও চিনতে শিখছি আর জানছি এক্সপ্লেনেশন এবং আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছি ধর্ম নামক বাড়ি থেকে।

সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে, বলা যায়ঃ ধর্মের ফিউচার নীচের দিকে এবং এটা আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

এটাই আমাদের নরমাল ধারনা ছিল। বাট আসল সত্য কিছুটা ইউনিক ও ভিন্ন ।

সভ্য দেশ ও সভ্যতা গুলো অনুন্নত দেশ গুলোর চেয়ে ধর্মে বিশ্বাস কম করলেও, অনুন্নত দেশ ও সভ্যতার মানুষ দের এখনো একমাত্র আশা ধর্ম। ফলে, এই ২১ শতকে এসেও আমরা দেখতে পাই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো ধর্ম ঝাকিয়ে বসেছে এবং বিস্তার লাভ করছে । এবং এই বিস্তার লাভ আরো চলবে সাম্নের দিনেও। ২০১৫ সালে এক রিসার্সে দেখা যায়, ২০১৫ সালে যেখানে ৮৪% লোক ধর্মে বিশ্বাসী সেটা ২০৫০ এ চূড়ান্ত পিক এ আসবে প্রায়- ৮৭% এ।

এই যায়গায় সব চেয়ে বেশী নাম্বার বাড়বে ইসলাম ধর্মের

কারন মুসলিম অনুন্নত দেশ গুলোর বার্থ রেট অনেক হাই এবং ২০৫০ সাল নাগাদ এটা একদম পিক লেভেলে উঠবে এবং সব চেয়ে বড় ধর্ম গোষ্ঠীর এক্টাতে পরিণত হবে।
এটা ঘটবে এশিয়া, সাব সাহারান আফ্রিকা এবং ল্যাতিন আমেরিকায়। এটা আসলে আমাদের ডিপ নিউরোলজিকাল ও সাইকোলজিকাল গেম।

যেখানে কস্ট ও স্ট্রেস বেশি, যেখানে জ্ঞানের আলো প্রবেশ এর যায়গা কম ও অজ্ঞতা বেশি সেখানে ধর্ম প্রবেশ করবে বেশি।

অন্যদিকে, অমুস্লিম রা কিছুতা উন্নত সভ্যতায় থাকার ফলে, তারা জ্ঞানের আলোয় অনেক বেশি আলোকিত হবে এবং বাচ্চা জন্ম দান কে তাদের একমাত্র লাইফ গোল বানাবে না, ফলে বার্থ রেট কমতেই থাকবে। ফলত, ইসলাম বাদে অন্য ধর্ম গুলো বিস্তার কমবে।

কিন্তু, আসল খেলা হবে এর পর। এর পর আস্তে আস্তে সভ্যতা এমন এক পিক লেভেলে পৌছে যাবে মানুষের কাছে ইনফরমেশান একদম হাতের নাগালে চলে আসবে। ফলে মানুষ বুঝতে পারবে ধর্ম আসলে কি এবং আস্তে আস্তে এই রিলিজিওন গ্রোথ নীচের দিকে নামতে থাকবে। ফলে, নাস্তিক এবং কোন ধর্মে বিলিভ করেনা এমন লোকের সংখ্যা বাড়বে। বাট এই গ্রোথ অনেক স্লো হবে।

২০০৫ সালে, Paul Heelas এবং Linda Woodhead যারা Lancaster University, UK এর Department of Religious Studies এর প্রফেসর, তারা প্রকাশ করেন- দা স্পিরিচুয়াল রেভুলেশান নামক এক বিখ্যত বই, যেখানে দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষ নতুন ধর্ম বিশ্বাস ও ফর্মে আস্তে আস্তে কনভার্ট হচ্ছে।

এই বইতে তারা দেখিয়েছেন, কিছু ফিউচার প্রেডিকশান দু'ভাবে- সেকুরালিজম ও সেক্রালাইজেশান এর দিক থেকে।

তাদের মতে- রিলিজিওন তখন ই কাজ করবে যখন তুমি অপ্রেসড বা যখন মনে হবে কিছুই যখন কাজ করেনা তখন না হয় ধর্ম কাজ করবে।

গরীব রাস্ট্রে, একটা ভাল চাকুরি পেতে বা ভাল বিজনেসে শাইন করতে হয়ত দোয়া বা প্রার্থনা দরকার হয়, বাট কোন সভ্য বা উন্নত রাস্ট্রে এটার দরকার হয় না। হয়, যোগ্যতা এবং সময়মত মেথড এপ্লাই করা।

এখন মানুষ ধর্ম কে নিজের মত করে ইউজ করছে এবং নিজেই বাছাই করছে কোনটা রাখবে আর কোনটা ছুড়ে ফেলে দিবে এবং এখানেই উদ্ভব ঘটছে একটা মডারেট ধার্মিক নামক নতুন টার্ম এর যেটা আগে ছিল না।

বিজ্ঞানীরা এই টার্ম এর নাম দিয়েছেন self-directed religions। পিক এন্ড মিক্স মেথডে বিশ্বাসী এই ধর্মের মানুষ জন।

যেমন- চায়না তে বুদ্ধিজম, তাওয়িজম এবং কনফুসিয়াজম মিক্স করে এক নতুন ধরনের ধারা তৈরি হচ্ছে এবং এটা ইয়াং দের মাঝে দেখা যাচ্ছে

যেমন- ইস্টার এবং ক্রিস্টমাস এক হয়ে ক্রিশ্চিয়ানিটি তে মিশে গেছে।


মুসলিম রা অনেক পুরাতন ধারা বাদ দিচ্ছে- যেমন বহু বিবাহ, দাসী ও গনিমতের মাল সিস্টেম।

এছাড়া একদম নতুন করে অনেক ধারা বের হচ্ছে, যেমন নতুন করে বাইবেল লিখা হচ্ছে যেখানে কোন সুপান্যাচারাল এলিমেন্টস নাই, তারা এথিস্ট টেম্পল তৈরি করছে, নাস্তিক দের জন্য চার্চ। খিস্টান দের সানডে প্রেয়ার এখন আস্তে আস্তে গেদারিং এ রুপ নিচ্ছে গড এর প্রেয়ার এর চেয়ে।

ইউরোপের প্যাগানিজম ইন্টারেস্ট বাড়াচ্ছে এবং একটা ভাইকিং রিলিজিয়ন আসাত্রু ফেইথ আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হচ্ছে। প্রাচীন নর্স মিথোলজি এবং কালচার তারা প্রেক্টিস করছে।

ইউ কে তে দেখতে পাই আমরা- ড্রুইড্রি কালচার। এ

রা কেউ কিন্তু এথিস্ট না বরং ভিন্ন ধারায় রিলিজিওন কে বিলিভ করছে এবং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাট, এটা তাদের হবি বা টাইম পাস। নট ফুল টাইম জব।

এখানেই আসল রহস্য। তারা ধর্ম কে এখন জীবনের মোস্ট ইম্পরট্যান্ট মনে করেনা, এটা জাস্ট একটা ছোট কালচার মাত্র।


অনেকে ক্যাপিটালিজম কে নতুন একটা ধর্ম মনে করেন অনেকে মনে করেন একটা ভোলাটাইল স্টেট মাত্র। অনেক ধর্মই আধুনিকতা কে মেনে নিয়েছে এবং সেটা অনুযায়ী নিজেদের ঢেলে সাজাচ্ছে।

যেমন- পোপ ফ্রান্সিস ২০১৯ এর এক সমাবেশে স্বীকার করে নিলেন এবং বলেছেন- the Catholic Church had to acknowledge a history of male domination and sexual abuse of women and children and repair its reputation among young people or risk becoming “a museum”.

অর্থাৎ, নারীদের প্রতি চার্চের সরাসরি প্রনোদনায় চলা অন্যায় এর যদি এখনই স্বীকার করে, প্রতিরোধ না করা হয়, সামনে চার্চ আর ধর্ম শুধু মিউজিয়ামেই পাওয়া যাবে।

পোপ এর নারীর প্রতি অপ্রেশান এর স্বীকারোক্তি

বাট আগের দিনে যেমন নতুন ধর্ম বিকাশে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দরকার ছিল- এখঙ্কার যুগে সেটা র আর দরকার নেই, কারন ফ্লো অফ ইনফরমেশান, তথা ইন্টারনেট। এই অনলাইন কমিউনিটি হতে পারে- সেই নতুন রিলিজিয়নের প্রচার ও প্রসার এর মাধ্যম।

যেমন বেশ ক বছর আগে, রোকো বাসিলিক নামে এক ইন্টেলিজেন্ট মেশিন এর আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করে অনেকে যারা মনে করে, নেক্সট গড হবে এ আই নিয়ন্ত্রিত এবং যিনি লজিক পাজল মিলিয়ে দুনিয়া শাসন করবেন। যার হবে সুপার ইন্টেলিজেন্ট পাওয়ার এবং যে শুধু ভাল কাজ ই করবে। এই যে একটা ধারনা, আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এরকম আস্তে আস্তে বিকাশ হতে থাকবে এবং ইন্টারনেট তথা ফ্রি ইনফরমেশান ফ্ল এর মাধ্যমে আরো অনেক বিস্তার লাভ করবে।

সুপ্রিম বুদ্ধিমান মেশিন- দা এক্স মেশিনা


সেলফ ড্রাভিং কার এর এন্ট্রাপিনিউয়ার এবং এ আই এক্সপার্ট লেভানোডভস্কি ২০১৭ তে চালু করেন তার নতুন চার্চ , ওয়ে অফ ফিউচার। ফিউচার চার্চ বাই লেভানোডভস্কি

তার মতে, “There are many ways people think of God, and thousands of flavours of Christianity, Judaism, Islam,”

“But they’re always looking at something that’s not measurable or you can’t really see or control. This time it’s different. This time you will be able to talk to God, literally, and know that it’s listening.”


ব্যাখ্যাঃ জনগন খোদা বা গড হিসেবে এমন কিছু মানে যেটাকে একেক ধর্ম একেক রকম করে ডিফাইন করে- হাজার হাজার ধারা ইসলাম, খ্রিস্টান আর ইহুদিদের। বাট সবার একটা কমন কালচার হল- এই ধর্মের খোদাকে ডিফাইন করা যায়না নাম্বার দিয়ে, মাপা যায়না কোন মানদন্ডে। যায়না কোন ধরনের কমিউনিকেশান। বাট নতুন, পৃথিবীর গড এর এই সমস্যা থাকবে না, তার সাথে কমিউনিকেশান হবে সরাসরি এবং ফল আসবে ইনস্ট্যান্ট।

২০১১ সালে কিছু নতুন উদ্যোক্তা চালু করেন-দা টুরিং চার্চ। দা টুরিং চার্চ


তাদের মূল্মন্ত্র ছিলঃ “We will go to the stars and find Gods, build Gods, become Gods, and resurrect the dead” – but no hierarchy, rituals or proscribed activities and only one ethical maxim: “Try to act with love and compassion toward other sentient beings.”

ব্যাখ্যাঃ আমরা হয়ত একদিন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাব , খুজে পাব সুপ্রিম গড বা নিজেরাই বানিয়ে নেব কাউকে এমন,হয়ত আমরা প্রিভেন্ট করতে পারব মৃত্যু বা বাচিয়ে তুলব মৃত কে। আমাদের এই নতুন গড বা ধর্মে কোন রিচুয়াল বা প্রার্থনা থাকবেনা, থাকবেনা কোন নবী বা মেসেঞ্জার। আমাদের এক্টাই এথিকাল গ্রাউন্ড- ভালোবাসা ও মমত্ববোধ একে অপরের প্রতি।

২০০১ সালে স্টারর ওয়ার্স লাভার রা চালু করেন তাদের নিজেদের রিলিজিয়ন- টেম্পল অফ জেডী। স্টার ওয়ার্স এর টেম্পল অফ জেডি


এছাড়া পরিবেশ বাদী কিছু লোকজন চালু করেন- Witnesses of Climatology নামে নতুন এক ধরনের রিলিজিয়ন।

রিসেন্টলি, ইরান ও মিডল ইস্টে এবং সেণ্ট্রাল এশিয়া তে এক ধরনের এন্সায়েন্ট সেরেমনি আবার ফিরে এসেছে। নওরোজ প্রথা ( ইরানিয়ান নিউ ইয়ার )

এই ট্রেডিশন অনেক টা যরোস্ট্রিয়ানস এর নওরোজ ( নিউ ইয়ার ) এর মত। আগুনে কোন উইশ বা পুরানা কোন পাপ ছুড়ে ফেলা এবং নতুন বছর কে আগমন জানানো।

এছাড়াও, ট্রান্স হিউমানিজম এর কথা শোনা যাচ্ছে । মানুষ এবং মেশিন এর সমন্বয়ে গঠিত এক নতুন ধরনের রিলিজিয়ন।

এইসব, নতুন ধর্ম হয়ত কিছুই না সময়ের তুলনায় বা এস্টাব্লিশড ধর্মের তুলনায়।

তবে আরবের ধু ধু মরুর বুকে এক অশিক্ষিত রাখাল বালকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শত কোটি মানুষের কাছে তার ধর্ম পৌছে যাবে এটাও তখন কার কেউ কল্পনা করে নাই সেই ১৪০০ বছর আগে।


কিংবা, আজ থেকে ৩০০০ বছর আগে, ইরানের সেই ছোট্ট একটা গ্রুপের আগুনের চারপাশে জড়ো হয়ে তাদের বিশ্বাস কে উচ্চারন করতে দেখে কেউ ভাবেনি তারাই একসময় দুনিয়ার বুকে অন্যতম বিশাল, শক্তিশালী ও প্রাচীন এক ধর্মের প্রচলন করবে যা মেডীটেরিয়ান থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে ছুটে চলবে এবং রাজত্ব করবে হাজার বছর।


আসলে, ধর্ম কখনো মরে না হয়ত , জাস্ট হাত বদল হয় বা রুপ বদলায়।
হয়ত, আমাদের নেক্সট ধর্ম শুরু হয়ে গেছে দুনিয়ার কোন না কোন প্রান্তে। আমাদের অজানায় কিংবা অবহেলায়্। যদিও তাতে কিছু যায় আসেনা। সময়ের সাথে প্রকাশ পাবেই।

তবে, সভ্যতার অগ্রগতির কারনে, প্রাচীন ধর্মের মত এত প্রভাব ফেলবে না মানব জীবনে, বরং এটা অনেকটা জাস্ট পালন করলেও কি না করলেও কি টাইপ কালচার হয়ে দাঁড়াবে।

তখন, সভ্যতা ডিফাইন করতে ধর্ম লাগবেনা আর লাগবে লজিক, জ্ঞান আর বিজ্ঞান। এটাই হল সবচেয়ে জরুরি বিষয়।

আমাদের এখন কার ধর্ম আমাদের কে বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে জান্নাত জাহান্নামের ড্রিম দেখায়, হয়ত ফিউচার রিলিজিয়ন আমাদের কে ড্রিম দেখাবে কোয়ান্টাম রিয়াল্ম এর বা সাব এটমিক লেভেলের কোন অলৌকিক বিশ্বাস এর।

তবে বিবর্তন যেমন সত্য, তেমনি ধর্মের রুপান্তর ও সত্য বটে। মানুষ যখন এক্সিস্টিং ধর্মের অলৌকিকতার যৌক্তিক ব্যাখ্যা খুজে পাবে, তখন আর তাদের কে ধরে রাখা যাবেনা নতুন ধর্মে, প্রয়োজন হবে নতুন মিথ বা গল্পের এবং এখানেই আমাদের ছোট ধর্ম গুলো গাছপালার মত পাখা মেলবে, ডালপালা গজাবে তাদের।

বিঃদ্রঃ ছবিটা আমার খুব প্রিয় সাবজেক্ট ফিবোনাচ্চি নাম্বার এর সাথে মিল রেখে তৈরি করা এক চার্চ এর ছাদ। ছবি

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০২

ঢিসুম বলেছেন: কুরআনের বিষয় বিন্যাস এবং কাবা ঘরের অবস্থান যে গোল্ডেন রেশিও ফলো করে - এটা কি আপনার জানা আছে?
https://www.youtube.com/watch?v=xxqU88-5AZE

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১২

সাসুম বলেছেন: না, আমার জানা নেই। আজকে প্রথম শুনলাম, আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। আমি স্টাডী করব এটা নিয়ে।

তবে সানফ্লাওয়ার ফুল থেকে শুরু করে পাইন কোন এর মোচা কিংবা সামুকের ভেতরের খোল এর মিডিয়াম কিংবা ন্যাচারে পাওয়া অনেক এলিমেন্ট গোল্ডেন রেশিও ফলো করে।

কিংবা কাবার চেয়ে প্রাচীন অনেক অনেক স্থাপনা আছে যেগুলাতে এরকম পিউর ম্যাথেমেটিকাল এনামলি দেখা যায়। ক্লিয়ার উদাহরনঃ মিশরের পিরামিড যেটা আকাশের নক্ষত্র এর দিকের সাথে ম্যাচ করা।

প্রাচীন কালের আর্কিটেক্ট রা আমাদের ধারনার চেয়েও অনেক বুদ্ধিমান ছিল, সো এতে অবাক হচ্ছিনা একদম। হয়ত কাবা ঘরের জ্ঞানী আর্কিটেক্ট ও গোল্ডেন রেশিও ফলো করেছেন।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

জাদিদ বলেছেন: ধর্ম টর্ম নিয়ে গত কয়েকদিন বেশ পড়াশোনা হলো! সারাদিন যদি মাংস খাওয়া হয়, তখন তা অরুচি লাগে। ধরেন নেন কোন এক পক্ষ যুদ্ধ করে ব্লগ থেকে হানাদার ধর্মকে বিতাড়িত করে ব্লগকে স্বাধীন করে ফেলেছে। এখন চারিদিকে মানবতা, শান্তি, জ্ঞান বিজ্ঞান আর উন্নয়নের জয়জয়কার। চিয়ার্স! অন্য পক্ষকে সান্তনা অন্য পোস্টে দিবো।

এই সব ধর্ম বিষয়ক পোস্ট বাদ দিয়ে - জ্ঞান বিজ্ঞান, উন্নয়ন, শান্তি মানবতা নিয়ে লিখুন। ধরে নিন, একটা সময় যখন ব্লগে ধর্ম ছিলো তখন বিজ্ঞান, উন্নয়ন নিয়ে লেখার অন্তরায় ছিলো ধর্ম বিশ্বাসী জনগন। এখন সম্পূর্ন ধর্মের প্রভাব মুক্ত হয়ে লিখুন।

সবাই বিজ্ঞানের আলোতে আলোকিত হোক।

(এটার ভাইসভার্স আবার ধর্মের লোকদের ওয়ালে দিতে হবে, তাইলে ব্যালেন্স হবে)

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

সাসুম বলেছেন: এই পোস্ট মূল ভাব কি করে জ্ঞান বিজ্ঞান এর অগ্রগতি ধর্মের গ্রাস থেকে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করবে, এবং কি করে ধর্ম তার খোল নলচে পাল্টাবে এবং বিবর্তিত হবে তার স্টেটমেন্ট।

এটা এন্টি ধর্ম পোস্টের আওতায় পড়েছে এটা জানা ছিল না। এই পোস্ট পুরাটাই রিসার্স আর্টিকেল, বিভিন্ন বই আর জার্নাল, ওয়েবসাইট ঘেটে সায়েন্টিফিক ডেটা দিয়ে লিখা ।

যাই হোক, আপনি স্যার যখন বলছেন অফ করতে , তখন লিখা অফ।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একসময় মানুষ একটা ধর্মের অনুসারী হবে সার্ভাইবাল দা ফিটেস্ট এর মতো। বাকিগুলো লোপ পাবে। চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

সাসুম বলেছেন: এই টপিক নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে কয়েক টা বই পড়ছিলাম দাদা। সেই থেকে বেশ কয়েকটা লিখা লিখে ফেললাম। এই লিখাটা জমে ছিল আজ সপ্তাহ খানেক। আজকে ফাইনাল করে পোস্ট করলাম লাঞ্চ ব্রেকে।


আপ্নাকে ধন্যবাদ কস্ট করে এত বড় বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট পড়ার জন্য। বড় পোস্ট দিতে ভয় লাগে, যদি ব্লগার দের পড়তে বিরক্ত লাগে তাই।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

ঢিসুম বলেছেন: খুবই গ্রহণযোগ্য ব্যখ্যা। আমরা তো জানি কাবা ঘর ফেরেশতাদের তৈরি এবং এর ডিজাইন করেছেন আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং। কোন গুহাচিত্র বা ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণের মাধ্যমে কি উদঘাটন করা যায় যে কাবা ঘরের প্রকৃত ডিজাইন আসলে কে করেছেন?

এ তো গেল কাবা'র কথা। এই ঘর যেহেতু সভ্যতার আদি থেকেই আছে, তাই হয়তোবা প্রকৃত সত্য জানা সম্ভব নয়। কিন্তু কুরআন তো নাজিল হয়েছে মাত্র দেড় হাজার বছর আগে। এর নিউমেরিক্যাল ভ্যালু কিভাবে ফিবোনাচ্চি রাশিমালা ফলো করে, সেটা তো মাথায় আসছে না। তাহলে কি ধরে নেব এখন আমরা যে কুরআন পড়ছি, সেটি লেখা হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকে, ফিবোনাচ্চি রাশিমালা মেনে? সেটাই বা কি করে সম্ভব? কুরআন যারা লিখেছেন বা এডিট করেছেন, তারা তো কখনও ইতালি যাননি।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

সাসুম বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি আগামি সপ্তাহে দেব, কারন উইকেন্ড ছাড়া আমার পক্ষে নতুন কিছু বেশ কয়েক ঘন্টা সময় ব্যায় করে স্টাডি করে দেয়া প্রায় ইম্পসিবল। তবে হাল্কা, গুগুল সার্চ থেকে দেকছি, এখন যে যায়গা টা তে মক্কা আছে, সেটা দুনিয়ার গোল্ডেন রেশিওর সেন্ট্রাল পজিশনে বা একদম পিন পয়েন্ট পজিশানে না, বরং মক্কার শহরের আশে পাশে । অনেকটা ঝড়ে বক পড়ার মত বাট, এটা নিয়ে ডিটেইলস ও সঠিক না জেনে আপ্নাকে কিছু বলতে পারছি না বা জোর গলায় বলাও উচিত নয়।

আর কাবা আগে এস্টাব্লিশ হইছে পরে ফিবোনাচ্চি নাম্বার আবিস্কার হইছে এটা যেমন সত্য তেমনি আগে অরিয়ন বেল্ট আবিস্কার এর হাজার হাজার বছর আগে কি করে মিশরে গিজার পিরামিড গুচ্ছ তৈরি হল তাও আবার সেইম নক্ষত্রের সেইম যাত্রাপথ ধরে সেটাও একটা রহস্য।

ন্যাচার এর সকল রহস্য যেমন সমাধান করা যায় না তেমনি এটা ও হয়ত। বাট আমি আরো স্টাডি করে আপনাকে রিপ্লাই করব ইন ফিউচার। ভাল থাকেন ততদিন।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

ঢিসুম বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=--gSWftKBd0

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

জাদিদ বলেছেন: সাসুম ভাই, আমরা যদি নিজে থেকে বাড়তি কথা ভেবে নেই, তাইলে তো বিপদ!! যেমন এই পোস্ট এন্টি ধর্ম আমি তো এমন কিছু বলি নাই। আমি বলেছি ধর্ম সংক্রান্ত পোস্ট দেখতে দেখতে অরুচি এসে গেছে। তাছাড়া, জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে হলে সেখানে যদি আমরা সব সময় ধর্মকে টেনে আনি, সেটা মনে হয় না সব সময় যৌক্তিক। এটাই বুঝাতে চেয়েছি। যাইহোক, আপনার যা মন চায় আপনি লিখবেন দ্যাটস ইট! কারো মানা করার কিছু নাই।

আমি শ্রেফ পাঠক হিসাবে আমার স্বাধীন মনোভাব প্রকাশ করলাম আর কি!

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাসুম বলেছেন: হাহাহা। ভাই চিল। আমি জানি আপনি মজা করছেন। আচ্ছা কাহিনি খুলে বলি, গত ১ মাস ধরে এই রিলেটেড বেশ বই পড়ছি, যার কারনে লিখায় ধর্ম আর বিজ্ঞান এর টোন চলে আসে। আর একটা পোস্ট ড্রাফট করা আছে, এরপর মোটমুটি এই সিরিজে বিরতি দেব।

এই সিরিজ এর পর লিখার ইচ্ছা আছে, আরেক তিক্ত টপিক- পুরুষ কি করে নারীর উপর হেজেমনিক অধিপতি হয়ে উঠল বা কি করে সমাজে নেতা অধিপতি বা সুপিরিয়র এন্টিটি মেন্টালিটি শুরু হল।

যাই হোক, রাসেল মাইনকা চিপায় পড়ছে। কাল্কা তার অফিসের সামনে মানব বন্ধন করছে। এই ভয়ে অফিস খুলতাছেনা, শুঞ্চহেন?
হাহাহহা

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

মনিরা চৌধুরী বলেছেন: আপনি অনেক স্টাডি করেছেন। কিন্তু চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরো স্টাডি করা প্রয়োজন।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সাসুম বলেছেন: আমি আসলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেই নাই কোন স্পেসিফিক ধর্ম নিয়ে। খেয়াল করলে দেখবেন, হয়ত বলে একটা সিদ্ধান্ত টেনেছি বর্তমান বিভিন্ন লক্ষন এবং পূর্বের ঘটনাবলীকে বিশ্লেষণ করে।

তবে একটা জিনিষ চূড়ান্ত বলা যায়ঃ দুনিয়ায় কোন ধর্মই সারা জীবন টিকে থাকেনা।। বিবর্তন বা মডারেশন বা পরিবর্তন আসবেই। এটাতে কোন হয়ত বা কিন্তু নেই। এই সিদ্ধান্ত এখনি টেনে দেয়া যায়। কারন- এটাই প্রকৃতির ধর্ম।

আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টে এসে আপনার ব্লগ লাইফের ৩ নাম্বার মন্তব্য করার জন্য। স্বাগতম

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

মনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধর্মকে ভুল প্রমাণ করা যায়। কিন্তু ঐশ্বরিক বার্তাকে নয়। সভ্যতা যত অগ্রসর হবে ধর্ম ও ধর্মাচার বিদায় নেবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, ধর্মগুলো অনেকটা বিদায়ের পথে। খ্রিষ্টানদের ক্যাথলিক, প্রোটেস্টেন্ট, মুসলমানদের শিয়া, সুন্নী, ধর্মগুলো যে বানানো তা মানুষ ক্রমশ বুঝতে পারছে। কিন্তু স্রষ্টার বাণী চুড়ান্তভাবে সত্য হিসাবে টিকে থাকবে। যারা বুদ্ধিমান তারা স্রষ্টার বার্তা গ্রহণ করবে। আর নির্বোধরা গ্রহণ করবে পুরহিত- মোল্লাদের বানানো ধর্ম।
ইসলাম ধর্মের নামে চলছে এমন কিছু বিষয় যা কাল্পনিক। যেমন- নামাজ, দোয়া, জিকির, কবর আযাব, ইমাম মেহেদী বা ইসা নবী এসে মুসলমানদেরকে বিজয়ী করে দেবে, কথিত দাঁড়ি, টুপি, পাগড়ী, নারীদের বোরখা, জিন ভুত সাধনা, তাবিজ, কবজ, মুসলিম জাতির কথিত ধর্মাচার, শুধু নিজেদের জন্য কাল্পনিক জান্নাত, যাবতীয় সৎ কাজ করলেও অমুসলিম সবার জন্য কাল্পনিক জাহান্নাম ইত্যাদি এসেছে মোল্লাদের বানানো হাদীস, ফিকহ ও নিজের খেয়ালখুশি মত তাফসীর থেকে। এই বিষয়গুলো যে বানানো তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে আসছে। কারণ মিথ্যাকে শতবার বলেও তাকে বেশি সময় ধরে টিকিয়ে রাখা যায় না।
কিন্তু কোরআনের মূল কথা যেমন- সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন। মুহাম্মদ (সাঃ) মহান স্রষ্টার বার্তাবাহক। অন্যায়ের দমন, প্রকৃত সৎ ব্যক্তিদের ঐক্য, যে কোন ধর্ম বা জাতির প্রকৃত সৎ ব্যক্তিদের জন্য জান্নাত, এবং যে কোন ধর্ম বা জাতির প্রকৃত অসৎ ব্যক্তিদের জন্য নরক এবং সাধারণ মানুষদের জন্য স্বর্গ ও নরকের মধ্যবর্তীস্থান আরাফ । বিপন্ন নারী, অসহায় প্রতিবন্ধী, দুস্থ শিশুদের জন্য নিঃস্বার্থ (লোক দেখানো ছাড়া এবং কোন লাভ ছাড়া) কাজ বা সামগ্রিক সালাত প্রতিষ্ঠা, অভাব্গ্রন্থদের কষ্টকর অবস্থা দূর করা পর্যন্ত স্বচ্ছলদের যাকাত প্রদান (তা কোন ভাবে ২-৩ % এ সীমাবদ্ধ নয়), যতক্ষণ না দারিদ্রতা দূর হয়, সাধারণ মানুষদের মধ্যে সম্প্রীতি। ধর্ষক, ইভটিজার, জুলুমকারী তথা প্রকৃত মুশরিকদের নির্মূল করার অভিযান, ইত্যাদি বিষয়গুলো চুড়ান্ত সত্য এবং কোরআনের গাণিতিক বিন্যাস ও বৈজ্ঞানিক যুক্তি সহ প্রমাণিত। এই বিষয়গুলো কোনভাবেই ভুল প্রমাণ করা যায়না।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাসুম বলেছেন: আপনার বক্তব্য ইন্টারেস্টিং।
একটা প্যারাডক্স - ধর্মকে যদি ভুল প্রমান করা যায় তাহলে ঐশ্বরিক বার্তাকে ও সেইম মেথডে ভুল প্রমান করা যায়। আপনি বিচার করছেন টপ ডাউন মেথডে। অর্থাৎ উপর থেকে আসা বাণীর কি কি সঠিক সেটা দিয়ে বা কি কি যুক্তি বা লজিক মেনে চলে।

আমি যদি বটম আপ মেথডে যাই, তাহলে উপর থেকে আসা বাণীর কি কি ভুল বা কি কি অযৌক্তিক তাহলে সেইম ভাবে তখন যুক্তি গুলোকে ঝড়ে বক পড়ে মরা মনে হবে।

তবে, আমি একটা জিনিষ মানি।

ধর্ম মানে সৎ কাজ। ধর্ম মানে সততা আর সহানুভূতি, কারো ক্ষতি না করা, জুলুম না করা। আমার দ্বারা যাতে কেউ কস্ট না পায় বা কারো হক যাতে আমি মেরে না খাই। এটা প্রেক্টিস করি আমি পারসোনাল লাইফে।

তবে, আপনার চিন্তা ধারা ভাল লেগেছে।

আজকাল, ব্যাতিক্রম চিন্তা করতে পারা মানুষের অভাব।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

মনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধর্মকে বা মিথ্যাকে ভুল প্রমান করা যাবে। কিন্তু কোন কথিত ঐশ্বরিক বার্তা যদি ভুল প্রমাণ করা যায়, তখন তাকে ঐশ্বরিক বার্তা বলা যাবেনা।

আমি ড. মরিস বুকাইলির কথা বলবো। তিনি বিজ্ঞান দিয়ে বাইবেলকে ভুল প্রমাণ করেছেন, কিন্তু কোরআনকে সঠিক প্রমাণ করেছেন। আমি মনে করি কোন কিছু বিচার বিশ্লেষণ করতে আমাদেরকে হিংসা বিদ্বেষ, আবেগ তাড়িত না হয়ে, পূর্ব পুরুষ কি করেছেন বা অধিকাংশ মানুষ কি করে বা বলে এসব দ্বারা তাড়িত না হয়ে যুক্তি ও বিজ্ঞানকেই একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। আমি সম্ভবত কয়েকদিন পরে এই পোষ্ট ভিজিট করার সুযোগ পাব। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:০৯

সাসুম বলেছেন: ঐশ্বরিক বার্তার কথা তখনি আসবে যখন সে ঐশ্বরিক বার্তা নিয়ে আসা কোন ধর্মের সত্যতা যাচাই করা যাবে। যেহেতু ৯ মন ঘি ও জোগাড় হবেনা, তাই রাধা ও নাচবে না।

ডঃ/ মরিস বুকাইলি- হাহাহাহহাহাহাহ। উনি একটা বায়াসড লেখক।

যে বিজ্ঞান দিয়ে বাইবেল কে ভুল প্রমান করেছেন উনি। সেই একই বিজ্ঞান দিয়ে হাজার হাজার লেখক রা কোরান কে ভুল প্রমান করেছেন। তাই- কোন ধর্ম গ্রন্থ ভুল এটা নিয়ে আর কথা না বাড়াই।

যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায়- ধর্ম একটা হোক্স। মানব সভ্যতায় ধর্মের আগমন অনেক অনেক পরে। যদি ঐশ্বরিক বার্তা হত, তাহলে হোমো সেপিয়েন্স আসার পর পর এই ঐশ্বরিক বার্তা পৌছে যেত সবার কাছে।

আপনাকে ধন্যবাদ

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: নবী নিজেই বলে গেছেন তার ধর্মের লোকেরা হবে ৭২ কাতার, তার মাঝে এক কাতার যাবে বেহেস্ত বাকি সব দোজখে।
সুন্নিরা বহু ভাগে বিভক্ত।এক অংশ আরেক অংশকে বলে কাফের।বর্তমানে ওহাবীরা শক্তিশালী ।
সুন্দর বিশ্লষণধর্মী পোষ্ট।পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১০

সাসুম বলেছেন: সেই এক কাতার কারা, খুজে পাইলে জানাইয়েন। তাদের হাতে বাইয়াত নেব।

বড় পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৪

জাদিদ বলেছেন: আমি ওরে নাম দিসি পুরুষ পরীমনি! B-)

১১ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১১

সাসুম বলেছেন: ইভেলির রাসেল ফ্রড রে পরীর লগে তুলনা দিলেন? আরে ভাই- পরী তো টাকা নিয়ে কাম করে দেয় । এই বাটপার তো টাকা নিয়ে কাম ও করেনা, আবার টাকা ফেরত ও দেয় না।

না, পরিমনীর এত বড় অপমান মানা গেল না।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৫

রক্তহীন বলেছেন: আপনার লেখাগুলো খুব ইন্টারেস্টিং, আমি সম্পূর্ণ লেখা পড়ি।

আমার প্রশ্ন হল :

১. ধর্ম (ইসলাম) পালন করার কি ক্ষতিকর দিক আছে যদি থাকে সেগুলো কি কি ?

২. ইসলামের এত ডেভলপমেন্ট এর কারণ কি ? মাত্র চৌদ্দশ বছরে 150 কোটি মানুষ !!!

৩. কোন ধর্মকে আপনার কাছে সাইন্টিফিকভাবে মোটামটি ঠিক মনে হয় ?

৪. অতীতের বিজ্ঞান আসলে কতটা আধুনিক ছিল‌? কারণ আমরা কিছু সপ্তাশ্চর্য স্থাপনাগুলো দেখে আসলে আশ্চর্য হয়ে যাই...

১১ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৩৪

সাসুম বলেছেন: ১. ধর্ম (ইসলাম) পালন করার কি ক্ষতিকর দিক আছে যদি থাকে সেগুলো কি কি ? উত্তরঃ ইসলাম পালন করার কোন ক্ষতি নেই। বাট, ইসলামের ট্রিকি বিষয় টা হল- নিজে পালন করার সাথে সাথে অন্যকে ঘাড় ধরে জোর করে পালন করাতে জোর দেয়া হয়েছে যেটার ইসলামিক নাম- ধর্ম কায়েম করো। আর ফলে- দুনিয়ার একমাত্র ধর্ম যেটার এক্সপানশান হয়েছে মিলিটিরালি, তলোয়ারের ডগায় এবং বন্দুকের নলে। এই জোর করার কারনেই- এই ধর্ম দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে। এটাই এক মাত্র কারন- কারন ধর্ম জোর করার বিষয় না।

২. ইসলামের এত ডেভলপমেন্ট এর কারণ কি ? মাত্র চৌদ্দশ বছরে 150 কোটি মানুষ !!! উত্তরঃ উপরেই বলেছি- অস্ত্র আর তলোয়ার। এত ডেভেলপমেন্ট এর কারনঃ অন্য ধর্ম গুলো পালন করার সাথে সাথে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ধর্মের পক্ষ থেকে জোর ছিল না, কিন্তু ইসলামে শুরু থেকেই এটাতে জোর দেয়া হয়েছে। কোরান হাদিসে এসেছে- প্রথমে বিধর্মী দের শান্তির সাথে দাওয়াত দিবে ধর্মের পথে এরপর না এলে তলোয়ার দিয়ে দাওয়াত দিবে। তাদের কে কচুকাটা করা হয়েছে এবং এই জেনোসাইড ও যুদ্ধে যারা মরবে তাদের কে শহীদ নামক মূলা ধরিয়েছে। ফলে- ব্রেইন ওয়াশ করা অনেক টা ইজি।

এরপর হল- জান্নাতের বিবরন। দুনিয়ার এক্মাত্র ধর্ম ইসলাম যেটা বাস্তব দুনিয়া নিয়ে চিন্তার চেয়ে গায়েবী আফটারলাইফ বা জান্নাত এর লোভ দেখানো হয়েছে একদম পুংখানুপুং ভাবে। বিশাল বাগান, হাজার হাজার ফলের গাছ, নহর আর মদের অফুরন্ত বাহার। এর সাথে আনলিমিটেড সেক্স করার জন্য ৭২ হুর ও ছোট গেল্মান। এবং প্রস্রাব পায়খানার মত বাজে কাজ নাই সেখানে। সেক্স করতে গিয়ে কখনো টায়ার্ড হবেনা পুরুষ কারন তাদের ১৪ ফুট পুরুষাঙ্গ কখনোই ইজাকুলেট করবে না বরং মেশিন চলবে নীতিতে বিশ্বাসী। ফলে, যেটা হল পুরুষ দের কে লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ানো গেল । কারন- পুরুষ রা সব সময় নারীদের কে অবদমিত করেই চলেছে এবং এই কল্পিত জান্নাতে ও তাদের কেই দেয়া হয়েছে আন লিমিটেড সুখের লোভ। প্রশ্ন উঠতে পারে- নারীরা কি দোষ করল? তাদের কে কেন ৭২ শক্তিশালী পুরুষ দেয়া হল না? কারনঃ পুরুষ দের কে লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ালেই লাভ। তারা সভ্যতার নিয়ম মেনে নারীদের কে দমিয়ে রাখবে। এই কারনে- ইসলামে সব কিছুর মালিক ও সুবিধাভোগী পুরুষ রা আর নারীরা জাস্ট সেক্স আইটেম। এটাই ইসলামের এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ এর কারন অল্প সময়ে।

এর সাথে আরো কারন আচ্ছে। ইসলামে বার্থ কন্ট্রোল কে চরম ভাবে অবজ্ঞা করা হয় এবং মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি থিউরিতে বিলিভ করে মুসলিম রা, যার কারনে আন প্রিসিডেন্টেড জন্ম হার। এদিকে বেশির ভাগ ,মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অন্ধকারে নিমজ্জিত। ফলে- তাদের কাছে বেশি সন্তান মানে খারাপ কিছু এটা মনে হয় না, অন্যদিকে বেশির ভাগ ইসলামিক কান্ট্রি গরিব ফলে যত মুখ তত হাত কাজ করার ও টাকা ইঙ্কামের, এই কারনে ইসলামের প্রসার কাউন্ট লেস। তবে, এই বেশির ভাগ মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞান মেধা উন্নয়ন আর সভ্যতা থেকে হাজার মাইল দূরে। এটা চলতে থাকবে ২০৫০ নাগাদ। এরপর আস্তে আস্তে কমবে জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে।

৩. কোন ধর্মকে আপনার কাছে সাইন্টিফিকভাবে মোটামটি ঠিক মনে হয় ?
উত্তরঃ সায়েন্টিফিকালি ধর্মের কোন অস্তিত্ব নেই। কারন- সায়েন্টিফিকালি আমাদের হোমো সেপিয়েন্স এর টিকে থাকার জন্য ধর্মের কোনরূপ প্রয়োজন নেই। ফলে- অলৌকিক জান্নাত জাহান্নামের মিথ বা গল্পে বিজ্ঞান বিশ্বাস করবে এটা মনে করা একটু কস্ট। বিজ্ঞান বিশ্বাস করে টেস্টেবল থিউরি, টেঞ্জিবল প্রুফ আর লজিক এর উপর। বিজ্ঞান- বিচার মানি তালগাছ আমার থিউরিতে বিলিব করে না। সো- সায়েন্টিফিকালি কোন ধর্মের কোন প্রকার প্রমান এখনো পাওয়া যায় না।

তবে, দুনিয়ায় প্রচলিত ধর্ম গুলোর মাঝে আমার কাছে মনে হয়- বৌদ্ধ ধর্মের আইন ও নীতি কিছুটা লেজিট বলে মনে হয়। কারন- এই ধর্মে কল্লা কাটা বা জাহান্নামের আগুনে পোড়ার চেয়ে অহিংসার বাণী এবং ভালোবাসার বানী প্রচার করা হয়। বাট- আবারো বলছি সায়েন্টিফিকালি নয় বরং এটা আমার পারসোনাল মত।

৪. অতীতের বিজ্ঞান আসলে কতটা আধুনিক ছিল‌? কারণ আমরা কিছু সপ্তাশ্চর্য স্থাপনাগুলো দেখে আসলে আশ্চর্য হয়ে যাই... উত্তরঃ সব কিছুর উত্তর তো খুজে পাওয়া যায় না! এখনো আমরা জানিনা কে বানালো স্টোন হেঞ্জ আর কিভাবেই বা হাজার হাজার বছর আগে চাকা বা পুলি আবিস্কার এর আগে গিজার পিরামিড তৈরি করা হল লক্ষ লক্ষ টন ওজনের গ্রানাইট দিয়ে এত উচুতে তাও আবার মিল রেখে অরিয়ন বেল্টের নক্ষত্র রাজির সাথে একই যাত্রাপথে!
এই গুলা একটা রহস্য হয়ে আছে এখনো, হয়ত অদূর ভবিষ্যতে কোন একদিন এসবের উত্তর মিল্বে। ততদিন পর্যন্ত- অজানা ও অবাক করা বিজ্ঞান বা এলিয়েন বা হারিয়ে যাওয়া জ্ঞান বিজ্ঞান - যাই বলিনা কেন, আমরা জাস্ট কল্পনা করে যেতে পারব এসব নিয়ে।

১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৫৬

জিকোব্লগ বলেছেন:



১) মৃত্যু ভয়/চিন্তা আছে তো ধর্ম আছে,
মৃত্যু ভয়/চিন্তা নাই তো ধর্ম নাই।

যেমনঃ জীবজন্তু পশু -পাখিদের ধর্ম
নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নাই।

মৃত্যু ভয়/চিন্তার জন্য যদি কোনো হরমোন/
ডিএনএ দায়ী থাকে, তাহলে সেটা বন্ধ করার
সিস্টেম করেন। বেশিরভাগ মানুষের ধর্ম এমনিতেই
গায়েব হয়ে যাবে।

২) আরো একটা বিষয়, মানুষের বিশ্বাসের স্বাধীনতা
আছে। বিশ্বাসের স্বাধীনতা থাকলেও ধর্ম থাকবে।

বিশ্বাসের স্বাধীনতা থেকেই আমি আমার মতন
ধর্মতে বিশ্বাস করি। অন্যজন কী ভাবলো / বললো
তাতে কী আসে যায়!

ধর্ম নিয়ে আপনার অনেক পড়াশোনার প্রশংসায় করতে হয়।
ভালো থাকবেন।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৪৫

সাসুম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এত বড় পোস্ট পড়ার জন্য। যাই হোক-

১. মৃত্যু ভয় একটা সাইকোলজিকাল জিনিষ- বায়োলজিকাল না সো এটাকে কোন জিন, ডি এন এ বা হরমোন দিয়ে ডিফাইন করা যাবেনা। আর ধর্ম ও সাইকোলজিকাল সো- এটা একটা বড় কারন- ধর্ম দুনিয়ার শেষ দিন টা পর্যন্ত কোন না কোন ভাবে মানুষের মনের কোন না কোণে থেকে যাবে। ধর্ম গায়েব হবেনা, বরং বর্তমান যে অবস্থা আছে- সেখান থেকে বিবর্তিত হবে এটাই হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে।

২. বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনা- প্রশ্ন উঠে যখন আপনি সেই বিশ্বাস তলোয়ার এর ডগায় বা বন্দুকের নলের মুখে আরেক জনের উপর চাপিয়ে দেন বা দিতে চান- ধর্ম কায়েম করার নামে। এক্সাক্ট সমস্যা টা এই যায়গায়। আপনি ততক্ষন পর্যন্ত সঠিক- যতক্ষন পর্যন্ত আপনি কারো ক্ষতির কারন না হোন। এবং ধর্মের সমস্যা টা এই যায়গায়- শুধু পারসোনাল স্টেট এ না থেকে এটাকে আরেক জনের উপর জোর করাতে জোর দেয়া হয়। তখন এসে দাঁড়ায় সব প্রব্লেম।

আপনার স্বাধীনতার সাথে সাথে আরেকজনের ধর্ম পালন না করার স্বাধীনতা বা আরেকজনের এক্সিস্টেন্ট ধর্মের ভুল বের করার স্বাধীনতা তেও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। মোট কথা- আপনি এবং আপনার বিশ্বাস যাতে আরেকজনের ক্ষতির কারন না হয়- এটাই হওয়া উচিত সকল হোমো সেপিয়েন্স এর আসল ও প্রথম ধর্ম।

আসলে তেমন পড়াশোনা না ধর্ম নিয়ে, জাস্ট আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুজে চলি কাজের ফাকে সময় পেলে। এরপর ইচ্ছে হলে লিখি ব্লগে এই আর কি। আপনিও ভালো থাকবেন।

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় আগামীতে জগাখিচুড়ি টাইপ ধর্ম আসতে পারে যেমন চেস্টা করেছিলেন বাদশা আকবর !!! দ্বিনে ইলাহী !!!

১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

সাসুম বলেছেন: অবশ্যই আসবে এরকম কিছু, কিন্তু সার্ভাইভ করবেনা, যদি না মানুষ এটার সাথে নিজেকে রিলেট করতে না পারে।

সব চেয়ে বড় কথা হল- আজগুবি মিথ , অলৌকিক সুখ শান্তি এসব গল্পে বিলিভ করা ধর্মের চেয়ে মানুষ এখন লজিকাল জিনিষ খুজে বেড়াবে ।

আর মানুষ যত জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাবে ততই আজগুবি গল্পের চেয়ে সলিড লজিকাল দিকে যাবে বেশি। এটাই রুলস। একটা গাছ কে বাড়তে দিলে যেদিকে আলো আছে সেদিকেই বাড়বে। এটা ন্যাচারাল রুলস।

১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম একটা ফালতু বিষয়। তাই ধর্ম নিয়ে সমস্ত চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়েছি।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১

সাসুম বলেছেন: অবশ্যই ফালতু অযৌক্তিক জিনিষ।

কিন্তু শত শত কোটি মানুষ এই ধর্মের ডাকে আপনার কল্লা ফেলে দিতে এক পায়ে খাড়া।

এই জন্য আপনাকে তাদের মনোভাব বুঝতে হবে, আপনাকে জানতে হবে, জানাতে হবে।

কারন- নাহলে আমাদের জীবন আর পরজীবির মাঝে পার্থক্য কি?

এট লিস্ট নিজের জ্ঞান অর্জনের জন্য হলেও জানা দরকার , বুঝা দরকার।

১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

সেজুতি_শিপু বলেছেন: আজব জিনিস!! কী সাফল্যের সাথে মানুষের মগজ দখল করে আছে যে , মানুষ দৃশ্যমান কত কিছু অগ্রাহ্য করে- একে দিনের আলোর মত বাস্তব এবং অমোঘ বলে ভাবে । কেবল এর বিবর্তন দেখার জন্যে আমার হাজার বছর বাচতে (চন্দ্রবিন্দু টাইপো) ইচ্ছে করে। আক্ষরিক অর্থেই ।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

সাসুম বলেছেন: আসলে সাফল্যের সাথে তাদের মগজে অন্ধকার দখল করে আছে।

এই অন্ধকার দূর করে আলোর সন্ধান পেতে হলে এক্মাত্র উপায়- প্রশ্ন করা এবং উত্তর খোজা। মোট কথা, জ্ঞান বিজ্ঞান আর মেধা কাজে লাগানো।

যেসব জাতি, দেশ ও মানুষ রা এটা করতে পেরেছে আমরা এখন বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই- তারাই উন্নত দেশ হিসেবে দুনিয়া শাসন করছে। আর যারা, অন্ধকারে ধর্ম ধর্ম করে প্রাণ দিচ্ছে- তারা তেলাপোকার মত বেচে আছে।

আমাদের নেক্সট ২/৪ প্রজন্ম পর, মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে এখন যেভাবে জ্ঞান বিজ্ঞান বিকশিত হচ্ছে। আমাদের আফসোস আমরা দেখে যেতে পারব না সেটা, হয়ত আমাদের পরের প্রজন্ম পাবে।

কয়শ বছর আগেও বাচ্চা হবার সাথে সাথে মরে যাওয়ার হার ছিল ৫০% এর ও বেশি, এখন সেটা কমতে কমতে সিংগেল ফিগারে নেমে এসেছে। জাপানে গড় বয়স ৯০+।

একসময় মরে যাওয়ার জন্যই মানুষ চেস্টা করবে বেচে থাকতে থাকতে টায়ার্ড হয়ে।

১৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: এতদিন পর একটা সুন্দর লেখা পড়লাম, নতুন কিছু জানলাম। আপনার জ্ঞানের পরিধি আসলেই প্রশংসনীয়। বাক্সের বাইরে চিন্তা করেছেন এবং লিখেছেন তাই ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.