নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদাকে ক্ষমতার বাইরে রাখা এখন রাজনৈতিক কর্তব্য

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

বাংলাদেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রাখা এখন সকলের রাজনৈতিক কর্তব্য। রাজাকারী রাজনীতির কবল থেকে মুক্ত হতে চাইলে দেশের সকল মানুষকে ঐকবদ্ধভাবে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠীকে পরাজিত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে জাতিকে ফয়সালা করতে হবে, এদেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতো জঙ্গী রাষ্ট্র হবে না অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পরিণত হবে। খালেদা জিয়ার পিঠে দুর্নীতির ছাপ, হাতে রক্তের দাগ। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধিশালী ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রাখা এখন রাজনৈতিক কর্তব্য। ৩৭ বছর চেষ্টার পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কর্নেল তাহের একজন দেশপ্রেমিক যোদ্ধা আর জেনারেল জিয়া একজন নৃশংস হত্যাকারী। কর্নেল তাহেরকে হত্যা করার পেছনে জিয়ার একটা রাজনৈতিক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছিল। তার পরিকল্পনা ছিল মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে আবারও এদেশের রাজনীতিতে পাকাপোক্ত করা যা তিনি সম্পন্ন করে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানীরা যদি রাজাকারের জন্মদাতা হয়ে থাকে তবে জিয়াউর রহমান রাজাকারের দ্বিতীয় জন্মদাতা পিতা। রাজাকারদের লালন পালনকারী হিসেবে তার পত্নী খালেদা জিয়া রাজাকার মাতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বিএনপি বলে জিয়া নাকি জাতিকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়া এদেশে একটি সংগঠিত সামরিক শাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। জাতির সঙ্গে বেঈমানী করেছিলেন। রাজাকার আলবদরদের ভাগাড় থেকে উঠিয়ে রাজনীতিতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী হিসেবে ধনতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে একটি গোঁজামিলতন্ত্র সৃষ্টি করেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টকে একটি কসাইখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বিএনপি এখনও সেই রাজাকারী রাজনীতি বিসর্জন দিতে পারেনি। পুরো জাতি যখন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাইছে খালেদা জিয়া তাদের মুক্তি চাইছেন। কিন্তু একটি কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ষড়যন্ত্রকারীরা যতই চক্রান্ত করুক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা কোন চক্রান্তকারী নেতানেত্রীর পক্ষেই সম্ভব হবে না। আপীলের মাধ্যমে যদি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর থাকে তবে অবশ্যই প্রত্যেকটা রায় কার্যকর হবে। সশস্ত্র জামায়াতিদের রাজনীতির ময়দান থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তাদের কোন ঠাঁই থাকতে পারে না। খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রাখার জন্য সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে চেষ্টা করতে হবে। এভাবেই কেবল বঙ্গবন্ধু, কর্নেল তাহের আর একাত্তরের শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা সম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.