নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এনটনি

শুধু দেখে যাচ্ছি। চাকরি করি। খাই, ঘুমাই আর দেখি। একদিন কিছু করবো। লোক খুজছি

এনটনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

২১শে অগাস্টে, একটা অন্য গল্প

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৯

গান বাজনায় “খেপ” মারার একটা ব্যাপার আছে। টাকার বিনিময়ে গান বাজনা করে মানুষের মনোরঞ্জন করাই হলো খেপ। এর বাইরে “আক্ষেপ” (শুধু যাওয়া আসার টাকার বিনিময়ে ফ্রি তে বাজানো) আর “নিক্ষেপ” (নিজের পয়সায় যেয়ে মাগনা বাজানো) আছে, এসবের গল্প আরেকদিন বলব।



বছর দশেক আগে, তখন আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন প্রায় শেষের দিকে, ধুমায়ে গান বাজনার “খেপ” মারি। এসবের জন্য “হাতের পাঁচ” রাখতে হয় সাউন্ড কোম্পানির লোকজন। উজ্জ্বল নামের একটা ছেলে ঐসময় ছিল আমার হাতের পাঁচের “গেটিস”। ওর কয়েকটা বাক্স ছিল, সাউন্ড বের হতো, ওই দিয়েই সাউন্ড ব্যবসা করত! কোন কোম্পানির নাম ছিলনা। বড়-ছোট কারো সাউন্ড শর্ট পড়লে ওর থেকে গেটিস নেয়া হতো। আমিও নিতাম। ছেলেটা মাঝে মাঝে বলত, “বস দেইখেন, একদিন ইনশাআল্লাহ নিজে বড় বিজনেস দিমু। বড় ব্যান্ডের সাউন্ড একাই করুম আমি”। আমরা হাসতাম। এই বাজারে যেই পলিটিক্স। তোর ব্যাটা না আছে পয়সা না আছে লিঙ্ক।



এক শনিবার ছোট খেপ পেলাম, উজ্জল রে ফোন দিলাম শুক্রবার, সাউন্ড লাগবে। ব্যাটার নগদ চোখ পাল্টি! বলে “বস, বড় পার্টির “গেটিস” এর কাজ পাইছি। কাইল শনিবার তো দিতে পারুম না”। ব্যাটা বলে কি?! জিজ্ঞেস করলাম কার কাজ? বলে সমাবেশের কাজ। বললাম, “দেখিস, আবার মারামারি তে মরিস না”।



অন্যভাবে ম্যানেজ করলাম সাউন্ড, শো করলাম। জমল না, পরদিন হরতাল। ঐদিন কিছু “গন্ডগোল” এর খবর পেয়েছিলাম শো এর আগেই। এরপরে ওকে আর মোবাইলেও পেলাম না।



ছেলেটা ভাল ছিল। ২১ শে অগাস্ট ২০০৪ এর পর আর দেখিনি উজ্জলকে। এত বড় বড় খবরের ভীড়ে কে এইসব ছোট খবর রাখে? উজ্জলের সাউন্ড বক্সগুলো কে মেরে দিয়েছে কে জানে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: জনগনের নামে যাই হোক এটাই জনগণের আসল অবস্থান। মন খারাপ হলো ওর জন্য।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

এনটনি বলেছেন: আসলেই, মোস্তফা কামাল ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.