![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চন্দ্রমাসের হিসেবে আসে পূর্ণিমা, আর আমাবশ্যা। ১৫ দিন হিসেবে অন্ধকারের দিকে যাওয়ার পক্ষকে বলে কৃষ্ণপক্ষ। অন্ধকার নয় হয়ত, কিন্ত আঁধার ঘেরা জীবনটাই বেশি দৃশ্যমান, তেমন ঘটনা নিয়েই সিনেমা "কৃষ্ণপক্ষ"।
সিনেমার শুরুতেই প্রয়াত কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ এর ধাঁচ আছে বুঝা যায়, "স্বামী" বা "দুলাভাই" চরিত্রের পাভেল আজাদ এর বিয়ে, ও বিয়ে পরবর্তী স্ত্রীর সাথে কথোপকথন থেকে। সিনেমাকে চটকদার করতে গানের সাথে বৃষ্টিভেজা নাঁচ ও তার সাথে দেহবল্লরীর স্পষ্টতা প্রতীয়মান। পুরো সিনেমায় কাহিনীকার উত্তেজনা তৈরী করেছেন বিরতিতেই শুধু, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা আর তার সিম্বলিক শট হিসেবে পাঞ্জাবী রক্তে ভিজে যাওয়া, স্বপ্ন দেখা আর ফিরে এসে তার বাস্তব প্রতিফলনেই।
কিছু খাপছাড়া বিষয়, যেমন নায়ক হাঁসপাতালে আর তখন মুষলধারা বৃষ্টি, একই সময়ে নায়কের বাসার চিত্রায়নে জানালায় বাইরে বৃষ্টি না থাকা, কিংবা নায়ক রিয়াজের অতিরিক্ত সময় হলুদ পাঞ্জাবি পরে থাকা, আবার একই সময়ে নায়কের হলুদ পাঞ্জাবি পরে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া আর বাড়িতে নায়িকার আরেকটা হলুদ পাঞ্জাবি রক্তে মাখামাখি। হুমায়ুন আহমেদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলেই হয়ত হলুদ পাঞ্জাবি, কিংবা গানের ক্ষেত্রে একই ধরনের চর্বিতচর্বণ এর উপস্থিতি।
আরেক চরিত্রে নায়ক ফেরদৌসের উপস্থিতি আর চরিত্রের পর্দায় অহেতুক দীর্ঘ উপস্থিতি পরিচিত মুখ বলেই। পুরো চরিত্রই অন্তরালে রেখে সিনেমা শেষ হলেও দর্শকের কোন প্রশ্ন বা চাহিদা সেই চরিত্র নিয়ে হতো না, যেটা কিছু দানা বেধেছে বরং ফেরদৌসকে দেখেই!
"দুলাভাই" চরিত্রকে খারাপ দেখাতে যেয়ে মদ্যপান করানো বা স্ত্রীকে নগ্ন দেখতে চাওয়ার ইচ্ছার প্রকাশের মানসিক বিকৃতি ও শৈশবে শ্যালক কে ঘরে তালাবদ্ধর বাইরে অতি বাস্তববাদী দেখানো হয়েছে। বরং "বড়বোন" চরিত্রে তানিয়া আহমেদ এর অতি আবেগ তাঁর স্বামীকে খল চরিত্র হতে গিয়েও হতে দিতে পারেনি। শেষদিকে জোর করে মেয়ের নাম নিয়ে তর্ক আর মেয়েকে চড় মেরে এটা যে আসলে সিনেমায় খল-চরিত্র, তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
হাসপাতালে আহত দৃশ্যের দৃশ্যায়ন হঠাৎ চমকানোর মত, প্রথাগত "স্যালাইন ঝোলানো" না! সিনেমার শেষ দৃশ্যে অর্ধমৃত নায়ককে খাট সহ মাঝমাঠে এনে বৃষ্টি থামিয়ে কুয়াশা (বরং ধোঁয়াশা) সহ আবেগী ও অকস্মাৎ সমাপ্তি যতটা আবেগের সঞ্চারণ চিন্তা করে করা হয়েছে, ততটা হয়নি।
একসাথে অনেককিছু এবং অনেক চরিত্রে সম্মিলনে সিনেমা বানানোর যে মুন্সিয়ানা প্রয়োজন ছিল, তা কিছুটা ঘাটতি ছিল, তবে চরিত্রের কলাকুশলী নির্ধারন নায়িকা ছাড়া বাকি সবই ঠিকঠাক, হয়ত নায়িকাও ঠিক, বৃষ্টিভেজা নাঁচের সাথে প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করলে।
চন্দ্রমাসের মত, মানুষের জীবনেও হয়ত আলো-আঁধারী সমান সমান, তবে অন্ধকারের সময়টাই বেশী দীর্ঘ মনে হয়। "কৃষ্ণপক্ষ" তারই প্রতিফলন!
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এনটনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++