![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প জাতীয় আয়ের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এ প্রকল্পের প্রায় ২৫ লাখ পরিবারের আয়বর্ধক কাজে বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা। এক বছরে এসব পরিবার প্রতি আয় বেড়েছে ১০ হাজার ৯২১ টাকা। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ লড়াইয়ে জয়লাভ করতে সরকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তির জন্যই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্প গ্রহণের ফলে গ্রামীণ সমাজে ধীরে ধীরে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এসব সমিতি শুধু দারিদ্র্য থেকেই মুক্তির জন্য কাজ করছে না, তারা সমাজের উন্নয়নেও কাজ করছে। এই প্রকল্পটি সারাদেশের গ্রামের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ইতোমধ্যে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে গ্রামের প্রতিটি বাড়িকে আয়বর্ধক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা। কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে অবদান রাখা। প্রকল্পের আওতাভুক্ত নিম্ন পরিসরের আয়ের পরিবারের সংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। একদিকে নিম্ন আয়ের পরিবারের সংখ্যা কমছে, অপরদিকে তুলনামূলকভাবে একটু অধিক আয়ের পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া স্বাধীনভাবে নিজেদের মতো জীবিকায়নের সুযোগের বিষয়টি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে সরকার থেকে অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রকল্প চলবে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি এর কার্যক্রম দেশের চার হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নে বিস্তৃত করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.