![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.
একটা স্বপ্ন এখনো মাঝে মাঝে দেখি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে চিঠি এসেছে, তাদের রেকর্ডে খাতা আর্কাইভের সময় আমার হায়ার ম্যাথের খাতা পাওয়া যায়নি তাই আমাকে আবার পরীক্ষাটা দিতে হবে। এরপর আমি পরীক্ষার হলে, একটা অঙ্কও পারছিনা। ঘুম ভেঙ্গে যায়, উঠে দেখি মাঝরাত, আমি ঘেমে গেছি। আগে হাতে চিমটি কাটতাম, এখন মোবাইলে ফেসবুক গুতিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
২.
গত শতকের শেষ দশকের মাঝামাঝি সময়। টেস্ট পরীক্ষায় ৩ বিষয়ে (একটা ঐচ্ছিক বিষয়) ফেল করে বিশেষ বিশেষ বিবেচনায় এস.এস.সি পরীক্ষা দেবার সুযোগ পেয়ে পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্টের দিন সকাল থেকে টেনশনে পেট খারাপ, এই দেখে আমার মা আরো টেনশনে। বাপ অফিস যাওয়ার সময় বলে গেল রেজাল্ট যেন ফোনে অফিসে জানিয়ে দেয়া হয় (সম্ভবত অফিস ফেরার পথে মিষ্টি বা বেত কোনটা কিনে ফিরবে সেজন্য)!
৩.
স্বল্প পরিচিত স্কুলের অল্প কিছু ছাত্র ছাত্রী, তাই রেজাল্ট নিয়ে টিচার্স রুমে স্যার রা বসলেন, আমরা গেলাম। তখনকার রেজাল্টে হাতে গোনা কয়েকজন স্ট্যান্ড করত, অনেকেই তারকাদ্যুতি পেত, মানে স্টার পেত। কে কয়টা লেটার ছিল মূল আকর্ষন। বাংলিশ তখনো ছিল, যারা খারাপ ছাত্রদের জিজ্ঞেস করত “খিরেয় থোর result খি?”। ফাযিলগুলাও উত্তর না দিয়ে “ভিক্টরি” সাইন দেখাত, যার অর্থ আসলে দুইটা লেটার (ধর্ম আর কৃষিবিজ্ঞান)!
৪.
স্কুলে কোন স্ট্যান্ড নাই, তাই ভাবলাম কাছে পিঠে স্ট্যান্ডওয়ালা স্কুলে যাই। ঘুরে ফিরে কে ফার্স্ট জেনে বাসায় গেলাম। তখন মোবাইল নাই। ৫ টার উপর বাজে দেখি বাপ অফিস থেকে আসেনি (সম্ভবত মিষ্টি/বেত সিদ্ধান্তহীনতা)। বাসায় যেয়ে শুনলাম আম্মা ধরে নিয়েছিল ছেলে টেস্টের পুনরাবৃত্তি করে পালিয়েছে, তাই স্কুলে ফোন করে রেজাল্ট জেনে এরপর ভাত খেয়েছে।
অনেকে এসেছিল সেদিন দেখা করতে। একজন বলেছিল, এই জীবনের কম্পিটিশন শুরু, এবার যুদ্ধ ভাল কলেজ। এবারের পাশ করা ভাইয়া আপুরা, রেজাল্ট যা করার করে ফেলেছ, এবার সামনে আগাও। যত দ্রুত শুরু করবে ততই এগিয়ে থাকবে।
সকল এস.এস.সি পাশকৃতদের শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.