![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশে প্রায় ৬০ উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী সংগঠন, জঙ্গী সংগঠন ও এনজিও রহস্যজনক তৎপরতায় লিপ্ত। এর মধ্যে প্রায় ১০টি ধর্মভিত্তিক উগ্র মৌলবাদী সংগঠন জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এসব সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা ১০ ধর্মভিত্তিক উগ্র মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠনের নিষিদ্ধ করার জন্য তালিকা তৈরি করেছে। এ ছাড়াও রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমার ভিত্তিক ১৩টি সংগঠন এদেশে রহস্যজনক তৎপরতা চালাচ্ছে। সরকারের ওপর মহলে জঙ্গী সংগঠনগুলোর এই তালিকা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই জঙ্গী সংগঠনগুলো ভয়াবহ নাশকতায় লিপ্ত হতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করার জন্য তৈরি তালিকাভুক্ত জঙ্গী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বেশকিছু বিদেশী জঙ্গী সংগঠনের কানেকশন রয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে আলাপ-আলোচনার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। যে দশটি উগ্র মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে হিযবুত তাওহিদ, ইসলামিক সমাজ, ওলেমা আঞ্জুমান আল বাইয়্যেনাত, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি, তৌহিদ ট্রাস্ট, তামির উদ-দ্বীন, আল্লাহর দল, জাগ্রত মুসলিম জনতা, শাহাদত-ই-নবুয়াত, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম, আল মারকাজুল ইসলামী। এসব উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে ব্যাপক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এসব উগ্র মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠন সম্প্রতি গ্রাম এলাকায় গরিব ও সাধারণ ছেলেদের জঙ্গী তৎপরতায় উদ্বুদ্ধ করছে। অপপ্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে লিফলেট, পোস্টার ছেড়ে তাদের আকৃষ্ট করার তৎপরতা চালাচ্ছে। এসব সংগঠন গোপন বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। বিভিন্ন নামে ও ব্যানারে তাদের জঙ্গী তৎপরতা চালানোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের সম্ভাব্য আশঙ্কায় এবং নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নাশকতা হামলা চালানোর জন্য তারা ছক কষছে বলে গোয়েন্দা তথ্য মিলেছে। জঙ্গীরা কেপিআইসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির নামীদামী রাজনীতিক বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করে রণপ্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তথ্য পাওয়ার পর সরকার ওসব জঙ্গী সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় এনেছে।
©somewhere in net ltd.