![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মগবাজারের সরকারী বাসায় একতলায় থাকার সুবাদে বাসার সাথে একটা মাঝারি আকারের বাগান ছিল। ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন। কুরবানির জন্য গরু রাখার জায়গা থাকায় কেনা হয়ে গিয়েছিল ঈদের পাঁচদিন আগে। সাদা রঙের গরু, উপন্যাসের নায়িকাদের মত ভাসা ভাসা কালো চোখ। খুবই শান্ত প্রকৃতির। সামনে যেয়ে খড় দেয়ার পর চুপ করে খেয়ে নিত। সাহস বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন বালতিতে পানি নিয়ে মগে তুলে গায়ে ঢেলে গোসল করাতাম।
কুরবানির আগের দিন মনে হলো, গরুটা কুরবানি না দিয়ে রেখে দেই। বাসায় বলার পর মুরুব্বী রা হেসেই শেষ। ঈদের দিন সকালেও একটু কান্না কান্নাভাবে গোসল করিয়ে নামাজ পড়ে এসে কুরবানি করতে দেখলাম। দুপুরে খেতে বসে ওই গরুর মাংশ ঠিক গলা দিয়ে নামতে চাইলনা। মুরগী দিয়ে খেয়ে উঠে গেলাম। সারাদিন মন খারাপ করে থাকলাম।
কুরবানির মূল শিক্ষাটা এখানেই। নিজের প্রিয় জিনিষ কুরবানি দেয়া। বই পড়ে যেটা বুঝিনি, সেটাই শিখেছিলাম সেই বছর। এখন হয়ত গরুর ছবি শেয়ার করে নিজের পছন্দের স্মৃতিতে নিয়ে কেউ মায়া বাড়াচ্ছে, কেউ হয়ত কুরবানির জায়গায় দেখতে পাচ্ছে চামড়ায় মোড়ানো “স্টেক”!
“সারা বিশ্ব জয় করে এখন বাংলাদেশে” এর মত ঈদ’ও সারা বিশ্বে শেষ করে বাংলাদেশে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা! আমাদের মনের পশুটা কুরবানি করতে না পারলেও আটকে রাখার শক্তি হোক সবার।
©somewhere in net ltd.