![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকাল থেকেই বন্ধুরা পঁচাচ্ছে রনিকে। কেউ কেউ পঁচাতে পঁচাতে মিথ্যুক, ধান্দাবাজও বলছে। ঠিক ধরতে পারছেনা কি হলো আশেপাশের লোকজনের।
ছাত্র হিসেবে মোটামুটি, বন্ধু হিসেবে অসাধারন রনির খাতির নেই এমন ক্লাসমেট বা ব্যাচমেট আশেপাশে থাকলেও, শত্রু নেই বলা যায়। তাই ঠিক এধরনের আক্রমনাত্নক কথাগুলোর জন্য মানসিক প্রস্তুতি ছিলনা। জাতীয় দিবসগুলোতে বেশ গায়ে খেটেই অনুষ্ঠান নামায় পাড়ায়, আর দু’বছর হলো ক্যাম্পাসে। যেবার ১৬ই ডিসেম্বরে প্রজেক্টর লাগিয়ে “আমার বন্ধু রাশেদ” সিনেমাটা দেখানোর ব্যবস্থা হলো, আগের রাতে বন্ধুদের খুব গর্ব করে তার বাবা আর তাঁর বন্ধুদের গল্প করেছিল, কিভাবে ক্লাস টেনে পড়া বাবা আর তার বন্ধুরা যুদ্ধে গিয়েছে, ফিরে এসেছে, কেউ কেউ আসেনি।
রনির সেই বন্ধুরাই আজ… কি হলো বুঝতে পারছেনা।
মেজাজ খারাপ বাড়ী ফেরার পথে রাস্তার পাশে ইলেকট্রনিক্সের দোকানটার পাশে দাঁড়িয়ে ডিসপ্লের টিভিগুলোতে প্রায়ই চোখ বুলায়। চিকন চিকন বড় টিভিগুলো একটা কিনতে পারলে হতো। অভ্যাসমত দাঁড়িয়ে পড়েই স্ক্রলে একটা লাইন যেতে দেখল নীচে
“মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৫ বছরের কম বয়সী কেউ মুক্তিযোদ্ধা নন…” – জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
©somewhere in net ltd.