![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির উপর কিছুদিন আগেই জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও উন্নয়নে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া এ ঋণ সহায়তার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতুতে ঋণের অর্থ প্রত্যাহারের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে উন্নয়ন খাতে বড় ধরনের ঋণ এটি। এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পদ্মা সেতুর টাকা অন্য খাতে বরাদ্দের যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতে এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই সংস্থাটির ছাড় করা অর্থে উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ উন্নয়ন কর্মসূচী শুরু করবে সরকার। এ ঋণ সহায়তার মধ্যে ২০৫ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে পাবে বাংলাদেশ। সংস্থাটির দেয়া অর্থ দিয়ে ৫৪৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এর পাশাপাশি ৬২৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ এবং ৪৮৫ কিলোমিটার খাল খনন ও পুনর্খনন করা হবে। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে ২৮২টি। এ ছাড়া অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ দিয়ে। ২০২০ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন শেষ হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বসতবাড়ি, ফসল ও মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ রোধ করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, উপকূলে জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণ ও এসব অঞ্চলের ১৭টি পোল্ডার বাঁধ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে ৮৬ হাজার ৩৮২ হেক্টর জমির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নির্বাচিত পোল্ডারসমূহের উন্নয়নসহ সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন হবে।
©somewhere in net ltd.