![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
হেফাজতের আমির আহমেদ শফীর বক্তব্য দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। তাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
হেফাজতের আমির আহমেদ শফীর বক্তব্য দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। এজন্য তাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। আহমেদ শফী নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। শফী বলেছেন, তেঁতুল দেখলে মানুষের যেমন জিভে জল আসে, তেমনি নারীদের দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়। মহিলারা তেঁতুলের চেয়ে আরও বেশি খারাপ। মহিলাদের দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বের হয়, লোভ লাগে। তিনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে শুধু নারী নয়- সমগ্র মানবজাতিকে অবমাননা করেছেন। আমির আহমেদ শফী একজন বিকৃত মানসিকতার লোক। তিনি শুধু নারীদেরকেই অপমান করেননি- তিনি পুরুষদেরও অপমান করেছেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পুরুষকে লালসাময় হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি তাঁর মা, বোন, মেয়ে, স্ত্রীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে অসম্মান করেছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের মাদ্রাসায় শিশুদের কী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তাও স্পষ্ট হয়েছে। আমাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আহমেদ শফীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আহমেদ শফী তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে ইসলামকে অবমাননা করেছেন। ইসলামই একমাত্র ধর্ম যে ধর্ম নারীকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলাম নারীকে পুরুষের পাশাপাশি লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য করার অধিকার দিয়েছে। তিনি বিবি খাদিজা ও মা আয়েশাকে অপমান করেছেন। মা আয়েশা যুদ্ধ করেছিলেন, বিবি খাদিজা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দুই কোটি নারী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। নারীরা এই কর্তব্য দক্ষতা ও শালীনতার মাধ্যমে পালন করছে। হেফাজত এই নারীকে গৃহবন্দী রাখতে চায়। তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বানাতে চায়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এই নারীরা আজ বিভিন্ন পেশায় সফলভাবে কাজ করছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে একটি মডেল। আমাদের এই অবস্থান থেকে কেউ পিছু হটাতে পারবে না। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে আজ হেফাজতের এই অবাস্তব বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে।
©somewhere in net ltd.