![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
১৫ আগস্ট নকল জন্মদিন পালন করে বিরোধী দলীয় নেতা একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও হানাদারদের বুঝিয়ে দেন যে, তিনি (খালেদা জিয়া) বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। এখনও তিনি পরাজিত শক্তিদের সঙ্গেই রয়েছেন, পরাজিত দেশটির (পাকিস্তান) সঙ্গেই রয়েছেন। যাঁরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, যাঁরা চান বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক- তাঁরা আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়, আন্দোলনের নামে যারা মানুষ হত্যা করছে, দেশের সম্পদ ধ্বংস করছে, পবিত্র কোরান শরিফ পুড়িয়ে দিচ্ছে- এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশে আবারও বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন কমে যাবে, দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষার হার কমে যাবে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের নামে শত শত কোরান শরিফ পুড়িয়েছে, বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে, আন্দোলনের নামে সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের একটাই উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের যে কোন মূল্যে রক্ষা করা। খুনী-সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া, লালন-পালন করাই তাদের চরিত্র। দেশের জনগণকে এদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি আগে অনেকবার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ক্ষমতায় থেকে তারা দেশকে কি দিয়েছে? হত্যা, খুন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার এবং নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়া ছাড়া তো দেশের জন্য কিছুই করেনি। খালেদা জিয়ার এসএসসি’র সার্টিফিকেট, সামরিক অফিসার জিয়ার স্ত্রী হিসেবে দেয়া জীবনবৃত্তান্ত, বিবাহের কাবিননামা, পাসপোর্টের কোথাও খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে ১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ নেই। ৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করেই এমন শোকাবহ দিনে তিনি মিথ্যা জন্মদিনের নামে উৎসব করা শুরু করলেন! এবারও তিনি নকল জন্মদিনের নামে এ বয়সেও যেভাবে জন্মদিন পালন করলেন তা দেখে গোটা জাতি তাকে ধিক্কার জানাচ্ছে। আসলে পরাজিত শক্তির প্রতি তার সমর্থন জ্ঞাপনের জন্যই ১৫ আগস্টের দিন মিথ্যা জন্মদিন পালন করছেন।
©somewhere in net ltd.