![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমাগুলোর একটা মাদকতা আছে। আলগোছভাবে চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে ছুটির দিনের অলস সময়টায় যদি কোন চ্যানেলে বাংলা সিনেমা চলা অবস্থায় থামি, দেখা যায় কথিত “বস্তাপচা” সিনেমা প্রায় আধা ঘন্টা দেখা শেষ!
বিরতির আগে যদি দেখা শুরু কর, কাহিনী অনেকটাই এরকম।
বড়লোকের মেয়ে নায়িকা, সুন্দরী। নায়ক গরীব বা বড়লোক, কোনভাবে নায়িকার সাথে টক্কর, ঠোক্কর বা গায়ে কাদা কিছু একটা খাবে। এরপর নায়িকা কে পটানোর চেষ্টা শুরু। নায়কের বয়স আর আর্থ-সামাজিক অবস্থা যাই হোক, জিন্স, জ্যাকেট, সানগ্লাস, মোটরসাইকেল এসব থাকে। নায়িকার পিছে ঘোরা, বন্ধুদের নিয়ে কখনো পথ রোধ করে দাঁড়ানো, পিছু নেয়া… কখনো সিঁটি বাজানোর আদলে আঁদি আমলের গান চুরি করেছ আমার প্যান্ট টা…থুক্কু মন টা… এক পর্যায়ে নায়িকার মন পাওয়া। পুরো ঘটনাটাই ঘটে কাহিনীকার এর লেখার উপর চিত্র পরিচালকের নির্দেশনায়।
বাস্তবে আসি। এসব সিনেমার মূল দর্শক কারা? যে বয়সের, সামাজিক, আর্থিক, শিক্ষাগত ও মানসিকতার লোকেরা এর দর্শক, তারা কিন্ত এসব সিনেমার পোষাক, জীবনযাত্রা প্রায় অন্ধভাবে অনুসরণ করে। চকচকা শার্ট, “আগুন” রঙের জিন্সের প্যান্ট, ফার্মগেটের ওভারব্রিজ থেকে কেনা মার্কারি সানগ্লাস, গ্যারেজ মেকানিক বন্ধুকে “ফিটিং” দিয়ে মাঝে মাঝে মোটরসাইকেল; এবার তো নায়িকা দরকার! সুন্দরী, আর আকর্ষণীয়। খুঁজে পাওয়া গেলেই কয়েকদিন একটু নাড়াচাড়া দিতে হবে। প্রেম তো হবেই। মিলিয়ে মিলিয়ে সব পাওয়া গেলে এইটাও মিলবে। “আরে সিনেমায় দেখস না…” এভাবেই শুরু…
ঈভ টিজিং এর উৎপত্তির কারন অনেক। একটা মূল মনেহয় ধরতে পারছি। যাঁদের পারলে লাভ হবে তাঁরা পারছেন তো!
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
লাজুক ছেলে...... বলেছেন: শিক্ষিতের হার বেড়ে গেলে আমার মনে হয় পরিচালক দের এই ছ্যাকারিন মারকা ছবির দর্শক কমে যাবে।
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫২
এনটনি বলেছেন: সহমত!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
কালের সময় বলেছেন: হুম