![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েকদিন ধরেই বেশ হা হুতাশ আর লেখালেখি দেখছি একটা বিষয় নিয়ে, তা হলো “এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ (মানবিক) বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে মাত্র ২ জন”। বরাবরের মত এবারো দুটি পক্ষ আছে, এক পক্ষ সরাসরি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে নিজেই নিজের পিঠ চাঁপড়াচ্ছেন আর বলছেন “গোল্ডেন পাক আর যাই পাক, ডি ইউ ঠিকই ট্যালেন্ট বেছে নেয়”। আরেক পক্ষ বলছে কোথাও ঝামেলা হয়েছে। তবে দুই পক্ষই (কিছু রাজনৈতিক দলকানা বাদ দিলে) মোটামুটি একমত যে এবারের উচ্চমাধ্যমিকে এত পাশ আর গোল্ডেনের আসলে কোন যোগ্যতাই নেই। আমার বদ্ধমূল ধারণা, এই দুই পক্ষের অধিকাংশের কাছেই দুটি তথ্য নেই বা খোঁজ নেয়ার দরকারও মনে করেন নাই
১। এবারের খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে সুযোগ পেতে প্রশ্নপত্রের ভিন্ন নিয়ম
২। ইংরেজি ছাড়া বাকি বিভাগে পাশের ফলাফল
এতক্ষন যাঁরা ধৈর্য ধরে পড়েছেন এবং গালি কিভাবে লিখে কমেন্ট করবেন ভাবছেন, বা ভাবছেন না, আমার কথা আসলে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে না। এই ছেলে-মেয়েগুলোর এখন থেকে গড়ে ৪ থেকে ৭ বছর পরের অবস্থা নিয়ে।
এ বছর না, এই সমস্যাটা দেখা যাচ্ছে মোটামুটি ৪-৫ বছর থেকেই, একটু একটু করে বাড়ছে, বেশ প্রকট আকার নিয়েছে এর মধ্যেই। অবস্থার পরিবর্তন না হলে আগামী ৫-৬ বছরে আরো ভয়াবহ আকার নিবে এই সমস্যা। সেটা হবে চাকুরীর ক্ষেত্রে।
পাশ করার পরে যেসব কোম্পানিতে চাকুরির স্বপ্ন ছেলে-মেয়েরা দেখে, তার প্রায় সবগুলোতেই মাথার উপরে যিনি থাকেন তিনি বিদেশী! কোম্পানির গঠনতন্ত্র যতটা দায়ী, ২০১৪ তে এসে তার চেয়ে বেশি দায়ী ঠিক ওই পদে বাংলাদেশী যোগ্য কর্মী না পাওয়া। কিছু ক্ষেত্রে বিদেশী ডিগ্রীধারী দিয়ে কাজ চালালেও, অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশী/পার্শবর্তী দেশের কাউকে এনে বসানো হয়।
যোগ্যতা সবাই নিয়ে জন্মায়না, তৈরীও করতে হয়। আর এটা শুরু হয় স্কুলে, শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজ পর্যন্ত ফলাফলের যে আউটপুট, তার কাজ শুধু যোগ্যতা তৈরীই নয়, যোগ্যতা অনুযায়ী কনফিডেন্স তৈরী করা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটা দিক-নির্দেশনা দেয়া। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার ফলাফলে এই দিক-নির্দেশনা টা নেই। কেননা এখানে মেধার বিপরীতে সবাইকে একই কনফিডেন্স দেয়া হচ্ছে। পুরনো পদ্ধতিতে বোর্ডে প্রথম হওয়া, স্ট্যান্ড করা অনেককে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। মেধার বিচারে এদের অনেকের সাথেই একই ব্রাকেট বা কাতারে সবাই পড়েনা। কিন্ত বর্তমান রেজাল্ট সিস্টেম বোর্ডের সবচেয়ে মেধাবী ছেলে বা মেয়েটার সাথে গড়পড়তারও নীচের ছেলে বা মেয়েটাকে একই ব্রাকেট বা কাতারে ফেলে দিচ্ছে। এতে মেধাবী তার কনফিডেন্স হারাচ্ছে, আর অমেধাবী ওভার-কনফিডেন্ট হচ্ছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ফলাফল ভুল বিষয়ে পড়া আর ভুল চাকুরি খোঁজা! পরীক্ষায় নকল আর প্রশ্নপত্র ফাঁস রকমভেদে ৪৩ বছর ধরেই আছে বাংলাদেশে। কিন্ত যেটা তৈরী হতে হতে নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে তা হলো মাত্র ১ নম্বর বেশি পাওয়ার জন্য পরিশ্রম আর প্রতিযোগিতার মনোভাব!
চাকুরীর সময় প্রকৃত যোগ্য, কনফিডেন্ট এবং বিষয়ের উপরে পরিচ্ছন্ন আইডিয়া সম্পন্ন “ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট” দেশের চাকুরির বাজারের ডিমান্ড অনুযায়ী সাপ্লাই হচ্ছেনা। ফলে কাজ চালানোর জন্য গ্রাহক সেবায় নেয়া হচ্ছে ভূগোল, রসায়নে পাশ করা কাউকে, বিক্রয়ের জন্য নেয়া হচ্ছে একাউন্টিং আর ইসলামিক ইতিহাসের কাউকে। অর্থনীতি পড়ে আসা কেউ যাচ্ছে মার্কেটিং এ আর মার্কেটিং পড়া মানুষটা যাচ্ছে প্রশাসন তদারকিতে!
স্পেশালাইজেশনের যুগে এভাবে খুব বেশি বছর চলবে বলে মনে হয়না। উচ্চ পদের মত আর দশ বছরের মধ্যে যদি সদ্য পাশ করাদের পদের জন্যও বাইরে থেকে কেউ এসে যোগ দেয়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১২
এনটনি বলেছেন: ধন্যবাদ শরীফ মাহমুদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: ভালো একটা পোস্ট দিয়েছেন। আমারা মতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে নেয়া উচিত । ভর্তি পরীক্ষা আরো কঠিন হওয়া উচিত প্রয়োজনে আসন খালি খাকবে কিন্তু কোয়ালিটিতে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।