নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়েনা খাঁচায় বন্দী হলো ৪২ বছর পর। সর্বস্তরের জনগণ ৪২ বৎসরের চাপা ক্ষোভ থেকে বেরিয়ে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলল!

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

হায়েনা খাঁচায় বন্দী হলো ৪২ বছর পর। সর্বস্তরের জনগণ ৪২ বৎসরের চাপা ক্ষোভ থেকে বেরিয়ে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলল!



দেশের সর্বস্তরের জনগণ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ৪২ বছর পর একটা রায় পেয়েছি এটাই বড় কথা। তাই এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক চাপের মুখে কাজ করতে হয়েছে সরকারকে এই বিচারের জন্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকরা কাজ করছেন। গোলাম আযম সাজা পেয়েছে। আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরকেও স্বাধীনতাবিরোধী প্রতারক দল হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এটা এ দেশের জনগণের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা, প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের ফসল। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জামায়াত শিবির এই পবিত্র রমজান মাসে হরতাল ডেকেছে। জামায়াত-শিবির ধর্মের কথা বলে বলে এতদিন বাঙালি জাতিকে অন্ধ করে রেখেছিলো। সেই শিবির-জামায়াত ক্ষমতার রাজনীতিতে এতটাই মত্ত যে ধর্মের কথা ভুলেই গেছে। কেবলমাত্র ক্ষমতার লিপ্সা আর যুদ্ধাপরাধী হায়েনাদেরকে বাঁচাতে একের পর এক হরতালের ডাক দিয়ে নির্মমভাবে পুলিশ পিটিয়ে গাড়ী ভাংচুর করে, অগ্নি সংযোগ করে অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে। জামায়াত শিবির যদি প্রকৃত মুসলমান হত তাহলে পবিত্র রমজান মাসে হরতাল দিয়ে দেশে বিশৃখলার সৃষ্টি করত না। জামায়াত-শিবির নানাভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার পর এপর্যন্ত কোন দল জামায়াত শিবিরের মত পবিত্র রমজানে হরতাল দেয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের এই রায় ঘোষণা নিয়ে জামায়াতের হরতালে সমর্থন জানিয়ে বিএনপি সংসদ অধিবেশনে আসেনি। এর মাধ্যমে গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি বিএনপি তাদের সমর্থন স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে। এ জন্য অবশ্যই দেশবাসী, বিএনপিও তাদের নেত্রীকে ধিক্কার জানাবে। এই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি নেত্রী কী না করেছে। হিন্দুর বাড়িঘর ও মন্দিরে আগুন দিয়েছেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মন্দির লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। কানসাটে বিদ্যুত কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে আগুন পর্যন্ত দিয়েছেন। সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে। বিচারের কাজ শুরুর পর রায়ও শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা আর সংগ্রামের ফসল আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। একের পর এক বিচারকরা রায় দিয়ে যাচ্ছেন। এটাই হচ্ছে জাতির সব থেকে বড় পাওনা। ৪২ বছর পরে হলেও আমরা সেই রায় পাচ্ছি, বিচার হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.