![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখনো আরবের লোকেরা শুধু খেজুর খেতো, তবে পাশাপাশি রপ্তানিও শুরু করেছে। ক্লাস ৮ এ উঠেছি। মাঝে মাঝে সেলুনে যেয়ে শেভ করি আর ব্যান্ডের গান শুনি। তখন ব্যান্ডের গান আর ব্যান্ড মানে উচ্ছন্নে যাওয়া পোলাপানের জিনিষ।
পাড়ার এক বড় ভাই গীটার শিখছে, সেই আমাদের “ক্ল্যাসিক্যাল” হীরো তখন।
আমরা পাড়ার তিন বন্ধু তখন ভাবলাম কনসার্টে যাব। সেসময়ই রাস্তায় পোস্টার দেখলাম শিল্পকলায় বামবা কনসার্ট হবে। স্যারের কোচিংয়ের বেতন মেরে টিকিট কাটলাম সেই বড় ভাই কে ধরে। তখনো স্কুলে পড়ি। কনসার্টে যেয়ে দুপুরে কি খাবো সেই চিন্তায় পড়লাম, এবং স্বভাবতই “টিফিন” এর বেশি ভাবতে পারলাম না। ঠিক হলো চাঁদা তুলে ডিম আর পাউরুটি কিনব, কারো বাসায় ডিম-পাউরুটি টোস্ট করে নিয়ে যাব খাওয়ার জন্য। চাঁদার টাকা নাই, তাই বাসা থেকে ৪ টা ডিম চুরি করে দিলাম চাঁদা হিসেবে।
জীবনে প্রথম ওপেন এয়ার কনসার্টের উত্তেজনা, সকাল ১০ টায় কনসার্ট, ৮:৩০ এ ভেন্যুতে চলে গেলাম। সাড়ে দশটায় কনসার্ট শুরু হলো, প্রথম ব্যান্ড “পেপার রাইম”। জীবনে তখনো নাম শুনিনাই। শুরু করলো Summer of 69 গানটা দিয়ে। তখন আমার দৌড় হাওয়াইয়ান গীটার। ঐ এক গানে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, ব্যান্ডে বাজাতে হবে। আর বাজাতে হবে ড্রাম। এরপর দেশের সব বিখ্যাত ব্যান্ড রা বাজিয়ে গেল। কিন্ত মাথায় ঢুঁকে গেল ঐ পেপার রাইমের ড্রামারের বাজনা। গীটারিস্ট-ভোকালের ভীড়ে আমার ড্রাম বাজানোর প্রথম ইন্সপিরেশন এই মানুষ।
৯২ সাল থেকে এই মানুষকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছা, কালে কালে গান-বাজনা করে ওপেন এয়ার শো সহ হাজার খানেক শো করেছি গত বিশ বছর ড্রামস বাজিয়ে। ২২ বছর পর এসে সামনে থেকে দেখা হলো মানুষটার সাথে। আমার ড্রামিং এর ইন্সপিরেশন এখন গান বাজনা ছেড়ে দাঁড়ি রেখে অভিক ভাই পুরোদস্তুর ফটোগ্রাফার!
যতক্ষণ সাথে ছিলাম, মাথায় ঘুরছিল তাঁর বাজানো গানের কতগুলো লাইন
“মনে কর কোন এক বিকেলে
জীবনের পথে থমকে গেলে
থেমে যায় সব অস্থিরতা
আঁধো আলোয় তুমি একা!
যদি কখনো বলতে পারো
অনুভূতিগুলো সত্যি ছিল
হাত বাড়ালেই অন্ধকারে
ধরে নেব আমি পূর্ণ বিশ্বাসে!!”
©somewhere in net ltd.