নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিহতদের নামে বিদেশ থেকে আনা কোটি কোটি টাকায় ফ্ল্যাট কিনছে হেফাজত নেতারা। অথচ এখনো পর্যন্ত নিহতরা সামান্য কোন সাহায্য পায়নি

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

হেফাজতের নেতাকর্মীদের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা অনুদানের বিপুল অর্থ এখন কোথায়? এ প্রশ্ন নিয়ে শীর্ষনেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। হেফাজতের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে আমিরের ছেলেসহ কয়েক নেতার সম্পদের পাহাড় গড়া নিয়েও শুরু হয়েছে বিরোধ। দেশ ও বিদেশ বিশেষত সৌদিআরব, কাতার, কুয়েত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিপুল অর্থ সহায়তার কিছুই না পেয়ে ক্ষুব্ধ আহত ও নিহতদের পরিবারগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যেই হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে, নেতারা আসলে কওমি মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিজেদের মতো নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্যবসা করতে চায়। এরা মাদ্রাসার আহত, নিহত ছাত্রদের নামে টাকা আনলেও তা পায় না ভুক্তভোগীরা। এর আগে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তদন্তেও হেফাজতের পক্ষ থেকে সংগঠনের আহত-নিহতদের সাহায্য না করার প্রমাণ মিলেছিল। হেফাজত ও মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্রদের ব্যবহার করে নেতাদের রাজনীতি করা, অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড়গড়া ও কওমি মাদ্রাসার সরকারী সনদের স্বীকৃতির বিরোধিতা করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-অভিভাবকরা। নেতাদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ হয়ে পড়ায় হেফাজতের প্রতি ক্রমেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন শিক্ষক-ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই হেফাজত নেতাদের কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী, সমর্থক, ভক্ত ও অনুরাগীরা। গ্রগতিবিরোধী ১৩ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম ও ৫ মে ২০১৩ সংগঠিত অপারেশনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কথা বলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসব আর্থিক সহায়তা আনা হয়। কওমি মাদরাসার প্রবাসী ছাত্র-শিক্ষক, ধর্মভিত্তিক দলের নেতাকর্মীরা ব্যাংকে, হাতে-হাতে এ বিপুল পরিমাণ টাকা প্রদান করেছেন সংগঠনটির সদর দপ্তর হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায়। তবে আজ পর্যন্ত এসব অর্থের কোন হিসাব দিতে পারেনি হেফাজত কিংবা হাটহাজারী মাদরাসা। আন্দোলন কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় কোটি কোটি টাকা এসেছে নামে-বেনামে। এসব অর্থ পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন হেফজাতের শীর্ষনেতারা। ৫ মে পর কয়েকজন নেতার উত্তরোত্তর উন্নতি হয়েছে। কেউ ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ সারা মাসই গাড়ি ভাড়া করে চলেন। স্বয়ং আনাস মাদানি বাড়ি করছেন অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে। অথচ অনুদান সংগ্রহ করা হলেও ৫ মে নিহতরা কোন সাহায্য পায়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.