![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশও পারে। একসঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্বকাপ আসরের আয়োজন ও সফল সমাপ্তির মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। একদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান। নির্বাচন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে দেশজুড়ে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর হিংস্র তান্ডব। বিএনপিসহ ১৮ দলের সহিংস আন্দোলন, আতঙ্ক। সাম্প্রতিক এমন একটি চরম বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজন করা ছিল সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এ আয়োজনের সফল সমাপ্তি নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। আশঙ্কা ছিল সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ হওয়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত তা হয়েছে, স্বস্তি ফিরেছে। কারণ এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বের দৃষ্টি ছিল বাংলাদেশের দিকে। পাশাপাশি স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জন দুটি। একটি হলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এরকম আয়োজনে সক্ষমতার প্রমাণ দেয়া। অন্যটি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়া। পাশাপাশি অনেক গৌরবময় ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল বাংলাদেশ। এতে বেড়েছে প্রত্যাশা আর আত্মবিশ্বাস। যা দেশসহ বিশ্ব ক্রিকেটমোদীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। টি২০ বিশ্বকাপ ও প্রমীলা বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিশ্বের প্রায় ২৬ দেশের উপস্থিতি ছিল বাংলাদেশে। এ উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। জমকালো উদ্বোধনী পর্বে বিশ্বের নামীদামী সঙ্গীত শিল্পীদের অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে সফলভাবে। বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীদের মধ্যেও ছিল বাড়তি উত্তেজনা। বিদ্যুত নিয়েও ছিল দুশ্চিন্তা। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি তো আছেই। হতাশ হননি ক্রীড়াপ্রেমীরা। কারণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ ছিল খেলার সময়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল স্বাভাবিক। বিশ্বকাপ উপভোগে কোন জটিলতার সৃষ্টি হয়নি। শেষ ভাল যার, সব ভাল তার। অর্থাৎ আরেকটি ভাল ও শুভ সূচনার যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.