![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বিএনপির লক্ষ্য একটাই- আর তা হলো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করে সরকারের পতন ঘটানো এবং ঘন ঘন হরতালের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো ও খালেদা জিয়ার দুর্নীতিবাজ পুত্রদের রক্ষা করা। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি বর্তমান সরকারকে কোন ভাবেই মেনে নেয়নি। বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যোগদান করেনি। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনি। জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যার মুক্তির জন্য বিএনপি দেশে কোন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারেনি। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আসুক- দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বাস করুক বিএনপি-জামায়াত জোট তা চায় না। দেশের মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করলে বিএনপি-জামায়াত জোট এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে পারবে। ক্ষমতার নাটাই ঘুরাতে পারবে। এজন্য তারা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা চায়না। বুর্জোয়া রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত জোট কওমি মাদ্রসার উপর ভর করে ক্ষমতার মসনদে বসার স্বপ্ন দেখে। কওমি মাদ্রসা হচ্ছে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বিরোধী চর্চা কেন্দ্র, এখানে ইতিহাস, বিজ্ঞান, অংক, বাংলা, ইংরেজি পড়ানো হয় না। পশ্চাদপদ ধারার শিক্ষা ব্যাবস্থাকে পৃষ্টপোষকতা করা, জামাত-শিবির এবং বিএনপি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে দেশে তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। অথচ বিএনপির গঠনতন্ত্রে লেখা রয়েছে জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক-বাহক। কিন্তু তারা গঠনতন্ত্রের লিখিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে না। নিজের অস্তিত্বের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করে। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবৎ জীবন কারাদণ্ডের পর থেকেই বিএনপি-জামাত জোট হরতাল অবরোধ কর্মসূচী পালন করে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক করে তোলার চেষ্টা করছে। এসব কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো এবং তারেক-কোকোর বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে তা বাতিল করা। আর এতেই কি প্রমানিত হয়না যে, বিএনপি জনগণের কল্যাণ কামনা করে না।
©somewhere in net ltd.