![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতেই হবে কেননা বাংলাদেশের জন্মের বিরুদ্ধে এ সংগঠনটি কাজ করেছে, তারা জঙ্গি সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তা জনগণের কাছে প্রমাণিত। বছরাধিককাল ধরে চলে আসা জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা ও সম্প্রতি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়া এবং শেরপুরের শ্রীবর্দি পৌর আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের হাত পায়ের রগ কাটার ঘটনায় দেশের মানুষ শঙ্কিত। এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদসস্যসহ বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আল-কায়দার হুমকি, পুনরায় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কায় স্বাভাবিকভাবেই দেশের নাগরিকসমাজ শঙ্কিত। এ রকম একটি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সন্ত্রাসী সংগঠনের নামের তালিকায় জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৃতীয় স্থান অর্জন নাগরিক দুর্ভাবনাকে আরো উসকে দিয়েছে। সংগত কারণেই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে নাগরিকসমাজ থেকে। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নাগরিকরা সরকারি উদ্যোগেই জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। এটা সবার কাছেই স্পষ্ট যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রগকাটা রাজনীতির পাশাপাশি দেশে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে জামায়াত- শিবিরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহজোগিতায়। তাদের কার্যকলাপে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে দলটি রাষ্ট্র ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে জামায়াতের বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রমানিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার। তাই দেশের প্রচলিত আইনেই জামায়াত নিষিদ্ধ করা সম্ভব। এর জন্য শুধু সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মনে করছে দেশের নাগরিকসমাজ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন দেখার অপেক্ষায় দেশের মানুষ।
©somewhere in net ltd.