নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রমিকদের রক্তের দাগ লেগে থাকা পোশাক পশ্চিমারা কিনবে না বলে সতর্ক বার্তা-যুক্তরাষ্ট্রের। এটা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের ফসল

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

শ্রমিকদের রক্তের দাগ লেগে থাকা পোশাক পশ্চিমারা কিনবে না বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ। এগুলো কোন সতর্ক বার্তা নয় এটা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের ফসল। কেননা বেগম জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের কাছে এসব দেশে বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে বর্তমান সরকারের চলমান গণতান্ত্রিক শাসনের বিপক্ষে শাস্তি আরোপ করার মিনতি জানান। এটা বাংলাদেশের জনগণের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার শামিল। খালেদা জিয়া এবং বিএনপি-জামায়াতের জনবিচ্ছিন্নতার জন্য কেন বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে হবে? বেগম জিয়া অনেক বছরই বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই জানেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) দোহা এজেন্ডা অনুযায়ী অনুন্নত সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে উন্নত দেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার/ জিএসপি সুবিধা এমনিতেই পাওয়ার অধিকার রাখে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ কোন করুণা নয়। গণআন্দোলনের উপর আস্থা না রেখে কেন বেগম জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দ্বারস্থ হলেন? গণতন্ত্র মানে যদি হয় জনগণই ক্ষমতার উৎস, তাহলে সেই জনগনের উপর বাংলাদেশের নেতাদের আস্থা কই? জনগণকে উপেক্ষা করে ক্ষমতার পালাবদলে সাম্রাজ্যবাদীদের সাহায্য প্রার্থনা করে বেগম জিয়া প্রমাণ করলেন গণতন্ত্র তিনি নিজেই বিশ্বাস করেন না, বিশ্ব পরাশক্তির দাসত্ব, দালালী করে তাদের সবরকম অন্যায্য এবং অবৈধ হুকুম মেনে চলে বাংলাদেশের সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ, তেল-গ্যাস-বন্দর, বাংলাদেশের বাজার সব কিছু পরাশক্তির বহুজাতিক কোম্পানির কাছে নিরঙ্কুশভাবে তুলে দিতে রাজি হলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে তথাকথিত গণতান্ত্রিক মসনদে বসিয়ে দিবেন বলেই বেগম জিয়ার বিশ্বাস ! পরাশক্তির হস্তক্ষেপ কামনা করে জানিয়ে দিলেন তিনি এখন আর জাতীয়তাবাদের উপরও আস্থা রাখেন না। দেশের বিরোধী দলের প্রধান যিনি আগে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানও ছিলেন তাঁর এভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে প্রকাশ্য সাহায্য কামনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরাশক্তির চলমান খবরদারীকে নিরংকুশ করে তুলবে! ডঃ মোঃ ইউনুস যিনি বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। তিনিও শেষ পর্যন্ত খালেদার হয়ে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করতে লবিং করেছিলেন। কল্পনায়ও আনা যায়না এমন ব্যক্তিত্ব কিভাবে তার নিজের দেশকে এমন অভাবনীয় ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.