![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
যে রোগগ্রস্ত রাজনীতির খপ্পরে আমরা পড়েছি, হাজার চাইলেও তার হাত থেকে সহসা রেহাই পাওয়ার কোন সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত আকার-ইঙ্গিতেও দেখা যাচ্ছে না। সামনে জাতীয় সংসদের নির্বাচন। বিরোধীদল তত্ত্বাবধায়কের নামে হরতাল ডেকে দেশের সীমাহীন ক্ষতি সাধন করছে। তারা বলছে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ সাধারণ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। অথচ ক্ষমতায় থেকে তারা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপনির্বাচন প্রভৃতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন। এসব নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি এমন অভিযোগ কোন দলের পক্ষ থেকেই আনা হয়নি। বরং নির্দ্বিধায় সবাই ওই নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তাই জাতীয় নির্বাচন তাদের অধীনে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না, এমন অভিযোগ আসলে ভিত্তিহীন। কিন্তু বিরোধীদল বিভিন্ন মিথ্যা ইস্যু বানিয়ে দেশে হরতাল, নৈরাজ্য, সহিসংতা প্রভৃতি বেশ কিছু দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে এবং সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের অর্থনীতি। পরিণতিস্বরূপ ৫ শত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গার্মেন্টসের অর্ডার বাংলাদেশ থেকে বাতিল করে প্রতিবেশী ভারতের গার্মেন্ট শিল্পগুলোতে দেয়া হয়েছে। ফলে মজুদ হয়ে পড়ে রয়েছে ২০ বিলিয়ন টাকা মূল্যের বস্ত্র, যার ফলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এভাবে রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ায় সরকার ৩৫০ মিলিয়ন টাকা ভ্যাট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই চিত্রটি এবং তার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলের কথা ভাবলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। আপাতত অবস্থা শান্ত মনে হলেও, আগামীতে সংকটের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের সবার উচিত হবে যারা অহেতুক দাবি নিয়ে হরতাল ডেকে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরকে বর্জন করা। তাদের প্রতি বিরুদ্ধাচারণ করা।
©somewhere in net ltd.